বনভোজনের রফা করতে করতে শেষ পর্যন্ত লিস্টিটা যা দাঁড়াল তা হচ্ছে এই-
খিচুড়ি ( প্যালা রাজহাঁসের ডিম আনবে বলিয়াছে)
আলু ভাজা ( ক্যাবলা ভাজিবে)
পোনা মাছের কালিয়া ( প্যালা রাঁধিবে)
আমের আঁচার ( হাবুল দিদিমার ঘর হতে হাত সাফাই করবে)
রসগোল্লা, লেডিকিনি ( ধারে ম্যানেজ করিতে হইবে)
লিস্টি শুনে আমি হাঁড়িমুখ করে বললাম, ওর সাথে আরেকটা আইটেম জুড়ে দে – টেনিদা খাবে !
ব্যস এসে গেছেন তিনি! সর্বদাই পরের মাথায় কাঁঠাল তো কাঁঠাল, পারলে পৃথিবী ভেঙ্গে খাবেন। একবার যেই বলেছি, তুমি খাওয়াবে?
সাথে সাথে পিঠের উপরে পেল্লাই এক চড় মেরে বলল, বদনাম দিস নি বলে দিচ্ছি! আমি টেনিরাম শর্মা – কাউকে কক্ষনো খাওয়াই না – নিজেই খেয়ে থাকি বরাবর। এ হচ্ছে আমার নীতি মানে প্রিনসিপাল। তোকে খাওয়াতে যেয়ে আমার প্রিনসিপাল নষ্ট করব!
আবার বনভোজনের ব্যাপারে বললে - "সব মিলিয়ে চাঁদা উঠেছে দশ টাকা ছ আনা- এ দিয়ে বনভোজন করবি ?? ট্যাঁকখালির জমিদার সব..."
আমার বলতে ইচ্ছে করলো তুমি দিয়েছো ছআনা পয়সা মাত্র কিন্তু বললে গাল তো গাল, গালপাট্টা পর্যন্ত উড়ে যাবে।
তার ধ্যান জ্ঞান হচ্ছে খাওয়া, মানে কিনা পরের পয়সায় খাওয়া আর সেই সাথে পরোপকার করা, যাকে বলে সুপারভাইজ! পৃথিবীর প্রচণ্ডতম বিভীষিকা – আমাদের পটলডাঙার টেনিদা ! পুরো ছয় হাত লম্বা খটখটে জোয়ান। গড়ের মাঠে গোরা ঠেঙ্গিয়ে এবং মোহনবাগান হারলে রেফারি পিটিয়ে স্বনামধন্য। তিনিই আমার মানসলোকের নায়ক।
টেনিদা আমি পড়ি প্রায় প্রতিদিনই, হাগনকুঠির কমোডের পাশে যে ছোট্ট বইয়ের তাকটা আছে গ্যারফিল্ডের কমিকসহ হালকা বইতে ভরা, তার মাঝে নক্ষত্রের মত জ্বলজ্বল করে নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের টেনিদা সমগ্র, যার আবেদন বিন্দু মাত্র ম্লান হয় নি গত দেড় দশকে, বরং টেনিদার সাহচর্যের আবেদন বাড়ছে দিনকে দিন। কিন্তু কেন? কারণ কি এই যে টেনিদা সমাজের প্রচলিত নিয়মকে থোড়াই কেয়ার করে নিজেরভ দর্শনে গ্যাঁট হয়ে বসে থাকেন? নাকি ইচ্ছা মত ঘুড়ির সাথে আকাশে উড়েন, হাতির পিঠে বনে বেড়াতে যান, প্লেনে চেপে মামার বাড়ী যান আর দুমদাম অ্যাডভেঞ্চারের দেখা পান সেই কারণে?
জানি না! জানতে বয়েই গেছে আমার! শুধু জানি সেই নির্মল রসঘন গল্পগুলো পড়ার সময় মধুর কৈশোর ঘিরে ধরে পেলব মনকে, ভালো লাগে, চারমূর্তির সাথে বেরিয়ে পরতে ইচ্ছে করে যন্ত্রজীবনকে কাঁচকলা দেখিয়ে! টেনিদা একা না, ভালবাসি ঢাকাইয়া হাবুল সেন, প্যালারাম, ক্যাবলা সকলকেই। সেই শিষ্যদের সাক্ষ্যেই বেরিয়ে আসে ভজহরি মুখুজ্যে ওরফে টেনিদার আসল পরিচয় – কারো অসুখ হলে টেনিদা নিজের স্বাস্থ্যঝুকি অগ্রাহ্য করে সারিয়ে তুলবেন অন্যদের, বস্তিতে আগুন লাগলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আটকে পড়া শিশুকে উদ্ধার করবেন, ক্রিকেট মাঠের ক্যাপ্টেন, ফুটবল মাঠের ত্রাস।
ভিমরুল শুদ্ধ জামরুল খেয়ে হজম করে ফেলা টেনি দা যখন সমস্ত চিনাবাদাম শেষ করে আনমনে খোলা চিবোতে থাকেন কুড়কুড় করে তাকে মর্ত্যের মানুষ মনে হয় বইকি!
আর নামের কী সব বাহার ! ভোলা অসম্ভব বর্ণিল সেই চরিত্রগুলোকে- অবকাশরঞ্জনী নামের বাদুড়, স্বামী বিটকেলানন্দ, খগেন মাশ্চটক, ঘচাং ফু, শেঠ ঢুন্ডুরাম, গজেশ্বর গাড়ুই, ম্যাকাদিনি বেনিহিতো অ্যাসপারাগাস ডি প্রোফান্ডিস ওরফে হনুলুলুর মাকুদা , বিচ্ছু কম্বল, চন্দ্রবদন চম্পটী, ঝুমুরলাল চৌবে চক্রবর্তী যে কিনা তাদের বলে ছিল -তোমরা হচ্ছ আমার ছোট ভাইয়ের মত, আদর করে কান-টান মলে দিলেই বা কী করতে পারতে! তার বন্ধু কিংবা ঝাউ বাংলোর রহস্যে সাতকড়ি সাঁতরা , তার বাবা পাঁচ কড়িসাঁতরা, ঠাকুরদা তিন কড়ি সাঁতরা, এককড়ি সাঁতরা, এবং হয়ত যার বাবার নাম মাইনাস হতে পারত।
আবার নতুন নতুন গুল দিয়ে জাহাবাজ নাম বানাতে টেনিদার জুড়ি কেবা আছে! যখন জিজ্ঞেস করতেন - "দুনিয়ার সবাইকে তুই চিনিস ?? ফ্রান্সের সানাইওয়ালা মসিঁইয়ে প্যাঁকোর সাথে তোর পরিচয় আছে ?? লন্ডনের মুরগির দোকানদার মিস্টার চিকেনসনকে চিনিস তুই ??" কিংবা জাপানি গাইয়ে তাকানাচি? তখন আমরা বিমুগ্ধ শ্রোতা!
অবশ্য তাকেও খাবি খাইয়ে দিয়েছিল চারমূর্তির স্বামী ঘুটঘুটানন্দ- তার গুরু ডমরু ঢক্কা পট্টনানন্দ- গুরুর গুরু উচ্চন্ড মার্তন্ড কুক্কুট ডিম্ব ভর্জনন্দর নাম!
সেই সাথে চমৎকার বাস্তবসম্মত নামের সংগঠনগুলো - ঘুঁটে পুকুর ফুটবল ক্লাব, চিংড়িহাটা হিরোজ, চোরাবাগান টাইগার ক্লাব, পটলডাঙ্গা থান্ডার ক্লাব, বাবা কচুবনেশ্বর, নেংটিশ্বরীর লেজ! কিংবা জাপানী অধিকৃত টিকটিকির ডিম, থুড়ি টিড্ডিম ! আর সেগুলো যাবেন কীভাবে?
ঘুঁটে পাড়া কোথায়? কেন গোবরডাঙ্গার কাছে ! ওখান থেকে দশ মাইল হেঁটে, দুই মাইল দৌড়ে, কিন্তু কেন দৌড়ে তার কৈফিয়ত দেওয়া যাবে না।
ধ্যাধ্যেড়ে কালীকেষ্টপুরে কীভাবে যাবেন? টেনিদা বললে খুব সোজা রাস্তা, প্রথমে আমতা চলে যাবি, সেখান থেকে দামোদরে দশ মাইল সাঁতার কাটবি, তারপর ডাঙ্গায় উঠে চল্লিশ মাইল পচাত্তর গজ সাড়ে এগারো ইঞ্চি হাঁটলেই, ধ্যাধ্যেড়ে কালীকেষ্টপুরে পৌঁছে যাবি।
চেঙ্গিস খানের সাথে হ্যামিলনের বাশিওয়ালার মিলন ঘটালেন টেনিদার স্তোরিয়া দে মোগোরা পুদিচ্চেরি বোনানজা বাই সিলিনি কামুচ্চি বইটি পড়ে! ইতিহাসের কত অজানা অধ্যায় প্রকাশ পেত না টেনিদা না থাকলে!
গানের ব্যাপার তারা সবাই এক পায়ে খাড়া, যদিও প্রভাত সঙ্গীতের ফলে তাদের ট্যাঁকে টাকা এসেছিল কিন্তু গানের সুখ্যাতি আসে নি, ক্ল্যাসিকাল ভাষায় প্যালারাম বলেছিলেন তার রবীন্দ্রসঙ্গীত গাবার পর ঝাউবাংলোর সাতকড়ি সাঁতরার প্রশংসা -
বেশ গাইছ তো! তোমার অরিজিনালিটি আছে। মানে গানটা রবিঠাকুরের হলেও বেশ নিজের মতো সুর দিয়েছ!
চটব না খুশী হব- বুঝতে পারলুম না।
আবার একবার টেনিদা নাকি অ্যায়সা কীর্তন ধরেছিল যে তার প্রথম কলি শুনেই চাটুজ্যেদের পোষা কোকিলটা হার্টফেল করে,
আর হাবুল- প্যালার যৌথ সঙ্গীত শুনে নেপালি ড্রাইভার দারুণ আটকে হাঁই হাঁই করে উঠে বলেছিল , অমন বিচ্ছিরি করে চেঁচিয়ে চমকে দেবেন না বাবু, খাঁড়া পাহাড়ি রাস্তা – শেষে একটা অ্যাকসিডেন্ট করে ফেলব!
যার সাথে কিছু মধুর কথোপকথন সর্বদাই মনের মুকুরে থাকে-
হঠাৎ ডেকে জিজ্ঞেস করলাম – আচ্ছা ড্রাইভার সাহেব,
আমি ড্রাইভার নই, গাড়ীর মালিক। আমার নাম বজ্রবাহাদুর।
- আচ্ছা বজ্রবাহাদুর সিং-
সিং নয়, থাপা।
তারমানে শিংওয়ালা নিরীহ প্রাণী নয়, দস্তুরমত থাবা আছে। মেজাজ আর গলার স্বরেই সেটা বোঝা যাচ্ছিল।
বেচারা প্যালারাম মেজাজওয়ালা দাদা মানে সংক্ষেপে মেজদা যখন বলতেন যাও জাম্ববান, তোমার দাদা হনুমান তোমায় ডাকছে, দুজনে মিলে এখন লঙ্কা পোড়াও গে তখন বাহির এসে অন্যদের সাথে বাহাদুরি নেবার চেষ্টা করত জার্মান বলে হিটলার- বার্লিন- নাৎসি- কটাকট! আবার খেলার মাঠে জবড়জং পোশাক পরে যখন প্যালা বলছে, টেনিদা এসব পরে তো হাটতেই পারছিনা রান নেব কিভাবে?
টেনিদার উত্তর - কেন? দৌড়াবি! হাটতে না পারলে দৌড়ান যায়না বুঝি?
ছিলেন কুট্টি মামা ওরফে গাজাগোবিন্দ হালদার আর হঠাৎ কবি ফুচু দা। যদিও কবিতা এবং কবি নিয়ে টেনিদার কিছু সংলাপ বাধিয়ে রাখার মত-
টেনিদা বলল আমি এখন ভীষণ ভাবুক- ভাবুক বোধ করছি!
ভাবুক- ভাবুক শুনে আমার খুব উৎসাহ হল, তুমি এখন কবিতা লিখবে বুঝি?
টেনিদা বিরক্ত হয়ে বলল, দুত্তোর কবিতা! ও-সবের মধ্যে আমি নেই । যারা কবিতা লিখে তারা আবার মনিষ্যি থাকে নাকি? তারা রাস্তায় চলতে গেলেই গাড়ী চাপা পড়তে পড়তে বেঁচে যায়, নেমন্তন্ন বাড়ীতে তাদের জুতো চুরি হয়, বোশেখ মাসে গরমে যখন লোকের প্রাণ আইঢাই করে – তখন তার দোর বন্ধ করে পদ্য লিখে- বাদলরাণীর নূপুর বাজে তাল-পিয়ালের বনে! দুদ্দুর!
আমি আশ্চর্য হয়ে বললুম, বোশেখ মাসের দুপুরে বাদলরাণীর কবিতা লেখে কেন?
টেনিদা মুখটাকে ডিম ভাজার মতো করে বললে, এটাও বুঝতে পারলি না? বোশেখ মাসে কবিতা না লিখে পাঠালে আষাঢ় মাসে ছাপা হবে কী করে? যা-যা কবিতা লেখার কথা আমাকে আর তুই বলিস নে । যত্তো সব!
যদিও আমার সবচেয়ে প্রিয় কবিতাগুলি একটি পেলাম টেনিদার এক উপন্যাসেই যা শুনে সবাই বেশ উৎসাহই দিয়েছিল!
ওগো চাঁদিনী রাতের পাইন -
ঝলমল করছে জ্যোৎস্না
দেখাচ্ছে কী ফাইন!
শিক্ষকরা অবশ্য হীরেকে কাঁচ ভেবে ভুল করেছিলেন, একজন তাকে বলতেন ফক্স মানে সিরিগাল! বলতেন , "বৎস ভজহরি, জগদীশ্বর কি তোমার স্কন্ধের উপরে মস্তকের বদলে একটি গোময়ের হাঁড়ি বসাইয়া দিয়াছেন?". পণ্ডিতমশাই একবার ওকে গো শব্দরূপ জিজ্ঞেস করায় বলেছিল গৌ- গৌবৌ – গৌবর! শুনে পণ্ডিত মশাই চেয়ার থেকে উল্টে পড়ে যেতে যেতে সামলে নিয়েছিলেন। আর ওকে বলেছিলেন - কী বলেছিলেন, সেটা না-ই বা শুনলে।
ভাল মানুষ হাবুল সেনের অকাট্য যুক্তি ভাউয়া ব্যাঙ-এর মানে হইল গিয়া ভাইয়া ব্যাঙ, নায়ক বিজয় কুমারের বলা খুন – পুলিশ – ডাকাত, সাথে সাথে অন্যদের অ্যাম্বুলেন্স- ফায়ার বিগ্রেড- সৎকার সমিতি, তার পিছন পিছনে আসা মড়ার খাটিয়া, হরিসংকীর্তনের দল, আরও অনেক অনেক মণিমাণিক্যে কান জুড়োয়, চোখ জুড়োয়, সবচেয়ে বড় কথা প্রাণ জুড়োয় প্রতিদিন, থেকে থেকেই!
ভাল লাগে ভাবতে যে টেনিদাই আমার নায়ক, আরও ভাল লাগে যখন জানি অনাগত ভবিষ্যতেও সেই স্থানে উনিই থাকবেন!
থ্রি চিয়ার্স ফর পটলডাঙ্গা!
ডি লা গ্রান্ডি মেফিস্টোফেলিস! ইয়াক!! ইয়াক !!!
মন্তব্য
ডি লা গ্রান্ডি মেফিস্টোফেলিস! ইয়াক!! ইয়াক!!!
এই পোস্টরে টেনিদার সারাংশ বলা চলে। সেই পুরাতন কতো কতো স্মৃতি মনে করায়ে দিলেন। আবার পড়তে হবে টেনিদা।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ডি লা গ্রান্ডি মেফিস্টোফেলিস! ইয়াক!! ইয়াক!!!
facebook
পড়তে পড়তে যে হাসি টা দিয়েছিলাম সেটা আবার মনে করাইয়া দিলেন
facebook
মেফিস্টোফিলিস ইয়াক ইয়াক!
ডি লা গ্রান্ডি মেফিস্টোফেলিস! ইয়াক!! ইয়াক!!!
facebook
ডিম ভাজার মত মুখ, আলুসেদ্ধর মত নাক এই ধরণের বর্ণনাগুলা আলাদা একটা আনন্দ দেয়
ডি লা গ্রান্ডি মেফিস্টোফেলিস! ইয়াক!! ইয়াক!!!
ডি লা গ্রান্ডি মেফিস্টোফেলিস! ইয়াক!! ইয়াক!!!
facebook
"ওগো চাঁদিনী রাতের পাইন -
ঝলমল করছে জ্যোৎস্না
দেখাচ্ছে কী ফাইন!"
আহা! আহা!
টেনিদা হচ্ছে একটা পার্ফেক্ট বুড়ো-না-হওয়া অমর মানুষ।
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
ডি লা গ্রান্ডি মেফিস্টোফেলিস! ইয়াক!! ইয়াক!!!
facebook
ডি লা গ্রান্ডি মেফিস্টোফেলিস! ইয়াক!! ইয়াক!!!
ডি লা গ্রান্ডি মেফিস্টোফেলিস! ইয়াক!! ইয়াক!!!
facebook
থ্রি চিয়ার্স ফর পটলডাঙ্গা!
[শিরোনাম দেখে ভাবছি, না জানি কত বঙ্গললনা বুকের মধ্যে ঝুটিওলা ছবিখানা চেপে ধরে "অণু'দা, আমার নায়ক" ভাবতে ভাবতে হাপুস নয়নে ঘুমিয়ে যায় ]
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
ডি লা গ্রান্ডি মেফিস্টোফেলিস! ইয়াক!! ইয়াক!!!
(আহেম )
facebook
আহা, টেনিদা, আমার টেনিদা !
ডি লা গ্রান্ডি মেফিস্টোফেলিস! ইয়াক!! ইয়াক!!!
facebook
নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে মনে হয়েছিল এক ভয়ংকর ক্ষতি হয়ে গেল আমার। আর কোনদিন চারমূর্তির কাহিনী সৃষ্টি হবে না, আমার হিরো টেনিদা হারিয়ে গেল - এ মানা খুব কঠিন লেগেছিল । সেই বেদনা আজো একইভাবে টের পাই। তবে টেনিদার পাশাপাশি তার স্রষ্টার আর-ও একটা লেখার একনিষ্ঠ পড়ুয়া ছিলাম - দেশ পত্রিকায় নিয়মিত বের হত তখন - সুনন্দর জার্নাল। সে লেখা ছিল টেনিদার গল্পগুলির থেকে একেবারে ভিন্ন স্বাদের। অবাক হয়ে যেতাম তখন ভেবে যে কি করে এক-ই লোক এই দু'রকম লেখাই লিখতে পারেন!
২রা আগস্ট এই অসাধারণ স্রষ্টার জন্মদিন ছিল।
অণুদাদাকে অনেক ধন্যবাদ কৈশোরের সেই অসামান্য দুই শ্লোগান-এর উজ্জ্বল উদ্ধারের জন্য
থ্রি চিয়ার্স ফর পটলডাঙ্গা!
ডি লা গ্রান্ডি মেফিস্টোফেলিস! ইয়াক!! ইয়াক !!!
- একলহমা
ডি লা গ্রান্ডি মেফিস্টোফেলিস! ইয়াক!! ইয়াক!!!
facebook
ডি লা গ্রান্ডি মেফিস্টোফেলিস! ইয়াক! ইয়াক!
হাবুল সেনের মেকুড়ে হুরুম জাতীয় একটা ডায়ালগ ছিল না?
হ
ডি লা গ্রান্ডি মেফিস্টোফেলিস! ইয়াক! ইয়াক!
facebook
‘ওগো চাঁদিনী রাতের পাইন -
ঝলমল করছে জ্যোৎস্না
দেখাচ্ছে কী ফাইন!’
আহা টেনিদা। কত সময় পার করেছি একসাথে। আহা
স্বয়ম
ডি লা গ্রান্ডি মেফিস্টোফেলিস! ইয়াক! ইয়াক!
facebook
ডি লা গ্রান্ডি মেফিস্টোফেলিস! ইয়াক!! ইয়াক!!!
টেনিদা কি যে অসাধারন লেখা, যখনই মন খারাপ হয় তখন টেনিদা সমগ্র খুলে বসি, হাসতে হাসতে মন খারাপ যে কোথায় পালায়
ইসরাত
ডি লা গ্রান্ডি মেফিস্টোফেলিস! ইয়াক! ইয়াক!
facebook
সকালবেলাতেই মন ভাল হয়ে গেল এই লেখা পড়ে দারুণ পুদিচ্চেরি লেখা
ডি লা গ্রান্ডি মেফিস্টোফেলিস! ইয়াক! ইয়াক!
facebook
আহা কি একটা বই আছিল। যতবার পড়ছি, পুরা খ্যাক খ্যাক খ্যাক কইরা হাসছি। ঘনাদাকে নিয়াও একটা লেখা দিয়েন।
টেনিদা সমগ্র দেশে ফেলে এসেছি ভুলে, এইবার কেউ দেশে গেলে টেনিদা, ঘনাদা, শিব্রাম আর সুকুমার সমগ্র নিয়া আসাতেই হবে।
ডি লা গ্রান্ডি মেফিস্টোফেলিস! ইয়াক! ইয়াক!
facebook
ই-বুকে চলবে? টেনিদার সমগ্র আছে পিডিএফে। বাকীগুলোর খোঁজ করি নি, তবে আপনার লাগলে খোঁজ করে দেখতে পারি।
পফেসর সাব চলবে মানে? দৌঁড়ুবে, লিংকটা দিবেন পিলিঈঈজজজ
এইখানে বোধহয় লিংক দেয়া যাবে না - দিসিলাম, মডু পাশ করেনি। আপনাকে বার্তা পাঠালে কি যাবে? না গেলে আমাকে আপনার মেইল অ্যাড্রেসটা দিয়েন, লিংক পাঠিয়ে দেবো -
অথবা ফেবুর বইপড়ুয়া গ্রুপেও লিংক আছে - নিতে পারেন।
মেইলে পাঠায়ে দেন
facebook
খুব বেশি খায় এমন মানুষ দু'চোখের বিষ! কিন্তু খাই খাই করা টেনিদাকে কেন যে এত্তু ভালু লাগে বুঝিনা
টেনিদাকে নিয়ে একটা সিনেমা হয়েছে দেখে মজা পাইনি।
facebook
গাড়িতে যে কয়টি বই রাখি জ্যামে পড়ার জন্য তাঁর মধ্যে এটি সবচেয়ে বেশি পড়া হয়। আমার খুব পছন্দ ক্রিকেট মানে ঝিঁঝিঁ পোকা গল্পটি। হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খাই যতবারই পড়ি।
ডি লা গ্রান্ডি মেফিস্টোফেলিস! ইয়াক!! ইয়াক!!!
ডি লা গ্রান্ডি মেফিস্টোফেলিস! ইয়াক! ইয়াক!
facebook
ডি লা গ্রান্ডি মেফিস্টোফেলিস! ইয়াক! ইয়াক!
facebook
আপনি পারেনও অনু ! কোন সে সূদুর থেকে টেনে হিঁচরে পূরনো স্মৃতিগুলোকে বের করে এনে টাটকা বানিয়ে ফেলেন। গুচ্ছের ঈদসংখ্যা কিনেছি ছুটির সাত দিনে পড়ে ফেলবো বলে। কিন্তু এখনতো মনে হচ্ছে টেনিদা আটকে ফেলবে আমাকে আবার !! আপনি যে কি না !!!
স্মৃতি কাতরতায় ডুবিয়ে মারা লেখাটির জন্য অনেক ধন্যবাদ অনু।
ডি লা গ্রান্ডি মেফিস্টোফেলিস! ইয়াক! ইয়াক!
-----------------------------------------------
কামরুজ্জামান পলাশ
ডি লা গ্রান্ডি মেফিস্টোফেলিস! ইয়াক! ইয়াক!
facebook
চাঁদ চন্দ্র চক্রধর
চন্দ্রকান্ত নাকেশ্বর,
নিরাকার মহিষদল
ছলছল খালের জল,
ত্রিভুবন থরথর,
চাঁদে চড়, চাঁদে চড়
উড়ুম্বর মানে অম্বর হতে উড়ন্ত আক্রমণ
পুঁদিচ্চেরি মানে খুব সাংঘাতিক
এগুলোর কোন বিকল্প পেলাম না আজ পর্যন্ত
ডি লা গ্রান্ডি মেফিস্টোফেলিস! ইয়াক! ইয়াক!
facebook
ডি লা গ্রান্ডি মেফিস্টোফেলিস! ইয়াক!! ইয়াক!!!
-এস এম নিয়াজ মাওলা
ডি লা গ্রান্ডি মেফিস্টোফেলিস! ইয়াক!! ইয়াক!!!
facebook
আজকেই ড: কৈরীর কাছ থেকে ফেরার পথে বাসে বসে কিন্ডলে পড়ছিলাম টেনিদা সমগ্র- হাসি চেপে রাখতে না পারায় আশেপাশের লোকজন দেখি বেশ সন্দেহজনক দৃ্ষ্টিতে তাকাচ্ছে! একবার ইচ্ছে হয়েছিল ডি লা গ্রান্ডি মেফিস্টোফেলিস - ইয়াক!! ইয়াক!!! বলে চিৎকার দেয়ার!!! পরে সামলে নিয়েছি।
আহা, পটল আর শিঙিমাছের ঝোল খাওয়া প্যালারাম সহ চারমূর্তির কথা কী ভোলা যায়!!
ডি লা গ্রান্ডি মেফিস্টোফেলিস! ইয়াক! ইয়াক!
facebook
গ্যারফিল্ডের সাথে কিছু নন্টে ফন্টে ও রাখবেন, ভাল লাগবে
টেনিদার তুলনা টেনিদাই ।
ডি লা গ্রান্ডি মেফিস্টোফেলিস! ইয়াক! ইয়াক!
facebook
টেনিদা অদ্ভুদ অভিশাপ!!!
পিডিএফ টা খোলা দুদিন ধরে। একটু একটু করে পড়ি।
পড়ে ফেললেই শেষ! না না, টেনিদা কখনও হয় না শেষ...
ডি লা গ্রান্ডি মেফিস্টোফেলিস! ইয়াক! ইয়াক!
facebook
হেহেহেহে ঘণুদা লিখেছেন টেনিদা কে নিয়ে
আহা আহা!
তবে টেনিদার সেই চৈনিক রহস্যের কথা লিখলেন না যে?
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
ডি লা গ্রান্ডি মেফিস্টোফেলিস! ইয়াক! ইয়াক!
facebook
নতুন মন্তব্য করুন