বঙ্গোপসাগরের বুকে জেগে উঠেছে পাতলা ছিপছিপে এক চর, একেবারে নবীন নয় বালিমাটির এই ভূখণ্ড, লম্বা লম্বা সবুজ গাছ জানান দিচ্ছে কত চন্দ্রভুক অমাবস্যা এসে চলে গেছে মহাকালের বুকে তার আবির্ভাবের পরে। সামনের নৌকার সারি, কত যে তাদের বাহার- আকারে, গড়নে, রঙে, ছইয়ে। নৌকার গলুই যেখানে বেলাভূমি ছুঁয়েছে তার মাত্র কয়েক মিটার দূরেই এলোমেলো ছড়িয়ে আছে ছন-খড়-বাঁশের তৈরি সুদৃশ্য কিছু ঘর, অনেকটা তেল রঙে আঁকা ছবির মত। সামনে ইতস্তত ঘোরাফেরা করছে সেখানের বাসিন্দারা। অল্পক্ষণ লক্ষ্য করলেই বোঝা যাবে তারা আসলে পিপীলিকার মত ন্যস্ত নিজ নিজ কাজে, যে যার ভূমিকা সেটাই পালন করে চলেছে, সম্পূর্ণ অন্য জগতের বাসিন্দা বলে আমাদের কাছে ছাড়া ছাড়া ঠেকছে তাদের দৈনন্দিন জীবন।
এসেছি ২০১৩র উপকূলীয় জলচর পাখিশুমারিতে, জানুয়ারি মাস, কয় দিন হল জলের উপরেই দিনরাত ২৪ ঘণ্টা কাটাচ্ছি পালকাবৃত বন্ধুদের খোঁজ। দুই খানা পেল্লাই মাছ ধরার ট্রলার ভাড়া করা হয়েছে শুমারির জন্য, একটাতে বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের সদস্যরা, অন্যটিতে প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের একটি টিম ও চ্যানেল আইয়ের সংবাদকর্মী। সে এক অন্য জীবন, জলেই জয়, জলেই ক্ষয়। উপকূলের মানুষের জীবন যে কত ভিন্ন হতে পারে তা ঢাকার এক বালক বা উত্তরবঙ্গের তরুণী কোনদিনই জানতে পারবেন না টেলিভিশনের পর্দায় চোখে রেখে।
নাম না জানা কত বাজার, গঞ্জ, জনবহুল, জনবিরল জনপদ সাক্ষী হয়ে থাকল আমাদের ভ্রমণের। যাত্রাপথে দেখা মিলল পটুয়াখালী জেলার অন্তর্গত এই সোনার চরের। একাধিকবার এভারেস্টজয়ী পর্বতারোহী এম এ মুহিত জানালেন প্রতিবারের পাখিশুমারির সময় সাধারণত এইখানে থামেন তারা, এখানের উল্লেখযোগ্য জিনিস হচ্ছে জেলেদের একটি অস্থায়ী বসতি, প্রতি বছরের অক্টোবর-নভেম্বর মাসে নানা অঞ্চল থেকে মৎস্যজীবীরা এইখানে আসনে, ঘর তোলেন পাঁচ-ছয় মাসের জন্য। মূলত বিশেষ ধরনের কিছু মাছ ধরেন যাদের শুটকি ব্যবহার হয় হাঁস-মুরগীর খাবার তৈরির জন্য, মানে পোল্ট্রি শিল্পে খাদ্য হিসেবে।
আমাদের বড় নৌকা বরাবরের মতই চর থেকে নিরাপদ দূরত্বে নোঙর করে থিতু হল, ডিঙ্গি নৌকায় করে সদলবলে চললাম কজনা জলদাসদের গ্রাম দেখতে। এক যে ছিল রাজা, তার রাজ্যে সোনার গাছে ধরত রূপার ফুল, হীরের ফল- দূর থেকে এমনই শান্তিময় নিসর্গের মাঝে বাঁশ-ছনের ঘরগুলো, জীবিকার মূল চাবিকাঠি নৌকাগুলো সারি বেঁধে রাখা, তার একটার ছইয়ের মাথায় দেখি রঙ ঝলমলে মুরগী ! কী ব্যাপার! আমাদের মাঝি ভাই হাঁক দিয়ে বলল মুরগী বিক্রি হবে নাকি?
আহ, দুপুরে ধোঁয়া ওঠা খিচুড়ির সাথে কষানো ঝাল ঝাল মুরগীর এন্তেজাম বোধ হয় হয়েই গেল, মিকাইল বেচারা দেবদূত হিসেবে মাঝেমধ্যে খারাপ না এমন সব ভাবছি , কিন্তু বিধিবাম! জানা গেল সেই মুরগীর কি জানি এক অসুখ হয়েছে তাই সেই ছোঁয়াচে রোগ থেকে অন্য মুরগীদের দূরে রাখার জন্য বেচারিকে একবারে জলভাগে ভাসমান নির্বাসন দেওয়া হয়েছে।
সৈকত ভর্তি অতি ক্ষুদে ক্ষুদে বালুর বল, গর্তবাসী কাঁকড়ারা সৈকতে আগত জলসিক্ত বালুকণা থেকে প্রয়োজনীয় খনিজ দাড়া দিয়ে ছেকে নেবার পর পরিত্যক্ত যে বস্তু রেখে গেছে তাই-ই এই গোলাকৃতি আজব জিনিসগুলো।
সেই সাথে দেখা গেল অগণিত কাঁকড়ার চলার পথ, যার শেষ হয়েছে কোন না কোন গর্তে। মনে হচ্ছে মরুভূমির উপর দিয়ে ছেঁচড়ে গেছে ধাতব ট্যাঙ্ক।
দেখাও মিলল কয়েক প্রজাতির কাঁকড়ার, কিছু লাল টুকটুকে, রুবির সূর্যভেদী স্বচ্ছতা নেই তাদের কঙ্কালে, আছে ডালিমের দানার জমাট লাল আভা। আমাদের উপস্থিতিতে মহাবিরক্ত হয়ে কাছে যেতেই আশেপাশে কয়েক ফিটের কাঁকড়াবাহিনী বালির সমুদ্রে আত্মগোপন করলেও, খানিকদূরে যেতেই আবার বাহির হয়ে নানা রগড় শুরু করল খাদ্য সংগ্রহের জন্য।
কয়েকজন জেলে ভাইয়ের সাথে কথা হল, নানা এলাকা থেকে এসেছেন, পরিবার পরিজন ফেলে কঠিন জীবিকার তাগিদে, সুস্থ ভাবে ফিরবেন নাকি দরিয়ার বুকে চিরতরে বিশ্রাম নেবেন তা কেউই বলতে পারে না। কিন্তু ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তার চেয়ে তাদের ঘোলাটে চোখ আর দৃঢ় চোয়ালে খেলা করে বর্তমানের সংগ্রামে সফল হবার প্রতিজ্ঞা।
নানা ধরনের মাছ আনা হচ্ছে, নানা শিফটে কাজ করেন তারা ভাগ করে। অনেকে কেবল ব্যস্ত থাকেন মাছ রোদে ছড়িয়ে শুটকি বানানোর কাজে, সেই শুটকি আবার গুঁড়ো অবস্থায় বস্তায় ভরে পাঠানো হচ্ছে মুরগীর খাবার তৈরির কারখানায়।
সৈকত ভর্তি অনেক মরা শাপলা মাছ ( এক ধরনের রে, ছোট জাতের), সেগুলোর লেজে বিষাক্ত কাঁটা থাকে বলে শুটকি বানানো হয় না, জালে বিঁধে বিঁধে খামোখা প্রাণ দেয় অপূর্ব প্রাণীগুলো। যদিও মানুষেরা একটু সচেতন হলেই আর এভাবে মরতে হত না তাদের, শুধু তাদের জলে ফেলে দিলেই বেঁচে যেত, কিন্তু অধিকাংশই ফেলা হয় ডাঙ্গাতে, ধুঁকে ধুঁকে মারা যায় তারা।
সেই সাথে ডোরাকাটা সাপ। গলিত, টাটকা, পূর্ণ, আধ-খাওয়া সব ধরনের এসে ঠেকেছে সৈকতে। এত সাপ কি জালের সাথে বাঁধা মাছ খেতে এসে জীবন দিয়েছে? নাকি জালের সাথে দেহ বাঁধিয়ে নিজেই জালের নাগপাশে আটকে ? এক মৎস্যজীবী জানালেন কাকের ঠোকরে সাপ মারা যায় প্রতিদিনই। তা কাকের দেখা মিলল বটে, বড় জাতের কালো কুচকুচে কাকেশ্বরের যাকে দেখেই মনে হয় সেই-ই দ্রিঘাংচু , এখনই বলে উঠবে --`কঃ''
আমরা তখন মন্ত্র আওড়াব-
`হল্দে সবুজ ওরাং ওটাং
ইঁট পাট্কেল চিত্ পটাং
মুস্কিল আসান উড়ে মালি
ধর্মতলা কর্মখালি।''
কিন্তু এই বায়স পানির নিচে যেয়ে জলজ সাপ মারবে তা বিশ্বাস করার কোন কারণ দেখি না। বোঝা গেল সাপ জালে আটকেই জলের উপরে ভেসে ওঠে, তখন কাকের দল আরামে ঠুকরিয়ে মেরে ফেলে, সেই দেখেই অন্যদের ধারণা হয়েছে কাকই সাপ মারে!
এর মাঝে চ্যানেল আইয়ের সংবাদ উপস্থাপক সঞ্জয় চাকী এই অস্থায়ী জেলে বসতি নিয়ে ভিডিওচিত্র গ্রহণে ব্যস্ত হয়ে গেলেন, তথ্য সংগ্রহের এক পর্যায়ে জেলেদের জীবনের নানা ঘটনা শোনার ফাঁকে ফাঁকে আমাদের কেউ একজন আঁতকা প্রশ্ন করে ফেলল- চাচামিয়াঁ, এই চরে কোন মহিলা নাই?
চাচা খানিকক্ষণ স্তব্ধ থেকে ধাতস্থ হয়ে চোখ পাকিয়ে বললেন- মহিলা আছে না নাই তা জাইন্যা আপনের কী?
খাঁটি কথা! প্রশ্নকর্তার মুখে রা নেই! শেষে চাচামিয়াঁই আপনা থেকে বললেন- এখানে শুধু ব্যাটারাই আসে, রান্না করা, পানি আনা এই ধরনের কাজগুলি নিজেরাই ভাগাভাগি করে করে। পরিবার তো দূরে, এই সাগরের মাঝে ছয় মাসের জন্য কে আনতে যাবে?
উনাদের কাজ করতে দিয়ে চরের আরেকপ্রান্তে গাঙচিলদের সম্মেলন দেখতে গেলাম গুটি গুটি পায়ে কাঁকড়াদের রাজত্ব আলতো ছুঁয়ে।
কয়েক প্রজাতির গাঙচিলের মাঝে ত্রাস সৃষ্টি করে উড়ে গেল এক তরুণ ধলাপেট সিন্ধু ঈগল। এর মাঝেই ফেরার হাঁক শোনা গেল, শুটকি প্রক্রিয়াজাত করার এলাকার বাহিরেও এসে নাকে ধাক্কা দিচ্ছে বিটকেল গন্ধ, যদিও গন্ধ ঠেকিয়ে রাখতে পারেনি নানা জাতের পাখিদের, তারা নানা কায়দায় খাবার জোগাড় করেই নিচ্ছে অফুরান ভাঁড়ার থেকে।
নিচ্ছে মানুষও, সিন্ধু সেঁচে কেবল মুক্তো হয়, সেই সাথে বঙ্গোপসাগরের বিখ্যাত বাঘা চিংড়ি-
একাকী ছৈলা ফল ভেসে এসেছে সৈকতে, হয়ত একদিন এই ফলের বীজই বিশাল গাছে পরিণত হবে, সোনার চর আরেকটু স্থায়ী হবে বঙ্গোপসাগরের বুকে, আসবে জলদাসরা আবহমান কাল ধরে চলে আসা জীবনধারা মেনে----
( হাসান মোরশেদ ভাইয়ের লেখা বিশেষ করে তার ফেসবুক পেজের উপরে আমি খুবই বিরক্ত, যখন তখন ধুমধাড়াক্কা সোঁদা মাটির গন্ধওয়ালা লেখা নাহলে বৃষ্টি ভেজা পান্নাসবুজ বনের ছবি দিয়ে উনি আমাদের সবাইকেই স্মৃতিমেদুরতায় আক্রান্ত করে তোলেন, মনে হয় দুচ্ছাই বলে সিলেট রওনা হয়ে যায়, ঘুরে ঘুরে দেখি সীমান্ত এলাকার নাম না জানা জনপদের জীবন।
এই পোস্টটি তার জন্য। )
সিরিজের বাকী পর্বগুলো এইখানে
মন্তব্য
ইস! কী যে সুন্দর! একটা চরের জীবন এতো বৈচিত্রময় হতে পারে সেটা শুধু গল্পের বইয়েই সম্ভব মনে হয়েছিলো! এখন দেখা যাচ্ছে বাস্তবেও। কেমন যেন সুইস ফ্যামিলি রবিনসনের কথা মনে পড়ে গেলো!
অসাধারণ সব প্রাণের খোঁজ পেয়েছো তুমি এই বাংলায়! আমার দেশটা সুন্দর। অনেক বেশি সুন্দর।
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
দেশটা সুন্দর। অনেক বেশি সুন্দর।
facebook
দেশটা সুন্দর। অনেক বেশি সুন্দর। সেটাই।
facebook
বৃহঃষ্পতিবার অফিস ছাড়ার তাড়াটা একটু বেশ অভদ্র রকমভাবেই থাকে---এরই মধ্যে শেষ বিকেলে হুরোহুরি করে পড়ে নিলাম আপনার পোস্টটি।
সৈকতে বেড়ে ওঠা একলা চারাটি (০৬ নম্বর ছবি) বেশ লেগেছে।
আর সবমিলিয়ে পোস্টটি অবশ্যই চমৎকার নৈসর্গিক হয়েছে।
কই যাবেন? এত তাড়া?
facebook
--------------------
সুবোধ অবোধ
-------------------------
শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি কেন এত বোকা হয়?!!
facebook
ইস, এইরকম যদি ঘুরতে পারতাম।
einfach klasse
পারবেন
facebook
facebook
ভাই, চরের নাম সোনারচর হওয়ার কারন কি??
বাংলাদেশে সোনার চর, রূপার চর, বড় চর, পাতাইল্যা চর, তেকুইন্যা চর নামে হাজার হাজার চর আছে, কিন্তু নামগুলো কেবল লোকমুখে প্রচলিত। কাগজে আসলে তখন একটাই নাম দেওয়া হয়।
facebook
গুড
facebook
facebook
যথারীতি দারুন আরেকটা সিরিজ।
যাকে উতসর্গ করা হয়েছে তার লেখা আর ছবি দেখে আমারো প্রায়ই মনে হয় দুচ্ছাই বলে সিলেট রওনা হয়ে যাই।
উনি আপনার মতই ফাউল লুক
facebook
হে হে, সিলেট থেকে ঘুরে আসলাম। সারি নদী দিয়ে লালাখাল একটা বৃষ্টিস্নাত যাত্রা; সেখানে মোরশেদ ভাই এর কর্মবিস্তার দেখে এলাম। আবার যাইতে হবে।
মানে কী? কর্মবিস্তারই শুধু দেখে গেলেন, আওয়াজ না দিয়ে? এই অধমরে দেখার অবসর হলোনা?
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
facebook
ঘুরেন, বেশি বেশি ঘুরেন;
চলুক!
facebook
****************************************
facebook
অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।
facebook
সকালে একটা মন্তব্য করছিলাম, ওইটা কে জানি গুম করে দিছে। ওই মন্তব্য এগেইন আবার রিপিট করি।
"ছবি জঘন্য, লেখা তস্য জঘন্য। আপনে লুক্ষারাপ। আপ্নের লগে কথা নাই, রাগ করছি"
আরেহ না ! কানাডা থেকে এম্নুন করেন ক্যা !
facebook
তারেক অণুর ফাসি চাই।
facebook
ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা অণু।
নিজের দেশটা দেখার এখনো অনেক বাকী।
গত দুবছরে যতোটুকু ঘুরে দেখতে পেরেছি- মনে হয়েছে, যতোটুকু বাংলাদেশ আমরা দেখি- দেশটা তার থেকে আরো বর্ণিল, বৈচিত্রময়, সুন্দর।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
যতোটুকু বাংলাদেশ আমরা দেখি- দেশটা তার থেকে আরো বর্ণিল, বৈচিত্রময়, সুন্দর।
facebook
ময়নার চরের কথা মনে পড়ে গেলো, হোসেন মিঞা...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
হোসেন মিঞা, আহা, কি একখান চরিত্র
facebook
কই কই ঘুরে বেড়ান; বেডার চাক্কাডা..................
হেথায় হোথায় !
facebook
সুখ জলে ভাসে আঁখি
এত রূপ কোথায় রাখি?
তারেক অনু ভাই
আপনি পাখি
আমরা দেখি
আপনার ডানা
আমাদের জানা।
অনেক অনেক ভালোবাসা।
মোহাম্মদ কামরূল ইসলাম।
facebook
গাঁয়ের ছবি
লাউয়ের মাচায় দোয়েল পাখি কাঠাল গাছে ফিঙে;
খড়ের চালে ঝুলে আছে সবুজ কচি ঝিঙ্গে।
আমের পাতায় চড়ুই লুকোয়, চালতে গাছে টিয়ে;
সোনার গাঁয়ের ছোট্ট মেয়ে হাসনা বানুর বিয়ে।
পেয়ারা গাছে বাদুড় ঝোলে, খাঁচার ভেতর ময়না-
হাসনা বানুর সঙ্গে যাবে পায়রা ধরে বায়না।
চিরল চিরল তেঁতুল গাছে বউ কথা কও পক্ষি-
সবাই বলে, ‘হাসনা বানু বউটা খুবই লক্ষ্মী।
শিয়াল ডাকে হুক্কা হুয়া, কুকুর ডাকে ঘেউ ঘেউ;
নতুন বউয়ের রূপের ছটায় হিংসে করে কেউ কেউ।
তালের গাছে বাবুই পাখি বানায় নিজের ঘরটি;
দেখতে নাকি ‘রাজার ছেলে’ হাসনা বানুর বরটি।
বরের পিঠে লাঙ্গল জোয়াল, হাতে ধরা কাস্ত-
ঝিলের ধারে সারষ পাখি মাছের খোঁজে ব্যস্ত।
নদীর ধারে নৌকা বাঁধা নাইওর এল কন্যা;
গাঁও গেরামের একটি ঘরে বইছে খুশির বন্যা
কামরূল ইসলাম।
facebook
আমারতো মনে হয় যে, আমাদের অনু কখনোই স্থির থাকেনা। সব সময় মনে জপ করে 'চাক্কা লাগাও', 'চাক্কা লাগাও'। খুব আফসোস হয় এই ভেবে যে, আজ থেকে ২০ বছর আগে যদি তার মতো আমার একজন বন্ধু থাকতো!!
অনেক শুভকামনা।
----কামরুজ্জামান পলাশ।
জীবন এত্ত ছোট কেনে!
facebook
সুন্দর একটি পোষ্ট।
ধন্যবাদ
facebook
ভাই আপনার জীবনে কোন মাইয়া নাই শেষেরটাত প্রসংসা বানী দিয়া গেছে শুনছিলাম
কী বাজে কথা! বালাই ষাট!
facebook
মাসুদ সজীব
নতুন মন্তব্য করুন