অবাক শিশু খেলে যায় বিশ্ব লয়ে আনমনে সৃষ্টি সুখে উল্লাসে, আমরা অবাক হই, শিহরিত হই, সৌন্দর্যের জন্ম দেখে কেঁপে উঠি, ভাল লাগায় আপ্লুত হই। কিন্তু অবাক শিশু নিজের মনে ব্যস্ত, বিশাল ক্যানভাসে মনের মাধুরী মিশিয়ে দেখা বিশ্বর পরিচিত রূপকে অজানা রূপকে, অদেখা ভাবে নব নব আঙ্গিকে এঁকে যান তিনি। পদ্মপুকুরের টলটলে জলে হাওয়া খেলে যায়, তিরতির তরঙ্গের নিয়মিত ওঠানামা, পদ্মকুড়ির আলতো কেঁপে ওঠা, সদ্য পাপড়ি মেলা গোলাপি সুন্দরের আকর, জলজ লাজুক লতা আর কারো নজরে আসে না, তার বাদে। তিনি নিজেই দেখে, উপভোগ করে তৃপ্ত থাকেন না আমাদের জন্য এঁকে যান একের পর এক ক্যানভাসে জীবন্ত চিত্র, অমর করে রাখেন তার স্বপ্নের পদ্মপুকুরকে।
অবাক শিশুর নাম ক্লদ মোনে।
(উপরের আলোকচিত্রটি উইকি থেকে নেয়া, সন্ত সদৃশ মোনেকে দেখা যাচ্ছে নিজের প্রিয় পদ্মদর্শনে)
চিত্রকর্মের অমর ধারা ইম্প্রেশনিজমের পুরোধা, সেই আন্দোলনের মোনে এতটাই ওতপ্রোতভাবে জড়িত যে ইম্প্রেশনিজম নামটাই নেয়া হয়েছিল তার এক ইতিহাস সৃষ্টিকারী চিত্রকর্ম থেকে যার নাম Impression, Sunrise (Impression, soleil levant)। কিন্তু মোনে খুব বেশী পরিচিত নাম প্রকৃতির মাঝে যেয়ে, নিসর্গে অবগাহন করে তা ক্যানভাসে ফুটিয়ে তোলার জন্য। বিশেষ করে তার পদ্মপুকুরের সিরিজটি হয়ে আছে সুকুমার সুন্দরের অপার খনি হিসেবে। ২৫০টি অতুলনীয় চিত্রকর্ম জগতকে উপহার দিয়েছিলেন মোনে, সবই তার পদ্মপুকুর, সেখানের সেতু, ফুল, গাছ, লতা, জল, মেঘ, ছায়া নিয়ে, এদের নাম Nymphéas, জলপদ্ম। একই বিষয় মনে হত আপাত দৃষ্টিতে, কিন্তু আসলেই কি তাই? নাকি ২৫০টি ফ্রেমে খোদাই করা হয়েছে ২৫০টি গল্প, জীবনের প্রতিদিনের মতই, ভীষণ রকম এক, অথচ গভীর ভাবে আলাদা।
যাক, সেই তুলির আঁচড়, রঙের গভীরতা, নানা স্তরের ব্যবহারের আলোচনা বোদ্ধা এবং খাঁটি শিল্পরসিকদের জন্য তোলা থাকা, আমরা যারা সুন্দর পছন্দ করি, জীবনকে ভালবাসি, সবকিছুর মাঝেই ভালো লাগা খুঁজি তারা ঘুরে আসি খানিকের জন্য প্যারিসের Musée de l'Orangerie থেকে।
প্রতিদিন নিয়মিত ভাবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় লাইনটি হয় ল্যুভর জাদুঘরে মোনালিসা দেখার জন্য, তার উল্টো পাশেই আরেক মহাবিখ্যাত জাদুঘর দি অরসে, সেখানেও লাখো লোকের সমাগম সারা বছর, এই দুই প্রবল পরাক্রমশালী সংগ্রহশালার মাঝে অজস্র সম্পদ নিয়েও এই জাদুঘরটি থাকে কিছুটা অবহেলার শিকার হয়ে, কিন্তু যারা আসলেই আইফেল আর মোনালিসার জন্য বিরক্তিকর হুড়োহুড়িতে না মেতে প্যারিস উপভোগ করতে আসেন, বিশ্বের সকল শিল্পীর মাতৃভূমির আত্মা ছুঁতে চান, তারা ঠিকই খোঁজ নিয়ে আসেন পেইন্টিং জগতের তাজমহল এই জাদুঘরের কথা যেখানে বিশেষ ভাবে নির্মিত দুইটা ডিম্বাকৃতি কক্ষের দেয়ালে ঠাই পেয়েছে ৮ খানা বিস্ময়, ক্লদ মোনের আঁকা সেই পদ্মপুকুর কিন্তু বিশাল বিস্তৃত ক্যানভাসে দুর্লভ ডিটেইলে।
অনেক বিশ্ব সম্পদ আছে এখানে। সেজান, মাতিস, মদিগিলিয়ানি, পিকাসো, রেনোয়া, সিসলে, স্যুটিন, রুশ্যো অনেকেরই চোখ ভুলানো কাজ, কিন্তু দিনের শেষে যেমন বিশ্বব্রহ্মাণ্ড ভুলে বাড়ীর পাশের নারকেল পাতায় কাঁপতে থাকা চিরল রোদ মনের পর্দা জুড়ে থাকে অবাক ভালবাসায়, তেমনি সেদিন সব কিছুর পরে মন জুড়ে ছিল সেই আটটা ক্যানভাস, আটটা গল্প, আটটা বর্ণীল সৃষ্টি, আটটা জীবন।
১৯২২ সালে বিশেষ ভাবে পুনঃনির্মিত জাদুঘরটির এই দুই ডিম্বাকার কক্ষের দেয়ালে স্থাপনের জন্য ক্লদ মোনের সাথে কতৃপক্ষের চুক্তি হয়, তারই পরামর্শক্রমে দেয়ালের গড়ন, আলোর আশার পথ ইত্যাদি ঠিক করার পর কথা ছিল সেই বছরই মোনে তার বিশাল ক্যানভাসগুলো সমাপ্ত করে জাদুঘরে দিবেন। কিন্তু অজানা কোন কারণে চিরতরুণ শিল্পী তার প্রাণপ্রিয় শেষজীবনের কাজগুলোকে কোনদিনই হাতছাড়া করেন নি, ১৯২৬র ৫ ডিসেম্বর তার মহাপ্রয়াণের মুহূর্ত পর্যন্ত এই কাজগুলো তার সাথেই ছিল, পরের বছর তা জাদুঘর কতৃপক্ষ জনসাধারণের জন্য উম্মুক্ত করে দেয়।
রুমের মাঝখানে সোফা , যাতে বসে আপনি হারিয়ে যেতে পারেন সেই অপার সুরমূর্ছনায়, যা ফ্রেমের মাঝে আটকাতে সমর্থ হয়েছেন মোনে, বলা হয় শিল্পী জীবনের প্রথম থেকে এমন বিশাল ব্যপ্তির কাজ করতে চেয়েছিলেন তিনি, কিন্তু সম্ভব হয় নি অর্থের অভাবে, ক্রেতার অভাবে, তাই শেষ জীবনে এসে তার কাজে কদর হবে এই নিশ্চয়তার পরে আরেকবার দেখিয়েছিলেন শিল্পীর জাত, চিনিয়ে ছিলেন নিজের তুলি।
ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত চোখে ছানি পড়া একজন ৮২ বছর বয়সের মানুষের কতখানি জীবনতৃষ্ণা থাকলে, শিল্পের প্রতি ভালবাসা থাকলে, রংতুলির প্রতি মমত্ববোধ থাকলে এমন রঙে আচ্ছন্ন করা যায় জীবনের ক্যানভাস তা ভেবে আপ্লুত হতে হয় প্রতিটি পেইন্টিং দেখার সময়। তখন তো তার জগৎজোড়া খ্যাতি, অর্থের চাহিদা নেই, সবকিছুই তা হাতের মুঠোয়, তখনও কেন শিল্পসৃষ্টির এই প্রবল বন্ধুর পথ বেছে নিয়েছিলেন ক্লদ মোনে? উত্তরটা সহজ- এই ছিল তার জীবন, এরচেয়ে মহত্তর কোন উদ্দেশ্য তার হতে পারে না, যেমন হতে পারে না সুখী হবার উপায়।
এইই বলার ছিল আমার অসাধারণ সেই আটটি সৃষ্টি নিয়ে, এইখানেই সার্থক ক্লদ মোনের তুলির আঁচড়, তাদের বলা শেষ হবে না কখনোই, যুগ যুগান্তরে মানুষেরা তাদের নিয়ে আলোচনা করেই যাবে, অবলোকন করবে বিমূঢ় বিস্ময়ে।
( জাদুঘরটির নামের বাংলা উচ্চারণ নিয়ে সমস্যা থাকাই ফরাসী নামী রাখলাম, হয়ত সুমাদ্রি দা সাহায্য করতে পারবেন।
এই পোস্টটি আমার প্রিয় কার্টুনিস্ট সহসচল সুজন,দার জন্য )
মন্তব্য
জটিল!
সরল
facebook
মোনেতো আছেই, সাথে সাথে ইম্প্রেশনিস্টদের মধ্যে পিসেরোর (Camille Pissarro) কাজও ভালো লাগে। যদিও আলাদাভাবে বিশেষত্বগুলো ধরতে পারি না, সাধারণ একজন দর্শক হিসেবে দেখে ভালো লাগার কথা বলছি।
বিভিন্ন ধরণের চিত্রকলার উপর বাংলায় একটা বই আছে, সম্ভবত কবীর চৌধুরী বা সৈয়দ শামসুল হকের লেখা। সেখানে তিনি ইম্প্রেশানিজম ব্যাখ্যা করতে গিয়ে "কম্পমান সূর্যরশ্মি" কথা বলেছেন, কিন্তু, ব্যাখ্যাটা পরিষ্কার করেননি। আপনি একই জিনিসকে লিখেছেন "কাঁপতে থাকা চিরল রোদ"। চিত্রকর্মের ঠিক কোন দিকটা দেখে ইম্প্রেশনিজম ঘরনারা চিত্রকর্মগুলোকে আলাদা করা যায়? এমন কোনো সুনির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য আছে কি?
ফেইসবুক
---------------------------------------------
এক আকাশের নীচেই যখন এই আমাদের ঘর,
কেমন ক'রে আমরা বলো হতে পারি পর. . .
সেই সময়ের পেইন্টিংগুলো দেখলে বোঝা যায় আলাদা ধাঁচের, রেনেসা আমলের মতো নয়, শিল্পীর মনে যেমন অনুভূতি এসেছে তেমন দিয়েই আঁকা ছবি । বাংলা বইটা পড়া নেই, নামটা জানিয়েন।
facebook
বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে ইম্প্রেশনিস্ট ছবির সহজে চোখে পড়া বৈশিষ্ট্য-গুলোকে এইভাবে বলা যেতে পারে।
১) মসৃণ রং-এর প্রলেপ বা সুনির্দিষ্ট রেখা আর বাঁক-এর বদলে এখানে পাওয়া যায় ছোট ছোট ব্রাশ-স্ট্রোক-এর সাহায্যে এঁকে যাওয়া জমি, অবয়ব বা কাঠামো যেখানে ব্রাশ-এর দাগ-গুলো আলাদা করে ধরা যাবে কিন্তু তা ছবি দেখায় বিঘ্ন ঘটাবে না।
২) খালি চোখে কোন দৃশ্য দেখার সময় যেমন সেই দৃশ্যের সব খুঁটিনাটি দর্শকের চোখে পড়ে না, ইম্প্রেশনিস্ট ছবিতেও তেমনি খুঁটিনাটির বদলে একটা সামগ্রিক দর্শনের সৌন্দর্য ফুটে ওঠে।
৩) ছবিগুলোর বিষয় সাধারণতঃ স্টুডিয়োর বাইরের জগৎ। এমনকি যখন পোর্ট্রেট আঁকা হয়েছে তখন সেই ব্যক্তিটিকেও পাওয়া যাচ্ছে বাড়ির বাইরে।
৪) ব্রাশ-এর স্ট্রোক আর রং এর জাদুতে আলো যেন পিছলে যাচ্ছে বা মৃদু কাঁপছে আর তার ফলে হয়ে উঠেছে জীবন্ত, গতিময়।
(সূত্র: wiki)
- একলহমা
মনে হচ্ছে ঘুরেফিরে সেই চার নাম্বার পয়েন্টটাই স্পেশাল- "আলো কাঁপছে"। জিনিসটা খুব বেশি মাত্রার কল্পনা মনে হয় আমার কাছে। বাকী প্রথম তিনটা পয়েন্ট অন্যান্য চিত্রকর্মেও দেখা যায়, ইম্প্রেশানিস্টদের কাজের আলাদা কোনো বৈশিষ্ট্য বলে মনে হয় না। ধন্যবাদ আপনাকে তথ্যগুলোর জন্য। অন্ততপক্ষে কিছু একটা পাওয়া গেলো।
@তারেক অণু
নামটা মনে পড়ছে না। অনেক আগে পড়েছি। তবে এটা হতে পারে, যদিও নিশ্চিত নয়- http://www.rokomari.com/book/25836
ফেইসবুক
---------------------------------------------
এক আকাশের নীচেই যখন এই আমাদের ঘর,
কেমন ক'রে আমরা বলো হতে পারি পর. . .
ছোট ছোট ব্রাশের টানে খুব বাস্তব ধরনের জীবন্ত অনুভূতি আসে, আলো কাঁপার ব্যাপারটা অতিশোয়াক্তি নয় কিন্তু।
facebook
'ইউরোপীয় চিত্রকলা ও ভাস্কর্য'
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আমি এসব আর্ট ফার্ট দেখি না, আসল পদ্মপুকুর দেখি
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
facebook
আমি পড়েছিলাম চোখে ক্যাটার্যাক্ট নিয়ে ক্লদ মোনে 'ওয়াটার লিলিস'-এর কাজ করতেন ! আহা ! কী অপূর্ব পদ্মপুকুরই না সৃষ্টি করেছেন এই অমর শিল্পী !
'জীবনের প্রতিদিনের মতই, ভীষণ রকম এক, কিন্তু গভীরভাবে আলাদা' - এই কথাটা খুউব ভাল লাগলো !
সত্যই জেনেছেন
facebook
প্রথম বিশ্বযুদ্ধে মৃত সৈনিকদের প্রতি শ্রদ্ধা-ভালবাসার উৎসর্গে আঁকা 'উইপিং উইলো' গাছ গুলো এই সিরিজকে এক অন্য ধরণের বিশিষ্টতাও দিয়েছে।
আগে কোথাও পড়েছিলাম, এখন দেখলাম wiki-তেও আছে যে সম্ভবত: ছানি পড়া চোখের দেখায় আর তার পরে ছানি সারান চোখের দেখায় একই বিষয় যেমন পদ্মপুকুর, তকে ঘিরে গাছেরা ইত্যাদি যে ভিন্ন ভিন্ন রং-এর খেলা মেলে ধরেছিল তাঁর কাছে অত্যন্ত বিশ্বস্ততায় তিনি তাকে ধরেছিলেন এই বিশাল ক্যনভাসগুলিতে যেমন দেখেছিলেন ঠিক তেমনটি করে।
তারেক অণুর লেখার প্রশংসা বাহুল্য বিধায় সেই বিষয়ে কথা বলার কোন দাম নই। তাই শুধু ইমো দেখাই
- একলহমা
facebook
অণুদা,দ্বিতীয় অনুচ্ছেদের (চতুর্থ ছবির ঠিক নিচে)প্রথম শব্দটি চিরকর্ম লেখা, চিত্রকর্ম হবে বোধহয়।ইম্প্রেশনিস্টদের নিয়ে পূর্ববঙ্গের পরিতোষ সেনের একটা লেখা পড়েছিলাম,নামটা খেয়াল নেই।সুনীল-ও ছবির দেশে কবিতার দেশে বইয়ে অল্প লিখেছিলেন।আপনি এই লিংকটা দেখতে পারেন।
http://users.manchester.edu/Student/CDThomas/MyFile2/Art%20History%20Term%20Paper.pdf
চতুর্থ -ষষ্ঠ পাতায় ক্লদ মঁন আর এদুয়ার মঁনকে নিয়ে ছোট্ট আলোচনা আছে। লেখা ,ছবি বরাবরের মতোই,সুন্দর।ধন্যবাদ,অণুদা। আপনার জন্য কতকিছু যে দেখতে পারছি..............
মানে? দেখি উনার কাজ নিয়ে লিখতে হবে একটু জানা হলে
facebook
facebook
আমি ছবি খুব ভাল বুঝিনা। Impressinisom এর উপর প্রথম পড়া বইতে যে দুজন আকিয়ের নাম মনে আটকে গিয়েছিল তারা ছিলেন ক্লদ মোনে আর এদুয়ার মোনে। আমি বার বার দেখতাম ফিরে ফিরে এদুয়ার মোনের অলিম্পিয়া। আজকে এই পোষ্ট পড়ে এক্দম হারিয়ে গিয়েছিলাম ক্লদ মোনের পদ্মপুকুরে। এরকম আরো লেখো ভাইয়া।
-নিশিতা
(।
ছবিটা আসে নাই ! মানের অলিম্পিয়া আমারও খুব প্রিয়।
facebook
উচ্চারণ সম্ভবত মুজি দ্য লু'অঞ্জাহি। আমার কলিগের মুখে এরকমই শোনাল, শেষের অক্ষর "হি" না "ঘি" বুঝা শক্ত। তবে এই ব্যাটা ক্যুবেক এর, ফ্রান্সের ফরাসী উচ্চারন আলাদা হৈতারে।
..................................................................
#Banshibir.
হ, ঠিক না ! ব্যাটা ফাউল
facebook
আপনে অত্তে বেশী বুজেন?
..................................................................
#Banshibir.
কিচু কিচু
facebook
মোঁনের আঁকা ছবির বাংলায় এত সুন্দর বর্ণনা খুব কমই পড়েছি। প্যারিসের এই জাদুঘরটার সংগ্রহ আসলেই ঈর্ষা করার মত। বছর তিনেক আগে গিয়েছিলাম। মোঁনের পাশাপাশি এত এত ভ্যানগঘ, করবেট, দেগাস আর সিজান দেখে অভিভূত হয়ে গেছিলাম। ল্যূভ-এর জন্য বরাদ্দ ২দিনের ১ দিন কেটে নিয়ে আবার গেছিলাম পরদিন এখানে! এতগুলো ছবি দেখেও মাথা ঠিক রেখে শুধু মোনের উপর ফোকাস করে লিখতে পারাটাও বিশাল কৃতিত্ব। নস্টালজিক করে দিলেন তো! _ জলপদ্ম
বাহ, দারুণ নিক দেখি!
facebook
উড়ে!! অনেক ধন্যবাদ, তারেকাণু'দা!!
ক্লোদ মনে আমার খুব প্রিয় শিল্পী!
সময় পেলে কোনদিন ইম্প্রেশানিজম নিয়ে লিখবো। অসাধারণ ১টা আন্দোলন ছিলো এটা !!
বহু কারণে ইম্প্রেশানিজম আন্দোলন অমর হয়ে থাকবে আর তার সাথে মনের "ইম্প্রেশান সান রাইজ" !
মনের এই ওয়াটার লিলি সিরিজ টাও আমার খুব প্রিয়, অনেক মজার মজার গল্প মনে পড়তেছে... দেখি যদি সময় পাই কোনদিন !!
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
আপ্নে একটা অস্থির! সময় কি আর পাবেন, যা মনে আসে তাইই লিখে দিন নারে ভাই!
facebook
অপেক্ষায় থাকলাম কিন্তু
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
অপেক্ষায় আছি।
- একলহমা
আপনার মজার মজার গল্প শোনার জন্য কান পেতে রইলাম।
facebook
মোঁনের মত চিত্রকর যোগী পুরুষ। এঁরা ক্ষণজস্মা। আর ক্ষণজস্মা বলেই হয়তো বা এঁরা এত মনমুগ্ধকর। আর মোঁনের শিল্পকর্মের চিত্রময়তা জীবন্ত হয়ে উঠেছে তারেক অনুর গতিময় গদ্যে।
কামরুল ইসলাম।
facebook
ছবির বোঝার ব্যাপারে একেবারেই অজ্ঞ। তবে লেখাটা পড়তে দারুণ লাগল
------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
আপনি তো নিজেই ছবি লিখেন রে ভাই!
facebook
অণুদা,
খুবই ভালো লাগল ভ্রাম্যমানের লেখনীতে মনের শেষ ছবিগুলোর কাব্যিক বিবরণ। কিছু কিছু গদ্য কবিতার মর্যাদা পায়। সেই স্বাদ পেলাম।
ইম্প্রেশনিজম আমার খুব প্রিয় ধারা। মাটির পৃথিবীর রূপ-রস-গন্ধ-শব্দ আমাকে এতো বেশী নেশাগ্রস্থ করে দেয় যে আলাদা করে পরাবাস্তবতার প্রতি কোন উন্মাদনা আমার নেই। পরাবাস্তবতা, অভিব্যক্তিবাদ, বিমূর্ততা আমার ভালো লাগে। কিন্তু ইম্প্রেশনিজমের মোহ আমি কাটাতে পারি নি। মনে পড়ে, মনের বিখ্যাত 'সানরাইজ' ছবিটি ছেলেবেলায় মেজমামা দেখিয়েছিল, সুনীলের 'ছবির দেশে কবিতার দেশে'র অরিজিনাল কপি থেকে। ছবি আঁকার শখ ছোট্টবেলা থেকেই। মনের এই ছবি দেখিয়েছিল নতুন আলো।
ইম্প্রেশন মানে ছাপ। বাস্তব দৃশ্য এক পলকের একটু দেখায় মনে যে ছাপ ফেলে, তার চিত্ররূপের ধারা হল ইম্প্রেশনিজম। মনেই এই ধারার জনক এবং শুদ্ধতম ইম্প্রেশনিস্ট শিল্পী। যদিও আমার সবচেয়ে প্রিয় রেনোয়াঁ।
ইম্প্রেশনের আঁকার ধারা ছোট ছোট স্ট্রোক এবং মাঝে মাঝে বহু রঙের ফুটকির ব্যবহার। এতে করে রঙের উজ্জ্বলতা অনেক বেড়ে যায়। জলরঙে এ ধারার কাজ প্রথাগত পাশ্চাত্য শৈলীতে করা যায় না, কারণ জলরঙে মোটা ব্রাশ এবং যথাসম্ভব কম স্ট্রোকে কাজ করার নির্দেশ- স্বচ্ছতা (নিরপেক্ষতা নয় কিন্তু!) রক্ষার খাতিরে। তবে নিউটনের বর্ণালী বিশ্লেষণের শ্রেষ্ঠ শিল্পরূপ ইম্প্রেশনিজম থেকে যে কোন মিডিয়ামের শিল্পীরাই নতুন নতুন পথ পেয়েছেন। মূলত তেল রঙ ও অন্যান্য অস্বচ্ছ মাধ্যম যেমন অ্যাক্রিলিক, টেম্পারা ইত্যাদিতেও প্রয়োগ করা সম্ভব।
ইম্প্রেশনিজম নিয়ে বিবিসির সিরিয়ালটাও চমৎকার। আপনি এই শিল্পীদের নিয়ে আরো লিখুন। সেই সাথে সুজন ভাইয়ের প্রতিও অনুরোধ রইল।
অনেক অনেক ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্যের জন্য, কিন্তু নাম কোথায়?
ফুটকি নিয়ে সেওরাটের কাজ খুব মনে আছে, লিখতে ইচ্ছা করে অনেক কিন্তু জ্ঞানের অভাব।
facebook
কীসের নামের কথা বলছেন?
উপস পেয়ে গেছি!
facebook
কোনদিন এমন করে দেখা হলো না কোনকিছুই। অপূর্ব লেখা!
facebook
সুন্দর। এই শিল্পীদের সব সময়ই আমার সত্যিাকরের যাদুকর মনে হয়েছে।
---------------------------------------------------
মিথ্যা ধুয়ে যাক মুখে, গান হোক বৃষ্টি হোক খুব।
নতুন মন্তব্য করুন