সতর্কীকরণ— গোমাংসে যাদের অ্যালার্জি আছে তারা এবং নিরামিষভোজীরা নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখুন।
সে অনেক অনেক দিন আগের কথা, জ্ঞানকোষ নামে এক বই আনা হয়েছিল বাড়ীতে , ভবেশ রায়ের সম্পাদনায় বিশ্বের নানা দেশ ও জাতির বিবিধ বিষয় নিয়ে জ্ঞানগর্ভ কিন্তু মজার আলোচনা, এক জায়গায় প্রশ্ন ছিল বিশ্বের কোন দেশের মানুষ সবচেয়ে বেশী গরুর মাংস খেয়ে থাকে?
উত্তর – আর্জেন্টিনা।
কোন আর্জেন্টিনা? আরেহ- দিয়েগো ম্যারাডোনার আর্জেন্টিনা। যাক, একটা নতুন তথ্য জানা গেল, এর বাহিরে বিশেষ কিছু ছিল না সেই বইতে। এর অনেক পরে সেবা প্রকাশনীর আন্দেজের বন্দী পড়ার সময় আর্জেন্টিনার গরুর মাংসের সুখ্যাতির কথা আবার ফিরে আসে, যদিও সেখানে খুব ভাল ভাবে উল্ল্যেখ করা হয়েছিল যে উরুগুয়েতেই বিশ্বের সর্বোৎকৃষ্ট গরুর মাংস উৎপাদন হত কিন্তু এখন সেই স্থান আর্জেন্টিনার দখলে।
ইউরোপের নানা মহানগরীর অভিজাত রেস্তোরাঁগুলোতে দেখেছি আর্জেন্টিনার গরুর চাপ (STEAK) পাওয়া যায় এমন বিশাল সব বিজ্ঞাপন। বাহির থেকে দেখেই সুখী থাকতে হয়েছে, ঐ ধরনের রেস্তোরাঁয় ঢুকে সেধে সেধে তিনদিনের খরচ এক বেলায় করতে ইচ্ছে করে নি। কিন্তু একটু অবাকও হয়েছি ভেবে যে বিশ্বের দুই শতাধিক দেশের মাঝেই কেন আর্জেন্টিনার গরুর মাংসের সুনাম সবচেয়ে বেশী, কি এমন আছে সেই দূর দেশের গরুর রসাল মাংসের পরতে যা কিনা বাংলা গরুর চেয়েও সরেস? পুরান ঢাকার চিত্তচঞ্চলকারী সমস্ত কাবাবের চাইতেও কি ঐ গরুর মাংসে কামড় দেবার মজা বেশী?
ঠিক সেই প্রশ্নের উত্তর জানবার জন্য না, সেই সাথে আরও কিছু কারণে জীবননদীর এক বাঁকে আমরা উপস্থিত হলাম আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েন্স আয়ার্সের শহরকেন্দ্রে, ডেল স্যুর হোস্টেল থেকে আমাদের তিনজনের ( ইয়াইয়াস, হুয়ান, অণু ) সাথে জুটেছে ব্রাজিলের ছেলে ম্যাতিয়াস। সে আবার দিন কতক হল মজে আছে বুয়েন্স আয়ের্সের টানে, চিনে ফেলেছে এলাকার রোদচশমাওয়ালী লাস্যময়ী এবং পানশালার অবস্থান সেই সাথে অবধারিত ভাবে চাপ খাওয়ার সেরা জায়গাগুলো।
চিন্তা ভাবনা করে এক স্পেশাল রেস্তোরাঁয় নিয়ে গেল ছোকরা আমাদের, এবং জানিয়ে রাখল দামটা একটু বেশীই পড়বে, কিন্তু খাবার হবে সেরা! সেই সাথে পানীয় হিসেবে সাংরিয়া চেখে না দেখা নাকি মহাপাপ হবে! রেস্তরাঁটি খুব বেশী ধরনের দৃষ্টিনন্দন, একেবারে যাকে বলে ক্ল্যাসিক ( সেদিন কোন শিবঠাকুরের আপন আরব দেশে পড়লাম অতি সুদর্শন হবার কারণে তিন যুবককে নির্বাসনে পাঠানো হয়েছে যাতে তাদের যৌবনদীপ্ত মুখভঙ্গী তরুণীদের পাপকাজে প্রলুব্ধ না করে! ঐরকম পাগলা প্রশাসন থাকলে এই ধরনের রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দরজায় তালা ঝুলিয়ে দিতে পুলিশ, জনগণকে নির্লজ্জ ভাবে বারবার প্রলুব্ধ করে ফিরিয়ে আনার জন্য!), প্রবেশদ্বারের পাশেই বিশাল ওভেন, তার সামনে বাবুর্চি সাহেব দাড়িয়ে মাংসের ফালি নাড়াচাড়া করছেন, অর্ডার পেলেই সে হিসেবে মাংসল একটা চাক্তি সেঁধিয়ে দিবেন ধিকি ধিকি আগুনে।
এই মাংসের ফালির মধ্যেই আছে যত রহস্য, তবে মূল রহস্য নিহিত আছে এই বদ্ধ হেঁশেলে না, পাম্পাসের আদিগন্ত বিস্তৃত তৃণভূমিতে। সেখানে যে বিশেষ ধরনের ঘাস হয়, সেগুলো খেয়েই না এই গরুগুলো হয়ে মোটাতাজা, লাল মাংসের ভাজে ভাজে আশ্রয় নেয় সাদা চর্বি, আবার আছে গবাদি পশুগুলোর চরে বেড়ানোর অভ্যাস। অনেক আগে ফ্রান্সের চীজ নিয়ে গল্প লিখেছিলাম এই পোস্টে, আর্জেন্টিনার গরুর মাংস উৎপাদনের ইতিহাস আর রকমফের শুনে সেই কথা মনে পড়ে গেল।
পেটে তখন ছুঁচোর কেত্তন, ইম্বল আর বাতাবিকেও জলযোগ করে ঢেঁকুর তুলতে পারি আর এ তো নিরীহ গরু মাত্র। চেয়ার-টেবিলে জাকিয়ে বসেই অর্ডার দেওয়া হল- সেরা মাংসের চাপ নিয়ে আস, এক নম্বর, কোন ফাঁকিবাজি বরদাস্ত করা হবে না। আর হ্যাঁ, এক জগ সাংরিয়া। যদিও ম্যাতিয়াস আগে একাধিকবার চাপ খেয়ে যাওয়াই চাহিদা পেশ করল একটা টি-বোন স্টেকের।
প্রথমেই জগ ভর্তি মোহময়ী সাংরিয়া চলে আসল, তাতে বরফের কুচির সাথে সাথে ফলের টুকরো ভাসছে। দক্ষিণ গোলার্ধের আইঢাই গরমে দেখেও শান্তি পানীয়ের পাত্রে জমা বিন্দু বিন্দু জল। এসে গেল সসেজ আর আলুর দম জাতীয় এক মশলাহীন খাবার, সাথে আঁচার জাতীয় কিছু একটা। অতপর উহাদের একটির আগমন টের পাওয়া গেল দূ----র থেকে! ওরে বাবা, এযে বি--শা—ল !
এসে গেল টি-বোন স্টেক আর আমাদের চাপ। ছুরি কাঁটা দিয়ে ব্যবস্থা করে ছোট এক টুকরো যেই না মুখে দিয়েছি – আহ, ওহ! কি যে স্বর্গীয় প্রশান্তি সেই কচকচে শব্দের মাঝে যা কিনা উৎপন্ন হয়েছে উৎসাহের আতিশয্যে চোখ বন্ধ করে অতিশয় সুস্বাদু মাংসের চাবানোর ফলে, সেই সাথে আছে জিহবার টাকরার সাথে গালের সমন্বয়ে উৎপন্ন বিস্ময়বোধক শব্দ, কী যে অপূর্ব সেই চীজ! মনে হল জীবনে প্রথম বারের মত সত্যিকারের মাংস খেলাম! আসলে মাংস খেতে হলে এমনই খাওয়া উচিৎ!
প্রথমেই বলে দিয়েছিলাম চাপ যে মিডিয়াম হয়, বেশী ভাজার দরকার নেই, আবার খাঁটি সাহেবদের মত কাঁচা কাঁচা রাখবার দরকার নেই যে মাংসে কামড় দিলে রক্ত বাহির হবে। কিন্তু মিডিয়াম আঁচে সামান্য মশলা দিয়ে নানা পক্রিয়ার মাঝে প্রস্তত হওয়া এক সামান্য মাংসের ফালি যে এত স্বর্গসুখ প্রদান করতে পারে তা যদি আগে জানতাম!
আরামের আবেশে চোখ মুদেই চাবিয়েই যাচ্ছি যেন অনন্ত কাল ধরে, মনে মনে আশা করছি তা যেন শেষ না হয়, ছুরি-কাঁটা-প্লেটের টুংটাং বোল চলছে সমান তালে, মাঝে একবার অন্যদের দিকে আর চোখে তাকিয়ে দেখি তাদেরও অবস্থা বিশেষ আলাদা কিছু নয়। সবাই মেতে আছে চাপের চাপায়। সেই মাংসের টুকরোর স্বাদের বর্ণনা দেওয়া খুব একটা কাজের কিছু না, বলতে পারি- খুব সুস্বাদু, বলতে পারি স্বাদে গন্ধে অতুলনীয়, বলতে পারি রান্না গুণে একেবারে কচি নধর, মুখে দিতেই গলে যায় আরাম ছড়িয়ে, আঁশে আঁশে লুকিয়ে আছে মাদকতাময় তৃপ্তি, সেই সাথে আকণ্ঠ এক ইচ্ছার নাগপাশ ঘিরে ধরে আমাদের অস্তিত্বকে- খেয়েই যায়, খেয়েই যায়, এমনটা মনে হয়! কিন্তু তাতে কী কিছু বোঝা গেলে বিশ্বের সেরা মাংসের চাপের স্বাদ!
না, বোঝাতে পারলাম না।
কিন্তু এটুকু বলতে পারি, আর্জেন্টিনার গরুর চাপ কে যে বিশ্বের সেরা চাপ বলা হয়, তা বিন্দুমাত্র অতিশোয়াক্তি নয় ! সেই সাথে আছে ঝাঁঝালো সাংরিয়ার পরিমাপ করা চুমুক, সোনায় সোহাগা সব দিক দিয়েই। আর হ্যাঁ বিলের দিকে দিয়েও, এত উচ্চ মানের রেস্তোরাঁতেও খাদ্য, পানীয়, টিপস সহ প্রতিজনের বিল আসল ২০ ইউরোর মত, মানে জনপ্রতি ২০০০ টাকা, একটু কমদামী রেস্তরাঁতে গেলেই যা অর্ধেকে নেমে আসত।
এরপর তৃপ্ত মন-প্রাণ-দেহ-উদর নিয়ে কোনমতে পা টেনে টেনে চললাম খাওয়াজনিত ক্লান্তি ঘটিত দিবানিদ্রার উদ্দেশ্যে।
( এই পোস্টটি বিশিষ্ট ভোজনরসিক ও পাচক, আমার প্রিয় সহব্লগার খালিদ মুসতান্সির ওরফে অপছন্দনীয়র জন্য। তার খাবার গল্পে ও বর্ণনার তিতিবিরক্ত হয়ে একসময় বলা হয়েছিল সে এমন খাই খাই করে বলেই জন্ম থেকে বাবা-মা নাম রেখেছিল খা দিয়ে খালিদ! )
মন্তব্য
জিভে জল এসে গেলো
facebook
সকাল সকাল একি অত্যাচার রে বাবা! কি দোষ করেছি আমরা!!!
তারেকানু'র ফাসি চাই!
ক্যা!
facebook
সাংরিয়ার ছবি কই?
-নিশিতা
কেন, ঐ যে জগ আর গ্লাসের মাঝে লালচে তরল!
facebook
কি শুরু করছেন আপনি? একবার চুরেস্কো একবার চাপ!!!!! এত অবিচার সইবো না।।।।।।। এতদিন খালি বিভিন্ন জায়গার লেখা দিতেন এখন আবার শুরু করছেন খাবার , আপ্নের বিরুদ্ধে আমার খাবারানুভূতিতে আঘাত দেওয়ার জন্য মামলা করব
অনুভূতি কি না , বড়ই মারাত্নক জিনিস!
facebook
খুলনার ময়লাপোতা'র মোড়ে ভার্সিটি থেকে দল বেধে চাপ খেতে যেতাম, খুবই স্বাদ লাগতো বিশেষ করে সাথে যে সালাদ দিতো সেইটা। শেষ দিকে আর সেই মজা পাইতাম না। এখন খাই মিরপুর বেনারসি পল্লীর শওকাতের চাপ। খারাপ না ভালোই খেতে।
আপনি দেশে এসে একবার ট্রাই মারতে পারেন। ভালো লাগবে আশাকরি।
খাব !
facebook
খুলনার টা বেশি ভালো।
শওকতের চাপের নাম-ডাক শুনে গিয়েছিলাম একদা, ভালো লাগেনি। ভাবলাম এত লোক বলেছে, ভুল হয় কী করে। আবার একদিন খেতে গিয়েছিলাম, প্রথমবারের মতই স্বাদ।
হতাশ হয়েছিলাম।
ঠিক আছে , হয়ে যাবে সবগুলোই
facebook
আমিও বলি, জিভে জল এসে গেল।
- একলহমা
আমারও
facebook
কতদিন যে দেশি মসলায় রাণ্ণা গরুর মাংস খাই না!
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
আহা
facebook
আব্দুল্লাহ এ.এম.
সত্য বলছি, রাগ কইরেন না
facebook
যদিও ডাক্তারের বারণ, তারপরও যখন এত চাপাচাপি করছেন তাহলে চাপতো খেতেই হয়!
নাহ নাহ, আম্পনি স্রেফ দেখবেন। এখন খাওয়া দাওয়ার লাগাম।
facebook
সত্যিই জিভে জল আসছে।
হুম
facebook
এমন মাংস খাবার লোভে ধর্ম ভ্রষ্ট হলে হোক,
গো মাংস আর সাংরীয়া চলুক
পাছে লোকে যা বালার বলুক
অনু তারেকের লেখার সাথে আমাদেরও উল্লাস চলুক।
খাদ্য-পানীয়ের সাথে কেন টানা ধর্ম?
এতদিনেও বুঝি না সেই বোকামির মর্ম!
facebook
মানুষের চেয়ে বড় ধর্ম আর কি আছে ভাই
বোকার স্বর্গে থাকি যে কেমনে কি বোঝাই।
facebook
কি মজা তোমার বিভিন্ন দেশে ঘুরে বেড়ানো আর বিভিন্ন রকম খাবার চেখে দেখা, সচলে সেগুলোর পোষ্ট দেয়া আর ফ্রিতে বকাঝকা খাওয়া
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
কে বকেছে?
facebook
ও অণুদা! মাংসের স্বাদে আমার কাছে মেজবান আর গরুর কালো ভুনা (চিটাগং স্পেশাল) এর চেয়ে র্যাংকিং এ কিছুই উপরে ছিলো না এতোদিন। আজকে এইটা কি পড়াইলেন!! আর্জেন্টাইন স্টেকের স্বাদ তো মনে হইতেসে এর চেয়ে আরো অনেক অনেক বেশি; যেহেতু আপনি বলছেন-
এখন আর্জেন্টিনা ক্যামনে যাই!!
পিজ্জা হাটের মত ৬০ মিনিটে হোম ডেলিভারির ব্যাবস্থা থাকলে এক্ষন বাসা থেইক্যা অর্ডার ছাড়ুম
---- মনজুর এলাহী ----
চিটাগাঙের সেই মাংস খেয়েছে, চমৎকার বটেই। কিন্তু চাপের টেস্ট আলাদা।
এক কাজ করে দেখতে পারেন, যেখানে থাকেন সেখানের কোন রেস্তোরাঁয় যদি নিয়ে আসে।
facebook
ধুর মিয়া - এইগুলা কী শুরু করসেন আপনে? খাওয়া নিয়া এই রহম রসিকতা মানায় নি? খালি দেইখা কী আর খাওনের সাধ মেটে?
না, সেই তো মুশকিল
facebook
দুপুরে ভেড়ার মাংস দিয়ে ভাত খেলাম । আমার দাদুভাই বলেন, "কচি পাঠা, বৃদ্ধ মেষ / দধির অগ্র, ঘোলের শেষ ।"
খুঁজেপেতে কোত্থেকে যেন বৃদ্ধ মেষ কিনে আনা হয়েছে । সকালে রান্না করা হচ্ছিল যখন, তখন থেকেই বোঝা যাচ্ছিল কী অপূর্ব বস্তু তার আগমনী বার্তা ছড়িয়ে দিচ্ছে ! খেতে বসে কয়েক ফোঁটা লেবুর রসে সিক্ত করে যখন মুখে তুলে নিলাম ... আহা, সে কী স্বাদ রে ভাই ! মুখে দিতেই মাখনের মতো গলে যাচ্ছে মোলায়েম ঝাঁঝালো মাংস ! প্রতিটা কণায় যেন স্বর্গীয় অনুভূতি ঠাসা ! তেল-মশলার অমায়িক সমন্বয়ে যে বস্তু তৈরী হয়েছে, তার তুলনা শুধু সেই ।
যা হোক, ভরপেটে এই লেখা পড়েও আর্জেন্টিনার চাপ চেখে দেখতে ইচ্ছে করছে । এইখানেই তারেক অণু'র সার্থকতা !
পাষাণ!
facebook
আজ আবার সকালের জলখাবারে লুচি ছিল ! রূপে-স্বাদে সেই ফুলকো লুচি সত্যিকার অর্থেই এক শিল্প বটে ! আঙ্গুল ছোঁয়াতেই লাজুক কিশোরীর মতো ভেঙে পড়ছিল আহা ! সাথে খান দুয়েক বেগুন ভাজা; এমন নরম আর মোলায়েম সেই বেগুন ভাজা, লুচি সহযোগে মুখে দিতেই মুখের প্রতিটা আনাচে-কানাচে এক বেহেস্তি আমেজ ছড়িয়ে যাচ্ছিল ! আর অল্প একটু আলুর দম । নেত্রকোনার বিখ্যাত জাম-আলুর স্বাদ আর নতুন করে কী বলার আছে ? সেই সুস্বাদু আলুর তৈরি ব্যঞ্জন ! বেশখানিক ঘি-গরম মশলা ঢালা হয়েছে ওতে ! কী রূপ, কী গন্ধ, কী স্বাদ ! লা-জওয়াব ! খাওয়া শেষে পায়েস ! থাক, পায়েসের কথা নাহয় নাই বলি ! শুধু এইটুকু বলি... দারুচিনি-এলাচে সুবাসিত, কিশমিশ-বাদাম শোভিত, ঘন, ফ্রিজে রেখে আরামদায়ক শীতলতায় নিয়ে আসা বস্তুটি না খেলে খাওয়া সম্পূর্ণ হতো না কোনভাবেই !
আপনে একটা অভিশাপ
facebook
দেকো দিকিনি কাণ্ড ! কাল রাতে আবার দু-তিনজন বন্ধুর নেমন্তন্ন ছিল ! সেই সুবাদে বাসায় ইলিশ-খিচুড়ি করা হয়েছিল । জানেন নিশ্চই, দেশে কাল বিকেলে খুব একচোট বৃষ্টি হয়ে গেছে ? রাতে সেই বৃষ্টি পরবর্তী ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা পরিবেশে গরম গরম ইলিশ-খিচুড়ি মুখে দিতেই সবাই একবাক্যে স্বীকার করলাম, বর্ষাকালেই ইলিশের স্বাদ খোলতাই হয় । আহা ! সাধে কি আর সৈয়দ মুজতবা আলী ইলিশের উল্লেখ নেই বলে বেহেশতে যেতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন !
আপ্নে একটা অভিশাপ
facebook
থাক, তাহলে আজ বিকেলে যে রসগোল্লাটা খেয়েছি তা নিয়ে আর কিছু বলব না ! আমাদের এলাকার মিষ্টির সুনাম সারাদেশেই সুপ্রসিদ্ধ । বাড়ি থেকে লোক মারফত কিছু মিষ্টি পাঠিয়েছে মাতৃদেবী । বিকেলে রসে ডুবে থাকা ছোট্ট বাবুদের গালের মতন তুলতুলে সাদাভ রসগোল্লা থেকে একটি তুলে নিয়ে মুখে পুরতেই চোখ আপনিই মুদে এলো ! এমন আরামদায়ক পেলবতা আর সুখ-মধুরতা মুখে নিয়ে আর কিছুই দেখতে ইচ্ছে করে না, ভাবতে ইচ্ছে করে না ! থাক, সেই কথা আজ আর বলব না !
facebook
দেকো দিকিনি কাণ্ড ! কাল রাতে আবার দু-তিনজন বন্ধুর নেমন্তন্ন ছিল । সেই সুবাদে ইলিশ-খিচুড়ি রান্না হয়েছিল ! জানেন নিশ্চই, কাল বিকেলে দেশে আবার খুব একচোট বৃষ্টি হয়ে গেলো ? রাতে সেই বৃষ্টি পরবর্তী ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা পরিবেশে খেতে বসে আমরা একবাক্যে স্বীকার করলাম, বর্ষাকালেই ইলিশের স্বাদ খোলতাই হয় । আহা ! কী অপূর্ব তার ঘ্রাণ ! আবেগে চোখে পানি এসে যায় ! সাধে কি আর সৈয়দ মুজতবা আলী বলেছেন যে ইলিশের উল্লেখ নেই বলে তাঁর বেহেশতে যাওয়ার কণামাত্র বাসনাও নেই !
facebook
আর থাকা গেলনা...
আবহাওয়া অফিসের ভবিষ্যদ্বাণী ব্যর্থ করে আসা ঝুম বৃষ্টিতে আমরাও আজকে খিচুরি-গোমাংসের আয়োজন করেছি, সঙ্গে গব্যঘৃত (অণুদার দাওয়াত রইল)
[ভালো হোক, তবু ভাই পরের ও চাপ/ নিজহাতে রাঁধা, খিচুড়িতে দেই ঝাঁপ ]
রাখেন আপনার অনু'দা ! আমাকে বলতে পারতেন !
থুক্কু, দুজনই গতকাল চলে আসেন
facebook
আর লোভ ধরিয়ে দিস নে বাপ!
আরে আপনার শহরের চমৎকার সব মাংস মেলে! খেয়ে লেন এই কদিন!
facebook
হুর মিয়া!
চাপ হল চাল, স্টেক হল স্টেক।
খানদানি চাপ বাংলা মদে ম্যারিনেট করতে হয়, বনেদি স্টেক কোন কিছুতে ম্যারিনেট করলে গুনাহ হয়।
'চাপ' যেই কারনে চাপ, মানে যেই শিলপাটার শিলের চাপে চাপ চাপ হয়, স্টেক ঐরকম কোন কিছুর চাপে আসে না।
আরজেন্টিনার স্টেক জনপ্রিয় কারন তার সোয়াদের চাইতে এর সহজলভ্য়তা। আরজেন্টিনার গরুর গোস্ত দুনিয়ার শস্তা গরুর গোস্তের মধ্য়ে একটা। ব্রাজিল উরুগুয়ের স্টেকের কিন্তু নামডাক আছে।
জাপানে গেছেন/যাবেন নিশ্চয়। সেখানে গিয়া 'ইয়াগু' স্টেক এর খোজ কইরেন। পঞ্চ-ইন্দ্রীয়ে বেহেশতের প্রিভিউ পাইবেন প্রতিটা কামড়ে।
facebook
'ইয়াগু' স্টেক ---
facebook
থুক্কু, ঐটা ইয়াগু না ঐটা হবে ওয়াগু। লাসাগু আর ঘষাগুতে ভ্রেম হইয়া গেছে।
ৃোৃ
facebook
ফুড চ্যানেলে কোবে বিফ নিয়া নানান হাদুম্পাদুম শুনা যায়। কোবে বিফ দিয়াই ইয়াগু স্টেক হয় তাই না?
..................................................................
#Banshibir.
যাহা কোবে, তাহাই ওয়াগু। জাপানি চাপ সুকিয়াকি যে বেহেশতি মেওয়া, আর কি বলবো। মেরিলিজ এর মুখেই শুনেন।
৫০০ ডলার পার পাউন্ড...!!?
..................................................................
#Banshibir.
পীরের কাছে তো টাকাটুকা হাতের ময়লা! আমাদের, ম্যাঙ্গো পিপলের না যত সমস্যা!
facebook
কোবে বিফ আর ওয়েগু পুরোপুরি এক জিনিষ বা সমার্থক না। ঠিক যেমন সব 'ল্যাংড়া আম' আম হলেও সব আম 'ল্যাংড়া আম' না। ওয়েগু কোন প্রকৃত ব্রীড না, স্রেফ একটা তাত্ত্বিক ক্লাসিফিকেশন - মূলত সারা জাপানের ৪টি সুনির্দিষ্ট জাতের গরুর ব্রীডকে একসাথে ওয়েগু বলা হয়। আক্ষরিক অর্থে এর মানে 'জাপানি গরু'। আর কোবে বিফ হচ্ছে সুনির্দিষ্ট ভাবে ও শুধুমাত্র জাপানের হিয়োগো প্রিফেকচারে কঠোর ও সুনির্দিষ্ট অফিশিয়াল নীতিমালার অধীনে জন্মানো, বড় হওয়া ও ঐখানকার অনুমোদিত কসাইখানায় জবাই করা ওয়েগু ক্লাসিফিকেশনভূক্ত হিয়োগো অঞ্চলের সুনির্দিষ্ট তাজিমা-গু জাত/ব্রীডের গরুর মাংস। কোবে বিফ নামটা পর্যন্ত পেটেন্টেড বা ট্রেডমার্ক। লালায়িত রসনা নিয়ে একটু নেট ঘাটাঘাটি করতে গিয়ে এটুকুই বুঝলাম।
আর হ্যাঁ, কোবে বিফ নিয়া মার্কিন ফুড চ্যানেলগুলির হাদুম্পাদুমে কান দিয়েন না। মার্কিন দেশে কোবে বিফ নিয়া মনে হয় বিরাট জালিয়াতি আছে। নেটে পড়লাম (আপনি হয়তো ভাল বলতে পারবেন) অই দ্যাশে হাই-এণ্ড বাজার/রেস্তোরাঁগুলিতে কোবে বিফ নাকি বিরাট দামে প্রচুর বিক্রি হয়। অথচ ২০১২ সালের আগ পর্যন্ত এর ১০০%-ই নাকি ছিল পুরা ভুয়া/নকল/দুই-নম্বরি, আর ২০১২-র পর থেকে মাত্র ৯৯.৯৯৯% ভুয়া।
কোবে আর ওয়েগু নিয়ে ফোর্বসে প্রকাশিত এই দারুন ফাটাফাটি লেখাটা পড়ে দেখতে পারেন, একেবারে তব্দা খেয়ে যাবেন কাণ্ডকারখানা দেখে -
Food's Biggest Scam: The Great Kobe Beef Lie - ১ম পর্ব (২ খণ্ড), ২য় পর্ব (৩ খণ্ড), ৩য় পর্ব (২ খণ্ড), ৪র্থ পর্ব (২ খণ্ড), এবং ৫ম পর্ব।
****************************************
facebook
একবারে সচলের অতই অবস্থা, কমেন্ট সেকশনে মারমার কাটকাট। পড়তে পড়তে চোখ কটকট করতেছে
জম্পেশ কাহিনী কিন্তু।
..................................................................
#Banshibir.
facebook
উল্-শ ---- উল্-শ - নজর দিলুম - প্যাট সাম্লে।
লাটিন আমেরিকার মানুষজন কিছু মাংশ খায় বটে। এক কলম্বিয় দপ্তরসাথী আমায় বলেছিল সে আর তার স্ত্রী (সাথে দুটি মেয়ে - ১৪ আর ৪) - ৭ দিনে ১২ থেকে ১৫ কিলো মাংশ কেনে - যাকে বলা যেতে পারে হপ্তার হালুম।
এর কারণ - ওদের দেশে নাকি গোমাংশ জলের থেকেও সস্তা - মাংশ খেয়েই পেট ভরে - রুটি খেয়ে নয় / আলুসেদ্ধ খেয়ে নয়। ভাত তো ওই তল্লাটে হয় না।
এর জন্য একটাই তুলনা হয় - আমাদের এখানে যদি কেউ - আড়াই কিলো ইলিশ মাছ এর আদ্ধেক একাসনে বসে খান (সাথে ২০ গ্রাম রূপশালী চালের ভাত) - তাইলে তার ইলিশ প্রীতি - খানিকটা লাটিনো গোমাংশ প্রীতি-র সাথে তুলনীয় হবে।
এটা বুঝে আমি এখন নিজেকে - নিরামিশাষী বলে ভাবি - কোথায় রাজা ভোজ আর কোথায় ----
facebook
আমাগো গব্যানুভূতি লয়া চুদুর বুদুর** খেলেন ক্যান????????
(**খেলা অর্থে)
facebook
গব্যানুভূতি !
facebook
[এম্নে হাসাহাসি করলে, খাড়াক আর নাই খাড়াক, জিরো টু ইনফিনিটির ২ নাম্বার উপদেষ্টারে ভোট দিয়া আমু কিন্তুক ]
'খাড়াক আর নাই খাড়াক' !
আপনে অমায়িক !
ভুটে খাড়ানোর কতা কইচ্চিলাম... আপ্নে আবার কি ভাবলেন?
facebook
লাইনে আসুন
কিচ্ছুটি ভাবি নাই, দাদা ! শুধু খুব হাসি পেল !
facebook
'খাড়াক আর নাই খাড়াক' শুনে তারেক অণু সেই তখন থেকে রাগতেছে ক্যান ? উনার অসুবিধেটা কোথায় হচ্ছে ?
facebook
'খাড়াক আর নাই খাড়াক' এইকথাটা উপদেষ্টা সাহেবরে নিয়া কইচ্চিলাম... হেইডা অণুদার কোন অনুভূতিতে আঘাত হানতেছে সেইটা আমিও বুঝতেছি না
বুঝলাম না ! 'খাড়াক আর নাই খাড়াক' দিয়ে আপনিও কিছু বুঝান নাই, আমিও কিছু বুঝি নাই (শুধু একটু হাসি পেয়েছিল, এই ! মাঝখান থেকে কী না কী বুঝে উনি এমন ক্ষেপে গেলেন কে জানে ! খুব জ্ঞানী মানুষ তো !
খাড়াখাড়ি বাদ্দিয়া আসেন আরেকচোট হাইসা লই
[ক্যান আবার্জিগায়েন্না, কিছু কথা থাক না গুপন ]
থাক, গুপনই থাক !
facebook
আপনে খুব খারাপ লুক। ভোটটা দেয়া ঠিক হয় নাই।
facebook
তারেকানু ভাই, এই বেলা "চিজ" নিয়ে একটা পোস্ট ছাড়েন তো। অন্তত চক্ষু-মনের বিবাদভঞ্জন হোক।
লিমবার্গার, ক্যামেম্বার্ট এইগুলো নিয়ে আপনার লেখা পড়তে সাধ জাগে।
facebook
আর যাই করেন ব্লু-চিজ নিয়ে আবার লিখা দিয়েন না
ক্যান! সেটাও তো উমদা!
facebook
রাত সাড়ে বারোটায় এই সব পোস্ট পড়ার কোন মানে নাই, ক্ষিদায় মন প্রান খা খা করতেছে ।
হ
facebook
'উদাস' ভাই ঠিক-ই কয়-
আপনেরে কাইট্টা আফ্রিকার মানুষ খেকো জংলীগো কাছে বিলি বটোয়ারা করা দরকার!!
খ্রাপ লুক আপ্নে!! খালি লুভ দখান!!!
-----------------------
সুবোধ অবোধ
----------------------
শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি কেন এত বোকা হয়?!!
facebook
খাওয়াদাওয়ার ব্যাপারে আমি এমনিতেই একটু ছেঞ্ছেতিব। তার উপ্রে আপনি এইভাবে বারবার পিলিং এ আঘাত দিচ্ছেন।
ভাবতাছি ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের ভুটটা ফিরাইয়া লমু নাকি
facebook
ছি ছি... রামো রামো- আপনি দেখি আমার ধর্মনাশ করতে চান; ফুসলায়া এইসব উত্তেজক ছবি দেখায়া গোমাংস ভক্ষণের পথে আনতে চান!!
(আর্জেন্টিনা যায়া লই খালি )
অলমিতি বিস্তারেণ
facebook
দিলেন তো আমার বউর মেজাজ খারাপ কইরা! আর্জেন্টিনার দাদাগিরি উরুগুয়ের মানুষ সহ্য করতে পারে না। ভাষা এক হইলেও এরা খাতির লাগায় পর্তুগিজভাষী ব্রাজিলিয়ানদের সাথে!
......জিপসি
হ
facebook
আহ আসাদো
তা খালি চাপ/স্টেকই খেয়েছিলেন? কলিজু (সাঈদীর টা না আবার ), লাং, কিডনী এইসব অরগান টেস্ট করেন নাই? এইগুলাই কিন্তু আসাদোর আসল মজা।
স্টেক অবশ্য মিডিয়াম বা মিডিয়াম-রেয়ার ই ভাল, ওয়েলডান অর্ডার দিলে মনে হয় রাবার চাবাচ্ছি।
ধুর মিয়া, সক্কাল সক্কাল খাওয়ার ছবিগুলা না দিলে হয়না?
করেছিলাম, মেক্সিকোতে ব্যাটার দেখি গরুর চোখও খাচ্ছে !
facebook
টেক্সাসে "দ্যা বিগ টেক্সান স্টেক র্যাঞ্চ" নামে একটা দোকান আছে, যেখানে এক ঘণ্টার মধ্যে সাড়ে চার পাউন্ড বা ২ কেজির মত স্টেক খেতে পারলে কোন দাম দিতে হয়না, সবার জন্য ফ্রি। আর্জেন্টিনার চাপের মত মজা হলে একটা ট্রাই নিয়ে দেখা যেতে পারে, কি বলেন?
_______________
ফরহাদ হোসেন মাসুম
পাক্কা ! টেক্সাস যামু, খবর লন !
facebook
আইস্যা পড়েন, সব খবর লইয়া রাখসি। জানায়েন কিন্তুক আসলে। আমি পাশের স্টেটে (আরকানসা-তে) আছি।
খিদা পায়া গেলো!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
আছ তো আরামে, খাও ! সমস্যা কুতায়?
facebook
সাতকড়া দিয়ে গরুর মাংষের ওপরে আর কিছু আছে নাকি?
স্টেক মেক ফালতু সব
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
হ, সিলেটের লুক সাতকড়া ছাড়া এর চেনে টা কি?
facebook
কেন, আদাজামির দিয়ে মাছের ঝোল! খাইছেন মিয়াঁ?
****************************************
কিথা মাতরে বা!
facebook
উলস! উপাদেয়! না পাওয়ার দুঃখ!
facebook
আমার আবার গরুর ছবি দেখলেই ভাল লাগে, তার উপর ত্রই ধরনের অত্যাচারের মানে কি !
গরুর ছবি? নাকি লাল মাংসের ছবি?
facebook
একটা দেখলে অন্তত আরেকটার দেখা পাওয়ার আশাত করা যায় !
facebook
facebook
আপনার এই গল্প শুনে সেই ছোটবেলায় পড়া রসোগোল্লার গল্পটা মনে পড়ে গেল
এমন রসালো গল্প শুনলে যে কোনদিন গরুর মাংস খায়না সে ও খেতে চাইবে।আমার ছোটবেলা কেটেছে রাজশাহীতে,ওখানে তখন গরুর মাংস একেবারে সস্তা ছিলো।আমার বাবা-মা দুজনেরি গরুর মাংস খুবি প্রিয় ছিলো।ফলাফল প্রতিদিন প্রতিবেলা গরুর মাংস পাতে ছিলো।খেতে খেতে আমার গরুর মাংসের প্রতি ভালোলাগাটা চলে গিয়েছিলো।অনেক বছর তেমন একটা খাইনা,এখন একটু একটু করে খাই।আপনার গল্প শুনে আর্জেন্টিার না পারি দেশের গরুর চাপ খেয়ে দেখতে হবে আবার।
মাসুদ সজীব
৩০ টাকা কেজি মাংস আমার নিজেরই খুব মনে আছে, কয়েক বছর আগেই ছিল রাজশাহীতে
facebook
আমিও কোবে বীফকে ই স্টেকের জন্য বেস্ট বীফ বলে শুনে আসছি এতদিন যাবৎ। রেস্টুরেন্ট ভেদে স্টেকের দাম নাকি উঠতে পারে ৫০০ থেকে ১৫০০ ডলার পর্যন্ত। না উরূগুয়ে/আর্জেন্টিনা না জাপানী কোবে কোনটাই চেখে দেখা হল না জীবনে - আফসো আর আফসোস..
মুদ্রা সংগ্রাহক
আসছি তবে, খেতে কোবে, কিন্তু কবে !
facebook
নতুন মন্তব্য করুন