কয়েকশ বছর আগের একদিন, বিশাল অচিন গাছের ছায়ার নিচে ঠাই নিয়েছে রঙ-বেরঙের সব পসরা, প্রতিদিনের নির্জন প্রান্তর গমগম করছে মানুষের কোলাহলে, দূর-দূরান্ত থেকে কত ধরনের মানুষ এসেছে- জাত- বেজাতের ব্যবসায়ী, সন্ন্যাসী, বাজনদার, আর সাধারণ মানুষ, সারা বছর ধরে যারা অপেক্ষা করেছে হিন্দুবাঘার মেলার জন্য, বিশেষ করে মহিলাদের উল্লাসভরা মুখ আর শিশুদের নিবিষ্ট কৌতূহলভরা ড্যাবড্যাবে চাহনি নজর কাড়ে সহজেই।
ঝাঁকড়া গাছকে কেন্দ্র করে মূল মেলা, সন্তান না হওয়া দম্পতি বিশেষ করে মহিলারা সারা দিন মাটিতে আঁচল পেতে সাষ্টাঙ্গে প্রমাণ করে থাকে গাছের নিচে এবং প্রার্থনা করে ভূতনাথ ( শিবের আরেক রূপ বা নাম) যেন তার কোল এক টুকরো আলোয় ভরিয়ে দেয়, আলতো বাতাসে খসে পড়া কোন জীর্ণ পাতা যদি পাক খেয়ে পাক খেয়ে তার আঁচলে আশ্রয় নেয়, ব্যস কেল্লাফতে! তার মানে ভূতনাথ তার প্রার্থনা মঞ্জুর করেছেন! প্রার্থনায় বসার আগে অবশ্য তারা সেই গাছের ডালে লোভী দেবতার ভোগ হিসেবে গজার মাছ ঝুলিয়ে দেন, এবং মেলার শেষে এই ভোগ অনেকে মিলে খাওয়া হয়।
(লেখার বাকী অংশ পড়ার আগে অনুগ্রহ করে এই লিঙ্কে যেয়ে মেলার ছবিগুলো উপভোগ করুন, তাহলে পরবর্তী অংশের সত্যিকারের রস আস্বাদন করতে পারবেন)
এই কয়েকশ বছর এক প্রাচীন বাংলার বিকেলে আমাদের নিয়ে গিয়েছিল ভূতনাথের মেলা, ফি বছরের ফাল্গুন মাসের পূর্ণিমাকালীন সময়ে ৩ দিনের জন্য শত বছরের ঐতিহ্যবাহী মেলাটি হয়। ফোকলোরবিদ বন্ধু উদয় শঙ্কর আগেই বলে রেখেছিল মেলাটি সম্পর্কে, সাথে নতুন যাত্রী হিসেবে জুটলেন তোজাম ভাই, রাজশাহী –নওগাঁর বাসে চেপে এক ঘণ্টার মাঝে বলিহার পর্যন্ত যেয়েই লাল-নীল-হলদে তেরপলে ঢাকা মেলার এলাকা দেখা দিল। বাসের রাস্তার পাশেই বিস্তীর্ণ মাঠ, অন্যদিকে ফসলের ভূমি, মেঠো পথে খানিকটা হাঁটতেই মেলা শুরু, তারও ঢের আগে থেকে মেলাই আগত মানুষের লাইন।
প্রথমেই কিছু ভাজা-ভুজি জাতীয় খাবারের দোকান, যাদের দর্শনে তেঁতুলের মত লালা না ঝরলেও মুখগহ্বর সিক্ত হয় বটেই! তার পরপরই থোকা থোকা আঙ্গুরের মত দেখতে এক অজানা মিষ্টির আড়ত। কিন্তু পেটে তখন ছুঁচো ডিগবাজি দিচ্ছে, উদয় ব্যাটা মেলার গজার মাছের ভোগের কথা বলে এতক্ষণ কেত্তন করলেও মেলায় প্রবেশে পর জানাচ্ছে এই প্রসাদ পেতে হলে মাঝরাত্তির পর্যটন অপেক্ষা করতে হবে! কী চিত্তির! শেষে মাছ-ভাতের হোটেল ঢোকা হল, আগুন গরম ভাত, গোটা একটা রুই মাছের পাকা পোনা দিয়ে চমৎকার স্বাদের আলুর ঝোল, সাথে অল্প সালাদ আর চাইলে বোনাস ঝোল, দাম- মাত্র ৪০ টাকা! শায়েস্তা খার আমল না হলেও মগের মুল্লুক পৌঁছে গেছি যেন!
বেশ তরিবৎ খেয়ে জঠরের আগুনের জল ঢেলে একটু মিষ্টি জিলাপি দিয়ে পেঁচিয়ে মুখশুদ্ধি করে বেরোলাম মেলা দেখতে। একদিকে মাঠের জিনিসপত্র, অন্যদিকে গেরস্থালীর, মিষ্টির দোকানের সংখ্যা সবচেয়ে বেশী, সেই সাথে মিষ্টিখাদকরাও পাল্লা দিয়ে রসভোজন করেই যাচ্ছেন, দেখেও সুখ। কচিকাঁচাদের উল্লাস মূলত নাগরদোলা ঘিরে, আর আছে মৃত্যুকূপ, কিন্তু কদিন আগেই দেখা মাছমেলাতে (এই পোষ্ট) সেটির অভিজ্ঞতা হওয়ায় অন্যদিকেই ব্যস্ত রইলাম বেশী।
বাংলাদেশের মানুষ গলার ক্যামেরা ঝোলালেই সাংবাদিক এবং চুল লম্বা হলেই ব্যান্ডের গায়ক মনে করে, এখানেও তার ব্যতিক্রম হল না, কয়েক জন মুরব্বী এসে সরাসরি বললেন, আপনার খবরের কাগজে লিখবেন যে জুয়া এবং পুতুল নাচের নাম করে অশ্লীল নাচ দেখিয়ে এই মেলার সুপ্রাচীন ঐতিহ্যের উপরে আঘাত হেনে নগদ পয়সার কারবার করছে একটি বিশেষ মহল, এর প্রতিবাদে তারা সড়ক অবরোধ করে প্রশাসনের কাছে বার্তা পৌঁছে দিলেও কেউ জুয়া এবং নাচ বন্ধ করতে এগিয়ে আসে নি। তাদের ভাষ্যমতে এইভাবে মেলাটির পরিবেশ কলুষিত বলে প্রচার পাওয়াতে অনেক মহিলা আর মেলাতে আসেন না। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সাধারণ দোকানিরা অথচ আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছে কিছু ক্ষমতাশালীর।
আসলে আজ থেকে নয়, কয়েক দশক ধরে বাঙ্গালীর ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক এই মেলাগুলো ধ্বংসের সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা করে একনিষ্ঠ কাজ করে যাচ্ছে দেশের মৌলবাদী চক্র, সেই হিসেবে কোথাও প্রকাণ্ড গাছ দেখলে তারা চেষ্টা করে গাছটি সমূলে উৎপাটন করতে, কারণে ঝাঁকড়া গাছ মানেই তাকে ঘিরে ছোট বাজার বা হাট বসবে, মানুষজনের সমাগম হবে প্রতিনিয়ত, হয়ত গাছের পূজা হতে পারে, সেখানে থান বসিয়ে মন্দির করা হতেও পারে- তাই এমন গাছ তাদের বিশাল শত্রু। সেই সাথে গত কয়েক বছর শুরু হয়েছে যেখানে লোকমেলাগুলো বসে তারই আসে পাশে সেই সময়েই উদ্দেশ্যপূর্ণ ভাবে ওরস বা ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা, যাতে ধর্মপ্রাণ সরল মানুষদের মেলা সম্পর্কে ভুল কুশ্রী ধারণা দেওয়া যায়। মৌলবাদীরা সবচেয়ে বেশী ভয় করে মুক্তচিন্তার চর্চাকে, তাই তারা সবচেয়ে বেশী চেষ্টা করে তাদের মতের বাহিরের মানুষগুলো যেন কোথায় সংগঠিত না হতে পারে, তারা যেন একাকী থাকে, তাই মেলাগুলো হয়ে দাঁড়িয়েছে তাদের অন্যতম টার্গেটে, এবং সেই সাথে আছে মেলায় হিন্দুয়ানি সংস্কৃতির কথা বলে উস্কানি দেওয়া, অথচ মেলা হচ্ছে বাঙ্গালীর সংস্কৃতি অবিচ্ছেদ্য অংশ। আর সুকৌশলে জুয়া এবং অশ্লীল নাচের অনুপ্রবেশ কে এবং কারা সব জায়গাতে করাচ্ছে তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন আছে, আপাত দৃষ্টিতে গ্রামের মাতুব্বর বা স্থানীয় রাজনৈতিক পাণ্ডা জড়িত থাকলেও মূল শেকড় আরো গভীরে, এবং কারণ মেলাকে সাধারণ জনসাধারণের কাছে অজনপ্রিয় করে তোলা।
কিছু কিছু মেলাতে কৌশলে প্রশাসনকে ব্যবহার করা হচ্ছে গাঁজা-ভাংএর আড্ডা ভাঙ্গার নামে মেলাকে নিস্ক্রিয় করার কাজে।
রাজশাহী বিশ্ব-বিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগের শিক্ষক উদয় বলল যেই কারণে সে যখন ফিল্ড ওয়ার্কের কাজে ক্লাসের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে এই মেলাতে এসেছিল অনেক ছাত্রীই আড়ালে বলেছে- নিজের বোন হলে কি স্যার আমাদের এভাবে আনতেন? মেলাতে কি ভদ্র মেয়েরা যায়?
অথচ গ্রাম্যমেলাতে নরনারীর মাঝে সাধারণত কোন অপ্রীতিকর ঘটনার হদিস পাওয়া যায় না, যেখানে শহুরে মেলাতে ইভটিজিং ঘটে অহরহ। মেলা সম্পর্কে এই ধারণা তৈরি করা হয়েছে সুচিন্তিত ভাবে, ব্যপক উদ্দেশ্য নিয়ে।
মেলার মূল কেন্দ্র সেই অচিন গাছের দিকে যেতে কত যে জাতবেজাতের দোকান চক্ষু সার্থক করল- রক্ত লাল গাঢ় সিদুর, স্নিগ্ধ সফেদ বাতাসা, রোদ পিছলে যায় এমন পিতল আর কাঁসার তৈজসপত্রের সম্ভার, রুদ্রাক্ষের মালা, চন্দনের ফোঁটা, সেই সাথে জ্ঞানগর্ভ পুস্তক! এবং অবশ্যই অসংখ্য ভূতনাথ! স্বয়ং ঈশ্বরের পূজারীদের যেহেতু অর্থের ভীষণ প্রয়োজন তাই বিকিয়ে দেওয়া হচ্ছে তাকেও।
আমার দেশটা এমনই ছিল, হিন্দু মুসলমান এবং অন্যান্য ধর্মের নারী-পুরুষ মিলে পালন করতে সমস্ত উৎসব, মুক্ত কণ্ঠে গান চলত-
গ্রামের নওজোয়ান হিন্দু মুসলমান
মিলিয়া বাউলা গান আর মুর্শিদি গাইতাম
আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম আমরা
আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম।
বর্ষা যখন আইত গাজীর গীত হয়তো
রঙ্গে ঢঙে গাইতি আনন্দ পাইতাম
বাউলা গান ঘাটু গান আনন্দের তুফান
গাইয়া সারি গান নাও দৌড়াইতাম
আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম।
হিন্দু বাড়িনত যাত্রা গান হয়তো
নিমন্ত্রন দিত তারা আমরা যাইতাম
কে হবে মেম্বার কে বা গ্রাম সরকার
আমরা কি তার খবর লইতাম
আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম।
করি যে ভাবনা সে দিন আর পাবো না
ছিল যে বাসনা সুখী হয়তাম
দিন হতে দিন আসে যে কঠিন
করিম দীনহীন কোন পথে যাইতাম
আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম আমরা
আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম।
অথচ আজ ভুলিয়ে দেওয়া হচ্ছে আমাদের বন্ধুত্ব সহনশীলতার ইতিহাস। বুনে দেওয়া হচ্ছে বিদ্বেষ।
সেই অচিন গাছের নিচে ভক্তদের মাতম, মাটিতে পা ঠেকিয়ে প্রণাম চলছে, সেই সাথে চলছে প্রণামির ছড়াছড়ি। বাড়ছে টাকার স্তূপের উচ্চতা, ঢাকির বাদ্যের আওয়াজ, সন্ন্যাসীর হাসি আর পূজারির আহাজারি।
কী নাম সেই অচিন বৃক্ষের? জানার আগ্রহ হল না, থাক না কিছু রহস্য, আবার ফেরার তাগিদ।
প্রাচীন বাংলার সেই সময়টুকু ভীষণ ভাবে উপভোগ করলাম আমরা, সেই সাথে আরেকবার নতুন করে উপলব্ধি হল যে বাংলার মানুষ এমনই, সকল ধর্মের সকল জাতের মানুষ একসাথে মিলেমিশেই থাকবে। যতই চেষ্টা করা হোক বাংলাদেসহ কোনদিন আফগানিস্তান বা পাকিস্তানের মত নরককুণ্ডে পরিণত হবে না, সবকিছুর পরেও বাঙ্গালীর পরিচয় বাঙ্গালীই।
এর মাঝে এক দিদিমা আসলেন কপালে তিলক কেটে দিতে, সেই ফোঁটা নিয়ে আমরা তিন মুসাফির মশগুল হয়ে রইলাম প্রাচীন বাংলায়।
বাংলার পথে সিরিজের বাকী পর্বগুলো এইখানে
মন্তব্য
ভূতনাথের কাছে কোনো মানত না-করেই চলে এলেন ! আহা, বৃথা গেলো মানব-জনম !!
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
কী আর করা ! এক জীবন কি আর সব কিছু হয়?
facebook
চিন্তা নাই, যখন থেকে ভূতনাথ নামে লেখা শুরু করেছিলাম ওনার কিরপাদিষ্টি আছে আমার উপর, মানত পৌঁছে দেবনে!
- একলহমা
facebook
দারুন লাগল।
ধন্যবাদ
facebook
দারুন লিখা।।।।
দারুণ মেলা
facebook
বাবা ভূতনাথ, আমরা অসাম্প্রদায়িক।
আমাদের মের না বাবা
facebook
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
মেলায় যাইরে
facebook
বাংলার মাটি আসলেও অসাম্প্রদায়িক। হিন্দু বা মুসলমান বা বৌদ্ধ বা খ্রীস্টান নয়, প্রথম পরিচয় আমরা মানুষ। এই সম্প্রীতির বন্ধনের মূলে কুঠারাঘাতের ঘৃণ্য প্রচেষ্টায় লিপ্ত যে সকল জারজ শয়তান, তাদেরই মূলে পাল্টা কুঠারাঘাত করার জন্য সচেতন সবাইকে সচেতন ভাবে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সংগ্রাম করে যেতেই হবে, নাহলে পূর্বপুরূষের ঋণ কণামাত্রও শোধ করা যাবে না।
____________________________
facebook
(ভয়ংকর ছোট ডিপজল)!
এই মেলাগুলো ক্রমশ কেমন যেন কৃত্রিম হয়ে যাচ্ছে, সেই নির্মল রঙ আর মানুষের সহজ যাতায়াত বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। আমাদের গ্রামে একটা মেলা হয় ৬৫ বছর ধরে, এবার সেখানে যেয়ে-ও একইরকম মনে হল।
আবার চেষ্টা করতে হবে সেই পরিবেশ ফিরিয়ে নিয়ে আসার
facebook
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
মন খারাপ কেনু!
facebook
করি যে ভাবনা সে দিন আর পাবো না
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
facebook
যেতে হবে এবার। লেখা বরাবরের মতো।
বিশেষত মেলা এবং এ ধরনের উৎসব ঘিরে যে অভিসন্ধি চলমান তা তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ। এই অভিসন্ধিতে আরেকটা পক্ষ আছে। এনজিও। ওই যে ওপরে একজন বল্লেন, কৃত্রিমতা, এটার আমদানিকারক এরাই। যাই হোক, সে আলোচনা অন্যখানে।
মিষ্টি- মণ্ডা দেখাইতেই ফেবুতে পাঠাইছিলেন?
স্বয়ম
facebook
জয় বাবা ভূতনাথ! বাবা ভূতনাথের জয়!!
ডালির ভিতর লাল রং-এর ঐডা কি? কালীর কাটা মাথা মনে হইতেছে, ভয়ঙ্কর চীজ। মৌলবাদীরা একটা সমস্যা বটে, তবে মেলায় জুয়া, খ্যামটা নাঁচ এসব আগেও ছিল, তবে ইদানিং বেড়েছে বেশী। আগে এসব রাত ১১ টার পর শুরু হইত (নারী আর শিশুরা চলে যাওয়ার পর), তবে আজকাল দেখি দিনভর চলে। তবে মৌলবাদীদের সাথে খ্যামটার ব্যাপারটা ঠিক মিলে না, এইডা অতি-সরলীকরণ হয়ে যায়, আমি যতদূর দেখছি মৌলবাদীরা এইসব একটু এড়িয়ে চলতেই কমফোর্ট ফিল করে বরং, আর জুমার খুতবায় হয়ত এই নিয়ে কিছু কথা বলে, কিন্তু মেলার পরিবেশ নষ্ট করার জন্য হুজুররা মিলে খ্যামটা নাঁচের ইন্তেজাম করতেছে এরকম চিন্তা করলে মূল সমস্যা আড়ালেই থেকে যাবে। তবে যতদূর জানি (আমাদের গ্রামে যা হয় আরকি) এইসবের পিছনে লোকাল গডফাদার, চেয়ারম্যান এইসব লোকজন জড়িত থাকে বেশী -- কাঁচা টাকা কামানোর এরকম সুযোগ ফি বছরে একবারই পাওয়া যায়।
-- রামগরূড়
ঐডা দেবীর মুন্ডু!
হ, জড়িত এককালে স্থানীয়রাই থাকত তবে আস্তে আস্তে পটপরিবর্তন হচ্ছে।
facebook
ভয়ংকর ছোট ডিপজলকে দেখে তো ভয় পেলাম না বরং হাসিই পেলো
রস আস্বাদনের আশায় লিংকে ক্লিক করে অণুদি'র খোলা কেশের সেইরাম একখান ফটুকই কেবল
দেখা হলু দারুণ লাগিচ্ছে রে অণু!
ভূতনাথের মেলা সম্পর্কে কিছুই জানা ছিল না। জানাবার জন্য অণুকে
ভয়ংকর ছোট ডিপজল
facebook
"যতই চেষ্টা করা হোক বাংলাদেশ কোনদিন আফগানিস্তান বা পাকিস্তানের মত নরককুণ্ডে পরিণত হবে না, সবকিছুর পরেও বাঙ্গালীর পরিচয় বাঙ্গালীই।"
এই ভরসা যেন কোনদিন ভেঙ্গে যেতে না দেখতে হয়।
মেলার বিবরণ দারুণ লাগল। তোমার কথামত ফেবু-র ছবিগুলো আগে দেখে এলাম। ব্যাপক হয়েছে!
মনে হল ছোটবেলাটা ঘুরে এলাম।
( জিভের জল সামলায় কমেন্টাইতে হইচ্ছে এই যা মুস্কিল )
- একলহমা
হ, খাইতে ইচ্ছে করে, মেলায় যায়রে!
facebook
মানুষগুলোকে দেখুন। বাংলার চেহারা। শহরে যে চেহারাগুলো হারিয়ে যাচ্ছে। সারাদেশ ঘুরে মানুষের এই ছবিগুলো তুলে রাখা যেতো।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
হ, আরও তুলে রাখুম এইবার
facebook
মেলা
ইসরাত
মেলা মেলা!
facebook
-এস এম নিয়াজ মাওলা
facebook
নতুন মন্তব্য করুন