আজ সকালে অচেনা সাদা দেয়ালে ঘুম ভাঙ্গার পর অজানা আতঙ্ক-বিস্ময় মেশানো দৃষ্টি পড়ার পর বুঝলাম আমি নতুন বাসায়, গত তিন বছর ধরে যে বাসাতে ছিলা সেখানে নেই আর, জীবন চলার বাঁকের অনেক অবশ্যম্ভাবী দাবীর মতই পরিবর্তিত হয়ে যায় দেশ, মহাদেশ, জনপদ, বাড়ী, মানুষ, তেমনই কোন কারণে। এর মাঝে নতুন প্রতিবেশী ফিনিশ-সুইডিশ প্রকৃতি প্রেমিক বন্ধু স্টেফান নপম্যান ফোন দিয়েছে প্রকৃতিতে সামান্য ঘোরাঘুরির জন্য, নতুন বাসায় অনেক কাজ বাকী, বইয়ের প্যাকেট এখনও খোলা হয় নাই, কিন্তু মাঝে মাঝে মন যুক্তি মানে না, সব ছেড়েছুড়ে বিভূতিভূষণের অপুর মত কাশবনের ছোঁয়া নিয়ে দৌড়াতে দৌড়াতে মাঠের পারের দূরের দেশ দেখতে বেরিয়ে যায় সে। চলে গেলাম আধাবেলার জন্য সবুজের কাছে, সবুজের মাঝে।
প্রথমে ফিনল্যান্ডের নামকরা ন্যাশনাল পার্ক নুকসিওতে, সেখানে নতুন প্রকৃতি জাদুঘর উদ্বোধন করা হয়েছে, অনেক হাঁসের আকৃতির ভবন, টিকেটের লাইনে দেখি ফিনল্যান্ডে একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী, এই গরমে হাফপ্যান্ট পরে, কাঁধে ক্যামেরা ঝুলিয়ে চলে এসেছেন, শুনলাম ভদ্রলোক পাখিবিশেষজ্ঞ, সুযোগ পেলেই প্রকৃতিতে যার পালকবন্ধুদের কুশল জানতে। সেখান থেকে এসপোর আরেক প্রান্তে স্টেফানের প্রিয় এক জলা জায়গাতে , যা আমাদের খুবই প্রিয়-
মাত্র ৫ বছর আগেও এই খানে কেবল সবুজ মাঠ ছিল, এখনও যা আছে কয়েকশ মিটার দূরেই, মাঠের শেষে কিছু ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা জঙ্গল, পাথুরের খণ্ড। নানা কারণে সবুজ মাঠের এই নিচু কোণে জল জমা শুরু করে এক গ্রীষ্মে। সবুজ মাঠ থেকে কেমন যেন প্যাচপ্যাচে কাদাময় ভূখণ্ডে পরিণত হয় তা, আনাগোনা শুরু হয় পরিযায়ী কাদাখোঁচা ধরনের পাখিদের, মনের সুখে বিচরণ করে তারা কাদার মাঝে, ততদিনের রসালো পোকাদের আনাগোনা শুরু হয়ে গেছে, তারও আগে এসেছিল অণুজীবেরা। আমাদের চোখের সামনে ফুলে ফেপে ওঠে জীবনের রাজ্য এই অপূর্ব মরুদ্যানে, পরের গ্রীষ্মে নানা জাতের ঘাস ও অন্যান্য জলজ উদ্ভিদ জাকিয়ে বসে জলা জুড়ে, ফুলদের আনাগোনাও শুরু হয় থেকে থেকে, সবুজ পুষ্ট উদ্যানে থেকে থেকেই উঁকি দেই লাল-গোলাপি-বেগুনি-হলুদ নানা বর্ণের পাপড়িপরীরা। প্রকৃতিরাজ্যে আবহাওয়া পরিবর্তনের খবর সবার আগে পেয়ে যায় উদ্ভদেরা, তারাই অগ্রদূত নব নব রাজ্য বিস্তারে। হাইওয়ের হট্টগোলের পাশেই সদ্য গজিয়ে ওঠা জলাতে হাজির হয়ে গেলে তারাই সদলবলে।
লকলক করে এক মিটারের অধিক ঘাসের রাজ্যে খাবার আর নিরাপত্তার আড়াল পেয়ে হাজির হল পক্ষীকুলও, আজই দেখা গেল নীলমাথা হাঁস, পাতি সোনাচোখ, উত্তুরে খুন্তেহাঁস, পাঁতি তিলিহাঁস ইত্যাদি হংসগণে, প্যাঁক প্যাঁক করে তার অস্তিত্বের জানান দিলেন বটে কিন্তু ক্যামেরার ধারে কাছে আসলেন না।
যদিও থপ থপ করে রাস্তা পেরোতে থাকা মিসেস নীলমাথার সাথে তার ছানাদের হ্যালো বলার জন্য এগিয়ে যাওয়ায় ক্ষণিকের দর্শন মিলে ছিল, কিন্তু তারপরই মানবদেহের গন্ধে তারা সোজা চালান হয়ে গেলে সবুজের নিরাপদ আশ্রয়ে।
কয়েক ভাগে বিভক্ত এখন নতুন জলাভূমিটা, পাশেই বিশাল নির্মাণযজ্ঞ চলেছে মানুষদের, আকাশছোঁয়ার প্রতিযোগিতায় মত্ত সবাই, মানুষের জন্য সবই লাগবে, আমাদের লোভ অপরিসীম, যা প্রয়োজন নেই তার জন্যও, ছাড় দিতে আমরা জানি না, পারি না, শিখি না। সব আমাদের। এই সর্বগ্রাসী আত্মঘাতী প্রয়োজনের মুখে টিকে থাকবে কি অপূর্ব শান্তিময় জলাটি? স্টেফান আশাবাদী না, বলে হাইওয়ের পাশে এত দামী জমি ওরা পাখিদের জন্য ছেড়ে দিবে না, অথচ কাদাখোঁচাদের জন্য জায়গাটি খুবই চমৎকার! আর দিন দিন বাড়ছে নতুন পাখির সংখ্যা, আজ যেমন অযাচিত ভাবে দেখা মিলল ডুবুপাঁতি কুট, পাতি পানমুরগীর। আর সারা জলা দাপিয়ে বেড়াচ্ছিল ঝুঁটিওয়ালা উত্তুরে টিটিরা।
যেখানে সেখানে হেসে উঠেছে অপূর্ব বুনো ফুলেরা, তাদের নির্মল সৌন্দর্য আর রঙের বাহার দেখার পরও কোন পাষাণ বুলডোজার দিয়ে বুজিয়ে দিতে চাইবে এই স্বর্গ? হয়ত রক্ষা পাবে সে, কিংবা হয়তো সবকিছুই নষ্টদের অধিকারে যাবে।
হাওয়ায় সোনালী ঝিলিক তুলে বুনো পরিবেশের নিস্তব্ধতা ভেঙ্গে একটি ধূর্ত শেয়াল সাবলীল ভঙ্গীতে আমার সামনে দিয়ে উদয় হয়ে আবার ঝোপের মাঝে সেঁধিয়ে যায়, অন্য সময় হলে তার ফোলানো লেজের ,মসৃণ উজ্জল কমলারঙা পশমের সৌন্দর্য উপভোগ করতাম, কিন্তু এখন মাথা জুড়ে আছে জলাভূমির নতুন অতিথিরা, তুলতুলে হাঁসের বাচ্চারা! শেয়াল যে রাজকীয় ভোজের সন্ধানে আছে তা বুঝতে কষ্ট হয় না। আবার ভাবি শেয়ালের গর্তে চোখ না ফোঁটা ছানারা আছে, তাদের খাবার দরকার, দেখা যাক শেষ পর্যন্ত কি হয় ।
বাতাসের আলিঙ্গনে ঘাসদের দুলতে দেখি, নাম না জানা ক্ষুদে ঘাস পাখির চিত্তহরণ কর গান শুনি, পারদপৃষ্ঠের মত যে চকচকে জলা দেখা যায় তার পিঠে ঝির ঝির তরঙ্গ তৈরি হয় বাতাসের আলতো চুমুতে, ফুলের মাথা নাড়ে, ঘাসের সরসর করে। আহা, কী আনন্দ আকাশে বাতাসে।
একটা পাতি লালপা আমাদের জানিয়ে দেয় এগোনোর সীমারেখা, সেই লাইন অতিক্রম করলে হয়ত শূন্য থেকে নিক্ষিপ্ত গরম তরলে স্নাত হতে হবে, হাঁকডাকে মনে হচ্ছে তার ছানার আশেপাশের ঝোপের মাঝেই আছে,
তাকে নিশ্চিন্তে থাকতে দিয়ে আবার ফেরার পথে আমরা-
মন্তব্য
ছানাপোনাসহ হাঁসের রাস্তা পারাপারের ছবিটা দুর্দান্ত হয়েছে!
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
জেবরা ক্রসিঙয়ে পেলাম না
facebook
এই কথাটাই বলতে চেয়েছিলাম। নিরাভরণ সব ছবি, সুন্দর।
facebook
মিসেস নিলমাথা
তাইই তো !
facebook
মন্দ নয়..ভাল বলেছেন জল-জঙ্গলের কাব্য! ফিনল্যান্ডের ঝকঝকে রোদে "Fair-weather Cumulus" Clouds গুলো খুব মানিয়ে গেছে (প্রথম ছবি)। আর শেষ ছবিটায় এসে, আকাশে হঠাৎ মেঘের ঘনঘটা..শুরু এবং শেষে মাঠের পারের দূর দেশের চমৎকার সমন্বয়!
facebook
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
facebook
দিলেতো আমার ইটাটা শেষ করে! ঠিক হয় নাই। যাহোক, ছবিতে আসি। নো চিন্তা, ইয়ো । প্রথম ছবিটায় মেঘ গুলা মুঠ মুঠ খেয়ে ফেলতে ইচ্ছা হচ্ছে। শেষ ছবিটা বড় করে বাধাই করে ঘরে টাঙাতে ইচ্ছা হচ্ছে।
ঘটমা হল তোমার আর ফাহিম ভাই এর ছবি দেখলেই নিজেরো খুব ছবি তুলতে ইচ্ছা হয়। তাপ্পর কয়দিন ক্লিকটিক করে যখন নিজের তোলা ছবি দেখতে বসি তখন হাড়ে হাড়ে টের পাই যে খালি তাক করে টিপ দিলেই হয় না, টিপ দেওয়ারও কায়দা আছে। সেই জন্যে তোমার ব্লগ দেখলেই লুকিয়ে পড়ি। (ফাহিম ভাই এর চিত্র বিষয়ক শেষ পোস্ট কথাসূত্র ২, সেও ৬/৭ মাসের কথা)
ফেরত আসি ছবিতে; শেষ থেকে তিন নম্বর ছবিটায়ঃ মাঝের সবুজের ভিতরে কাঠের সাঁকোর উপর একজনকে পাখি পাখি লাগে; তিনিই কি সাব্জেক্ট? তা না হলে উপরের আকাশ থেকে মাঝের রাস্তাটা রেখে ক্রপ করলে (মানে তলার সবুজটুকু বাদ দিলে) কি আরো ভাল লাগত দেখতে? খাইছে, বিশাল জ্ঞানগর্ভ কথা বলে ফেলেছি, এইবার তাড়াতাড়ি ভাগি।
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
facebook
হুই বদ পুলা তালি দিয়ে ভাগলা যে বড়? ওইটা কি পাখি নাকি চোখের ভুল?
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
সাকো আর তার সামনের জলটা গুরুত্বপূর্ণ।
facebook
হাঁসের রাস্তা পার হবার ছবিটা সত্যিই রকিং রে!
পেয়ে গেলাম !
facebook
এটায় ঈর্ষা জাগলো না
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
হাঁসগুলোর প্রতি ভালোবাসা জেগেছে কি !
facebook
সুন্দর!!
অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।
facebook
প্রথম ছবিটা অসাধারণ হয়েছে।
"আকাশছোঁয়ার প্রতিযোগিতায় মত্ত সবাই, মানুষের জন্য সবই লাগবে, আমাদের লোভ অপরিসীম, যা প্রয়োজন নেই তার জন্যও, ছাড় দিতে আমরা জানি না, পারি না, শিখি না। সব আমাদের।"
-ঠিক-ই। তবে, মানুষ কিন্তু আবার প্রকৃতির সেই আশ্চর্য অংশও যে প্রকৃতিকে বাঁচানোর জন্য সচেতন ভাবে লড়ে যাচ্ছে, নানা আপাত ক্ষতি / অসুবিধা মেনে নিয়েই। আর এই রকম মানুষদের সংখ্যা যে একটু একটু করে হলেও বাড়তে দেখতে পাচ্ছি সেটা খুবই আনন্দ দেয়, ভরসা যোগায়।
- একলহমা
তাদের সংখ্যা খুব বেশী ধরনের কম
facebook
প্রত্যেকটা ছবিই খুব সুন্দর, অণূ। বেগুনী ফুলটার নাম কী?
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
এই রে, নাম তো জানি না, খবর নিচ্ছি
facebook
ভালো লেগেছে লকলকে ঘাসের মাঝে একটুখানি পানিতে হাঁসের ছানাদের জলকেলী। ইচ্ছে করছে ওখানে বড়শি ফেলে সারাদিন বসে থাকতে।
বড়শি! মাছের নেশা আছে নাকি?
facebook
কি সুন্দর , হাঁস পরিবার অসাধারন
ইসরাত
আহা হাঁস
facebook
ছবি গুলো সেরাম হইসে!! প্রথম হলুদ-সাদা ফুলটার ছবি আর শেষ ছবিটা (ঠিক উইন্ডোজের ওয়ালপেপার হবার যোগ্য) দিয়ে কী ব্যানার করা যায়? @ স্যাম।
স্যাম দা কুতায় !
facebook
দেখবে তো কখনো না কখনো!!
facebook
প্রৃকৃতি বড়ই সুন্দর !
অবশ্যই !
facebook
বুনো ফুলগুলো এতো সুন্দর! আমার বরাবরই বুনোফুল, ঘাসফুল, কচুরিপানার ফুল ভীষণ পছন্দ।
facebook
যথারীতি ছবি গুলো আসাধারন
facebook
ফিনল্যান্ডের পক্ষিবিশারদ সাবেক প্রধানমন্ত্রী মহাশয়ের জন্য ভালবাসা ! হাঁস পরিবার আসলেই অমায়িক ! সবগুলো ছবিই, যাকে বলে, 'ছবির মতো সুন্দর !'
লুকটা ভালু
facebook
সবগুলো ছবি সুন্দর হাঁস পরিবারকে অণু'র পরিবার ধরে নাম দিতে চেষ্টা কর্লাম অণু(সামনেরটা) পেছনে অণুর ইস্তিরি পরমাণু, ছানাপোনা: ইলেকট্রন, প্রোটন, নিউটন(সাথে বাচাদের কাজিন) আলফা, বিটা। কেমন হলু রে?
facebook
অপূর্ব সুন্দর সব ছবি। লেখাও দারুণ চমৎকার।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
facebook
বাগ বাগিচায় বন্য ফুলের ঘ্রাণ
মিষ্টি আমের গন্ধে আকুল প্রাণ।
আমের সিজন চলতাছে। দেশে ফিরে ম্যাঙ্গো খেয়ে যাও, ম্যাঙ্গো পিপলদের দেখে যাও।
লেখা খুব ভাল লাগল। অনেক অনেক শুভ কামনা।
কামরুল ইসলাম
হায় আম, কই আম
facebook
গাছ পাকা আম খাচ্ছে কাকে
পাই না তোকে পথের বাঁকে
নিথর ঘরে কেমন করে
বল তো আমি রই!
আয় না সোনা চাঁদের কণা
কই রে মানিক কই!
তোর বানানো গুলতিখানি
ট্রাংকটি খুলে দিচ্ছি আনি
আয় খেতে আয় কাঠাল মেখে
বিন্নী ধানের খই।
ঘরের কোনে হচ্ছে বাসি
গামছা বাঁধা দই।
টক মিঠে ঝাল আচারগুলি
রঙ পেনসিল কাগজ তুলি
ডাকছে তোকে, খাচ্ছে পোকে
গপ্পো ছড়ার বই।
ফিরবি কবে? কেউ সুধালে
নীরব হয়ে রই।
বাদলা দিনে কদম ফোটে
বিলের পানি উথলে ওঠে
বন্ধুরা তোর যাচ্ছে ডেকে
ও খোকা তুই কই!
তোর না থাকার কষ্ট আমি
কেমন করে সই!
copyright@ mohammad kamrul islam
facebook
আমার ডেস্কটপের ওয়াল রেগুলার পালটায় অনুর ছবি দিয়ে। আরো কিছু জমা হলো আর কি। কিন্তু এই আমের সময়ে রাজশাহীর ল্যাংড়া ছেড়ে অনু ফিনল্যান্ডের হাঁস পরিবারের ছবি তুলে বেড়াচ্ছে, ব্যাপারটায় আমি
রাজশাহীর ল্যাংড়া
facebook
অনু, আপনার লেখা আর ছবিগুলো খুব ভালো লাগলো। আপনার ক্যামেরা আর লেন্সের বর্ণনা দেবেন?
ক্যানন ৭ ডি, লেন্স এইগুলো ১৮-২০০ মিমি দিয়ে তোলা, ধন্যবাদ
facebook
প্রথম ছবিটা অন্যরকম ভালো লেগেছে।মনে হচ্ছে কোন শিল্পী ইচ্ছের তুলিতে একেছেন।হাসের ছানাদের রাস্তা পার হওয়ার ৩নং ছবিটা ও সুন্দর হয়েছে।আর হুমায়ূন আজাদ স্যারের কবিতার পংক্তি সব কিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে কথাটিকে এখন সত্যিই মনে হয়,সবখানেই নষ্টরা অধিকার প্রতিষ্ঠা করে ফেলছে,প্রকৃতিও তাদের দখলের বাহিরে নয়।বেচে থাকুক প্রকৃতি সবুজ হয়ে দেশ হতে দেশ দেশান্তরে দেখা কিংবা অদেখার সকল প্রান্তে।
মাসুদ সজীব
facebook
নতুন মন্তব্য করুন