শিব ঠাকুরের আপন দেশে, আইন-কানুন সর্বনেশে !
এতে অবাক হবার কিছুই নেই, তারপরও অবাক হতে হয়। যে মহাবিজ্ঞ মানুষেরা দিনরাত নিজেদের সৃষ্টির সেরা জীব মনে করে তারা কিভাবে দৈনন্দিন জীবনের এই সমস্ত বিষয়গুলো পাশ কাটিয়ে চিন্তা ভাবনা করতে পারে তাতে অবাক হওয়া ছাড়া কোন গতি দেখি না।
সৌদি আরব বিশ্বের একমাত্র দেশে যেখানে মহিলাদের গাড়ী চালানোর অধিকার দেওয়া হয় না, সেখানের নারীরা ধর্ম এবং তথাকথিত সংস্কৃতি মোতাবেক নানা ধরনের পর্দাময় পোশাক পরিধান করে বাড়ীর বাহির হয় ( অবশ্যই একজন পুরুষ অভিভাবকসহ), সেই সমস্ত পোশাক পরিধানের পরে তাদের চোখদুটো ছাড়া আর কিছুই দৃশ্যমান হয় না। ২০১১ সালে হঠাৎ করে সুপারিশ করা হল, ইহাও যথেষ্ট নহে! নতুন আইন করা হবে, যে সমস্ত নারীর চোখ সুন্দর বা আবেদনময়ী তাদের চোখে সানগ্লাস আটাতে হবে! চোখের ইশার দিয়েই তারা নাকি দুর্বলচিত্ত পুরুষের চরিত্রে স্থলন ঘটাতে সক্ষম।
প্রথমেই হতাভাগা মুখফোড়ের এই ক্ল্যাসিক গল্পটা মনে পড়ে গেল-
এবং সৌদি নারীদের প্রতি সমাজের নির্যাতনের কিছুটা অনুধাবন করতে পারলাম। আর সুন্দর চোখ মানে কী? যে সমস্ত নারীর চোখ খুব একটা আকর্ষণময়ী না তাদের ক্ষেত্রে কী হবে? আর সুন্দর বা অসুন্দর ঠিক করছে কোন কাজী মহাশয়? এত যে ঢাক গুড়গুড়, রক্ষণশীল সমাজের দোহাই, তা সৌদি আরবে কি নারী নির্যাতন, বিশেষ করে ধর্ষণ হয় না?
এই তো সেদিন সৌদি প্রিন্স আব্দুল আজিজ বিন নাসির তার পুরুষ হাবসি ক্রিতদাসকে ( মেইড সার্ভেন্ট বলতে পারেন, কিন্তু আসলে সে কিনে নেওয়া দাসই ছিল) ধর্ষণের পর হত্যা করে লন্ডনে, আদালতে অবশ্য তার আইনজীবীরা এটা প্রমাণেই সচেষ্ট ছিলেন যে মহান রাজকুমার খুনি হতেও পারেন কিন্তু সমকামী না!! যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের কিছুদিন বিলেতের জেলে থাকলেও সৌদি বাদশার নাতিকে পেট্রো ডলারের গরমে ঠিকই বন্দী বিনিময় করে স্বদেশে পাঠানো হয়। এই যে খবর
লন্ডনে হয়েছে বলে ঘটনাটি মিডিয়ায় এসেছে? সৌদি আরবে হলে? কাতারে হলে? কুয়েতে হলে? বাহরাইনে হলে? সিরিয়ায় হলে? এমন কত শত নারী পুরুষ হারিয়ে যায় চিরতরে ধর্ষণের পর, তাদের খবর আমরা কোনদিনই জানব না। যাক সে কথা, আমি দেখাতে চাইছিলাম, রমণীরা যে ধরনের ইচ্ছে সেই ধরনের পোশাক পরিধান করুক, সেইটা তাদের ব্যাপার, কিন্তু আপাদমস্তক মুড়ে রাখলেও মর্ষকামী পুরুষেরা ঠিকই বলবে- তোমার চোখ বড্ড আবেদনময়ী, তোমার শরীর বড়ই উঁচানিচা! নাহ, তোমাদের স্থান রুটি বেলার কাঠে, কাপড় কাঁচার ঘাটে আর রাইতের বেলা খাটে।
ইদানীং কিছু বাংলার খবরের কাগজে, বিশেষ করে যেগুলো তথাকথিত প্রগতিশীলতার ধারক ও বাহক হিসেব ধব্জা ওড়ায়, সেগুলো উদ্দেশ্যমূলক ভাবে কিছু খবর চামে-চিকনে ছাপা হচ্ছে। মোদ্দা কথা সবই এক – পৃথিবীর অমুক দেশের তমুক শহরের নারীদের উপর ধর্ষণ ও অন্যান্য নির্যাতন কমানোর জন্য শহর কতৃপক্ষ তাদের বেশি বেশি পোশাক পরার আহ্বান জানিয়েছে, যাতে তাদের দেহপল্লব সেইসব মানসিক অসুস্থ কামুকদের মনে উত্তেজনা না জাগায়।
এমন হাজারো পরিসংখ্যান আছে, প্রমাণিত তথ্য আছে চারিদিকে, ঘেঁটে দেখুন- বেশি পোশাক পরিধান করে ধর্ষণ রোখা যায় না। তার জন্য সচেতনতা লাগে, কঠোর আইন লাগে, আইনের প্রয়োগ লাগে। আর সবচেয়ে বেশি লাগে নারী –পুরুষের পারস্পারিক সম্পর্কের স্বাভাবিকতা, পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ।
জাতিসংঘের হিসাব মতে ফিনল্যান্ডের নারীরা সবচেয়ে বেশি নারীস্বাধীনতা ভোগ করে ( নারীস্বাধীনতা মানেই অবশ্য কুয়োর ব্যাঙ সুশীল এবং রক্ষণশীলরা মনে করে যত্রতত্র স্বল্পবসনা হয়ে ঘুরে বেড়ানো এবং মাতাল হওয়া, যদিও মূল স্বাধীনতা নিহিত আছে অর্থনৈতিক স্বাধীনতা, কর্ম স্বাধীনতার মাঝে), সেই সাথে একই দেশে সবচেয়ে কঠোর শাস্তি প্রণীত হয়েছে নারীনির্যাতন রোধের জন্যই। মানে পুরুষতান্ত্রিক সমাজে শুধু মুখে এবং কাগজে স্বাধীনতা বলে ফেনা তুললেই হবে না, আইনের প্রয়োগ করে দেখাতে হবে, এবং সেই আইন হতে হবে সবার জন্য সমান, রাষ্ট্রপতির জন্যও।
এই ছবিটা কদিন আগে শেয়ার দিয়েছিলাম ফেসবুকে, তাতে লিখেছিলাম, ক্রান্তীয় দেশ কিউবার নারীরা এইভাবেই নিশ্চিন্তে পথ চলতে পারেন, ধর্ষণের ভয় তাদের ঘিরে ধরে না, দেশের আইন আছে, সচেতন জনগণ আছে, আছে সমাজের নারী-পুরুষের মাঝে সম্পর্কের স্বাভাবিকতা, কোন হেফাজত নেই, ধর্ম ভয় নেই কিন্তু আছে মানবিকতা, নিরাপত্তা।
নারীদের কী ধরনের পোশাক পরিধান করা উচিত? সেটা তাদের নিজস্ব ব্যাপার।
পোশাক দিয়ে আপনি ধর্ষণ ঠেকাতে পারবেন না, পারবেন আইনের প্রয়োগ আর সচেতনতা দিয়ে ।
কিউবার আইন- Cuba's Penal Code:
Title 11, Chapter one, First Section:
Article 298-Rape 1) Unnatural and forced rape of a woman, someone mentally disabled or unable to resist, 4-10 years in prison
2)When two or more people are involved in the rape, when the person is state employed or in the military, 7-15 years in prison
3)When the victim is under 12 years old, or when the rape causes venereal disease or mortal sickness (AIDS), 8-20 years in prison or death
Second Section, Article 299-1
Pederasty with violence 1) He that commits pederasty actively employing violence or intimidation, 7-15 years in prison
2) If the victim is under 14 years old, or if the act results in disease or mortal sickness, 8-20 years in prison or death.
এই ছবি দিয়ে বলি নাই যে বাংলাদেশে মেয়েদেরকে বিকিনি পড়ে চলাফেরা করতে হবে। এই ছবির মেসেজ হচ্ছে দেশের প্রচলিত পোষাকে কোনো উগ্রবাদী বিষয় নাই যেটা নিয়ে জামাত/হেফাজতিরা এখন লাফালাফি করতেসে। সংস্কৃতি একটা বিবর্তনশীল প্রক্রিয়া, যেটা প্রতিনিয়তই বিশ্বায়নের সাথে প্রভাবিত হচ্ছে, তার মানে এই না যে দেশের মেয়েরা কালকে থেকেই বিকিনি পড়ে রাস্তায় হাঁটাচলা শুরু করবে; আমার কথা হচ্ছে বাংলাদেশের পোশাক-আশাক এ দেশের শত বছরের ঐতিহ্যের সাথে মোটেও বেমানান না।
হাচল জুন ভাই চমৎকার গঠনমূলক মন্তব্যে লিখেছিলেন- .. খালি নারীরা নন, বিভিন্নভাবেই বিভিন্ন সময় পোষাক দিয়ে মানুষ বিচার করার সিস্টেমটাই উঠে যাওয়া উচিত। যেমন কয়েকদিন আগে বারিধারায় লুঙ্গি নিষেধ নিয়ে হাউ কাউ হলো। যতদূর জানি বান্দরবনের নীলগিরিতে রেস্টুরেন্টের বাইরে নোটিশ আছে লুঙ্গি পরে ঢোকা নিষেধ। একটু আওলা ঝাওলা বা গরিবি চেহারার কাপড় হলে ৫ স্টার হোটল তো পরের কথা, ব্যাংক গুলোতেও সহজে ঢুকতে দিতে চায় না।
মানুষ যখন আরেকজন মানুষ কে শুধুমাত্র মানুষ হিসেবেই দেখা শিখবে তখনই একমাত্র এই সমস্যাগুলোর সমাধান হবে। তার আগে পর্যন্ত কিছু কিছু মানুষ নারীদের তুলনা খাবারের সাথেই দিয়ে যাবে। এরা নিজেরাও জানে না এরা কী বলছে। এদের নিজেদের মা, বোন বা স্ত্রীকেও খাদ্যদ্রব্য বানিয়ে অন্যের সামনে তুলে দেয়ার মত রুচি যতদিন থাকবে ততদিন কিছুই হবে না।
সেই যে হিমুভাই বিশ্বের আদিতে বলেছিলেন- ছাগুস ডোন্ট আন্ডারস্ট্যান্ড হিউমারস! সেই কথা সত্য বলে প্রমাণিত হল, অজস্র কদর্য মেসেজে আমার ইনবক্স ভরে গেল, যাদের মাঝে সবচেয়ে বেশী মেসেজ ছিল একই ধাঁচের- আপনার ঘরে কি মা-বোন নাই? আপনি কি চান আপনার মা-বোন এই পোশাক পরে রাস্তায় বাহির হোক?
আমার মা-বোন আলাদা মানুষ, আলাদা সত্ত্বা। তারা কী পোশাক পরবেন সেটা একান্তই তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার, কিন্তু আমি অবশ্যই চাইব তারা যেন নিরাপদে রাস্তায় চলতে পারেন। এক নারী নামধারী ছদ্মবেশী ছাগু জানালো- ফ্রি সেক্সের দেশে নাকি ধর্ষণ হয় না! তার জানা নেই যে ফ্রি সেক্স বলে কিছু নেই,আর ধর্ষণ সব জায়গাতেই আছে, কিন্তু আমাদের চেষ্টা করতে হবে সেই ভয়াবহ অপরাধ রোধের।
এক বান্ধবীর কথা জানি কলেজ পাশের পর হঠাৎ বোরখা পরা শুরু করল, বলে ফার্মগেটে কাছে কোচিং সেন্টারের যাওয়ার সময় ভদ্র পোশাক পরা অমানুষেরা যত্রতত্র কদর্য স্পর্শ ছড়িয়ে দিত মেয়েদের শরীরে, তা কিছুটা ঠেকানোর জন্য পর্দার সাহায্য নেওয়া। বোরখা কি সাহায্য করেছিল কিছুটা? সে বলে- কিসের কী? একই ঘটনা, তোমার মনে আছে তুমি মেয়েদের গায়ে হাত দিয়ে বিকৃত আনন্দ নিবা, সে বোরখা পরুক আর টিশার্ট পরুক!
অনেক বছর আগের রহস্য পত্রিকার অভিজ্ঞতা পাতায় পড়েছিলাম এক কিশোরের সাথে তার বড় বোন গেছিল সিনেমা দেখতে, দেখে বেরিয়ে আসার সময় সেই আপুর হঠাৎ চিৎকার, তার কোমরের কাছে রক্তে ভেসে যাচ্ছে! দেখ গেল সিনেমা হল থেকে বাহির হবার সময় এক মানবজন্তু সেই আপুর কোমরের কাছে ব্লেড চালিয়েছিল। কেন? উত্তর - সেই ব্যাটার ইচ্ছা হইছে।
এক ভদ্রলোক লেখেছিলেন, টেম্পুতে অপেক্ষারত তার গর্ভবতী স্ত্রীর শরীরে কদর্য ভাবে হাত দিয়ে যায় এক বখাটে, যথেষ্ট শালীন পোশাক পরে থাকার পরও কেন এমন আচরণের শিকার হতে হল এই চিন্তায় পরবর্তীতে মিসক্যারেজ হয়ে যায় মহিলার।
গতকাল ঢাবির এক বান্ধবী জানাল বাসায় ফেরার পথে কোন বখাটে ঢিল মেরেছে পেছন থেকে। সে ফিরে জিজ্ঞাসা করায় কেউ উত্তর দেয় নি। সেখান দিয়েই তার ফিরতে হবে প্রতিদিন, বেশী প্রতিবাদের ভাষাও জানা নেই, শেষ পর্যন্ত সুশীল বাঙালি সমাজ তো বলবেই- মেয়েমানুষ, একটু বুঝে শুনে চলতে হয় !
মেয়েদের কাপড়ের সমস্যা? নাকি তা আপনার মনে?
একবারও কি ভেবে দেখবেন না বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে প্রতিদিন যতগুলো শিশুধর্ষণ হয়, বালিকা ধর্ষণ হয় তার কারণ কী? মানুষের অবদমন, পাশবিক বিকৃত কামনা চরিতার্থের চেষ্টা, আইনের শিথিলতম প্রয়োগ।
আর আমাদের বিখ্যাত সমাজে, যেখানে ধর্ষিতাকে সামাজিক ভাবে এড়িয়ে চলা হয়, ধর্ষক বুক ফুলিয়ে পার্টি করে, তার পুরুষতান্ত্রিক একচোখা মনোভাব অনেকাংশে দায়ী এই অপরাধ বৃদ্ধির পিছনে।
শেষ বার কবে ধর্ষণের জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি কার্যকর হয়েছে বাংলাদেশে?
আর সেই আবর্জনা খবরের কাগজদের প্রশ্ন- পোশাক দিয়েই যদি ধর্ষণরোধ হবে তাহলে অধিকাংশ আদিবাসী সমাজ ব্যবস্থায় তো কাপড় নেই বললেই চলে, দিগম্বর হয়ে চলাফেরা ঘরকন্না করে সেখানের অধিবাসীরা, সেখানে ধর্ষণ নেই কেন???
মন্তব্য
যে ধর্ষক তার তো মনেই থাকে কু চিন্তা । পোশাক দিয়ে তো তার চোখ কে ফাঁকি দেয়ার চেষ্টা করা হয়, কিন্তু মনকে ? নোংরা মনকে কি পোশাক দিয়ে ফাঁকি দেয়া যায় ?
যায় না, নোংরা মন সুযোগ খুঁজে সবসময়ই ওঁত পেতে
facebook
আপনার এই লেখার স্ক্রীণশট মেরে অনুভূতিওয়ালারা বলা শুরু করবে আপনি মা-বোনদের এসব কাপড়ে বাইরে পাঠাতে চান যাতে চোখ ভরে উপভোগ করতে পারে। সমস্যা হলো এদের মাথায় এটা কিছুতেই আসেনা মেয়েরা কম জামা-কাপড় পড়লে কিভাবে খারাপ কথা চিন্তা না ভেবে থাকা যায়, ওদিকে না তাকিয়ে নিজ চরকায় তেল দেয়া যায়। সামু ব্লগে সম্ভবত প্রতি ১০-১৫টা পোস্টের ২-৩টা থাকে মেয়েদের পোষাক নিয়ে এবং লেখাগুলা পড়লে তাদের মানষিকতা দেখে রীতিমত বমি চলে আসে। বাসে-গাড়িতে কোন মেয়ের শরীর কোন অংশ দেখা গেছে আর সেই কারণে কিভাবে খুন-ধর্ষন বেড়ে গেছে সেটা নিয়ে যে এত ব্লগ লেখা যায় না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন। আর তাদের প্রধান অস্ত্র হলো "আপনার মা-বোনকে আপনি এই বিকিনিতে দেখতে চান?", যেন মা-বোন হলো হাতের পুতুল তাদেরকে আমি যেভাবে চাই সেভাবে চলতে হবে, কাওকে দেখলামনা বাপ-ভাইরা যে আকামটা করে বেড়ায় সেটা নিয়ে চিন্তা করতে।
facebook
পোশাকের সাথে ধর্ষণের কোনও সম্পর্ক নেই। এটাই শেষ কথা। তুই চমৎকার করে গুছিয়ে লিখেছিস। দারুণ লাগলো। পাঁচ তারা দিয়ে গেলাম।
হুম, সবাই বুঝলে ভাল হত, বিশেষ করে যাদের জন্য লেখা , তারা
facebook
শেষ লাইন গুলো একেবারে ব্রহ্মাস্ত্রের মতই লাগল। ছাগুদের গায়ে পিছলে যাবে যদিও।
এরপরও পিছলাবে?
facebook
facebook
জরুরী পোষ্ট। মেয়েদের পোষাক নিয়ে কথা বলার আগে এইসব উত্তেজিত অমানুষদের নিজের মন মানসিকতার নোংরামি নিয়ে কথা বলা উচিৎ। অন্যের মেয়ে কি পোষাক পরেছে সেটা নিয়ে আলোচনা না করে নিজের ছেলে যেন মেয়েদের ভোগ্যপণ্য মনে না করে সেই শিক্ষা পরিবার থেকে দেয়া উচিৎ। এমন অনেক পরিচিত মানুষের কাছ থেকে শুনেছি অন্যের মেয়ে খারাপ পোষাক পরে, আমার ঘরে বড় ছেলে আছে এখন একটা কিছু হলে দোষ তো আমার ছেলের দেবে কেউ তো আর মেয়ের দোষ দিবে না যে সে পোষাকটাই খারাপ পরেছে!
আজব লাগে এইসব শুনলে। নিজের ছেলেদের আগে শেখানো উচিৎ সবাই মানুষ এটাই তাঁর পরিচয়।
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
অন্যের মেয়ে কি পোষাক পরেছে সেটা নিয়ে আলোচনা না করে নিজের ছেলে যেন মেয়েদের ভোগ্যপণ্য মনে না করে সেই শিক্ষা পরিবার থেকে দেয়া উচিৎ।
facebook
মেয়েদের কাপড়ে সমস্যা? নাকি তা আপনার মনে? কইতে গেলেই তো ধইরা পিডান দিবো!! সেদিন আমার এক কলিগ এর সাথে ফেরার পথে এক মহিলাকে দেখে উনি মন্তব্য করলেন এমন পোশাক এরা কি করে পড়ে!! কথা শুনে তাকিয়ে দেখে কোন অসামঞ্জস্য দেখতে পেলাম যা আমার সংস্কৃতির সাথে মানায় না। কিন্তু উনি তারপর অনেক কথা বলে গেলেন, আমি কিছু বলতে পারলাম না। শুধু বললাম আমি খারাপ কিছু তো দেখি না!! তাতে মনে হয় উনি মনক্ষুন্ন হলেন। উনার সাথে তাল মিলিয়ে যদি একই সাথে চোখ দিয়ে গিলতাম আর মন্তব্য করতাম তবে বোধহয় উনি খুশি হতেন। সেদিন কবে যেদিন আমরা নিজেদের নিয়ন্ত্রণ না করতে পারার দোষ অন্যের উপর চাপিযে দেব না। ওরা মানুষ হবে না কোনদিন!!!
আহ, নিজের মনের সমস্যা অন্যের পোশাকে চাপালে হবে !
facebook
মোক্ষম
------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
facebook
পোশাকের কারনে ধর্ষণ, বাংলাদেশে! এইটার কোন উদাহরণ নাই। অন্তত আমি শুনি নাই বা পত্রিকাতে পড়ি নাই। এইটা একটা ফালতু কথা কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি শিক্ষিত বহুত ছেলে এমনকি মেয়ের মুখে শুনেছি এই কথা। যে সকল শিশুরা ধর্ষণের স্বীকার তাদের ক্ষেত্রে কি বলবে এরা? তাদেরও পোশাকে সমস্যা?
বুলস আই
facebook
সমস্যা মনে।
পোশাকের দোহাই দেয়াটা ভ্রষ্টামি!
তাই তো দিয়ে যাচ্ছে
facebook
খুবই যুক্তিযুক্ত কথা। পড়ে খুব ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ
facebook
আসলেই ,সমস্যাটা আমাদের মন মানসিকতায় ভাই
জানা কথা
facebook
মডারেট ইডিয়টদের কাছায় হাত দিয়েছেন একদম। হা রে রে রে করে তেড়ে আসবে। অনেক আগে সচলায়তনে প্রকাশিত এই বিষয়ক একটা লেখা শেয়ার দিয়েছিলাম, সাথে সাথে কিছু পাব্লিক এসে "আমিও রেপিস্টদের বিচার চাই তবে দোষটা তো আসলে খারাপ ড্রেস পড়া মেয়েদেরই" / "মানলাম রেপ খারাপ কিন্তু মেয়েরা দেখাইয়া বেড়াইলে ছেলেদের কি দোষ" ইত্যাদি ত্যানা প্যাঁচানো শুরু করে দিছিল। কয়েকটাকে ওইদিনই ভালমত পোন্দায় খোমাখাতা থেকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দিয়েছিলাম, এর মধ্যে দুই-একটা স্কুল ফ্রেন্ডও ছিল। অদ্ভুত ব্যাপার হল দিনকে দিন মনে হচ্ছে এই মডারেট ত্যানাবাজদের সংখ্যা বাড়ছে; এমনি বাড়ছে যে এখন আর রিমুভ দেই না কারণ একা এদেরকে গাড়ানি/রিমুভ দিয়ে কুলায় উঠতে পারবো না। আসলেই দিন দিন বাড়তেছে এরা, নাকি আমিই আগে কম চিনতাম কে জানে।
বরাবরের মতই ভাল লেখা, চালিয়ে যান। মানুষের মধ্যে শুভবুদ্ধির উদয় হোক।
এদের চেহারা দেখবেন তেমন পরিস্থিতি এলে, এরা ভয়ংকর
facebook
যেসব মানুষের মনে বিকৃত বাসনা থাকে, তাদের সামনে হাজার কাপড় পড়ে ঘুরলেও মেয়েদের কোন রক্ষা নাই। কাপড় দিয়ে পর্দা হয় না, পর্দা দরকার মনের। মন থেকে মেয়েদের প্রতি সম্মান থাকতে হবে। তারেক অণুকে ধন্যবাদ লেখাটির জন্যে
যেসব মানুষের মনে বিকৃত বাসনা থাকে, তাদের সামনে হাজার কাপড় পড়ে ঘুরলেও মেয়েদের কোন রক্ষা নাই।
facebook
প্রিয় ভাই ও বোনেরা আমার,
যারা দেশে আছেন বিশেষ করে ঢাকায় রাস্তা ঘাটে চলাফেরা করবার সময় একটা দেয়াল লিখন কি আপনাদের চোখে পড়েনি ?
এখন দেশে আগের যে কোন সময়ের তুলনায় মেয়েদের পর্দা করার পরিমাণ অনেক বেশি।তবু ধর্ষণ কি কমেছে ? না বেড়েছে ?
চিন্তা করার মত প্রশ্ন
facebook
ছাগুদের যুক্তি হিজাব নিষিদ্ধ করার পক্ষেও ব্যবহার করা যায় চাইলে। হিজাব বা টুপি দাড়ি দেখে, বিশেষ করে পশ্চিমের দেশগুলোতে, পাবলিক খেপে গিয়ে দুই চার ঘা বসিয়ে দিলে দোষ ইসলামোফোবিয়ার উপর না দিয়ে হিজাবির উপরেই দেয়া উচিত- কারণ হিজাব না পরলে তো মানুষ খেপে যেতো না।
ধর্ষণের সমস্যাটির প্রসারের ক্ষেত্রে হুমায়ুন আজাদ স্যার লিখেছিলেন
এখানে আসলে পোষাক গুরুত্বপূর্ণ নয়।
আর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে,বিচার।লজ্জায় মাথা ঝুঁকে যায়,অণুদা,যখন আমাদের মুক্তিযুদ্ধকালীন ধর্ষকেরা ধর্মপ্রচার করেন,আর বিচার না পাওয়া হরিদাসী মন্ডলেরা রাস্তার পাগলী হয়ে মারা যান।পাষন্ডতার এই ধারা স্বাধীন দেশে-ও একইরকম রয়ে গেলো!!বিচারের বাণী আজো কাঁদে!
পত্রিকার বিষয়টি বেশ সন্দেহজনক,তাদের কাছে ধর্ষণের খবর বিক্রিযোগ্য পণ্যমাত্র।মহা হারামি,খচ্চর!!
হেফাজতিরা শব্দটি জেফাজতিরা হয়ে গেছে,দাদা।লেখার জন্য ধন্যবাদ।শেয়ার দিলাম।
সুশীল খচ্চরদের জ্বালায় সব রসাতলে যাচ্ছে
facebook
সুশীল খচ্চরদের জ্বালায় সব রসাতলে যাচ্ছে
আমার আপিসে কদিন পরপর অবিবাহিত মেয়েদের জন্যে বিয়ের প্রস্তাব আসতে থাকে। আর সেটাতে ঘটকের দায়িত্ব ইচ্ছেমতোই নিয়ে নেন কোন কলিগ। কেউ কিন্তু কোন দায়িত্ব দেয়নি, নিজে থেকেই এরকম মহান দায়িত্ব নেবার আগে একবার ও ভাবেন না যে কোন ব্যক্তি বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে পারেন! কাঁচের ঘরে বসে কাজ করতে করতেই ঠিক বুঝি ওপাশের মানুষগুলো মাপছে ভেতরের মানুষ থুড়ি মেয়েগুলোকে। প্রথমেই সৌন্দর্য বিচার, উত্তীর্ন হলে পোশাক দেখে জাত পাত চেনার কাজ চলে, তারপর নিশ্চিত হতে হয় বিবাহিত নাকি অবিবাহিত । সবশেষে পরিচিতদের ঘটকালি পেশায় নিয়োগ দেন! মাঝে মাঝে মনে হয় কেন আসলাম চাকরি করতে,এতোসব পড়ালেখই বা কেন করলাম? সারাক্ষণ লোকজনরে দেখি খাওয়া নিয়ে আর পোশাক নিয়ে খালি লেকচার দিচ্ছে আর ধর্ম মাপতেছে!
সোজা রাস্তা মাপতে বলে দ্যান
facebook
অণু'দা... খালি অফিস না, কয়েকদিন আগে ইন্টারের প্র্যাক্টিকেল পরীক্ষার সময় এক পুত্র দায়গ্রস্ত পিতা তাঁর তিন পুত্রধনের বায়োডাটা নিয়ে হামলা করেছিলেন ... নেহায়েত আমরা ভদ্রলোক বলে ঘাড়ে হাত দেই নি...
আমার অফিসেও একই অবস্থা। আমিতো এদের নাম দিয়েছি সহকর্মী দায়গ্রস্ত ব্যক্তিসকল।
শতভাগ সহমত।
কুত্তা সাইদীর একটা ওয়াজ শোনার দূর্ভাগ্য হয়েছিল বাসে যেতে। সে বলছিল সব ফল আল্লাহ খোসা দিয়ে পাঠিয়েছেন, যত ভালো ফলই হোক না কেন, খোসা ছাড়ানো ফল কেউ কিনবে না ফ্রি দিলেও। তাই মেয়েদের পর্দা ছাড়া বের করা উচিত না ইত্যাদি ইত্যাদি। “মেয়েদের পর্দা জরুরী” এই দেয়াল লিখনটা বেশি চোখে পড়েছে বঙ্গভবনের আশেপাশের রাস্তায় আর বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায়। লেখককে ধারেকাছে পাইলে ১৫ তলা থেকে ফেলে দিতাম
হুজুরগোরে লৈয়া একখানা কার্টুন দেখেছিলাম যা নিচে দিলাম। কিন্তু মূল সমস্যাটা শুধু হুজুরগোরে নিয়া না, আমাগো মডারেটদের এবং উদাসদা যে বলেছিলেন সেই নরম মুছলমানদের নিয়া।
আমাদের ভার্সিটিতে একবার ক্লাস চলছিল, মাইনর একটা কোর্স ছিল সম্ভবত সোশিয়লজি। তো স্যার আসলেন এবং বললেন, "মেয়েরা খোসা ছাড়া কলার মত পর্দাহীন হয়ে ঘুরে বেড়ায় বলেই এত ধর্ষণ"। এই হল আমাদের দেশের একটি পাবলিক ইউনিভার্সিটির শিক্ষকের দৃষ্টিভঙ্গি যিনি আবার ইউরোপের কোনো একটি দেশে পড়াশোনা করেছিলেন।
এক্ষেত্রে নূডিস্টদের যুক্তিটি আমি ফেলতে পারি নি - "আমাকে দেখে আপনার ইমান খাড়া হলে সে দায়িত্ব কেন আমাকে নিতে হবে?"
facebook
ছেলেরা যদি এতও কাপড় পরতে পারে মেয়েরা কেন পারে না?
কোথায় ছেলেরা এত কাপড় পরে? আর সেই প্রসংগ এখানে কোন হিসাবে আসল জনাব ইকবাল? কোন ছেলে ধর্ষণের শিকার হয়েছে নারীর?
facebook
লেখা পড়ে ১% আহত হল নাকি!!
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
ছেলেরা বোর্কা পরে রে বলদ? কুন জগতে ছেলেরা বেশী কাপড় পরে?
..................................................................
#Banshibir.
সোনাব্লগের রিফিউজি নাকি?
-- রামগরুড়
আপনার প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে পারছি না। মুখ কুটকুট করছে।
ধরে নিচ্ছি, আপনি বাংলাদেশে থাকেন। আমিও বাংলাদেশে থাকি, এবং মেয়ে। আমার পরিচিত মেয়েরা এবং আমি যেসব পোশাক পরি তার একটা ছোট বর্ণনা দিচ্ছি।
সালয়ার-কামিজ – ১। কামিজ ২। সালোয়ার ৩। ওড়না ৪। অন্তর্বাস ১ ৫। অন্তর্বাস ২
৬। কামিজের কাপড় হালকা রঙের হলে অন্তর্বাস এর উপরে আরেকটি অন্তর্বাস, কিন্তু একটু বড়সড়
এই ছয়টি কাপড় পরলেই কি শুধু হয়? ভুল ভোলা, ভুল। চিন্তা করতে হয় – দিন নাকি রাত; দিন হলে পাতলা কাপড়ের সালোয়ার পরা যাবে না, পায়ের অবয়ব বোঝা যাবে। আরও অনেক কিছু ভাবতে হয় এবং আমরা এসব ভেবে ভেবে কাপড় পরতেই অভ্যস্ত হয়ে গেছি, যেগুলো নিয়ে আলাদা একটা রচনা লেখা যাবে।
এখন বলুন, আরও কি কি কাপড় পরতে হবে, যেটা ছেলেদের চেয়ে কম পরছি?
ছোটবেলা বুঝতাম না, কেন বাইরে যাওয়ার সময় আব্বু নিমেষেই তৈরি হয়ে আমার সাথে খেলা শুরু করতো। আর আম্মুর সময় বেশী লাগতো, অথচ আম্মু সাজগোজ তেমন করতোই না। এখন বুঝি, আর ভাবি – কেন যে বড় হলাম।
facebook
-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু
আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
facebook
ইয়ে মানে তাঁরা অনুভুতিপ্রবণ কিনা...তাই সর্বদাই উত্তেজিত থাকেন, মাথায় কিংবা......
এমবিএ ক্লাসে এক উচ্চশিক্ষিত ব্যাংক কর্মকর্তার সাথে আমারই এক বান্ধবী'র এই নিয়া তুমুল ভ্যাজাল লাগছিলো। আমার বন্ধুর তরফে আমিও ছিলাম স্বাভাবিকই। তা সে কর্মকর্তার শেষ কথা ছিলো এইটাইঃ "আপনে তো মিয়া সাপোর্টে থাকবেনই, আপনে সারাদিন উনার লগে লগে থাকেন, ক্লাসেও একত্রে বসেন...উনি কাপড় না পরলে তো আপনারই লাভ!" চিন্তা করেন কি মেন্টালিটি! আমার বন্ধুর উত্তরটাও ছিলো সেইরকমঃ "আমি কাপড় ছাড়া ওর লগে থাকলেও যদ্দুর সেফ ফীল করুম, বুলেটপ্রুফ কাপড় পইরা লগে ১০জন গার্ড নিয়াও আপনের আশেপাশে এত্ত সেফ থাকতে পারুম না!"
ঠিক উত্তর, বাঘা উত্তর
facebook
কিছু পুরুষ আছ, তাদের চোখে পট্টি বেঁধে দিলেও কোন মহিলার কন্ঠস্বর শুনলে কল্পনায়ই তাকে দেখে নেবে এবং.....
এ বিষয়টি হচ্ছে স্রেফ মানসিকতা। অন্য কোন দোহাই অচল।
ঠিক
facebook
এ সমস্যার সমাধান রবি ঠাকুর তাঁর ‘জুতা আবিষ্কার‘ কবিতায় দিয়ে গিয়েছেন। হবু রাজার পায়ে ধুলি লাগার সমস্যা সমাধানের জন্য সারা দেশ চামড়া দিয়ে না ঢেকে, শুধুমাত্র রাজার চরণ দু‘টি চামড়া দিয়ে ঢেকে দিয়েই ধুলি লাগা সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হয়েছিল। তদ্রুপ পুরুষতন্ত্রের দাম্ভিকতায় সমগ্র দেশের নারীকুলের প্রায় পুরো শরীর ঢাকার কথা চিন্তা না করে পুরুষদের ছোট্ট দু‘টি চোখ ঢাকলেই সমস্যার সমাধান হতে পারে। তাও সব পুরুষের চোখ নয়, শুধুমাত্র তাদের চোখ ঢাকালেই চলবে যারা নারীকে পুরোপুরি আবৃত ব্যতীত অন্য কোন পোষাকে দেখলে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না। যারা ঐ পরিস্থিতিতে পশুতে রূপান্তরিত হয়ে যান। এ ব্যবস্থা চালু করলে কাজও অনেক কমে যাবে আর কাপড়ও সাশ্রয় হবে। এখানে নারীর কোন দোষ নেই। যেহেতু আপনার নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করার সক্ষমতা, মানবিক ও মানসিক পরিপক্কতা নেই, তাই দোষী আপনি। আপনার দোষে নারী কেন পোষাক শৃংখলা মেনে চলবে। যদি কোন পোষাক শৃংখল পড়তে হয় তবে তা পরতে হবে সংশ্লিষ্ট দুর্বল ও বিকৃত মানসিকতার পুরুষদেরকে।
- পামাআলে
facebook
মূল্যবোধ আর সুস্থতার চর্চা- এই জিনিষটা আমাদের পরিবার, সমাজ কোথাওই নেই বললেই চলে। আপাতদৃষ্টিতে হয়তো মনে হয় - পরিবারগুলো অনেক আধুনিক। আসলে কিন্তু যে তা না - তার প্রমাণ হলো - ছেলেটাকে নিয়ে অনেক বড় বড় স্বপ্ন হলেও মেয়েটাকে স্বামীর ঘরে তোলাটাই মোর অর লেস সবার মধ্যেই স্বাভাবিকতা থাকে। মেয়েটাকে কেউ দেশের বড় কোনো কাজে কল্পনা করতে চায়না - কষ্টসাধ্য কল্পনা করলেও "পাছে লোকে কিছু বলে" - সেটাতো থাকেই। আর সমাজের কথা বললাম - একটা মেয়েকে একটা ছেলে বা যে কেউ বিশ্রী কিছু বললো - অন্যরা সেটা চেয়ে দেখে- প্রতিবাদটা ব্লগ-ফেসবুকে যতজন করে ততজন যদি সামনাসামনি করতো তাহলে বাংলাদেশে ইভটিজার নামে কিছু থাকতোনা। আমরা একটা পকেটমার ধরলে যেভাবে মুঠি পাকিয়ে মারি - সেভাবে ইভটিজারকে ট্রিট করিনা।
আমি নিজে খুবই কনজার্ভেটিভ পরিবার থেকে এসেছি - কিন্তু সত্যি বলতে কি - অনেকেই বিশ্বাস করতে চাইবেনা - আমার বাবা আমার ৪ বোনের সবাইকেই পড়ালেখা করিয়েছেন - তাদের ৩ জন স্কুলে মাস্টারি করেন। তাদের শ্বশুরবাড়ীর লোকেরা প্রথমে গাঁইগুঁই করতো - এখন শ্বশুরবাড়ির মেয়েরাও স্কুলে মাস্টারি করায়। এইখানেই ধর্ম আর বাড়াবাড়ির কথা আসে- সৌদির শাসকরা বোরখা নিয়ে বাড়াবাড়ি করলেও আসলে সৌদির বাদশাহরাই লুইচ্চামি করে বেড়ায়। আমার সাথে মিসর, সিরিয়া, দুবাইএর বন্ধুদের অনেক কথা হয় - এই বোরখার প্রসঙ্গে আসলেই এত বাড়াবাড়ি নেই যতটা সৌদি বাটপাররা করে।
আরেকটা ব্যাপার হলো - স্টাইল করে হলেও আমরা মাদারফাকার গালি দিই - মা, সে যারই হোক, তাঁকে প্রথমে সম্মান দিতে হবে, তারপরেই আসে অন্য সম্মানগুলোর কথা। কারো দোষে তাঁর মাকে নিয়ে গালাগালি করা দিয়েই আমাদের নারীর প্রতি শ্লেষাত্মক ও সহিংস মনোভাবের উতপত্তি - একান্তই আমার মত।
ভালো লাগল আপনার বাবার কথা জেনে, ভালো থাকুন
facebook
সমস্যাটা আসলে কয়লার মত ময়লা মনাদের নিয়ে। দুইন্যার গ্যাঞ্জামের এরাই হোতা । কল্পনায় নারী শরীর চিন্তাইয়া যাদের ***** জোশ তেড়েফুঁড়ে ওঠে তাদের জন্য মুড়ো ঝাঁটাটিও যেন যথেষ্ট না!
হ
facebook
আমার একটা থিউরি আছে - যুগে-যুগে, দেশে-দেশে, নারীর উপর এই যে পোশাকের নামে তাকে জোরপূর্বক অস্বাভাবিকভাবে বস্তাবন্দী বা তাঁবুবন্দী করার প্রবণতা দেখা যেত এবং যায় - মুখে বলা বা এমনিতে ভাবা হলেও এটা আসলে তাকে যৌননিগ্রহ বা ধর্ষণের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য করা হয় না, বরং ঠিক উলটো কারনেই, অর্থাৎ - রক্ষা 'না'-করার জন্যই করা হয়.... পুরুষের ধর্ষণ ও ধর্ষকামের প্রতি আগ্রহ ও আবেদন জারি রাখা ও স্থায়ী করার জন্যই করা করা হয়। অন্তত এটা একটা প্রধান কারন তো বটেই। এজন্যেই নারীর উপর আরোপিত পোশাকাতিশয্যে পুরুষের ধর্ষণ ও ধর্ষকামের ও সেই সূত্রে নারীর নিরাপত্তাহীণতার আদৌ কোন সমাধান হয় না। ব্যাখ্যায় গেলাম না, তবে একটু তলিয়ে দেখলেই মনে হয় অনেকেই বুঝতে পারবেন।
****************************************
ভুল বলেন নাই
facebook
এক্তা শিশু জদি জনংলে বর হই সে কথা বলাই শিক্বে না। আক্জন বাব্সাএ শিখা সাত্র কখনঅ প্রগ্রাম্মিনং পারে না। জার জে বিসয়ে শিখা নাই সে তা পারে না। আপ্নি কন বিসয় ভাল পারেন জে এই মউলিক বিসয়ে আত বর রচনা লিখে ফেল্লেন। জে ভুল নিয়ে বর হয় সেতা তার অপরাধ না কিন্তু সবাইকে ভুল প্রচার করা অপরাধ।তারেq সাহেব সিমা অতিক্রম কারি বেক্তিকে আল্লাহ পসন্দ করেন না।
facebook
এইডায় ইডা কি লিকসে?
সোনাব্লগের থিকা রিফিউজি আইছে মনে হইতেছে। Ruhul Amin বাই, লাকা জুস হোয়াসা, মাসাাললা, বালা আছনী?
-- রামগরুড়
জোনাব Ruhul Amin সাহাব জঙ্গলের কোন ভাষায় কথা বলেছেন!
পড়াতে যেয়ে মানুষের দাঁত ভেঙ্গে ফেলানোর ইচ্ছে নাকি ভায়া?
লেখা সবসময়ের মত।
facebook
facebook
নারী-পুরুষ প্রকৃতির একান্ত স্বাভাবিক জৈবিক বোধ-এর কারণেই একে অন্যকে পরস্পরের কাছে আকর্ষণীয় মনে করতে পারে। তার সাথে একজনের অনুমতি ছাড়া তার শরীরকে দখল করার কাজটার কোন সম্পর্ক নেই। সেই জঘন্য কাজটার সাথে যে মনোবৃত্তির ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক সেটা আর কিছুরইনা, একজন লুঠেরা, বিবেকহীন অমানুষ-এর অপরাধমূলক মনোবৃত্তির। এটাকে প্রতিরোধ-এর জন্য তিনটি ব্যবস্থার তিনটি-ই সমান জরুরী।
(১) কঠিন আইন যা উপযুক্ত শাসন আর বিচার ব্যবস্থার সাহায্যে অবিলম্বে কার্যকর করা হবে।
(২) একটি ছেলে আর একটি মেয়ের অধিকার যে সমান - শৈশব থেকেই এই শিক্ষা সুনিশচিত করা।
(৩) ধর্ষণ-এর দ্বারা ধর্ষিতার মর্যাদার কোন কমতি ঘটে না এই বোধ সমাজে দ্বিধাহীন স্বীকৃতি পাওয়া।
একসঙ্গে সবকটি সমান ভাবে আসবেনা। কিন্ত একটি আর একটির সম্ভাব্যতাকে সাহায্য করবে।
মুস্কিল হচ্ছে এই তিনটি ব্যবস্থার জন্য দরকার যে প্রাথমিক চেতনা - নারী আর পুরুষ-এর অধিকার সমান সমান সেটা নিশ্চিত করার সমাজ চেতনা এসেছে কি? যে সমাজ ধর্ষণ-এর থেকে বাঁচার জন্য মেয়েকে বলে পর্দা-বন্দী হতে সেই সমাজের যে এই চেতনা আসেনি সেটা তো আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
পথটা কঠিন এবং লম্বা। আর, সেটা পার হতেও হবে, হতেই হবে।
- একলহমা
হতেই হবে
facebook
পোশাক কখনই ধর্ষণের কারন ছিল না, কারণটা ওই কামুক মানুষটার মনে। হাজার পর্দার পুরুত্তের কাপড় পরলেও এটা থামানো যাবে না যদি না কড়া আইন আর এর সঠিক প্রয়োগ এদেশে না হয়। আপনার লেখার শেষের দিকে একটা প্রশ্নের উত্তর আমারও জানা নেই অনু দা। এদেশে ধর্ষণ হয় তারপর ওই মেয়েটির পরিবার মামলা করে। এর কিছুদিন পর তাদের ওপর মামলা তুলে নেয়ার জন্য চলতে থাকে নানান রকমের হুমকি।
অনেকটা সমাজ আর নিজের পরিবারের মধ্যেই যেন জিম্মি হয়ে পড়ে ওই পরিবার।
আর সবচেয়ে খারাপ যে দিকটা আমাদের এখানে প্রায় হয় তা হল ধর্ষিত ওই নারীর জন্য কিছু টাকা ক্ষতিপূরণ যার সিদ্ধান্ত গ্রামের সালিসের মাধ্যমে নেয়া হয়। কি নির্মম এক বাস্তবতা তাই না!
এইজন্যই অপরাধ চলতেই থাকে
facebook
ভালো পোষ্ট অনু। নিজের ভেতরের পশুটাকে মেরে ফেলার জন্য যেরকম শিক্ষা দরকার, এই হতভাগ্য দেশের বেশীরভাগ মানুষদের তা নেই। তাই হয়তো সিনেমার ভিলেনদের হরহামেশা আমাদের ভেতরেই দেখা যায়।
facebook
আফসুস, মডারেশনের বাটে পড়ে এই পোস্টের বলদা কমেন্টগুলা পাঠকের দৃষ্টির বাইরেই থেকে যাবে।
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
এহ হে
facebook
------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।
facebook
ছবি নাই দেহি!
facebook
ভয় পাইছি
facebook
পোষাক পড়লেও তেঁতুল, নিস্তার নাই বুজুর্গ বাবার দৃষ্টি থেকে।
চিত্রঃ জনৈক মুমিন বান্দা তার তেঁতুল গাছ বুরকা দিয়ে ঢেকে দিয়েছেন লালা নজর এড়াতে
------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।
facebook
ভাই কাল আপনের ব্লগ পড়লাম। আর আজকেই দেখি এলাকায় দেখি রেপ কেস।
ভিক্টিমঃ ক্লাস ৫ এ পড়া এক মেয়ে।
তার বাপের বয়সি এক লোকের কাম। তার ঘরে বউ বাচ্চা আছে। ছেলেটার বয়সও মেয়ের সমান।
শুধু পোশাকেই কিবা হয়? বিকৃত যৌনাচার ব্য্যাক্তিগুলোর চিন্তাধারাই অন্যরকম।
facebook
-- রামগরুড়
facebook
ধন্যবাদ অণু ভাই চমৎকার লেখা হয়েছে।
ধর্ষণ কেন হয়?
অনেক তত্ত্ব আছে; যার বেশিরভাগই ধর্মীয়-রাজনৈতিক-বৈজ্ঞানিক এমনকি নৈতিক ভিত্তির সাপেক্ষে ব্যাখ্যায়িত। তবে প্রচলিত অনেক তত্ত্বই অতিমাত্রায় বিতর্কিত (যার বেশির ভাগই ধর্মীয়/সাংস্কৃতিক তত্ত্ব)। আদি সংস্কৃত পূরাণে বলা হয়ে থাকে পুরুষ মাত্রেই ধর্ষকামী। মহাভারতের আদিবংশাবতরণপর্বাধ্যায় ১৩ পরিচ্ছেদ এ আছে যৎ পৃথিব্যাং ব্রীহিযবং হিরণ্যং পশবঃ স্ত্রিয়ঃ --- পৃথিবীতে যত ধান্য যব হিরণ্য পশু ও স্ত্রী আছে তা একজন পুরুষের ভোগের কাছে পর্যাপ্ত নয়।
অতএব অবলা(!) নারীকুল যতই সিন্দুকে অনিচ্ছায়/স্বেচ্ছায় ঢুকে ফাঁকি দেবার চেষ্টা করেন না কেন সাবধান; পুরুষকুল সবেগে মধ্যদন্ড উঁচিয়ে ধেয়ে আসছে কইলাম
তবে শেষ কথা হচ্ছে মধ্যদন্ড থাকলেই পুরুষ হওয়া যায় না পুরুষ হওয়ার আগে মানুষ হতে হয়। উপরে উপরে নয়, নিভৃত মননে।
তবে শেষ কথা হচ্ছে মধ্যদন্ড থাকলেই পুরুষ হওয়া যায় না পুরুষ হওয়ার আগে মানুষ হতে হয়। উপরে উপরে নয়, নিভৃত মননে।
facebook
খুবই জরুরী লেখা, যেই সব জানোয়াররা মেয়েদের পোশাক নিয়া এত চিন্তিত তারা এই কথার কেন জবাব দেয় না 'শিশুরা কেন ধর্ষণের শিকার হয়?' শিশুদের শরীরে ত উচানিচা নাই তাইলে ওইসব শয়তানদের দেন শিশুদের দেইখা উত্তেজনা আসে? গত কয়েক বছর ধরে পর্দা করা মেয়ের সংখ্যা অনেক বাড়ছে কিন্তু রেপ তো কমে নাই বরং আগের চেয়ে অনেক বাড়ছে, কেন? কোন উত্তর নাই এইসব প্রশ্নের, তথাকথিত সিখিত, সুশীলরা ও এই ব্যাপারে কোন কথা বলে না, তারা শুধু চিন্তা করে মেয়েদের পোশাক নিয়া। বাক্তিগত ভাবে আমি নিজে এখন এই বিষয় নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত থাকি, আমার ৫ বছরের মেয়ে যেন নিরাপদ থ্যাকে তাই তাকে কার বাসায় যেতে দেই না, একা কখনো রাখি না, মেয়েকে বলা আছে যেন একা কার সাথে কথা না বলে তারপর ও যতক্ষণ অফিস এ থাকি ততক্ষণ টেনশনে থাকি, আমি জানি যে এগুলা আমার সন্তানের বিকাশে ক্ষতিকর তারপর ও পরিস্থিতির কাছে অসহায় আমি। মাত্র সাতদিন আগে আমার মেয়ের এক ক্লাসমেট বাচ্চা তার বাসার হুজুরের কাছ থেকে নিগৃহীত হয়েছে কিন্তু বাচ্চার বাবা-মা ব্যাপারটা নিয়ে কোন স্টেপ নেয় নি কারন বেশি লোক জানাজানি হলে বাচ্চাটা বড় হয়ে অসুবিধায় পরবে। আর কতদিন এই অবস্থা চলবে?
ইসরাত
আমাদের এগিয়ে আসতে হবে, আমাদেরই
facebook
বনের বাঘে খায় না, মনের বাঘে খায়।
নারীদের পোষাকই যদি ধর্ষনের কারন হয়, তাহলে দুনিয়ার সব সমুদ্র সৈকতে দিন রাত ধর্ষন হওয়ার কথা ছিল না? আর মাদ্রাসার/আরবী শিক্ষকদের দ্বারা ছাত্রদের উপরে অত্যাচার তো হতোই না!!
ঢাকা শহরের একটা কথা বলি - ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় অনেকে থাকেন। ওখানে কখনও ইভ টিজিং এর কথা শুনেছেন? অথচ এর বাইরের এলাকায় ইভ টিজিং এর সংখ্যা? ওখানে ইভ টিজাররা থাকে না, নাকি মাইরের ভয়ে নিজেদেরকে "পর্দা" করে রাখে?
আসল কথা হচ্ছে মানসিকতার বদলটা জরুরী। যদি পরিবার থেকে ছোটবেলাতেই মানসিকতাটা গড়ে দেয়া যায়, তাহলে সবচেয়ে ভালো। যদি না হয় তবে "মাইরের উপর ওষুধ নাই" বলে তার বিকৃত মানসিকতার আক্রমন থেকে সাধারণ জনগনকে বাঁচাতে হবে।
আসল কথা হচ্ছে মানসিকতার বদলটা জরুরী। যদি পরিবার থেকে ছোটবেলাতেই মানসিকতাটা গড়ে দেয়া যায়, তাহলে সবচেয়ে ভালো। যদি না হয় তবে "মাইরের উপর ওষুধ নাই" বলে তার বিকৃত মানসিকতার আক্রমন থেকে সাধারণ জনগনকে বাঁচাতে হবে।
facebook
facebook
বোরখা পরা কাউকে বিকিনি পড়তে বললে তার প্রতিক্রিয়া কি হবে? কিংবা বিকিনি অভ্যস্ত মানুষকে বোরখা?
মেয়েদেরকে 'মাংসের টুকরা' থেকে 'মানুষ' হিসেবে মর্যাদা দিতে শিখতে পারা অনেক কঠিন, আবার অনেক সহজও। কথা হলো চেষ্টা আর ইচ্ছা- এই দুটো পোষণ করা নিয়ে।
সবার উপরে মানুষ সত্য
facebook
হায়রে সমাজ! খুব ভালো পোস্ট, অণু ভাই।
facebook
ধর্ষণের অপরাধ একতরফা ভাবে ধর্ষণকারীর। এর সঙ্গে আমতা আমতা করেও যে পোষাকের প্রসঙ্গ তোলে, সে কোন না কোনভাবে ধর্ষণকারীর সমর্থক।
অজ্ঞাতবাস
facebook
"তাই ছেলেমেয়েদের মেলামেশার ক্ষেত্রে একটু Restriction থাকা মুসলমান পরিবারের জন্যই ভালো। তোমরা ইউরোপে যাও, দেখবে, মুসলমান ফ্যামিলিগুলো আলাদা। দেখলেই চেনা যায়। ইউরোপীয়রা আমাদের বিরোধিতা করে আবার মুসলমানদের প্রতি তাদের শুদ্ধাও আছে। লন্ডনে দেখা যায়, মুসলমান ফ্যামিলিগুলোকে খুব শ্রদ্ধা করে বৃটিশ মেয়েরা, পুরুষরাও। তাই পাশ্চাত্য নিয়ে চিন্তা করলে হবে না। একবার লন্ডনে আমি একটা ইন্টারভিউ দেখেছিলাম টিভিতে। বিষয় ছিল মেয়েদের স্বাধীনতা ও পর্দা। একটা ইহুদি মেয়ে আর একটা মুসলমান মেয়ে আলাপ করছিল। ইহুদী মেয়েটির পোশাক প্রায়ই নগ্ন (almost nacked)। মুসলিম মেয়েটা খুবই সুন্দরী। কিন্তু সে মাথায় স্কার্ফ পরে টিভি পর্দায় উপস্থিত হয়েছিল।
টিভির পর্দায় দু’জনকে দেখে একজনকে মনে হয়েছে শয়তান, আরেকজনকে দেবদূত। এই সাক্ষাৎকারটি নিয়ে অনেক খৃষ্টান পর্যন্ত বলেছে মুসলমান মেয়েটিকে নাকি তাদের মাতা মেরির মতো মনে হয়েছে। ওরাই প্রশংসা করেছে, আমরা না। মেয়েটিও ছিল অসম্ভব সুন্দরী। চমৎকার গায়ের রঙ। লেবাননী। মাথায় স্কার্ফ বাঁধায় তার সৌন্দর্য আরো বেড়ে গিয়েছিল। অনুষ্ঠানে সে ইহুদি মেয়েটির সাথে পোশাক নিয়ে তর্ক করছিল। ইহুদি মেয়েটিকে সে নাস্তানাবুদ করে দেয়। ইহুদিদের ধর্মে থেকেই মুসলমান মেয়েটি একটি একটি করে সূত্র উল্লেখ করে। শেষে ওই ইহুদি মেয়েটি বলতে বাধ্য হয় যে, আদম হাওয়া বেহেস্তে তো নগ্নই ছিলেন। আসলে তার কাছে আর কোনো যুক্তি ছিল না। মুসলমান মেয়েটি তখন কোরআনের উদ্ধৃতি দিয়ে ইহুদী মেয়েটির এই যুক্তিও খণ্ডন করে। সে বলে, আদম হাওয়ার লজ্জাস্থান কখনোই প্রকাশ পায়নি। মুসলমান মেয়েটি ইহুদী মেয়েটিকে জিজ্ঞাসা করল, তুমি কি জানো, আদম হাওয়ার শরীর থেকে যখন জান্নাতের পোশাক খসে পড়ল তখন তারা কি করেছিল? ইহুদি মেয়েটি এর কোনো জবাব দিতে পারেনি। একদম চুপ মেরে যায়। তখন মুসলমান মেয়েটি জানায়, আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইবার আগেই বিবি হাওয়া গাছের পাতা দিয়ে নিজের লজ্জাস্থান আবৃত করেন।
ঘটনাটা উল্লেখ করলাম এই কারণে যে, আমি নিজে বহু দেখেছি তো। তোমরা আর কী মেশামেশি করেছ? আমার জীবনে বহু মেশামেশি করেছি বলে আমি জানি। এর কুফলও আমি বহু দেখেছি। এই জন্য আমি মনে করি যে, ইসলাম যে পর্দা প্রথা করেছে এবং পুরুষ এবং নারীর মাঝে যে সীমারেখা স্থির করে দিয়েছে এটা মানব সমাজের জন্য প্রয়োজন এবং কল্যাণকর। এখন হয়তোবা যারা আধুনিক তারা এটা স্বীকার করতে চাইবে না। কিন্তু একটা সময় আসবে যখন মানুষ ঘরে থাকতে চাইবে না। প্রত্যেকেই নিজের কাজের সন্ধানে বের হবে, গ্রহে গ্রহে বিজ্ঞানীরা ছুটে বেড়াবে, তারপর ক্লান্ত হয়ে সে ঘরে ফিরে আসবে"- কবি আল মাহমুদ। আধুনিক শিক্ষিত মুসলিমদের চিন্তাভাবনা অনেকটা এইরকমই। সব মানি মাগার কথা একটাই- "ইসলাম যে পর্দা প্রথা করেছে এবং পুরুষ এবং নারীর মাঝে যে সীমারেখা স্থির করে দিয়েছে এটা মানব সমাজের জন্য প্রয়োজন এবং কল্যাণকর।
এই ফালতু কথা গুলো কি আপনার না জনাব আল মাহমুদের???
কথা বললাম যে অপরাধ হচ্ছে তা নিয়ে, এর মধ্যে ইসলাম টানলেন কেন?
facebook
বিধান ভাইতো দেখি বেশ অভিজ্ঞ চোস্ত আদমি -- জীবনে মেলা বেপর্দা জেনানাগো সাথে মিলা-মিশা, জেনা, ইত্যাদি জাহেলী লাইনে বেশ ইস্তিকামাত হইছেন, মাশাল্লা।
তাইলে আমরা এবার আপনার জেনা-জাহেলীর কিছু কিসসা-কাহিনী শুনতি চাই।
আল মাহমুদ/বিধান ইসলামের আড়ালে এই অপরাধকে জাসটিফাই করার চেষ্টা করছেন। মুসলমান মেয়েটি যতই হিজাব পড়ুক, লক্ষ্য করবেন যে তিনি কিন্তু মুসলমান মেয়েটির দৈহিক সৌন্দর্যের কথা উল্লেখ করতে ভুলে যাননি (অবশ্য তেঁতুল খাওয়ার জন্য তার লালা ঝরা শুরু করেছিল কিনা, সে ব্যাপারে কবি নীরব)।
আর মুসলমান/ইসলাম ধর্ম এবং ইউরোপিয়ানদের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা নিয়ে যথেষ্ট চিন্তার অবকাশ আছে।
পুরাটাই ফালতু বাকোয়াজ , একজন ধার্মিক ইহুদী আর মুসলমানের পোশাকের মধ্যে কি এমন পার্থক্য?
facebook
দুঃখিত, প্রতি মন্তব্য করতে দুই দিন দেরি হয়ে গেল। বক্তব্যটি আমার নয়, কবি আল মাহমুদের। এখন কথা হচ্ছে ধর্ষণের মত অপরাধ নিয়ে আলোচনায় ইসলাম নিয়ে আসলাম কেন?? যেহেতু পুরো আলোচনাটি হচ্ছে পোশাক-আশাকের সাথে ধর্ষণের সম্পর্ক নিয়ে সেজন্যই যারা খুব ইসলামপ্রিয় বান্দা এই ব্যাপারে তাদের চিন্তাভাবনাটা কবি আল মাহমুদের ভাষ্যে দিলাম। আর আমার মতামত হচ্ছে - আমি পোস্টের বক্তব্যের সাথে একমত।
facebook
চমৎকার লেখা, আগে চোখে পড়েনি, এ বিষয়ে আরো লিখুন
আইনের কঠোর প্রয়োগ আর আমাদের মানসিকতার উন্নয়ন ছাড়া এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়।
পোষ্টের সাথে শতভাগ সহমত।
শুধু ছেলে না,মেয়েদেরও কারও কারও বাইরের চেয়ে চোখের পর্দা বেশি দরকার |কত মেয়েকে গতানুগতিক এর ব্যতিক্রম পোশাক পরিহিতা কাউকে দেখলে বলতে শুনলাম, "লজ্জা শরম একবারে নাই........." কি আর বলব,একদিন এইসব মানসিকতা পাল্টাবে -এটা শুধু আশা করতে পারি |আর তো কিছু করার দেখি না |
নতুন মন্তব্য করুন