দক্ষিণ গোলার্ধের বৃহত্তম হাঙর সমাবেশ !

তারেক অণু এর ছবি
লিখেছেন তারেক অণু (তারিখ: শুক্র, ০৯/০৮/২০১৩ - ২:৪৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

DSC03340

প্রতি বছর চেয়ার ভেঙ্গে পড়ে যেয়ে ২৫ জন মানুষের মৃত্যু ঘটে সারা বিশ্বে।

প্রতি বছর রুটি গরমের টোস্টার বিস্ফোরিত হয়ে ৩০ জন মানুষের মৃত্যু ঘটে সারা বিশ্বে।

প্রতি বছর সারা বিশ্বে ৩ -৫ জন মানুষের হাঙরের কারণে মারা যায়!

আর প্রতি বছর মানুষের হাতে মৃত্যু ঘটে ১০০ মিলিয়ন হাঙরের!

এই কথাগুলো লেখা ছিল মহাসমুদ্রের তীরে গড়ে ওঠা দক্ষিণ গোলার্ধের বৃহত্তম শার্ক সেন্টার বা হাঙর প্রদর্শনী কেন্দ্র উসাকাতে, স্থান ডারবান, দক্ষিণ আফ্রিকা। সেদিন কাক ভোরে ডারবান মহানগরী পৌঁছেছি জীবনে প্রথমবারের মত, সাথে অস্ট্রেলিয়ান তরুণী ডোমিনিকা দেবস্কায়া। ( গেছিলাম মোজাম্বিকের রাজধানী মাপুতোতে সচল পুলিশ কল্যাণ ফৌজদারের সাথে দেখা করতে, যা বলেছি এই পোস্টে , ফেরার পথে ঝিমোচ্ছি বাসের সামনের সীটে, হঠাৎ পাহাড়ি ঝিরির কুলকুল শব্দ মূর্ত হয়ে উঠল ঝলমলে এক স্বর্ণকেশীর কণ্ঠে- কী ক্যামেরা তোমার? একটু দেখি? সেই থেকেই বন্ধুত্ব ডোমিনিকার সাথে। পেশায় ভবঘুরে আলোক চিত্রগ্রাহক, মানে বিভিন্ন দেশ ঘুরে সেখানের ছবি নানা পত্রিকায় পাঠিয়ে সেই টাকা দিয়েই কোনমতে থাকা, খাওয়া, ঘোরাঘুরি চলে যায় তার, এর আগে বেশ কিছু দিন ব্রাজিলে ছিল , সেখানের বয়ফ্রেন্ডের সাথে সম্পর্ক চুকে গেছে চিরতরে এই কথাও জানিয়ে দিল পরিচয়ের কয়েক মিনিটের মাঝে। আর কী ! সাথে পর্তুগাল-ব্রাজিলের বিশ্বকাপ ফুটবল খেলার ২টি টিকিট ছিল, বললাম একটা টিকেট এক্সট্রা আছে, চাইলে ডারবান আসতে পার খেলার ছবি তুলতে। ব্যস, আমরা এখন ডারবানে, মানে ২০১০র জুনের শেষ দিকে।) , খেলা শুরু হবে বিকেলের শেষে, হাতে সময় থাকায় কয়েকটা জায়গা টোটো করা হল, বিশেষ করে প্রকৃতি জাদুঘরে বিলুপ্ত ডোডো পাখির স্টাফ করা দেহ দেখার অভিজ্ঞতা আরেকবার মনে করিয়ে দিল মানুষের হৃদয়হীনতা এবং নির্বুদ্ধিতার কথা।

DSC03317

সকালের লাজুক সূর্য তখন সাগরের বেলাভূমিতে আবির্ভূত হয়েছে স্বমহিমায় অগ্নিরথে, দক্ষিণ গোলার্ধে তখন শীতকাল চললেও আফ্রিকার দক্ষিণ উপকূলে শীত খুব একটা সুবিধার করতে পারে না বোঝাই যাচ্ছে, সাগরের হাওয়ার পরশের যদিও ঘর্মাক্ত হবার হাত থেকে রেহাই দিল আমাদের, কিন্তু ছায়াময় কোথাও বিশ্রাম নেবার কথাও স্মরণ করিয়ে দিচ্ছিল থেকে থেকে। দূর থেকে দেখা গেল উসাকা মেরিন ওয়ার্ল্ডের বিজ্ঞাপন, ডোমিনিকাই জানাল এটা বিশ্বের ৫ম বৃহত্তম অ্যাকোয়ারিয়াম আর হাঙরের সংগ্রহশালা হিসেবে এই গোলার্ধের বৃহত্তম, সেই সাথে আছে সীলের নাচ, পেঙ্গুইনের হাটা, কুমির, সাপ, প্রবাল ইত্যাদি ইত্যাদি প্রাণীর দর্শন লাভের ১০০% সম্ভাবনা।

DSC03350

দেখলাম প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সীলের কসরত, পেঙ্গুইনের থপ থপ করে হেলেদুলে হাটা, বিশেষ অ্যাকরিয়ামে রাখা সামুদ্রিক হিংস্র বাইন মাছ মোরে ইলের কদর্য খেমো (যার কথা প্রথম জেনেছিলাম তিন গোয়েন্দার বই পড়ে), কিন্তু মন পড়ে ছিল হাঙরের রাজ্যে। সে বিশাল এক জাহাজ ! সত্যি সত্যি জাহাজ!

IMG_3443

তাকেই ঘষামাজা করে নানা কায়দায় একগাদা অ্যাকোরিয়াম, খাঁচা, রেস্তোরাঁ ইত্যাদি সেট করা হয়েছে। এমন এক বিশাল নীল জলের জগতে জীবনে প্রথমবারের মত চাক্ষুষ করলাম হাতুড়িমাথা হাঙর ! অসম্ভব সুন্দর প্রাণীটি কী সাবলীল ভাবেই না পানি চিরে চলেছে, ইশ যদি আপন রাজ্য বুনো অবস্থায় তাকে দেখতে পেতাম!

IMG_3437

হাঙর এক বিস্ময় মানুষের কাছে! প্রায় ৫০০ প্রজাতির হাঙর আজ পর্যন্ত আবিস্কার করেছে মানুষ সেগুলোর আকৃতি ৭ ইঞ্চি থেকে শুরু করে ৪০ ফুট পর্যন্ত বিস্তৃত! ৪৫ কোটি বছর ধরে তাদের সদর্প জলকেলি চলতেই আছে, এমনকি ঘুমানোর সময়ও তারা সাঁতরাতে থাকে আর হাঙর নিয়ে মানুষের এত্ত গবেষণার মূল কারণ এই যে আমাদের জানা ছিল হাঙরের কোন অসুখ হয় না এমনকি ক্যান্সারও না ! কী এমন রহস্য আছে এই মাছের যাতে কোন ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, কোষ স্ফীতি দাঁত বসাতে পারে না ! অবশ্য এখন জানা গেছে কোন কোন হাঙরের বিশেষ ধরনের অসুখ হয় বৈকি । আবার হাঙররাই বিশ্বের প্রথম প্রাণী যাদের দেহে শিশ্ন বা পেনিসের উদ্ভব ঘটে।

সবচেয়ে বড় হাঙর যে হোয়েল সার্ক বা তিমি হাঙর সেটি আবার খায় অতি ক্ষুদে জীব, মানুষের সাথে তার বেশ শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান, ভারত মহাসাগরের তীরের মোজাম্বিকে একশ ডলারের বিনিময়ে তাদের সাথে সাঁতরাবার নিমন্ত্রণও ছিল। এই বিশালদেহীর শরীরেও কিন্তু কোন হাড় নেই, আছে কার্টিলেজ !

IMG_3441

জানা গেছে রক্তের গন্ধ শুকেই মানুষ শিকারের জন্য পাগলপারা হয়ে ওঠে না হাঙর, রক্তপিপাসু হয়ে মানুষ শিকারের জন্য ফন্দী করে না সে, বরং নিচ থেকে সাতাররত মানুষকে সীলের সাথে গুলিয়ে ফেলে তাড়া করে প্রায়ই, সেই সাথে আছে হাঙরের পাখনা দেখলেই মানুষের আতঙ্কিত হয়ে থই হারিয়ে প্রবল বেগে নড়াচড়া করা, ফলে সন্দেহপ্রবণ মাছটি আক্রমণ করেই বসে, আর এই ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশী দুর্নামের ভাগীদার আফ্রিকার বৃহত্তম শিকারি প্রাণী গ্রেট হোয়াইট সার্ক। তার মূল কারন কী আদৌ তাদের মানুষ শিকার নাকি হলিউডের নানা গুলবাজ সিনেমা, বিশেষ করে স্টিভেন স্পিলবার্গের JAWS ?

ঘুরে ঘুরে চার ধরনের হাঙর দেখলাম আমরা। কত কোটি বছর ধরে টিকে আছে এই অসাধারণ প্রাণীগুলো। সাগরের মৃত সমস্ত প্রাণী খেয়ে এমনিতেই তো তারা যথেষ্ট ভূমিকা পালন করে সাগরের নির্মলতা রক্ষা করতে, তার উপর অনেক হাঙরই তাদের ফুড-চেইনের সবচেয়ে উপরের কাতারের সদস্য মানে কিনা সর্দার!

DSC03345

আর এই হাঙরকেই আমরা মেরে ফেলছি কাতারে কাতারে! বছরে ১০০ মিলিয়ন হাঙর মারা পরে মানুষের চাহিদার জোগান দিতে, বিশেষ করে পূর্ব এশিয়ার হাঙরের পাখনার স্যূপ বানানোর কাঁচামাল জোগাড় দিতে, সেই সাথে পোলট্রি শিল্পের খাবার বানানোর জন্য বাংলাদেশে শিকার করা অধিকাংশ হাঙর চলে যায় অন্য দেশে মুরগীর খাবার হতে। এইভাবে সাগরের খাদ্যচক্রে ভারসাম্য নষ্ট করার ফল ইতিমধ্যেই হাতেনাতে পাওয়া শুরু হয়েছে ।

DSC03347

উসাকাতে একটা সুবর্ণ সুযোগ ছিল অবশ্য হাঙরের সাথে সাঁতার কাটার , কিন্তু সে লোহার খাচার ভিতরে ঢুকে মানে যেমনটা খোলা সাগরেও ঘটে, কিন্তু রহস্য পত্রিকায় টিম ক্যাহিলের হাঙরের সাথে কিছুক্ষণ, আর বই হিসেবে ফ্রাঙ্ক পোলির নীল অন্ধকার পড়ে যে মুগ্ধতা জমেছে হাঙরের সাথে সাঁতার কাটার জন্য সেটাকে এই বদ্ধ পরিবেশে জলাঞ্জলি দিতে ইচ্ছে করল না।

হাঙর ছাড়াও যে সমস্ত সামুদ্রিক প্রাণী আছে তার মধ্য কয়েকটাকে স্পর্শ করার সুযোগ ছিল একাধিক অ্যাকোরিয়ামে, ডোমিনিকা মহা উৎসাহে কিছু স্টারফিশসহ আরও বর্ণীল কিছু জলজকে ছুঁয়ে দিয়ে আসল!

DSC03349

আরও কিছুক্ষণ অসাধারণ প্রাণীগুলোকে দেহে চললাম মহাসমুদ্রে অবগাহন করতে, সেখানে আবার কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে এলাকা আলাদা করা হয়েছে মানবসন্তানদের জন্য, বাকী অবারিত সমুদ্র সমুদ্রের আসল সন্তানদের জন্য, কিন্তু সেই গল্প আরেক দিন ----

IMG_3442

( ডিকভারির SHARK WEEK চলছে বর্তমানে , পরিবেশে হাঙরের গুরুত্ব নিয়ে মানুষকে সচেতন করার জন্য নানা তথ্যচিত্র পরিবেশন করা হচ্ছে এই সপ্তাহে।

হাঙরেরা বেঁচে থাক, সমুদ্রটা জুড়ে থাক । )

IMG_3440


মন্তব্য

মন মাঝি এর ছবি

****************************************

তারেক অণু এর ছবি

হাঙরখেকো ! রেগে টং

টোকাই এর ছবি

উত্তম জাঝা!
ইয়ে, সিট খালি আছে জানানদাতা সদ্য বয়ফ্রেন্ডহারা স্বর্ণকেশী ডোমেনিকের উচ্ছ্বল ফটু নাই?

তারেক অণু এর ছবি

ক্যান আইসা পড়ো বেইবে...

টোকাই এর ছবি

সেগুলোকেও শেয়ার করুন; অশেষ নেকি হাসিল করুন।

তারেক অণু এর ছবি
অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার ভ্রমণ কাহিনিগুলা ভাই মাসুদ রানার মতো । প্রায় প্রতি পর্বে একজন "নায়িকা"র উপস্থিতি থাকবেই । দেঁতো হাসি

যাই হোক, অনেক ভালো লাগলো পোস্ট পড়ে

তারেক অণু এর ছবি

এইডা কোন কথা হইল!

যাদের সাথে দেখ হয় তাদের কথা বলি, এর মধ্যে নায়ক নায়িক টানলে কিন্তু খেলব না । অ্যাঁ

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

হ, কিন্তু "নায়ক" দের সাথে কখনোই দেখা হয় না কিনা... মানুষ তো এট্টু সন্দ করবই... বুঝেনই তো... চোখ টিপি

(একটামাত্র পোস্টের শিরোনাম দেইখা ভাবছিলাম কোন এক নায়কের সাথে দেখা সাক্ষাৎ করে দাঁত কেলায়া ফটু খিঁচছেন... পইড়া দেহি নিজেই নায়ক... শালা ঘোচু খাইছে )

সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরনঃ কাজীদা নায়ক নন, মহানায়ক হাসি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

তারেক অণু এর ছবি
সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

চিন্তিত

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

শিশিরকণা এর ছবি

হাঙ্গরের প্রজনন পদ্ধতি কিন্তু বেশ ইন্টারেস্টিং। এনিমেল প্ল্যানেট এর একটা শোতেই দেখেছিলাম, হাঙ্গরের ডিম পেটের মধ্যেই ফুটে বেরোয়। এরপর সেখানেই সেগুলো বড়ো হতে থাকে কয়েক মাস, এর মাঝে সবল হাঙ্গরের বাচ্চা দুর্বল গুলোকে খেয়ে ফেলতে থাকে এক এক করে। এভাবে পূর্ণ আকার হওয়া পর্যন্ত যে কটা বা যেটা টিকে থাকে সেটা প্রসবের মত করে বের হয়ে আসে মায়ের পেট থেকে। সারভাইভ্যাল অফ দ্য ফিটেস্ট নিয়মে সবচে জীবনীশক্তি সমেত হাঙ্গরছানাই কেবল জন্ম নিতে পারে সাগর তলে টিকে থাকার জন্য। কাজেই জন্ম থেকেই তারা একটু খাউ খাউ করবে এইটা স্বাভাবিক।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

তারেক অণু এর ছবি

সব হাঙরের এমন না যতদূর মনে পড়ে!

তবে এই ডকুটা দেখা শরীর শিরশির করে উঠেছিল।

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

সার্ক নাকি শার্ক? বাংলায় সারাজীবন শার্কই পড়ে এসেছি তো, তাই বললাম।
লেখা বরাবরের মত চলুক
আর মাত্র একটা প্রশ্ন - আপনি কি টিকেট থাকলে সদ্য পরিচিত যে কাউকেই দান করেন, নাকি ---

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

হো হো হো

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

তারেক অণু এর ছবি

শার্ক আসলেই, ঠিক করে দিচ্ছি

তারেক অণু এর ছবি

আর টিকেটের ব্যাপারটা -- কিছু কথা থাক না গুপন !

ওডিন এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি আর কিছু কইলাম না

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

জানা গেছে রক্তের গন্ধ শুকেই মানুষ শিকারের জন্য পাগলপারা হয়ে ওঠে না হাঙর, রক্তপিপাসু হয়ে মানুষ শিকারের জন্য ফন্দী করে না সে, বরং নিচ থেকে সাতাররত মানুষকে সীলের সাথে গুলিয়ে ফেলে তাড়া করে প্রায়ই, সেই সাথে আছে হাঙরের পাখনা দেখলেই মানুষের আতঙ্কিত হয়ে থই হারিয়ে প্রবল বেগে নড়াচড়া করা, ফলে সন্দেহপ্রবণ মাছটি আক্রমণ করেই বসে, আর এই ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশী দুর্নামের ভাগীদার আফ্রিকার বৃহত্তম শিকারি প্রাণী গ্রেট হোয়াইট সার্ক। তার মূল কারন কী আদৌ তাদের মানুষ শিকার নাকি হলিউডের নানা গুলবাজ সিনেমা, বিশেষ করে স্টিভেন স্পিলবার্গের JAWS ?

অ্যাঁ
কাহিনী এইরকম??
আহারে, ধর্মানুভূতির জন্য কাতারে কাতারে মানুষ মরে... আর জ্বলজ্যান্ত হাঙরগুলোর জন্য কারো কোন অনুভূতি দাঁড়ায় না? চিন্তিত
এইটাইপ সিনেমাগুলাতে সিগারেটের মত সংবিধিবদ্ধ ফিকশন ট্যাগ লাগায় দেয়া যায় না? মানুষ দেখুক, আপত্তি নেই... কিন্তু অন্তত জানুক কোনটা ডকু, কোনটা ফিকশন, কোনটা গপ্প...

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

তারেক অণু এর ছবি
ওডিন এর ছবি

স্পিলবার্গ যতো বড় পরিচালকই হোক, যতোই আমার প্রিয় সিনেমা ব্যাক ট্যু দ্য ফিউচার ডিরেক্ট করুক, আমি এই একটা কারণেই ওরে দেখতারিনা, জ'স এর মতো বোগাস একটা সিনেমা বানায়া কয়েকটা জেনারেশনরে হাঙ্গরবিদ্বেষী বানায়া দিছে রেগে টং

অতিথি লেখক এর ছবি

অসাম-অসাম, ফাটাফাটি-ফাটাফাটি চলুক

-আরাফ করিম

তারেক অণু এর ছবি
অতিথি লেখক এর ছবি

হুম্ম, হাঙ্গরই তাইলে মেশিনের আসল মালিক, সাঈদী না। চিন্তিত

-- রামগরূড়

তারেক অণু এর ছবি
অতিথি লেখক এর ছবি

আবার হাঙররাই বিশ্বের প্রথম প্রাণী যাদের দেহে শিশ্ন বা পেনিসের উদ্ভব ঘটে।

তাই আমিও কইলাম আরকি চিন্তিত

-- রামগরূড়

তারেক অণু এর ছবি
অতিথি লেখক এর ছবি

লেখায়-ছবিতে চলুক

প্রাচীন অরণ্য প্রবাদ:
এক্সট্রা টিকিট থাকলেই সকলের বয়ফ্রেন্ড-বিযুক্ত-স্বর্ণকেশিনী জুটেনা!

বয়ফ্রেন্ড-বিযুক্ত-স্বর্ণকেশিনী বান্ধবী হাঙরের সাথে সাঁতার কাটিতে নামিলে তখন কি আর ত্রাকাণু জলে না নামিয়া, চুল না ভিজাইয়া চলিয়া আসিতে পারিত? সচলায়তনের আম-পড়ুয়াদের কয়েকটি সাংঘাতিক ছবি পাওয়ার সম্ভাবনা এইভাবে বাতিল হ‌ইয়া গেল! হায়-হায়-হায়-হায়! হায়-হায়-হায়-হায়!

নজর রাখছি!
I Am Watching You!

হা:-হা:-হা:-হা:
Jaws!

- একলহমা

তারেক অণু এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি সত্য কথা বলে এইভাবে নাকাল হতে হচ্ছে রেগে টং

অতিথি লেখক এর ছবি

এত নাগ কেনু?! খবর হ্যাজ? চিন্তিত
- একলহমা

তারেক অণু এর ছবি
অতিথি লেখক এর ছবি

তুমি আমার লেখার কথা জানতে চেয়েছিলে।
এখন নীড়পাতায় তোমার লেখাকে ১ নং ধরে নীচে ৪ নং লেখাটা আমার। দেখেছ কি? লিঙ্ক দিলাম এখানে। সময় করে ঘুরে গেলে ভাল লাগবে।
http://www.sachalayatan.com/guest_writer/49929
- একলহমা

তারেক অণু এর ছবি
অতিথি লেখক এর ছবি

হাঙ্গর শিকারের সংখ্যার ব্যাপকতা বোঝাতে নিচের ছবিটা বেশি কাজের।

ছবি সূত্রঃ I fucking love science

-- কাজী ফয়সাল

তারেক অণু এর ছবি

মন খারাপ কী ভয়াবহ!

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

বুঝছি, রাস্তাঘাটে কেমেরা বাইর কইরা ঘুরাঘুরি কল্লেই ডমিনিকারা ধরে দেখতে চায়!
আর আমি কিনা এতকাল ভাবতাম নিজের নিজের কেমেরা লুকায় রাখতে হয়! মন খারাপ

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

তারেক অণু এর ছবি

ভুল সবই ভুল দেঁতো হাসি

বন্দনা এর ছবি

বার্সোলোনায় একুরিয়ামে ঢুক্লাম, এলাহি কারবার, সেরম অবস্থা, শার্ক ও দেখলাম।

তারেক অণু এর ছবি

চলুক লেখা কুতায়?

অতিথি লেখক এর ছবি

গুরু গুরু এবং আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

মাসুদ সজীব

তারেক অণু এর ছবি
তাপস শর্মা এর ছবি
তারেক অণু এর ছবি
অতিথি লেখক এর ছবি

৪৫ কোটি বছর ধরে তাদের সদর্প জলকেলি চলতেই আছে, এমনকি ঘুমানোর সময়ও তারা সাঁতরাতে থাকে আর হাঙর নিয়ে মানুষের এত্ত গবেষণার মূল কারণ এই যে আমাদের জানা ছিল হাঙরের কোন অসুখ হয় না এমনকি ক্যান্সারও না ! কী এমন রহস্য আছে এই মাছের যাতে কোন ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, কোষ স্ফীতি দাঁত বসাতে পারে না ! অবশ্য এখন জানা গেছে কোন কোন হাঙরের বিশেষ ধরনের অসুখ হয় বৈকি । আবার হাঙররাই বিশ্বের প্রথম প্রাণী যাদের দেহে শিশ্ন বা পেনিসের উদ্ভব ঘটে।

ইনফরমেশন ওভারলোড! অনেক নতুন তথ্য পেলাম পোস্টে, এবং যথারীতি প্রচন্ড উপভোগ্যও ছিল পাঠটা। ছোটবেলা থেকেই সাগরের প্রাণিদের প্রতি আমার একটা তীব্র আকর্ষণ আছে, বিশেষ করে এই হাঙর। গভীর নীলের ভেতর রহস্যময় এই জীবগুলোর বিচরণ আমাকে অভিভূত করে রাখত, কিশোরপত্রিকা-রহস্যপত্রিকায় এসব নিয়ে যা পেতাম গোগ্রাসে গিলতাম। লেখাটা পড়ে অনেকদিন পর সেই রোমাঞ্চকর অনুভূতির দেখা পেলাম হাসি

-------------

ফারাবী

তারেক অণু এর ছবি

রহস্য পত্রিকার কাছে কৃতজ্ঞতার শেষ নাই

অতিথি লেখক এর ছবি

বরাবরের মতোই অসাধারণ লেখা।
আপনার কাছে যখন এক্সট্রা টিকেট ছিলো, তখন কেনো দেখা হলো না? আপনার ডোমিনিকা ভাগ্যকে ঈর্ষা করছি না, বরঞ্চ ডোমিনিকার তারেক অণু ভাগ্যকে ঈর্ষা করছি!

ঈদ কেমন কাটালেন? ভালো থাকা হোক অবিরত।

-এস এম নিয়াজ মাওলা

তারেক অণু এর ছবি

সব খেলার এক্সট্রা টিকেট ছিল কিন্তু! চোখ টিপি

ওডিন এর ছবি

আসিতেছে, আসিতেছে প্রশান্ত আটলান্টিক ভারত মহাসাগরসহ সারা সমুদ্রজগতে, ডারবান রিও মেলবোর্ণ ও অন্যান্য শার্ক ইনফেস্টেড তটে চিত্রায়িত, সম্পুর্ণ রঙ্গীন, ডিটিএস সাউন্ডসহ, ফিচারিং 'দ্য' তারেক অণু - হিউমেন উইক শয়তানী হাসি

তারেক অণু এর ছবি
মেঘা এর ছবি

মুভি আর বই পড়ে তো ধারণা ছিল হাঙর মানুষ দেখলেই ছুটে আসে খেতে! এত এত হাঙর শিকার করে শেষ করে ফেলছে পড়ে ভাল লাগছে না। পৃথিবী বৈচিত্র হারিয়ে ফেলবে এমন করে একদিন।

--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি

তারেক অণু এর ছবি

ফাউল মানুষ

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার কি কপাল ওঁয়া ওঁয়া , প্রতি লেখাতে নতুন নতুন নায়িকা (দীর্ঘশ্বাসের ইমো হইবে)।
ইসরাত

তারেক অণু এর ছবি

হুম, আপনের সাথে কবে দেখা হচ্ছে?

নীড় সন্ধানী এর ছবি

এই প্রথম হাঙরের সুনাম শোনার সুযোগ পেলাম। হলিউড তো হাঙরকে সাগরের দুশমন বানিয়ে ছেড়েছে দুনিয়াময়। হাঙর দেখামাত্র গুল্লি করতে ইচ্ছে হতো এতকাল। হাঙরের বাপের বাড়ির লোক মনে হলো তারেকঅনুকে হো হো হো

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

তারেক অণু এর ছবি

হলিউড এমন অনেক কিছুই করতাছে

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।