এই বছরেরই ফেব্রুয়ারির এক দিনে বগুড়ায় থাকার সময় বন্ধু আমানের জবরদস্ত মোটর সাইকেলে চেপে গ্রাম বাংলা পরিদর্শনের সময় বাঙ্গালী নামের এক নদী দেখতে গেছিলাম আর পথে ছিল দেশের প্রথম সামরিক শাসকের গ্রামের বাড়ী। সেখান থেকে মেঠো পথ ধরে ইছামতি নদীর কাছাকাছি এসে আমান জানাল এইখানের এক এলাকায় বছরে একদিন বিশাল মাছের মেলার বসে, মেলাও কলবরে অত্যন্ত বড়, এবং সারাদেশ থেকে মাছও আসে বিশালাকৃতির। বছরের মাত্র ১দিন বসলেও এই মেলাতে সারা দেশ তো বটেই অন্য দেশ থেকেও মানুষ আসে, নাম মাছমেলা বা জামাই মেলা, কারণ জামাইরা আসে সত্যিকারের বৃহৎ মৎস্যের খোঁজে!
ঠিক আছে, চল সেই জায়গা, যার নাম পোড়াদহ, সেখানে ঢুঁ মারা যাক! এক্স-এল মোটর সাইকেলে তেল থাকলে আমাদের আর কী সমস্যা! সেই এলাকার কাছে যেতেই দেখি শত শত মানুষের ভিড়, রিকশা, সাইকেল, নছিমন, টেম্পু, মানুষের ভিড়ে এগোনোই এক কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়াল। কয়েকজন বৃদ্ধের হাতে দেখি বড়সড় মাছ! তেল চকচকে মাছের আঁশে রোদ পিছলে যায়! কী ব্যাপার, জিজ্ঞাসা করতেই জানা গেল সেইদিনই বিখ্যাত মাছ মেলার দিন! এক্কেবারে বুলস আই ভেদ করে ফেলেছি আমরা মেলার খবর নিতে যেয়ে মেলায় উপস্থিত হয়ে।
( মেলার বেশ কিছু ছবি আছে ফেসবুকের এই অ্যালবামে , এখানে আলাদা করে আর দেওয়া হল না, অনুগ্রহ করে দেখে নিন, পাবেন এক অন্য ধরনের স্বাদ। )
হাজার হাজার লোক, এই জনসমুদ্রের মাঝে হাঁটাও দুষ্কর, তাই বাঁশ দিয়ে ঘেরা জায়গায় সদ্য গজিয়ে ওঠা গ্যারেজে বাহন রেখে পদব্রজে যাওয়া হল খানিকদূরের বিশাল প্রান্তরে, যেখানে আলিফ লায়লার কোন নগরীর মত রঙ-বেরঙের তাবু বসানো অগণিত, আসলে সামিয়ানা দিয়ে ঘেরা এবং ঢাকা নানা দোকান। মেঠোপথ ছেড়ে মেলার প্রাঙ্গণে পা দিতেই অ্যাস্টেরিক্সের গল গ্রামের বনে চলে অনুপ্রবেশ করেছি বলে ভ্রম হল, মানে ওবেলিক্সের প্রিয় খাবার বন্যবরাহের জাত ভাই পোষাবরাহের ব্যপক সমারোহে! দরদাম চলছে কালচে ধাড়ি আর খয়েরি ফুলো ফুলো পিচ্চিগুলোর। বাংলার ওবেলিক্স সাহেবেরও দেখা মিলল প্রিয় খাদ্য কাঁধে নিয়ে হনহন করে ছুটে চলেছেন তিনি।
এর পরে জিভে লালা ঝরানো ভাজাভুজির দোকান, আর নয়ন মনোহর খেলনার। বাচ্চাবেলার দিনগুলো ঘিরে ধরল একনিমিষে - সেই যে বৈশাখী বা রথের মেলায় যাওয়া, সদ্য রঙ করা কাঠের খেলনার জন্য বায়না ধরা, গোলাপি হাওয়াই মিঠাই খেয়ে আঙ্গুল চেটে পরিষ্কার করা, শোলার কুমিরের লেজ ধরে টানা, থরে থরে সাজানো মিঠাইয়ের দিকে লোভাতুর দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকা- নানা রঙের দিনগুলি ঘুরপাক করে উঠল মনের কুয়োতে। কাঠের দোকানগুলোতে বিক্রি হচ্ছে নিত্য প্রয়োজনীয় পিড়া, টুল, রুটি বেলার বেলন থেকে বালকের চোখে জল আনা খেলনা। তার পাশে বর্ণিল কুলার দোকান, তার পরপরই মিষ্টির!
আর কী যে বাহার সেই মিষ্টিগুলোর! সফেদ তুলার বলের মত গোটা বিশেক রসগোল্লা প্লেটে নিয়ে বসেছেন দুই বর্ষীয়ান, আমাদের চোখ কপালে তুলে কয়েক মিনিটের মধ্যেই প্লেট সাফ করে বেশ জোরেসোরে ঢেকুর তুললেন সবাইকে জানিয়ে! আছে বালিশ মিষ্টি, রসের সাগরে ডুবসাঁতার দিয়ে বেড়ানো পান্তোয়া, কড়া পাকের সন্দেশ, মুচমুচে জিলাপি, বহু বছর পরে দেখা বাতাসা আর বিখ্যাত মাছমিষ্টি!
মাছ আকৃতির এই মিষ্টির ব্যপক চাহিদা মেলাতে! নানা ওজনের হয়, তবে ৫ কেজি ওজনের মাছমিষ্টির চাহিদা সবচেয়ে বেশী বলে জানালেন এক দোকানী, আর সবচেয়ে বড় তারা তৈরি করতে পারেন ১০ কেজি ওজনের! মানে মানে একটা মিষ্টির ওজনই ১০ কেজি! মনে হয় কুটুমবাড়িতে মাছের বদলে মিষ্টি নিয়ে গেলে খাতির নেহাত কম হবে না! বলা হয় এই মেলাতে জামাইরা আসেন বড় মাছের খোঁজে, আর শ্বশুরেরা আসেন মিষ্টির খোঁজে!
সাহিত্যপ্রেমীদের মনে থাকার কথা প্রিয় লেখক আখতারুজ্জামান ইলিয়াসে সাহিত্যকর্মে বিশেষ করে প্রবন্ধে এই মেলার উল্লেখ আছে।
ঐতিহাসিক পটভূমি---মেলা শুরুর সঠিক দিন ক্ষণ জানা যায় না। জনশ্রুতি আছে চারশ বছর আগে পোড়াদহ সংলগ্ন মরা বাঙালী (মতান্তরে মহিষাবান নদী) নদীতে প্রতি বছর মাঘের শেষ বুধবারে অলৌকিকভাবে বড় একটি কাতলা মাছ (মতান্তরে অজ্ঞাত মাছ) সোনার চালুনি পিঠে নিয়ে ভেসে উঠত। মাঘের শেষ বুধবারের এ অলৌকিক ঘটনা দেখার জন্য প্রচুর লোকজন জড়ো হত। পরে স্থানীয় একজন সন্ন্যাসী স্বপ্নাদিষ্ট হয়ে অলৌকিক এ মাছের উদ্দেশ্যে অর্ঘ্য নিবেদনের জন্য সবাইকে উদ্বুদ্ধ করেন। সন্ন্যাসীর আহবানে সাড়া দিয়ে পোড়াদহ বটতলায় মাঘের শেষ বুধবারে অলৌকিক মাছের উদ্দেশ্যে স্থানীয় লোকজন অর্ঘ্য নিবেদন শুরু করেন। কালক্রমে এটি সন্ন্যাসী পূজা নাম পরিগ্রহ করে। পূজা উপলক্ষে লোক সমাগম বাড়তে থাকে ও বৃহদাকৃতির মাছ ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য মেলাটি প্রসিদ্ধ হয়ে ওঠে।
তবে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করলে দেখা যায়, পোড়াদহ মেলার এ স্থানটি একটি প্লাবনভূমি এবং ভৌগোলিকভাবে এটি নদী, খাল ও বিলের মোহনা অঞ্চলে অবস্থিত। এখান থেকে বেশ নিকটেই আছে রানীরপাড়া মৌজাধীন কাতলাহার বিল ও ঢিলেগারা বিলসহ পোড়াদহ খাল ও মরা বাঙালী (মহিষাবান) নদী। ফলে অতীতে এটি যে যমুনার সাথে খুব ভালভাবে সংযুক্ত ছিল তা সহজে অনুমেয়। বর্ষাকালে বিভিন্ন নদীপথে আগত প্রচুর মাছ এখানে থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। জলবায়ুগত পরিবর্তনে মাঘের শেষে এখানকার পানি প্রায় শুকিয়ে আসায় তখন এখানে থেকে যাওয়া কোন বড় কাতলা মাছের বৃত্তাকার আঁইশ সোনার চালুনির মত মনে হতে পারে। কেননা দেশী বড় কাতলা মাছের আঁইশ বেশ সোনালি বর্ণ ধারণ করে, অল্প পানিতে সাঁতরানো অবস্থায় রোদের ঝিলিকে তা কোন ধ্যানমগ্ন সন্ন্যাসীর কাছে আরো আকর্ষণীয় স্বর্ণের চালুনির মত মনে হতেই পারে। ( ইতিহাসটি বিডিফিশ বাংলার ওয়েব পেজে থেকে নেওয়া হয়েছে)
মেলার নানা আকর্ষণ দেখেই যাচ্ছি মুগ্ধ চিত্তে ধুলো ধূসরিত হয়ে, কিন্তু মাছের পাত্তা নাই! মানে যে বিশাল এলাকা জুড়ে মেলা বসেছে তাতে মাছ বাদে জগতের যাবতীয় ভোগ্যপণ্যর দেখা মিলল, নাগরদোলার পর্যন্ত কিন্তু জলজেরা উধাও! কিছু কিছু জায়গায় লোকের ভিড়ে হাঁটায় বিশাল দায়, এমন এক মহা লোকঘূর্ণিপাক থেকে উদ্ধার পেতেই দেখা গেল অলৌকিক জাদুর তাবু এবং মৃত্যুকূপ! সারাজীবন মৃত্যুকূপের নামই শুনে গেছি, কোনদিন এই মহা বিপদজনক জীবিকা চাক্ষুষ দেখা হয় নি, তার উপরে খবরের কাগজ থেকে জেনেছিলাম কদিন আগেই দেশের এক মেলাতে মৃত্যুকূপ ভেঙ্গে অনেক মানুষ আহত হয়েছিলে, তাই খানিকটা দোনোমনা করে দুই বন্ধু ২০ টাকার টিকেট কেটে ঢুকে পড়লাম বাঁশ-কাঠের গোলাকার কেল্লায়! বেশ কমিটার উঁচুতে দর্শকদের দাঁড়াবার পাটাতন, সেখান থেকে মেলার শেষ সীমানা পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে রঙিন সব তেরপল ভেদ করে, এই প্রথম ধারণা পাওয়া গেল মেলা- এলাকার ব্যপ্তি নিয়ে। কূপের মধ্যে গোটা দুই মোটর সাইকেল আর একটা জাদুঘরে রাখার মত লক্কড়-ঝক্কড় গাড়ী। কূপের দেয়ালে চলতে পারার জন্য বিশেষ সব পরিবর্তন আনা হয়েছে।
খানিকপরেই মোটরসাইকেলবাজ এসে হাজির, চলনে বলনে টগবগে আত্ম-বিশ্বাসের সাথে অহংকারের মিশেল, কেন জানি ফেলুদার ছিন্নমস্তার অভিশাপের কারান্ডিকারের কথা মনে করিয়ে দিল, অ্যাডভেঞ্চারের খোঁজে ঘর ছাড়া জীবনের নেশায় মাতাল বাঙালী যুবক এক। শুরু হয়ে গেল বিখ্যাত রোমহর্ষক খেলা, প্রথমে ধীর লয়ে, তারপর দ্রুতগতিতে, শো শো করে ঘুরতে লাগলেন কাঠের দেয়ালের উপরে দিয়ে তার যান নিয়ে, আমরা দম বন্ধ করে সেই প্রাচীরের উপর দিয়ে গলা বাড়িয়ে দেখতে লাগলাম তার কারসাজি।
থেকে থেকেই প্রাচীর কেঁপে উঠছিল তার গতিতে, বিশেষ করে যখন বেশী কাছে আসছিলেন মৃত্যুকূপের সর্দার, তার কসরতে মুগ্ধ হয়ে অনেকেই টাকার নোট বাড়িয়ে ধরলেন উপর থেকে, এগুলো তার একান্তই বাড়তি উপার্জন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আবার নিয়ে অন্যদের রোমাঞ্চে ভাসিয়ে কখনো এক হাতে, কখনো দুই হাত ছেড়েই মোটরসাইকেল চালাতে চালাতে দর্শকদের হাত থেকে ছোঁ মেরে টাকা নিয়ে মুখ দিয়ে ধরে রাখছিলেন! খানিক পরেই তার সাগরেদও যোগ দিল আরেক মোটরসাইকেল নিয়ে! তারপর সেই পেল্লায় গাড়ী! ( কিছু ছবি অ্যালবামে আছে দেখে রোমাঞ্চের ছোঁয়া পেলেও পেতে পারেন! )
মিনিট পনেরের মৃত্যুকূপ অভিযান শেষ করে এবার আসলেই হাজির হলাম মাছের সমুদ্রে! নানা কিসিমের মাছ, রুই, কাতলা, পাঙ্গাস, মৃগেল, চিতল, সরপুঁটি এমনকি ইলিশ থেকে শুরু করে বিদেশ হতে আগত নানাধরনের কার্প মাছের সাথে সাথে সামুদ্রিক কয়েকজাতের মাছও হাজির! তবে সবচেয়ে বেশী চাঞ্চল্য দেখা গেল দানবাকৃতির বোয়াল এবং বাংলাদেশের সবচেয়ে ওজনদার মাছ বাঘাইড় দেখে ( ১০০ কেজি ওজনের বাঘাইড় প্রায়ই পাওয়া যায় মেলাতে), কিছু কিছু বাঘাইড় ১ মিটারেরও বেশী লম্বা, এবং সেটিকে চেড়ে তোলা একজন মানুষের পক্ষে সম্ভব না বলেই একাধিক জন মিলে দেখলাম টেনেটেনে নিয়ে যাচ্ছে।
দাম শুনলাম ৮০০ টাকা কেজি! নেহাত সস্তা নয়, যে কারণে একদিনের এই মেলাতে বিক্রি ৬ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায়! অধিকাংশ মানুষই দেখলাম মাছ ভাগা হিসেবে নিচ্ছে, মানে কয়েক কেজি করে। একপাশে কসাইয়ের দোকান, সেখানে মাংস নয়, কেমন কাছ কাটাকুটি চলছে! বাহ, দেশের কতকিছু অজানা আছে এখনো!
মেলা চলাকালে একসাথে প্রচুর বড় ও জীবিত মাছ পাওয়া যাওয়ার কারণ , স্থানীয় মৎস্যচাষীরা কেবল মেলায় অধিক লাভে বড় মাছ বিক্রয়ের জন্য মাছ বড় করেন। তাছাড়া মেলায় বিক্রয়ের জন্য বেশ আগে থেকেই নদীতে ধৃত বাঘাইর, আইড় ইত্যাদি মাছ স্থানীয় পুকুরগুলিতে বা অন্য জলাশয়ে হাপা করে বা বেঁধে রাখা হয়। আবার মেলা চলাকালে পার্শ্ববর্তী গোলাবাড়ী আড়তে আসা মাছবাহী গাড়ীগুলি সরাসরি মেলাতেই চলে আসে, মেলা থেকেই বাইরের বিক্রেতারা মাছ সংগ্রহ করেন।
যদিও কার্প জাতীয় মাছে দেশী বাজারগুলো দখল করে ফেলেছে দেশী সুস্বাদু মাছকে হটিয়ে তবুও ৪০০ বছরের পুরনো মাছমেলাতে দেশী মাছের জয়জয়কার দেখে ভালো লাগল! সময়ের কারণে আমরা আবার ধুলি ধূসরিত পথে, মেঘ না চাইতেই স্বর্গঝরনার অবগাহনের সিক্ত হয়ে, টিকে থাকুক মাছমেলা, টিকে থাকুক আমাদের সুঐতিহ্য।
( সিরিজের বাকী পর্বগুলো এইখানে ,
এই পোস্টটি আমার বন্ধু আমানের জন্য, যে আমান আমাকে বলছিল- যা নিয়ে ইচ্ছা লিখ, কিন্তু রাজাকারদের বিচার নিয়ে লেখার কথা ভুলো না কখনো )
মন্তব্য
মাছের খুব ভক্ত আমি।
আমিও
facebook
আমাদের বাসায় আমি আর আম্মা মাছের বিরাট খাদক সিলেট অঞ্চলে এখনো দেশী মাছ পাওয়া যায় ভালোই। এই অঞ্চলে মৎস্যজীবিদের 'মাইমল' বলা হয় তুচ্ছার্থে। আমার মোটামুটি একটা পরিকল্পনা আছে আগামীতে 'মাইমল' হয়ে যাবার।
মাছ ভালোবাসি
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
মাইমল শব্দটা জেনেছিলাম লীলেনদার মুখে। সিলেটেও তো দারুণ সব মাছ মেলায় হয়, চলেন সামনের বছর। আর মহাশোল মাছ খাইনি কোন দিন, পেলে জানিয়েন, চলে আসব।
facebook
ভৈরবে একটা দেশি মাছের মেলা হয় বলে শুনেছি। পাত্তা লাগান।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
এখানে শেরপুরে একটা মাছের মেলা হয় বিশাল। মহাশোল আমি ও খাইনি। তবে পাহাড়ী নদীর বিশাল বাইন- অপূর্ব!
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
শেরপুরের টা নিয়ে শুনেছি, লন যাই পরের বার
facebook
বাংলার পথে পথে ছড়িয়ে থাকা এমন সব মণি-মুক্তোর খোঁজ পেলে সত্যিই মন ভাল হয়ে যায়।
ঠিক। মানবী তো মর্ত্যেই থাকে ! উপরে গেলে তো অন্যকিছু, নাকি?
facebook
দক্ষিণ বঙ্গের হাতিয়া দ্বীপে বাড়ী বলে আমি অনেক মাছপ্রিয়। আমাদের বাড়ীতে অন্য যাই রান্না হোক না কেন, মাছ ছাড়া যেন খাবারে পরিপূর্ণতা আসে না। কিন্তু এখন সব যায়গা তে মাছের পরিমান যে ভাবে কমে আসছে, সে খানে এই মাছ মেলা টিকে আছে দেখে মনে হল, যাক এখনো বাংগালীরা মাছ খাওয়া ভোলে নি। ধন্যবাদ।
মাছ হইচ্ছে যাকে বলে সেরা! মাছে কোন সময় অরুচি আসে না।
facebook
আহারে বাংলার মাছ....!! আমার মা এর কাছে শুনেছি আগে কুমিল্লায় মায়ের ছোট বেলায় নাকি পহেলা বৈশাখের মেলার প্রধান আকর্ষণ ই ছিল মাছ... কে কত বড় মাছ কিনল সেটা ছিল একটা দেখার বিষয় । আর এখন আমাদের অনেকে তো মাছের স্বাদ ই নিতে চায় না...
আহারে বাংলার মাছ....!! মাছে ভাতে বাঙ্গালী!
facebook
লিখাটি পড়ে অনেক ভাল লাগল। ”মাছে ভাতে বাঙালী” বলে কথা।
facebook
খা !
facebook
বাহ! এত বিশাল বিশাল আস্ত মাছগুলো দেখে চোখ জুড়িয়ে গেল।
হ, খেতে আরও টেঁস
facebook
বাড়ির এতোকাছে বসে এই মেলা তবুও দেখা হলো না। শুধু গল্পই শুনে গেলাম। বাসায় আম্মুকে কাজে সাহায্য করে ন যে খালা উনি অবশ্য প্রতিবছরই ছুটি নিয়ে যান। আর ফিরে আসেন একগাদা গল্প নিয়ে। একবার যেতেই হয় দেখছি।
সামনে বছর চলেন যাই, কাজ থেকে ছুটি নিয়েন জাতে গোলাম আজমকে কম খাওয়াতে হয়। ২ কাজ একসাথে হল;
facebook
চলেন যাই! কি আর আছে জেবনে।
facebook
"জনশ্রুতি আছে চারশ বছর আগে...", লেখার মধ্যে এই জনশ্রুতির ব্যাপারটা আমার খুব পছন্দের। অনেকে অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করেন, এটা কি করে আমি বিশ্বাস করলাম। তাদেরকে বুঝাতে খুব কষ্ট হয় যে এটা বিশ্বাসের ব্যাপার না, শত শত বছর ধরে মানুষ একটা কাহিনী লালন করে আসছে, সেটা তুলে আনার ব্যাপার। লেখায়
ফেইসবুক
---------------------------------------------
এক আকাশের নীচেই যখন এই আমাদের ঘর,
কেমন ক'রে আমরা বলো হতে পারি পর. . .
facebook
মাছমিষ্টি-টা সিরাম!!বগুড়ার দৈ-এর সুনাম আছে,কিন্তু, আমার কাছে মিষ্টিটাই বেশি ভালো লেগেছিলো।
হুম, বেশ!
facebook
পোস্টটা পড়তে পড়তে ইলিয়াসের খোয়াবনামার কথা বার বার মনে হচ্ছিলো।
মাছ আমারও খুব প্রিয়
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
নাহ, পড়তেই হবে জলদি।
facebook
পড়েন নাই এখনো? চোখ বন্ধ করে পড়তে বসেন জলদি...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
facebook
প্রথম ছবির মাছটার নাম কী???
জিভে জল এসে গেল
বাঘাইড়
facebook
=
facebook
পাঠকের নিস্পাপ প্রশ্ন, তারেকাণুর ঐ মেলায় কেনু যাওয়া হইছিল
দেখতে, স্রেফ দেখার জন্য। সবাই কি জামাই বা শ্বশুর হলে হবে?
facebook
তারেকাণু কত বড় পরিবারের জামাই জানেন? সে বড় মাছের খোঁজ করবে না তো কে করবে?
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
মাছ খাই না
আপনার জন্য দুঃখ লাগল প্রথমবারের মত!
facebook
ভেজিটেরিয়ান এঙ্গেলে চিন্তা করেন
facebook
আহা কত পদের মাছ, আমাদেরএখানে খালি তেলাপিয়া, আর সমুদ্রের কিছু মাছ ছাড়া আর তেমন কিছু পাওয়া যায়না।দেশি মাছ খুব মিস করি।খেতে গেলেই মাছ খাই বলে কলিগরা বিড়াল নাম দিয়ে দিয়েছে।
বিড়াল বিড়াল মিউ মিউ
facebook
এই রসে আমি পুরাই বঞ্চিত। অ্যাকোয়ারিয়ামে মাছের খেলা ভালবাসি। মাছ খেতে ভালবাসি না। কি আর বলব, মাছ-মাংস কোনটাতেই ঠিক দিল-চসপি নাই!
- একলহমা
facebook
মজা লাগলো যদিও ইলিশ আর চিংড়ি ছাড়া আর কোন মাছ খাই না তবে বড় মাছ দেখতে ভাল লাগে
ইসরাত
facebook
মাছ খুবই ভালোবাসি, কিন্তু এহ্ ! এতোবড় মাছ কেমন জন্তু জন্তু লাগে ! খায় কেমনে এই মাছ
আমার জামাই বাড়িতে এই মাছ আনলে ঢুকতে দিব না ।
তবে ঐতিহ্য ধরে রাখার বিষয়টা ভালো লাগলো ।
এহ
facebook
ছোটবেলায় মাছ খেতে চাইতাম না। মা খুব রাগ করতেন। তবে এখন মাছ খুব ভাল লাগে। তোর মাছের ছবিগুলিও দারুণ লাগলো। কিছু ছবি বোধ করি ফেসবুকে দেখেছি, বিশেষ করে সার্কাসে মোটর সাইকেল আরোহীর ছবিখানা।
facebook
এগুলোর আলাদা আলাদা নাম আছে (বাঘাইড়, তেলাপিয়া ইত্যাদি) তাইলে এগুলোরে মাছ কয় কেন? পানিতে থাকে দেইখা? (স্বপ্নীল সমন্যামবিউলস্ট)
facebook
দেশের মাছ মিস করি
হ
facebook
সচলে আপনি নিয়মিত লেখেন, তাই জিজ্ঞাসা করছি: মাঝে মাঝে টানা লেখা প্রকাশ হয়। কখনো হয় না, এটার বাছাইয়ের পদ্ধতি কি? আর অতিথি থেকে একটা আইডেন্টিটি পাওয়ার প্রসিজার টাই বা কি? (স্বপ্নীল সমন্যামবিউলিসট)
লিখে যান, নিয়মিত প্রকাশিত হলে মডুরা ঠিক করে দেবে
facebook
মাছগুলা খাইতে কেমন তা তো কইলেন না!
খাই নাই তো !
facebook
আপনার লেখা পড়লে মনে হয় সব কিছু ছাইড়া দিয়া পথে নাইমা পড়ি। দেশটারে দেখি।
আমিও তাই করুম
facebook
আপনার সাথে উত্তরবংগ ভ্রমণ মিস করেছি, এই আফসোস জীবনেও যাবে না।
বাংলার পথে সিরিজ নিয়ে একটা বই হোক, এইটা এখন সময়ের দাবী
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
প্রকাশকের পাত্তা নাই
facebook
[আমান ভাইকে ]
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
facebook
আপনি এতো ঘোরার সময় পান কীভাবে অণু ভাইয়া! আপনাকে রীতিমত ঈর্ষা করছি।
-এস এম নিয়াজ মাওলা
পাব কেন! কেড়ে নিতে হয়
facebook
নতুন মন্তব্য করুন