শুনেছি আমার জন্মের সময় পৃথিবীতে এক দেশ ছিল, যাকে ডাকা হত যুগোশ্লাভিয়া নামে, অনেকে আবার বলত ইয়ুগোশ্লাভিয়া। সেখানে স্লাভ জাতিগোষ্ঠীর মানুষেরা থাকত বলেই জানতাম, বছর কয় পরেই শুনি সেই দেশ ভেঙ্গে বেশ কটা আলাদা আলাদা রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে, চলেছে সেখানে রক্তক্ষয়ী লড়াই, গণহত্যা, যুদ্ধের নৃশংসতা। সাবেক যুগোস্লাভিয়াসহ আরও কিছু ভূখণ্ড নিয়ে বলকান পর্বতমালা থেকে শুরু করে দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের বেশ কিছু দেশের সমুদ্রছোঁয়া পর্যন্ত এলাকাকে একসাথে বলা হয় বলকান ( বালকান), সেই এলাকার সব জাতি গোষ্ঠীর মানুষই নিজেদের মাঝে যতই বিদ্বেষ পোষণ করুক না কেন বলকান হিসেবে আত্মগরিমা অনুভব করে যথেষ্ট ( রুমানিয়ার ইতিহাসের সেরা ফুটবলার গিওর্গে হাজিকে বলকানের ম্যারাডোনা বলা হত।), গেল মাসে যাওয়া হয়েছিল বলকানের একাধিক ভূখণ্ডে, আগের চেনা জানা সেদেশীয় বন্ধু যেমন ছিল তেমন পরিচয় হয়েছিল আনকোরা মানুষের সাথেও, তাদের সাথে কথা বলে, আড্ডা দিয়ে খানিকটে জানার চেষ্টা করেছিলাম অতীত এবং বর্তমানের সাথে তাদের মেলবন্ধনে প্রাপ্তি ও অপ্রাপ্তির খেরোখাতা। তারই এক আড্ডার গল্প আঁকছি আজ-
সাবেক যুগোশ্লাভিয়ার অংশ বর্তমানের স্বাধীন রাষ্ট্র স্লোভেনিয়ার পার্বত্য অঞ্চল থেকে ট্রেনে চেপে বিকেলে পৌছালাম ক্রোয়েশিয়ার রাজধানী জাগরেবে, পূর্ব পরিকল্পনা মত সেখানেই দেখা হল অনেক বছরের বন্ধু ক্রোয়াট মণিকা এবং তার খালাতো ভাই দ্রাচেকের সাথে, অস্তগামী সূর্যের সাথে পাল্লা দিয়ে জোরসে গাড়ী হাকিয়ে সে আমাদের নিয়ে গেল সবুজ উপত্যকার মাঝে অবস্থিত নিরিবিলি শহর সামোবরে। সামোবরকে অবশ্য বইপত্রে জাগরেবের উপশহর বার গ্রান্ড জাগরেবের অংশ হিসেবেই দেখানো হয়েছে, উঁচু নিচু পাহাড়ি রাস্তা, শহরের বুক চিরে কুল কুল বয়ে চলেছে সরু নদী, কেন্দ্রের কাছে পানশালা আর রেস্তোরাঁর হিড়িক। আর অতি অবশ্যই জ্ঞানহীন আঁধারের দূত উপাসনালয়ের চূড়া নির্লজ্জ ভাবে দাড়িয়ে আছে ঠিক কেন্দ্রবিন্দুতে।
কাছেই আমার হোটেল, সেদিন আবার মণিকা বাবার মৃত্যুবার্ষিকী, তাই বৃদ্ধা মা, সন্তান এবং পরিবারের অন্যান্যদের নিয়ে পাহাড়ের মাঝে অবস্থিত কবরস্থানে যাবার সময় ঠিক করা আছে তাদের। তাই এক ক্যাফেতে ক্ষণিকের আড্ডা দিয়েই তাদের যেতে দিতে হল পরদিন পুরোটা একসাথে কাটাবার প্রতিশ্রুতি নিয়ে। সত্যিকারের জ্ঞানী এবং জ্ঞানপিপাসু মানুষ ষষ্ঠ পাণ্ডব দা একাধিকবার তাগাদা দিয়েছিলেন জাগরেবের বয়স্ক মানুষদের জিজ্ঞাসা করতে যে তারা মার্শাল তিতোকে মনে রেখেছে কিনা। সেই প্রসঙ্গ তুলতেই অল্প সময়ের মাঝেই তারা শাপসাপান্ত করে গেল দেশের বর্তমান রাজনীতিবিদদের, দ্রাচেক নিজেই একজন সৈনিক ছিলেন স্বাধীনতার সময়কার যুদ্ধে, কিন্তু তার হিসাব মতেও কিছু ক্ষমতাশালী চালবাজ লোক ঠিকই ঝোপ করে কোপ মেরে জাতীয়তাবাদে ঝান্ডা উঁচিয়ে সাধারণ মানুষকে অন্য জাতির বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়ে ঠিকই আঁখের গুছিয়ে নিয়েছে হিসাব কষে, বিশেষ করে ক্রোয়েশিয়ার প্রথম রাষ্ট্রপতির নামে তো সরাসরি অভিযোগ আছে সার্বিয়ার ঘাতক প্রেসিডেন্টের সাথে সমঝোতা করে অনেক কিছু ভাগাভাগি করে নেবার। বরং সেই হিসেবে সাবেক যুগোস্লাভিয়ার অনেক জিনিস অপেক্ষাকৃত ভাল বলল তারা, যেমন ক্রোয়েশিয়ায় অল্প সময় অবস্থানের মাঝেই বেশ কবার ডাস্টবিন থেকে খাবার খুঁজতে দেখেছি স্থানীয়দের, বিশেষ করে বয়স্কদের কিন্তু যুগোস্লাভিয়া আমলে নাকি তারা এমনটা দেখেন নি! আবার বাক স্বাধীনতার কথা বলতেই তাদের মতামত ছিল বাক-স্বাধীনতার বেশী দরকার যখন তোমার জীবন সঙ্কটবহুল, সেই আমলে প্রায় সবার কোন না কোন চাকরি ছিল বুড়োদের দেখা-শোনা করত সরকার, কিন্তু এখন কী হবে?
তাদের বিদায়ের পর খানিকক্ষণ সবুজ পার্ক আর নদীর পার ধরে উদ্দেশ্যহীন হাঁটাহাঁটির ফাঁকে ফাঁকে হালকা কিছু খাবার জায়গার সন্ধানে ছিলাম, সাধারণত নতুন কোথাও গেলে স্থানীয় খাবারেই উদরপূর্তি করার চেষ্টা করি, কিন্তু তার জন্য বেশী সময় ক্ষয় করার পক্ষপাতী নই একেবারেই, পথে ফাস্টফুড লেখা এক দোকানের সামনে বেশ নধর ভুঁড়িওয়ালা এক যুবক দেখি আকর্ণ বিস্তৃত হাসি দিয়ে বলছে আমার দোকানে কাবাব টেস্ট করে যাও যে ভিনদেশী, আবার ফিরে আসবে সামোবরে! আর আমাকে দেখ, আমিই আমার দোকানের খাবারের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন!
সেখানে দেখি ভিড়বাট্টা ভালই, মানে খাবার ভালই হবে হয়ত! ঢুঁকে পড়লাম, সাধারণ খাবারের দোকান, কয়েক ধরনের মাংস রুটি দিয়ে পেঁচিয়ে রোল করে দেয় বা সালাদের সাথে দেয়, আহামরি কিছু না। কিছুমিছু অর্ডার দিয়ে পানীয়ের ফরমাকরতেই জানা গেলে সেখানে সোনালী পানীয় মানে বিয়ার নেই, কিন্তু পার্শ্ববর্তী পানশালা থেকে কিনে এনে সেখানে তারিয়ে তারিয়ে পান করা যাবে! বেড়ে নিয়ম তো! বিশ্বের প্রায় সবখানেই তো এক রেস্তোরাঁর জিনিস অন্য রেস্তোরাঁয় নেবার নিয়ম নেই ! সে কথা খানিকটা সন্দেহ ভরে জিজ্ঞাসা করতেই ব্যাটা দাঁত বাহির করে বলল= বাট, ইউ আর ইন বলকান ম্যান, ফাক দ্য ল অ্যান্ড অর্ডার !
বাহ, মজার লোক তো! গোল্লায় যেতে উৎসাহ জোগানো মানুষদের আমি ব্যপক পছন্দ করি সবসময়ই! নগদে পাশের দোকান থেকে স্থানীয় সোনালী তরল কিনে আবার প্রত্যাবর্তন করলাম সেই মাংস-রুটির সন্ধানে, ভিতরে বেজায় গরম, বাহিরে দুটো টেবিল মতো ফেলা আছে বটে কিন্তু দাড়িয়ে দাড়িয়ে খেতে হবে, তাও সই কিন্তু মুশকিল হচ্ছে জায়গা নেই! একটাতে একজন কোন মতে ভিড়তে পারে বটে কিন্তু স্বয়ং দোকানের মালিক সেই ভুঁড়িবাজ তুড়ি বাজিয়ে ইয়ারবক্সীদের সাথে আড্ডা দিচ্ছে! হাত নেড়ে আমাকেও দাওয়াত দিলে তাদের আড্ডায়, ঢুঁকে পড়লাম একটু কুণ্ঠিত হয়ে, মূল কারণ আমার জন্যই বেচারাদের এখন ইংরেজি বলতে হবে।
বাংলাদেশের নাম শুনে তারা যেমন অবাক তেমন খুশী ফিনল্যান্ডে নাম শুনে! বললে- You are going to take us in European Union, and We Balkans will Fuck you up ! আরে, কী আজব কথা! তা তোমাদের কে চেয়েছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে আসতে? এমনিতেই তাদের অনেক সমস্যা, ক্রোয়েশিয়া না আসলে কী আর এমন ক্ষতি। কিন্তু সেই আড্ডার ৪ ক্রোয়াট প্রায় হা রে রে রে করে তেড়ে উঠে বলল, আমাদের বয়েই গেছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সদস্য হতে, তাতে আমাদের আমজনতার কী এমন লাভ হচ্ছে! বদের বদ রাজনীতিবিদগুলো এই কাজ করছে স্রেফ টাকার জন্য, তারা জানে এইখানে যোগ দিলে কাড়ি কাড়ি ইউরোর বিনিয়োগ আসবে, সেখান থেকে টুপাইস কামান যাবে, মস্ত বড় দাঁও মারা সুযোগ কেন ছাড়বে হাড় বজ্জাতগুলো! খবর নিয়ে দেখ গো এখন থেকেই লেগে গেছে ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে! বাদ দাও ওদের কথা, এস আমরা বলকান জীবনধারা উপভোগ করি!
কী সেই ধারা? কেন - Work! Work!! Drink ! Drink!! Fight !!!
ভারী মজার মানুষগুলো, এক্কেবার সরল! জীবনের মূল আনন্দ নিহিত আছে তাদের আটপৌরে কিন্তু সুখী সৎ জীবনের মাঝে। মারাত্নক রকমের এলাকাকেন্দ্রিক ছোট্ট শহরের বাসিন্দারা, কেবল দেশ না, তাদের কাছে সামোবরের বাহিরে কোন কিছুরই অস্তিত্ব নেই! স্লোভেনিয়া থেকে সদ্য এসেছি শুনে তাচ্ছিল্যে ভঙ্গীতে এখন ঠোঁট উল্টিয়ে বলল- ইয়াক, স্লোভেনিয়া! সেখানে শুধু স্লোভেনরা থাকে, মানুষেরা না !
আবার ভারী কয়েক কিলোমিটার দূরের জাগরেবের বাসিন্দাদের ধুমায়ে গালাগালি করে খুব ভাব নিয়ে জানাল সারা ক্রোয়েশিয়ার মানুষ জাগরেবের নাক উঁচু বাসিন্দাগুলোকে ঘৃণার চোখে দেখে, কিন্তু সামবোরের সাত খুন মাফ, যেহেতু তা সামান্য দূরে!
দুটো জিনিসে সাংঘাতিক মিল পেলাম বাঙ্গালী আর বলকানদের মাঝে- ভীষণ আড্ডাবাজ এবং মারাত্নক অলস! সেই যে আড্ডার গন্ধ পেয়েছে দোকানের মালিক আর নড়ল না পাক্কা এক ঘণ্টা, বরং সেখান থেকেই হাঁকডাক দিয়ে অন্য কর্মচারীদের দিয়ে কাজ করিয়ে নিল, ফাঁকতালে সবার জন্য নতুন পানীয়ও চলে আসল টেবিল ভরে, এবং অবাক হয়ে দেখলাম আমার জন্যও!
ভারী কয়েক মিনিটের পরিচয়, খাবার খেয়েছি হয়ত তাদের টাকায় ১০ টাকার, অথচ পানীয়ের দাম তার চেয়ে বেশী, তারপরও নতুন বন্ধুকে আপ্যায়নের এই সুযোগ ছাড়বে কেন বন্ধুত্বপরায়ণ বলকান! নাহ, ভাল লেগে গেল মানুষগুলোকে।
পরের সময়ের জ্ঞানের ঝুলি আরো সমৃদ্ধ হল বলকানদের নিয়ে, তারা বলল- দেখ বাপু, মাছ ধরার শৈল্পিক সূক্ষ সৌন্দর্য পেতে চাও তো বড়শী দিয়ে ধরলে ধরতেও পার তাদের, কিন্তু আমরা বলকানরা সম পরিমাণ আনন্দ পাব কেবল নিজের জাল পেতে মাছ ধরতে!
আবার তাদের মতে, আমার জমি, কাজেই আমার বাড়ী আমার যেভাবে ইচ্ছে সেভাবে করব, তোমাদের ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে ঢুকলে সেই অধিকার আমার চলে যাবে, দরকার নেই অর্থ, বরং টিকে থাকুক আমার সংস্কৃতি। থাকুক আমার মাথা উঁচু করে স্বকীয় থাকার অধিকার।
সেই ফাঁকেই গোটা শহরের হাল হকিকত সম্পর্কে ঝানু না হলেও মোটামুটি বিশেষজ্ঞ হয়ে গেলাম, বিশেষ করে মেয়র কেমন লোক, কোন বাজারের সবজি বেশী তাজা, গির্জার পাদ্রী কতবড় হারামখোর, কোন পানশালায় শহরের সেরা তন্বীরা যায়, ২৫০ ধরনের বিয়ার পাওয়া যাবে কোন শুঁড়িখানায় ইত্যাদি ইত্যাদি! তাদের দৃষ্টিতে মোটামুটি বলকান বিশেষজ্ঞ হয়ে বললাম, চল হে সেই ২৫০ পানীয়ের ভাগাড়ে, পরের রাউন্ড আমার উপরে----
মন্তব্য
"২৫০ পানীয়ের ভাগাড়ে"
আয় হায় হায়, আমি সেইখানে নাই কেন?
লেখার সময় জোটে কি কইরা!
- একলহমা
যাওয়া হবে
facebook
সেইটা নিয়া একটা পোস্ট দিবেন, কোনো টেক্সট লাগবে না, শুধু শখানেক ফটো হলেই চলবে।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
মডুরা নিজেদের জন্য আটকে রেখে দেবে
facebook
কী স্যাম দা ! কী বুলছেন!
facebook
চমৎকার! চমৎকার!
facebook
আহ, বলকান নিয়ে আমার আগ্রহ অনেকদিনের, বিশেষত বলকানিয়ার গান আর সুরের ধারা বেশ ভালো লাগে। ওদের ওখানে একজন সংগীতজ্ঞ আছেন গোরান ব্রেগোভিচ, বেশ ভাল লাগে তার ফুর করা গান গুলো
রোমানিয়ার লোক সঙ্গীতের সিডি ছিল সংগ্রহে, ভাল লাগত
facebook
বলকান সুন্দরীরা কই ?
আছে
facebook
যে বারে শহরের সেরা তন্বীরা যায়, সেখানে না গিয়ে ২৫০ বিয়ার আআপনাকে টানলো? আপনি কোনো কামের না মিয়া।
যাহোক, ডারু লাগলো।ভিনদেশী সংস্কৃতি জানতে আমার অনেক ভালো লাগে। আপনার পাহাড় সমুদ্র জাদুঘর ব্লগের বাইরে এখানে শুধু মানুষের কথা। আমার শুধু মানুষের কথা শুনতে ভালো লাগে।আরো বলুন
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
কান টানলে মাথা আসে
facebook
নজু ভাই এমন ভাব নিল যেন সে সেরা তন্বীদের বারে যেত! আমরা যেন জানিনা কিছু!
facebook
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
ভুল কী কইছে!
facebook
ক্রোয়েশিয়ার উষ্ণ সৈকত ভ্রমণ করেন নাই - তারেকানু ভাই? তার দু চারিটি দৃশ্যপট (না এঁকে) দিয়ে দিলে আমাদের বিশ্বভ্রমণের আনন্দ হবে।
সম্ভব হয় নি! পরের বার
facebook
নজরুল ভাইয়ের সাথে একমত! হাহ্, সেরা তন্বী-খচিত বারের চেয়ে ২৫০ ধরণের বিয়ার টানলো তারেক অণুকে ! সন্দেহও, শুধুই সন্দেহ
এমন সহজ-সরল পাগলাটে বলকানদের ভালো না বেসে পারা যায়!
লে হালুয়া! একটার সাথে আরেকটা জড়িত!
facebook
মানুষগুলোর সাথে আড্ডা দিতে বড্ড লোভ হচ্ছে। যদিও শুনতে ভালোবাসি। বলতে না।
দারুন লাগলো। এই লেখাটি এখনও শেষ হয়নি নিশ্চয়ই। আরো চলুক।
ধন্যবাদ, জাগরেব নিয়ে লেখার ইচ্ছা আছে, দেখা যাক
facebook
সেরা তন্বীদের বাদ দিয়ে ২৫০ পানীয়ের ভাগাড়
facebook
গুড জব! প্রাণহীন জিনিসের গল্পের চেয়ে জীবন্ত মানুষ আর প্রকৃতির গল্পই আমার বেশি পছন্দ। আমার পাওনা আংশিক পরিশোধিত হল বলে ধরলাম। পুঁথির গল্প পেলে বাকিটা পরিশোধিত হবে বলে ধরা হবে।
অটঃ আমার নামের আগে মিসফিট বিশেষণগুলো না দিলেও পারতেন।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
আর পুঁথি ! দুই দুই দিন যেয়ে জাদুঘর বন্ধ পেয়েছি ! এমনিই কী আর বললাম ব্যাটারা অলস
facebook
ভীষন আড্ডাবাজ এবং মারাত্নক অলস , ভাল লাগলো আমরা একা না এ দুনিয়ায়
হ
facebook
আপনার গল্প শুনে মনে হলো নিজেকেই দেখতে পেলাম অদেখা সেই শহরে।আপনার জায়গায় নিজেকে কল্পনা করেই সুখী হতে হলো,কারন আমারতো আর এমন করে দেশ বিদেশে যাওয়া হবেনা,ঘুরা হবেনা।তবু আপনার লিখা পড়ে পড়ে ঘুরা হবে যাবে সারা পৃথিবীটা এটাও মন্দ না।এই গল্পের সবচেয়ে ভালোলাগা অংশ হলো দোকানের বিজ্ঞাপনদাতার রসিকতা,ভুড়িকে দিয়ে দোকানের বিজ্ঞাপন,হা হা দারুন।তাদের সরলতা ও দারুন ।ভিন দেশী সংস্কৃতি জানতে পারাটাও আনন্দের।ধন্যবাদ সুন্দর একটা লিখার জন্যে।
মাসুদ সজীব
ধন্যবাদ ভাই, অবশ্যই হবে দেখা, ঘোরা, কেবল স্বপ্নটাকে ছেঁড়েন না
facebook
ভালো লাগলো। বলকান শুনলেই কেন যেন যুদ্ধ যুদ্ধ মনে হয়, আর মধ্যযুগের শহরের কথা মনে হয়। মনে হয় ফ্যান্টাসী সিনেমার জগৎ!
রোমানিয়ার কিছু গ্রাম আছে একেবারে মধ্যযুগের সিনেমার সেট মনে হয়
facebook
মানুষ মুছে দিলে প্রকৃতিও নিঃসাড়। শেষ পর্যন্ত সব গল্পই মানুষের। ভালো লাগলো। আরেকটু লম্বা হলে ভালো হতো।
স্বয়ম
মানুষের গল্প মানুষেরই হবে !
facebook
আমরা অলস?
আব্দুল্লাহ এ এম
নাহ, আমি অলস
facebook
অলস মানুষ ভাল পাই। মানুষ সম্পর্কে লিখুন, মানুষ জানলে সংস্কৃতি টের পাওয়া সহজ হয় কিছুটা। লেখা চলুক!
facebook
বাহ....পড়ে ভাল লাগল...
ভালো লাগলো আলসে মানুষদের।
হাই তোলার ইমো নাই
facebook
অনু ভাই ভ্রমন গল্পটা এতোটা সহজ সরল হয়েছে যেন মনে হলো চোখের সামনেই আমি দেখতে পাচ্ছি সব।কে উ যেন দৃশ্য গুলো সাজিয়ে দিলো চোখের সামনে।আপনার চোখ দিয়েই দেখা হয়ে গেল ক্রোয়েশিয়ার মানুষের সংস্কৃতি আর তাদের জীবনের চিন্তাধারা।সবচেয়ে ভালোলাগলে ফাষ্ট ফুড দোকানের মালিকের বিজ্ঞাপনের নুমনা দেখে।নিজের ভুড়িকে পুজি করে কতো হাস্যরত্নক ভাবে উপস্থাপন করলো।আর তাদের সরলতা ও মুগ্ধ হওয়ার মতো।ধন্যবাদ ভাই এমন অভিজ্ঞতাগুলো শেয়ার করার জন্যে।
মাসুদ সজীব
facebook
ভালো কথা- সচলে প্রকাশিত নিজের লেখা এডিট করার প্রসিজারটা কি একটু জানাবেন? (স্বপ্নীল সমন্যামবিউলসট)
হাচল হবার পর পারবেন সম্ভবত
facebook
রোমানিয়ার গ্রামের/মানুষদের গল্প শুনতে চাই। সাথে ফটুকও চাই
আগে তো যাইতে হবে
facebook
যুগোস্লাভিয়ার ফুটবল দল শেষবার ৯০ এর বিশ্বকাপে ছিলো মনে হয়...
বলকান থেকেতো বড় বড় সব মারামারি শুরু হইলো। সেইটার বেলায় তারা কি বলে?
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
বলার আছে অনেক কিছুই, আসিতেছে
facebook
------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।
facebook
শুধুই আড্ডা চাই। আড্ডাবাজ মানুষের গল্প চাই আর সাথে পাগলা পানি !
facebook
নতুন মন্তব্য করুন