গতকাল ঘুম থেকেই উঠেই ব্রাজিলের জার্সি গায়ে দিয়েছি, তাই নিয়েই ঘুরছি দিনমান, আজকের ফাইনাল পর্যন্ত তাই নিয়েই থাকব, ফলাফল যায়-ই হোক। বহুদিন পর ফুটবল নিয়ে মেতে থাকা রোমাঞ্চময় সময়গুলোর কথা মনে পড়ল, দল জিতলে তীব্র আনন্দ, হারলে বিষাদে আক্রান্ত হয়ে না খেয়ে থাকা, বন্ধুদের সাথে হাতাহাতি, গলাগলি। সেই দিনগুলো নেই, আবেগও হয়তো নেই, কিন্তু ফুটবলের প্রতি টান থেকে গেছে।
প্রিয় গল্পকার সুহান রিজওয়ান আর আরেকখান ঝলমলে শব্দমালা দিবেন বলেছেন, তাই মনে হল গত বিশ্বকাপে ব্রাজিলের সবগুলো খেলা মাঠে বসে সামনাসামনি দেখেছিলাম, সেই সময়ের কিছু মুহূর্ত ভাগাভাগি করি সবার সাথে।
আর পাপী কজন রিওর ছবি, রিওর সৈকতের ছবি করে করে মাথা আর ইনবক্স খারাপ করে দিচ্ছে। ভাবলাম বাংলাদেশের মানুষ ব্রাজিলের ফুটবল বাদে যে জিনিসটা নিয়ে জানে সেটা হচ্ছে সাম্বা নাচ ! গত মাসেই হেলসিংকিতে অনুষ্ঠিত সাম্বা কার্নিভালের কিছু ছবিও চলে যাক ফুটবলের সাথে! ব্রাজিলের ফুটবল তো উচ্চ তাল লয়ের নৃত্যই !
While watching Soccer, i am a Brazilian in my heart.
এই পোস্টটি আমাদের গর্ব সহসচল স্বপ্নহারার ( তরুণ বিজ্ঞানী শান্তনু বণিক) জন্য। তার সাফল্য এবং বর্তমান গবেষণার বিষয়ের কারণে তাবৎ তরুণদের ঈর্ষা কুড়ালেও এই আজব লোকটি সারাদিনই ফতোয়া দেয় রৌরব নরকে আমার মত অধমের স্থান হবে না বলে। শান্তনু আমাদের জন্য, সারা বিশ্বের জন্য আরও অনেক অনেক আনন্দের ও গর্বের কারণ হয়ে উঠুক, এই কামনা করি সবসময়ই।
মন্তব্য
এইটা একটা ভালো পোস্ট হইছে। আর এরম ছবি নাই?
..................................................................
#Banshibir.
ক্যা!
নজরের পর্দা করেন পীরসাহেব
facebook
সাম্বার তালে কি ব্রাজিল এখন আর ফুটবল খেলে? খেলা দেখে তো মনে হয় না।
সত্য কথা, আশা করি কোনদিন আবার খেলবে
facebook
২০০২ ইং সালে স্কলারি কোচ হবার পরে খেলার ধারা পরিবর্তন করে ফেলে। এ কারনে পেলে সহ ব্রাজিলের আরও অনেকেই স্কলারিই সমালোচনা করেন। কিন্তু স্কলারির কথা ছিলো, ব্রাজিলের জনগণ খেলার সৌন্দর্যের চেয়ে দিনশেষে ব্রাজিলের জয়ই দেখতে চায়, এবং আমিও জেতার জন্য দলকে প্রস্তুত করছি। সে বছর সাম্বার সৌন্দর্য দেখা যায়নি তবে ব্রাজিল বিশ্বকাপ জিতেছিলো।
facebook
শেষের কয়েকটা ছবি ভালু। আম্নে এরুম ফটু আর তুলেন নাই? বহুদিনের খায়েস, মুন বইরা সাম্বা নাচের ফটুক দেখুম।
-----------------
মিলন
আরেহ ভাই, সাম্বাই দেখবেন, নো প্রবলেম
facebook
ফাইভ ইশটার পোস্ট
এইটা আবার কেনু?
facebook
ব্রাজিলের জার্সি নিয়ে একবার আমাদের হার্ট এ্যাটাক হবার অবস্থা হয়েছিল
আমাদের এক ফ্রেন্ড; মেয়ে; যে শাড়ি পরতে যেমন পছন্দ করে তেমনি পরতেও পারে অসাধারণভাবে;
সে আবার ছিল ব্রাজিলের মহান এক ভক্ত
২০০২ না ২০০৪ চারে একটা বিশ্বকাপ হয়েছিল না: সেই সময় সে ব্রাজিলের জার্সি দিয়ে অনেকগুলো শাড়ি বানিয়েছিল
যেদিন যেদিন ব্রাজিলের খেলা; সেদিন সে সেই শাড়ি পরে ঘুরে বেড়াতো...
হঠাৎ একদিন সে এসে আমাদের আড্ডায় হাজির; পরনে ধবধবে সাদা বিধবার থান কাপড়
তার স্বামীটাও আমাদের খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু
তার অবস্থা দেখে আমরা যখন এক্বেবারে মাননীয় স্পিকার; তখন দেখি সে মিটিমিটি হাসে
এইটা তার স্বামী মরার জন্য না; কোয়ার্টার ফাইনালে উঠার আগেই ব্রাজিল মরে যাওয়ার পোশাক....
০২
সৌভাগ্য যে ছেলে বিধবাদের তেমন কোনো পোশাক নেই; তারেক অণু আমাদেরকে রিডারই রাখবে; স্পিকার বানাবে না
০৩
বৌম্যাডামের ভয়ে ছবি নিয়ে কোনো মন্তব্য করলাম না
২০০২ তে ব্রাজিল চ্যাম্পিয়ন ছিল! সেটা তাহলে ২০০৬
আপনার বৌম্যাডাম একটা অভিশাপ
facebook
তারেকাণু ভাই একটা অভিশাপ :(
সাম্বাওয়ালীগো ফডু কম ক্যা??? কর্তৃপক্ষ জবাব চাই
হুম, কিছু কথা থাক না গুপন!
facebook
অসাধারণ! সব সময় আর্জেন্টিনার সমর্থক ছিলাম,কিন্তু বর্তমানে স্পেনের কিন্তু কখনো ব্রাজিলকে খারাপ বলি নাই। ছবি গুলো দেখে খুব ভালো লেগেছে। বুঝা যায় তাদের রক্তে মিশে গেছে ফুটবল। তবে তাদের থেকে অনেক কিছু শেখার আছে আমাদের। অনেক ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য। শুভেচ্ছা।
খেলা ভাল হইলেই হয়
facebook
ধানাই পানাই না করে ব্রাজিলের গুপন ছবিগুলা ছাড়েন। আপনের কাছে ব্রাজিল ট্রিপের যেইসব ফুটু আছে ঐগুলা দেখে মরা মানুষও খাড়া হয়ে বসবে এই খবর গুপন সূত্রে পাইছি। মডুরা কিচ্চু বলবে না, ভয় নাই , নিশ্চিন্তে ওই ছবি ছাড়েন।
আপনি কি মরণাপন্ন ! তাহলে বিবেচনা করতেও পারি
facebook
এইবার বুচ্ছেন এইডা ক্যান দিছি?? ভালা চাইলে চুদুরবুদুর না কইরা ফটূ পোস্টান। নইলে কইলাম
facebook
একদম ঠিক কথা উদাস ভাই!!
মডুরা কিচ্চু কপে না। "ডোন্ট ওয়ারি,বি হেপি"
ফুটুক ছাড়েন,নাইলে মতিকন্ঠ রে আপনের পিছে লেলায় দিমু!!
-----------------
সুবোধ অবোধ
-----------------------
শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি কেন এত বোকা হয়?!!
ব্রাজিল!
facebook
এই স্ট্যাডিয়ামটা কোথায়??
কোনটা?
facebook
৪ নম্বর ছবিরটা কথা বলছিলাম।
ডারবানের স্টেডিয়াম।
facebook
আপনার কি ধারনা আপনার পোস্ট শুধু পুরুষ জাতি পরে, আপনি ললনাদের জন্যও কিছু পোস্ট দেন
ইসরাত
আসিতেছে--
facebook
বস, ২০১৪ বিশ্বকাপ দেখতে গেলে খরচ কেমন পড়বে বলা যাবে? মানে বাংলাদেশ থেকে আরকি ।
অনেক বেশি, ব্রাজিল বর্তমানে মারাত্নক ব্যয়বহুল, তার উপরে বাংলাদেশ থেকে ফ্লাইট অনেক দামী হবার কথা, টিকেটের কথা বাদই দিলাম
facebook
এইগুলারে সাম্বাফটু কয়?
ধুর, যাও ভাবছিলাম জীবনে একবার হইলেও ব্রাজিলে যাবো সাম্বা দেখতে, ইচ্ছা বাদ্দিলাম।
আজকের খেলা ভোর ৪টায়। কেম্নে দেখুম? ভাবতেই তো সকাল থেকে ঘুম পাচ্ছে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
এহন ঘুম দেন ! রাইতে জেগেন
facebook
৪টায় ! কোন মানে হয় ?
অমায়িক সব ছবি !
ছবির সম্বা নাচের বালিকাদের তো ব্রাজিলিয়ান মনে হচ্ছে না। সব কিছু কেমন কম কম. . .
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
facebook
প্রথম ছবিটা দেখেই 'সুভানাল্লা' বলার জন্য পুরা পোস্ট খুলে নিচে নেমেই মনে করতেছিলাম আপনে মিয়া 'অভিশাপ'। কিন্তু আরও নিচের দিকে নামতেই দেখলাম আপনে আসলে 'অদ্ভূদ'!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
তা শেষের কথাটা কী দাড়াল--
facebook
আপ্নে একটা 'অদ্ভুত অভিশাপ'
আমি তো বুঝতে পারছি না ছেলেটা মাঠে যায় কি খেলা দেখার জন্য ! দেখে কোন্ সময় ! অলিগলিতে চোখ রাখতে রাখতেই তো কম্ম সারা ! হা হা হা !
সেই বিরাশি সালে প্রথম বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা দেখি রাত জেগে জেগে। সেবার প্রতিরাত দুটো করে খেলা দেখাতো বিটিভিতে। একটা মধ্যরাত পেরিয়ে শুরু হতো, অন্যটা ভোররাত। সেই খেলা দেখতে দেখতে ফুটবলের নান্দনিকতা কাকে বলে বুঝতে বুঝতে কখন যে ব্রাজিলের ভক্ত হয়ে গেলাম নিজেই বলতে পারবো না !
ব্রাজিলের সেই অসাধারণ ছন্দময় নান্দনিক ফুটবলটা কিন্তু এখন খুব একটা নেই। তাদের খেলাটা আক্ষরিক অর্থেই যে ছন্দময় ছিলো তা না দেখলে বোঝা যাবে না। আমরা টিভির দর্শকরা গাধার মতো হা করে ভাবতে ভাবতে কুল পেতাম না যে, এই দলটি প্রতিপক্ষের ডিবক্সের মধ্যে এসেও সরাসরি গোলপোস্টে কিক না মেরে চার-পাঁচ মিনিট ধরে কী করে প্রজাপতির মতো নাচতো যেন, বলটাকে নিজেদের আয়ত্তে রেখে ! আর এটা যে আমাদের জন্য গোলহীন তীব্র কষ্টের কারণ হতো ওটা ওরা আদৌ বুঝতো না !
সবচাইতে বড় বিষয় হলো, নির্জীব বলটাও যে কী এক জাদুই ক্ষমতা পেয়ে ওদের সাথে সমানে নেচে যেতো, তা কি অস্বীকার করার উপায় ছিলো ! দূর বা কাছে থেকে পাস করা বলটা আকাশ দিয়ে হোক বা গড়িয়ে হোক যেখানে যার যে জায়গায় পড়ার কথা ঠিক সেখানটাতেই পড়তো, যেন ওদের নিজের শরীরেরই একটা অঙ্গ বুঝিবা ! হা হা হা !
দুঃখের বিষয় হলো, ফুটবল যখন পাওয়ার প্লে'র যুগে প্রবেশ করলো, তখনো ব্রাজিলের ছন্দময় নান্দনিকতা ফুটবল বিশ্বকে অসাধারণ আনন্দ দিয়ে গেছে। পাওয়ার প্লে সেই নান্দনিকতার কফিনে পেরেক ঠুকে দিয়েছে। এখন কিন্তু সেই নান্দনিকতার খুব ছিঁটেফোটাই আছে হয়তোবা, তবে তাতে কয়েকটি বিশ্বকাপ তাদেরকে এনে দিলেও সেই ছন্দটা আর নেই। যারা সেই খেলাগুলো দেখেন নি তারা কী করে বুঝবেন ফুটবলে ব্রাজিল কী জিনিস ছিলো, আর কেনই বা দুনিয়াজুড়ে ব্রাজিলের এতো ফ্যান !!
ব্রাজিলকে এখনো অন্ধের মতো ভালোবাসি সে কারণেই। কিন্তু সেই ছন্দহারানোর দুঃখটাও কিন্তু কম হাহাকারের নয় !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
দাদা সত্যিই বলেছেন, সেই খেলা দেখা হয় নি, সক্রেটিসের খেলার এত্ত নাম শুনলাম, দেখা হয় নি, তারমত খেলতেও দেখলাম না কাউকে, সেই ৪-২-৪ আজকের দিনে দূরে থাক ৪-৪-২ নিয়েই খেলতে চাচ্ছে না কেউ ! সবাই জেতার নেশায় মশগুল, ফুটবল আটকে গেছে জুয়া থেকে উপার্জনের ফাঁদে।
আশা করি উত্তরণ ঘটবে, ফিরে আসবে সেই ছন্দ
facebook
তখনকার ক্যাপ্টেন ডাঃ সক্রেটিস (যদিও নামটা মনে হয় সক্রেটাস)-এর বল তৈরি করে দেয়ার নান্দনিকতা শুধু অসাধারণ বললে কম বলা হয়। ফুটবল বিশ্বের জীবিত প্রায় সব নমস্য প্রাক্তন লিজেন্ডদের খেলাই টিভিতে লাইভ দেখার সুযোগ হয়েছে বলে নিজেকে একদিকে সৌভাগ্যবানও মনে করি। মজার ব্যাপার হলো তখন প্রায় সবাই চাইতো ব্রাজিলিয়ানদের মতো নান্দনিকতা দেখাতে। কিন্তু ব্রাজিল যেমন গোটা টিম মিলে ছিলো একটা প্রজাপতির মতো, সেটা অন্য কোন দলে চিন্তাও করা যেতো না। আগে নান্দনিকতা নষ্ট করা তাদের কাছে মনে হয় অপরাধ ছিলো। এজন্যেই বোধকরি গোটা বিশ্ব মুখিয়ে থাকতো মাঠে ব্রাজিলকে দেখার জন্য। সেই ব্রাজিলকে কি আর পাবো কখনো ? মনে হয় না। কারণ এখন নান্দনিকতার চাইতে জেতাটাই মুখ্য হয়ে গেছে ব্রাজিলিয়ানদের কাছেও।
১৯৯৪ এর বিশ্বকাপ জয়ী ব্রাজিল দলে কোচের কী যেন নাম ছিলো ? তাঁকে কিন্তু ফুটবল সৌন্দর্য্যের হত্যাকারি বলে চিহ্নিত করা হয় খোদ ব্রাজিলেই ! হা হা হা !!
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
আলবার্তো পেরেইরা, তার সময়েই কেটেছিল ২৪ বছরের শিরোপা খরা।
facebook
"ফুটবল বিশ্বের জীবিত প্রায় সব নমস্য প্রাক্তন লিজেন্ডদের খেলাই টিভিতে লাইভ দেখার সুযোগ হয়েছে বলে নিজেকে একদিকে সৌভাগ্যবানও মনে করি।"
সেটা বিরাট-ই সৌভাগ্যের ব্যাপার। আমার সেই সৌভাগ্য হয়নি। এইটা ছাড়া আপনার প্রথম এবং দ্বিতীয় দুইটা মন্তব্যের-ই সব কথার সাথে পুরাই একমত।
- একমত
facebook
এই বিশ্বকাপে একটি খেলায় তখনকার তিনজন বরেন্য খেলোয়াড় পেনান্টি মিস করেছিলো। এঁরা ছিলেন, ব্রাজিলের 'জিকো' ও 'সক্রেতেস' আর ফ্রান্সের 'মিশেল প্লাতানি'।
১৯৮২ ইং সালের ব্রাজিল ফুটবল দলটিকে বলা হয় বিশ্বকাপ না জেতা বিশ্বশ্রেষ্ঠ ফুটবল দল।
এতে কোনো দ্বিমত নেই।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
facebook
তাও ভাল যে দাদা, আপনি অন্ততঃ ১৯৮২ সালের বিশ্বকাপ দেখতে পেরেছেন। বাংলাদেশে এক প্রজাতির ফুটবল সমর্থক আছে, যারা মনে করে ১৯৮৬ সালের আগে পৃথিবীতে আর কেউ কখনও ফুটবল খেলেনি।
facebook
কনট্রাস্ট কাকে বলে জানতে হলে এই পোস্টে আসতে হবে।
তারেক-এর ছবি দেখে নিয়ে ঠিক তার পরের ছবি দেখতে হবে।
- একলহমা
সবগুলা বদ
facebook
মারাত্মক!
কে কি কেন কবে কোথায় কিভাবে?
facebook
ঢাকায় আজকে সারাদিন বৃষ্টি ছিলো-তাই,রোদেলা ছবিগুলো বেশ ভালো লাগলো।
facebook
কিছুই তো দেখবার পার্লাম না !!
ছবিগুলা আসলে সকালেই দেখেছিলাম ব্যাটা অণু, দেখি আজ কী হয় !!
কী আশা করেন ! দুনিয়া অদ্ভুদ
facebook
আহ! দেখার মতো পোস্ট বটে
তয় ভ্রাতা চ্রমোদাস এর কথায় সায় জানিয়ে গেলুম...
ডাকঘর | ছবিঘর
চরম অদ্ভুদ
facebook
পোস্টটা ভালই দিয়েছেন। ইতালি বনাম উরুগুয়ে খেলাটা দেখলাম। ব্রাজিল বনাম স্পেন খেলাটি হবে বাংলাদেশ সময় রাত ৪ টায়। এতক্ষণ জেগে থাকার জন্য আপনার পোস্টটি খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছি, মন্তব্য প্রতিমন্তব্য গুলোতে চোখ বুলাচ্ছি। হ্যাঁ, আমিও ব্রাজিলের সমর্থক সেই ন্যাংটাকাল থেকেই।
facebook
আবেদনময়ীরা কি তারেকাণুর ক্যামেরার সামনে দিয়েই ঘুরাফিরা করে? নাকি তারেকাণুর ক্যামেরা তাদের ধাওয়া করে! ছবি সহ লেখাটা বেশ ভাল লাগল।
facebook
বরাবরের মতো লা-জবাব পোস্ট!
facebook
ব্রাজিল = ৩
স্পেন = ০
ধেই ধেই ধেই
- একলহমা
ব্লু ম্যাকাউ সাজা কইন্যা টা সৌন্দইয্য!!!
যদিও অবস্থা কিয়েরা নাইটলি'র ন্যায়!!
-----------------------------
সুবোধ অবোধ
--------------------------
শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি কেন এত বোকা হয়?!!
facebook
facebook
আমার না হোক ক্ষতি নেই। কিন্তু তারেক অনু'র মতো যেন সবার সৌভাগ্য হয় মাঠে বসে প্রিয় দল ব্রাজিলের খেলা দেখার।
হেক্সা এবার আসবেই।
-কামরুজ্জামান পলাশ
হেক্সা হেক্সা!
facebook
ক্লাশ ফাইভের বাংলা বইয়ে মহান পেলেকে নিয়ে একটা লেখা ছিল। ওটা পড়ে মনে হয়েছে, পেলে মানে ফুটবল আর ফুটবল মানেই ব্রাজিল। ছিয়াশি’তে দুরন্ত কিশোর আমি, নায়ক নায়ক ভাব (নায়িকার অভাব!) নিয়ে ঘুরে বেড়াই। তো সেই ছিয়াশি’তে ফুটবল বিশ্ব দেখল আরেক মহানায়ককে। বস্তুত, ম্যারাডোনা আমাদের হৃদয় মন জয় করে নিল। বাবা যতই ফ্রান্সের সাথে কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিলের জিকোর পেনাল্টি মিস করা নিয়ে আফসোস করেন, ততই বলি জিকো তো আর ম্যারাডোনা না। আমরা কিশোরেরা ফুটবল বিশ্বের নতুন মহানায়কের উপর যে আস্থা রেখেছি, সেটা সে মিটিয়েছিল কড়ায় গন্ডায়। সেবার বিশ্বকাপের পর আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে ফুটবল মাছে দাপিয়ে বেড়িয়েছি ম্যারাডোনা হওয়ার স্বপ্ন বুকে নিয়ে।
নব্বইয়ে পড়ি কলেজে, খেলি ক্রিকেট, ফুটবল বুঝি, বিশেষত ব্রাজিলই যে নান্দনিক ফুটবলের জনক, সেটা বুঝে গেছি। ততদিনে, এসে গেছে আটাশির ইয়োরো চ্যাম্পিয়ান নেদারল্যান্ডস এর রুদ গুলিত, ভ্যান বাস্তেন, রাইকার্ড , কোয়েমানরা, তাই- ম্যারাডোনার মোহ কেটে গেছে। ফুটবল যে দলগত খেলা আর দল যে একটা মালার মত আর ব্রাজিলের মালাটি যে সবচেয়ে দুধর্ষ, সেটাও জানি, তাই- অন্ধ সাপোর্টার ব্রাজিলের। ব্রাজিল-সুউডেনের সেই ধ্রপদি প্রথম ম্যাচ, কারেকার ২ গোলের পর, টমাস ব্রোলিনের এক গোল খামছে ধরেছিল হৃদপিন্ড, যদি অঘটন ঘটত!
ম্যারাডোনা তখন তার ছায়া, কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিলের বিরূদ্ধে আর্জেন্টিনা খড়কুটোর মতই ভেসে যাওয়ার কথা, ভেসে যায়নি, ম্যারাডোনার বাঁ পাঁটা তখনও কর্মক্ষম ছিল বলে, ক্যানিজিয়ার মত হন্তারক ছিল বলে, ব্রাজিল জয় পরাজয় ভুলে নান্দনিক ফুটবলে বুঁদ হয়ে ছিল বলেই হয়তো। আমরা, নান্দনিক ফুটবলের ধারক বাহকেরা ভেসে গেছি সেই ম্যাচের পর। (এই বয়েসে সেই আবেগটা থাকলে নির্ঘাৎ হার্ট এটাক হতো)
চুরানব্বইয়ে তো ঠিকই করে রেখেছিলাম, এবার ব্রাজিল হারলে এসপার ওসপার একটা কিছু হয়ে যাবে। প্রচন্ড আবেগ নিয়ে ব্রাজিলের প্রতিটি খেলা দেখি, ব্রাজিল জেতে, তাও মন ভরে না, কী যেন নেই! খেলায় সেই সাম্বার নৃত্য দূর করে কোচ কার্লোপেস পেরেইরা, ততদিনে ব্রাজিলের প্রতিটি খেলোয়ারের মাথায় একটা কথাই পুশ করে দিয়েছে, বিশ্বকাপ জিততে হবে। ইটালিয়ান জিনিয়াস রবার্তো ব্যাজ্জিও’র টাইব্রেক মিসে ব্রাজিল ফিরে পেল ফুটবলের হারানো গৌরব, বিশ্বচ্যাম্পিয়ান ব্রাজিল, আহা আমাদের ধড়ে যেন প্রাণ এল ফিরে।
আটানব্বইয়ে আমরা, ব্রাজিল সাপোর্টাররা, অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী, দরকার নেই নান্দনিক ফুটবলের, ব্রাজিল জিততে শিখেছে, এটাই বড় কথা। ফ্রান্সের সাথে ব্রাজিল ৩-০ তে হারবে, এটা ছিল আমাদের কাছে স্বপ্নাতীত ব্যাপার, রোনালদোর কী হয়েছিল সেই ফাইনালে, এই রহস্য সারাজীবনে ভেদ করা যাবে কী-না জানি না। (সময় সুযোগে রোনালদো’র সাথে দেখা হ’য়ে গেলে কানে কানে আমি তাকে ঐ কথাটি জিজ্ঞেস করব)
২০০২ এ আবার সেই জয় বুভুক্ষু ব্রাজিল, দ্য ফ্যানোমেনা রোনালদো সেবার বুঝিয়ে দিল তার জাত। ব্রাজিল জিতে নিল পঞ্চম বিশ্বকাপ। সেবারই প্রথম অনুভুত হল মনে, ব্রাজিল জিতবে, এটাই কি চাই, নাকি ওরা নান্দনিক ফুটবল খেলে, শত্রু মিত্র সবার মন জয় ক’রে জিতবে, সেটা চাই !!
২০০৬ এর বিশ্বকাপে, বুঝলাম না কেমনে কী হইল। এত ভাল দল নিয়া ব্রাজিল হারল দুঃখ নাই, কিন্তু ফ্রান্সের জিনেদিন জিদান ক্যান যে ষাড়ের মতন গুতা দিল, সেই কষ্ট এখনও মনে আছে।
২০১০ নান্দনিক ফুটবল ফিরে এল হঠাৎ করে। যে ফুটবল খেলত ব্রাজিল, সেই ফুটবল খেলতে শুরু করেছে স্পেন। তাই হঠাৎ ভক্ত হয়ে পড়লাম স্পেনিশ ফুটবলের এবং অক্টোপাসের কল্যাণেই কী-না জানি না, বিশ্বকাপটাও পেয়ে গেল তারা।
গত মাসে করফেডারেশন কাপের খবর নিয়ে আহত বোধ করলাম, যখন জানলাম, ব্রাজিল এর ফুটবল রেংকিং বিশের কোটায়। হায় ব্রাজিল! ( আমার অমনযোগের সুযোগে তোমার এত অধঃপতন!) আটঘাট বেঁধে দেখি টুর্নামেন্টের খেলাগুলো, বিমোহিত হয়ে যাই যতটা না ব্রাজিলের খেলা দেখে, তার চেয়ে বেশি ব্রাজিলিয়ান দর্শকদের প্রাণশক্তি দেখে। আরো হতবাক হয়ে যাই ফাইনালে ব্রাজিলের কাছে স্পেনের ৩-০ তে পরাজয়ে, যেই রকম রহস্যময় পরাজয় ব্রাজিলকেও বরণ করতে হয়েছিল আটানব্বইয়ের ফাইনালে, ফ্রান্সের বিরূদ্ধে।
দেখা যাক, ২০১৪ এর বিশ্বকাপ কে পায়? স্বাগতিক ব্রাজিল, পাশের বাড়ির আর্জেন্টিনা, তারকাময় স্পেন নাকি হিটলারের অদম্য জার্মানী ?
কামরুল ইসলাম।
ভাই, "হিটলারের অদম্য জার্মানী" কথাটা কেমন একটু খাপছাড়া শোনায় না (উপযুক্ত শব্দটা ঠিক মাথায় আসতেসে না, তাই "খাপছাড়া" ব্যবহার করলাম)?
বাহ, চমৎকার বলেছেন। তবে কিছুদিন আগে বাহির হয়েছে যে ১৯৯০ এর সেই খেলাতে আর্জেন্টিনার খেলোয়াড় এবং অফিসিয়ালরা ব্রাজিলের কয়েকজন খেলোয়াড়কে ঘুমের ঔষধ মিশ্রিত পানি দিয়েছিল, যার ফলে কয়েকজন যথেষ্ট ক্লান্ত হয়ে পড়ে!
শত হলে ফুটবল একটা খেলা, সেখানে এই ধরনের আচরণ আসলেই মেনে নেওয়া যায় না।
২০১৪ তে !! দেখা যাক, কিন্তু জার্মানিকে হিটলারের বলা কিন্তু ঠিক হয় নাই, কোন জার্মানই সেটা পছন্দ করবে না, আমরাও না
facebook
হিটলার এখানে দৃঢ়তার প্রতীক, রূঢ়তার নয়।
হিটলার জার্মান চ্যান্সেলর ছিলেন, সেটাও জার্মানদের অস্বীকারের উপায় নাই।
জার্মান ফুটবলের গতি ও শক্তি আমাকেও মুগ্ধ করে।
তাদের নাছোড় মনোভাব সত্যিই অতুলনীয়।
‘হিটলার’ শব্দটি তাদের মানহানি ঘটাক, সেটা আমি চাই না। তাই ঐ শব্দটা আমি প্রত্যাহার করে নিচ্ছি।
বরং তারা বিশ্ব ফুটবলে অদম্য জার্মানী হয়েই থাক।
কামরুল ইসলাম।
কথা একটাই
ফুটবল মানেই ব্রাজিল।
সৌ রভ
facebook
ছোট থেকে এতদিন ব্রাজিল সাপোর্ট করেছি, সারা জীবন হয়ত করব কিন্তু গত বিশ্বকাপ এবং আরও কিছু খেলা দেখে আমার জার্মানী দূর্বলতা বেড়েছে। আমি এবার জার্মানী সাপোর্টার
হুম
facebook
নতুন মন্তব্য করুন