কাতালানিয়ায় আসছি কয়েক দিন হয়ে গেল, খাঁটি ট্যুরিস্টের মত বালুময় সৈকতে যেয়ে দাপাদাপি করা হলে ধুমসে, শিল্পবোদ্ধা সাজার ব্যর্থ চেষ্টায় গাউডির সমস্ত কাজ খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখে, ক্রীড়াপ্রেমিক সাজার চেষ্টায় অলিম্পিক ভিলেজ হেঁটে, বার্সেলোনার অন্যগ্রহের ফুটবল ক্লাবের সামনে দিয়ে ঘোরাঘুরি করে বার্সেলোনার অধিবাসীদের মত জুরিখ পাবে বসে এন্তার পানীয় ধ্বংস করার পরও স্থানীয় বন্ধু দানি ব্যটল রোসেল বলে বসল- নাহ, চার বেড়ালের রেস্তোরাঁয় এক বেলা না খাওয়া পর্যন্ত তোমাদের এই সফরকে সফল বলা যাচ্ছে না !
চার বেড়ালের রেস্তোরাঁ ! একখানা নয়, পুরো এক হালি বেড়াল! এমনিতেই কাতালান রাজধানীতে এসে ঝিনুকের স্ট্যু থেকে শুরু করে অক্টোপাসের শুড় ভাজা সবই খাওয়া হয়েছে, তাই বলে বেড়ালও খেতে হবে? না, বেড়াল খেতে পারব না, ঢের আপত্তি আছে আমার মিউ মিউ করে এমন প্রাণী খেতে। দানি ব্যাটা কাতালান মার্কা প্রাণখোলা ঠা ঠা হাসি দিয়ে বলল- চল আজ সন্ধ্যায় সেখানে, বুঝবে কেন বলছি সেখানে না গেলে বার্সেলোনা ঘোরা অপূর্ণ থাকবে!
দানি ঠিক পূর্ব পরিচিত নয়, বরং বার্সেলোনার ছেলে হুয়ান আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু, ছোকরার আবার বাংলাদেশ ভ্রমণের ব্যপক ইচ্ছা, একবার ক্ষুদ্রঋণের কী একটা প্রোজেক্টে জানি সেখানে চলেই গেছিল কিন্তু বন্যা দেখা দেওয়ায় পরিকল্পনাটি মাঠে শুকিয়ে যায়। বার্সেলোনা আসার পরপরই হুয়ানের বন্ধু দানির সাথে পরিচয়, মহা হাসি খুশী ছেলেটার প্রেমিকা ফিনল্যান্ডের মেয়ে, আমার ভ্রমণসঙ্গিনীও ফিনল্যান্ডের, সেই আলাপেই খুশী মনে স্বেচ্ছায় বার্সেলোনা ঘুরিয়ে দেখার দায়িত্ব নিয়ে নিল সে।
(আমি, দানি, হুয়ান, ফটুগফুরনী ক্যামেরার পিছনে )
শহরের সবচেয়ে মজার আইসক্রিম শপে চেয়ে অন্যরকমের দারুণ অভিজ্ঞতা হল, আইসক্রিম কেনার পর দাম দিয়ে গেলে টাকা নেবার আগে তরুণী দোকানদার চোখ মটকে বলল- বাইলা বাইলা! বাইলা মানে নাচ, কিন্তু আইসক্রিম কিনতে আবার নাচানাচি কেন! বাদামী চোখের তন্বী নিজেই একটু শরীর দুলিয়ে বলল- বাইলা! আমাদের এখানে আইসক্রিম কিনতে হলে তোমাকে একটু হলেও শরীর ঝাঁকিয়ে নাচের ভঙ্গী করতে হবে, ঝকঝকে হাসি দিতে হবে, গোমড়ামুখো কারো কাছে আমরা আইসক্রিম বেচব না!
বাহ, বেড়ে ব্যবস্থা তো ! আইসক্রিম খাও, তো নাচ দেখাও!
অন্য দিকে দানি দেখি মুচকি মুচকি হাসছে দরজায় দাড়িয়ে, আবার ছোকরার অন্য রূপ টের পাওয়া গেল তাপাস খেতে যেয়ে, স্পেনের আবহাওয়া খুব ভাল, এমন নিরীহ কথায় সে তেড়ে ফুঁড়ে জ্বলে বলে বসল- সেটা স্পেনে যেয়ে বল, এটা বার্সেলোনা, এটা কাতালান রাজ্য, স্পেনকে আমরা দেশ হিসেবে মানি না, ব্যাটারা আমাদের জবরদখল করে রেখেছে গত ৩০০ বছর ধরে। যদি তার আগে ১৭০০ বছর আমরা স্বাধীন জাতি হিসেবে টিকে থাকতে পারি, ভবিষ্যতেও স্বাধীন কাতালান হব আমরা, দেখ না ইতিমধ্যেই আমাদের আলাদা ফুটবল দলের দাবী পর্যন্ত উঠেছে ফিফার কাছে।
হুম, কাতালান আর স্প্যানিশদের রেষারেষি বেশ স্পষ্ট বোঝা যায় এখানে আসলে, একাধিক পানশালাতেও দেখলাম লেখা আছে Barcelona is not Spain, its Catalan. কিন্তু কাতালান বেচারাদের হাতে নেয় কোন ক্ষমতা, শেষ ভরসা তাদের নয়নমণি ফুটবল ক্লাব, রিয়েল মাদ্রিদ- বার্সেলোনার খেলায় বাড়তি উত্তেজনা যোগ করে এই ঐতিহাসিক ঘৃণাময় সম্পর্ক।
স্প্যানিশরাও যে কিভাবে সুযোগ পেলেই সেই বৈষম্য ঝালাই করে তা দেখতে পেলাম পিকাসো জাদুঘরে গিয়ে, সেখানের অধিকাংশ শিল্পকর্মই নানা অজুহাতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে মাদ্রিদের গ্যালারিগুলোতে! কাতালানরাতো বলে, বজ্জাত লুটেরা স্প্যানিশগুলো সুযোগ পেলে ল্য সাগ্রাদা ফ্যামিলিয়া পর্যন্ত উপড়ে নিয়ে যেত!
যাক, সেই সন্ধ্যায় চার জনে হাজির হলাম চার বেড়ালের রেস্তোরাঁয়, ইংরেজিতে লেখা Four Cats , সেই সাথে Els Quatre Gats। সামনে বেধড়ক লম্বা লাইন! তরমুজের বিচির মত দাঁত বাহির করে বাহিরের দরজায় কর্মরত বেয়ারা জানালেন, রিজার্ভেশন না থাকলে কমপক্ষে সোয়া ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে !!
কী এমন রেস্তরাঁ যে খাবারের লিস্টি দেখার জন্যই দেড় ঘণ্টা তক দাড়িয়ে দাড়িয়ে পায়ের ব্যায়াম করতে হবে! অন্য কোথাও যাবার প্রস্তাব এক ফুঁয়ে উড়িয়ে দিয়ে হুয়ান বলল- তুমি বুঝতে পারছ না, ১৮৯৭ সাল থেকে এই রেস্তোরাঁর যাত্রা শুরু, আর এটা সবসময়ই ছিল আমাদের সংস্কৃতির প্রাণকেন্দ্র, এই চার বেড়াল আসলে আমাদের বিখ্যাত চার শিল্পী Pere Romeu, Santiago Rusiñol, Ramon Casas, Miguel Utrillo! তারাই শিল্পীদের আড্ডাকেন্দ্র হিসেবে ক্যাফেটির পত্তন করেন, এবং মূল নাম আসে প্যারিসের সেই বিখ্যাত কালো বেড়াল ক্যাফের নাম অনুকরণে। ১১৫ বছর ধরে এটি পানশালা, ক্যাবারে, হোটেল, রেস্তরাঁ ইত্যাদি নানা ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে, আর জানো এখানে কোন বিখ্যাত শিল্পীর প্রথম একক চিত্রকর্ম প্রদর্শনী হয়েছিল, ১৯০০ সালে? যখন তার বয়স ছিল মাত্র ১৯ !
রহস্যের গন্ধ পেয়ে বললাম, কে সেই শিল্পী?
কে আবার ! জনাব Pablo Diego José Fransisco de Paula Juan Nepomuceno María de los Remedios Cipriano de la Santísima Trinidad Martyr Patricio Clito Ruiz y Picasso যাকে সারা বিশ্ব চেনে পাবলো পিকাসো নামে !
হায় হায়! এরপরে ঘণ্টা কেন, সারা দিনমান অপেক্ষা করতেও কোন আপত্তি ছিল না চার বেড়ালের রেস্তোরাঁয় প্রবেশের জন্য। পাবলো পিকাসো তার শিল্পী জীবনের শুরু দিনগুলি বার্সেলোনাতেই কাটিয়েছিলেন, (বার্সেলোনার জীবনে শুরু করা ব্লু পিরিয়ডের আত্মচিত্রসহ বেশ কিছু শিল্পকর্মের এক অসাধারণ প্রদর্শনী নিয়ে লিখেছিলাম এই লেখাতে ) , এবং এই ক্যাফেতেই শিল্পী ইয়ারবক্সীদের উৎসাহে প্রথম একক প্রদর্শনীর আয়োজন করে ফেলেন প্রবল আত্মবিশ্বাসে। আবার সেই বছরই প্রথম প্যারিস যাত্রা করেছিলেন অন্য প্রদর্শনীর জন্য।
পিকাসোর কথা অবশ্য মনে করিয়ে দিয়েছিল এই শহরেরই সমুদ্রসৈকতের এক বৃদ্ধ, বলা যায় না, আমাদের পাবলো পিকাসো যে রকম প্রবল প্রেমিক পুরুষ ছিলেন, হয়ত এই তরুণ বৃদ্ধের সাথে তার কোন রক্তের সম্পর্ক থাকতেই পারে। ছবি দেখে বলেন দেখি আমার ধারণা কী খামোখা সৃষ্টি হল?
অবশেষে ভাগ্যদেবীর মুখে ছাই দিয়ে ঘণ্টাখানেক আড্ডাবাজির পরেই ভিতরে বসার অনুমতি মিলে গেল, এতক্ষণ দাড়িয়ে রাখার জন্যই কিনা টেবিলে বসতেই মুফতে পিচ্চি পিচ্চি কিছু জলপাই আর সফেদ রুটি দিয়ে গেল একজন। পরে শুনি এই লিলিপুট জলপাই কাতালানের স্পেশাল উৎপাদন, খেতেও বেশ, যদিও চট করে শেষ হয়ে যায়। এত ভিড় সত্ত্বেও বেয়ারা ভদ্রলোক বেশ রসিয়ে গালগল্প করতে করতে অর্ডার নিলেন আমাদের, শুনলাম তার বাড়ী আন্দালুসিয়ায়। আন্দালুসিয়া শুনলেই আমার উজ্জল কমলাবর্ণের মন ভালো করা রোদ আর ফেদেরিকো গার্সিয়া লোরকার কথা মনে আসে, যদিও লোরকার অঞ্চলের লোকের সাথে তার কবিতা নিয়ে কথা চলাচালির সুযোগ মিলল না ভিড়ের কারণে।
বেশ বড় রেস্তোরাঁটি, দেয়ালে দেয়ালে নানা চিত্রকর্ম ঝোলানো, জাদের অধিকাংশই এইখানে একসময়ে আগত শিল্পীদের সৃষ্টি। তার মধ্যে ঘর আলো করে আছে Ramon Casas and Pere Romeu on a Tandem, র্যামন কাসাসের এক অনবদ্য চিত্রকর্ম। পরিবেশটা আসলেই বেশ আলাদা, মনে হচ্ছে খাবার চেয়ে আড্ডা দিতেই এখানে আসে মানুষ, আসলে এককালে তাইই আসত, এখন আসে স্থানটির খ্যাতিতে। স্প্যানিশ গৃহযুদ্ধের সময় তৎকালীন ক্যাফেটি বন্ধ হয়ে গেলেও ১৯৮৯ সালে আবার চালু করা হয় কিছু মানুষের উদ্যোগে।
খাবার চলে এসেছে, সামুদ্রিক খাবারের সাথে আজকের বিশেষ আকর্ষণ ফোয়াগা। সুনীল গাঙ্গুলীর ছবির দেশে কবিতার দেশেসহ অনেকের ভ্রমণ কাহিনীতেই ফোয়াগা নিয়ে অনেক পড়া সত্ত্বেও ফোয়াগার দেশ ফ্রান্সে যেয়ে তা খাবার সুযোগ করতে পারিনি, এখানেই তার বাস্তবায়ন ঘটল। জিনিসটা পাতলা জেলির মত, কিন্তু মোটেও থিকথিকে নয়। তৈরি করা হয় অতি নিষ্ঠুর উপায়ে, পোষা একধরণের বিশেষ রাজহাঁসকে ঠেসে ঠেসে খাবার খাইয়ে তার লিভার বড় করে, সেই লিভার দিয়েই তৈরি হয় উমদা ফোয়াগা, মানে অল্প ফোয়াগার জন্যই হয়ত অনেক রাজহাঁস মারতে হয়। রাজহাঁস যতই বড় হোক, তার লিভার আর কত বড়ই বা হতে পারে! যদিও জানা যায় ৪৫০০ বছর আগেও প্রাচীন মিশরে ঠেসে ঠেসে খাইয়ে রাজহাঁসদের নাদুসনুদুস করা হত!
ব্যক্তিগত কারণে বুনো প্রাণী খেতে আমার আপত্তি আছে, এছাড়া স্থানীয় খাবার যতই কিম্ভুত লাগুক তার স্বাদ নিতে পেছাই না কখনোই, আর ফোয়াগা তো অতি খাসা চীজ! মুখের মাঝে গলে গলে গেল রুটি সহ।
খাবার ফাঁকে যেন খুব সাধারণ কোন তথ্য দিচ্ছে এমন ভাব নিয়ে হুয়ান বলল, ওহ, তোমাকে বোধ হয় বলা হয় নি, আমার ঠাকুরদাও একজন চিত্রশিল্পী ছিলেন, এই ক্যাফেতে আড্ডা দিতেন অন্যদের সাথে গড্ডালিকা প্রবাহে মেতে, পিকাসো তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন জীবনের এক পর্যায়ে।
বলিস কী, মামুর বুটা! তোর দাদা আঁকা ছবি কোথায়?
আমাদের সংগ্রহে অল্প কিছু আছে, বাকীগুলো বিক্রি হয়ে গেছে অনেক আগে, দুয়েকটা গ্যালারীতেও আছে, চাইলে দেখা যেতে পারে।
বাপরে, মেঘ না চাইতেই জল, সাধাসিধে ডিনার করতে এসে পিকাসোর প্রথম একক প্রদর্শনীর স্থান আবিষ্কার, কাতালান সংস্কৃতির মিলন কেন্দ্রে আড্ডা, এবং সঙ্গী স্বয়ং পিকাসোর শিল্পী বন্ধুর নাতি! আর কী ! চলল আড্ডা বেদম তালে –
( রেস্তোরাঁর ছবিগুলো চার বেড়ালের ওয়েব পেজ থেকে নেওয়া।
কদিন আগেই বার্সেলোনা ঘুরে গেছে আমাদের এভারগ্রিন সহসচল বন্দনা, এই পোস্টটি তার জন্য। )
মন্তব্য
অসাধারন বর্ননা, মনে হচ্ছিল পড়তে পড়তে নিজেই বুঝি বসে আছি চারবেড়ালের রেস্তোরায়। বর্ননার সাথে ছবিগুলো আরও বেশি সতেজ করেছে ---- কাতালান আর স্পানিয়ার্ডের রেশারেশির ইতিহাসের মিশেল ভাল লাগল ; আপনার ঘোরাঘুরির সাথে ছবি-লেখা চলতে থাকুক ; শুভ কামনা।
আম্মো গেছি বার্সেলোনা! তবে কেবল ডেট্রিপ, এখানে যাবার চান্ছ্ হয়নিকো।
হানিমুনে কই যাচ্ছো?
facebook
নর্থ কোরিয়া হইতে সাবধান। (একটি আনরিলেটেড সাবধানবাণী)।
..................................................................
#Banshibir.
facebook
আর যেখানে যাও না রে ভাই সপ্তসাগর পার,
কাতুকুতু বুড়োর কাছে যেও না খবরদার...
ক্যান !
facebook
facebook
হ, ওইটে মাছভাজা বাবা কৌস্তুভ!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
কৌ কৌ
facebook
এইটা দেখে মনে পড়ল, টিনটিন হাকৌ গেছিল...
কৌ যায় না কুতায়?
facebook
ফ্রায়েড ফিশ নো ফ্লিপ?
হুঁ, ফ্রায়েড ফিশ নট নো ফ্লিপ!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
বালিকার ছবি কৌশলে এড়ায়া যাওয়ার মানে কী? পাঠকের অধিকার রক্ষায় সচেষ্ট হোন। বিকিনিপরা বালীকা রেখে কোথাকার বুড়ার ছবি দিছে সমুদ্রপারে! ঘোর কলিকাল!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
তা অণুদা যদি পাঠিকার অধিকারও রাখতে চায়, বিশেষ করে সচলে যেসব ঠাকুমা-দিদিমারা ঘোরাফেরা করেন তাঁদের, তাইলে আপনার সমিস্যে কী?
facebook
আহা, পাঠিকাধিকার রক্ষার জন্য আমার হ্যানচাম ছবি চাইলেই তো পাঠিয়ে দেই! এইরকম "ইনডোরে অকেজো' বুড়োর ছবি দিয়ে কেম্নেকী!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
কারে দিবেন সেই ছবি?
facebook
আহা, বালিকাদের শখ বলে কি কিছু থাকতে নেই?
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
কেন ভয় দেখাচ্চেন তাদের হে জীবাণুবিদ?
facebook
আহাহাহা, দিলুমই না হয় একবার
facebook
আহা! লোকে যদি "অণু'প্রাণিত হয়, তখন?!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
facebook
-নিয়াজ
facebook
আপনার ভ্রমনকাহিনীগুলো খুব আগ্রহ সহকারে পড়ি, মনে হয় আপনার চোখ এবং লেখা দিয়েই বিশ্বটাকে দেখছি। অসংখ্য ধন্যবাদ অণু ভাইয়া।
-নিয়াজ
শুভেচ্ছা
facebook
লেখা অসাধারন, ছবি-বর্ননা ভাল লাগছে ।।।
** আমি সব্বার প্রথমে একটা কমেন্টস করলাম ।।। আমারটা পাব্লিশ হইলনা ব্যাপারটা কি!
হহুম প্রায় ৩০ নম্বরে এসে ঠেকল
facebook
ভাল রেস্তোরাঁর ছবি দেখলেই আমার মন ভাল হয়ে যায়। কিন্তু মাংস খাওয়ার বর্ণনা পড়লেই মন খারাপ হয়ে যায়! যাকগে, তোমাদের তিন বন্ধুর ছবি আর আইসক্রীম তরুণীর বাইলা বাইলা গল্পটাই মনে রাখি বরং! কিন্তু তুমি কি একটু বাইলা বাইলা কৈছ্ছিলা? সেই ছপি কেউ নিল না গো?
- একলহমা
সি সি, বাইলা বাইলা
facebook
আপনি আবারো খাবার-দাবার এর পোস্ট দিছেন । সকাল বেলা খালি পেটে কি এইসব ভাল লাগে । আপনার কপাল পুরা দুনিয়া ঘুরতেছেন আর বিভিন্ন দেশের খাবার খাচ্ছেন আর আমরা কুনো ব্যাঙের মত পরে আছি, আপনার কপাল বান্ধায় রাখা দরকার
যাই হোক, অসাধারন একটা ঐতিহাসিক জায়গা সম্পর্কে জানলাম
ইসরাত
আরো কিছু পোস্ট দিব রেস্তোরাঁ নিয়ে
facebook
এই নেন - এর স-অ-ব আপনারে দিলাম। একদম পেটচুক্তি!! আল্লার ওয়াস্তে এবার খাওয়া-দাওয়া নিয়া পোস্ট দেওয়াতে এট্টু ক্ষ্যামা দেন!
****************************************
চইত্ত ন, চইত্ত ন
facebook
স্পেন যাওনের শখ বহুত দিনের। কিন্তু যাকে বলে বিভিন্ন আর্থসামাজিক কারণে সম্ভব হয় নাই। যাক......দুধের স্বাদ ঘোলে তো মিটলো। তা বস...স্পেন যেহেতু গেলেনই, ষাঁড় গরুর রেসলিং লয়া ল্যাখা কি পামু? মনে বড় আশা ছিলো
আরেকখান কতা......সফরসঙ্গিনীর ফডু কই? তারে দেখি সদা সব্বদা লুকায়া রাখেন!! আপ্নেও কি শফি হুজুরের আদর্শে 'অণু'প্রানিত নাকি?
হ, দিলেও দুষ, না দিলেও
facebook
কে দুষ দিতাছে?? নাম বলেন......হাতুড়ী লয়া দ্যাখা কইরা আসি
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
অনেকেই, কয়ল আপনি খালি মেয়ে বন্ধুদের নিয়ে লেখেন! কট্ট বড় অপবাদ
facebook
আহা......পাছে লোকে তো কিছু বলিবেই!! উহাদের ভয়ে আপনি সকল সৌন্দর্্যরস একাই উপভোগ করিবেন তাহা কি ঠিক? গরীব ব্বলিয়া কি আমরা মনুষ্যকুলজাত নহি?
সেই কবে একটা বই পড়েছিলাম The Shadow of the Wind নামে। সেই থেকে কাতালোনিয়া যেতেই হবে 'তাও আবার অক্টোবরে' এই পণ করে বসে আছি। কবে যেতে পারব এই দুঃখে মারা যাচ্ছি আর আপ্নি আমার দুঃখ বাড়াতে কিনা এখন এই পোস্ট দিলেন
ইমা
আহহা, বইটা বিছানার পাশেই রাখা, পড়তে হবে-
facebook
পড়ে ফেলেন। ঠক্বেন না
মানুষ যে এখন কি খায় আর কি খায় না এটা আইন্সটাইনের আপেক্ষিক সুত্রের মতো হয়ে গেছে। এ এক্স এন চ্যানেলে যা দেখতাম তা না হয় নাই বললাম। সবাই জানেনে।
রঙধনু
facebook
আপনার লেখাগুলো খুব আগ্রহ নিয়ে পড়ি, কিছুটা ঈর্ষা নিয়েও। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় ছাড়া আর কারো ভ্রমণ পড়িনি, সে কারণে ঘরকুনো আমার ভ্রমণকাহিনীতে কোন আগ্রহই নেই...
সে আগ্রহ আপনি বাড়িয়ে তুলছেন।
ধন্যবাদ
রাসিক রেজা নাহিয়েন
আহহা, শুনেই বেশ আহ্লাদিত হয়ে গেলুম রে ভাই
facebook
পিকাসো মিউজিয়ামে ঢুকে হতাশ হইছি।অল্প কিছু কাজ রাখা। তার জন্য ঘন্টাখানেক লাইনে দাঁড়িয়ে থাকাতে আর ও বিরক্ত হয়েছিলাম। আর তার ও আগে এই মিউজিয়াম খুঁজতে খুঁজতে ঘন্টাখানেক হাঁটতে হয়েছিল।
আবেগে আপ্লুত হইয়া গেলাম এই পোষ্টটা আমার জন্য শুইনা। ছোট্টবন্ধু।
হ, সব নিয়া গেছে মাদ্রিদে
facebook
এরাম পোষ্ট পড়ে কয়েক কেজি গুড় দিয়া যাইতে হয়
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
কমেন্টেও
facebook
"যদি তার আগে ১৭০০ বছর আমরা স্বাধীন জাতি হিসেবে টিকে থাকতে পারি, ভবিষ্যতেও স্বাধীন কাতালান হব আমরা"
হ কইছে। ভাষা সংস্কৃতি আলাদা হইতে পারে, কিন্তু কাতালা-রা দশশতাব্দী থেইকা আরাগনি এর আর তারপরে ইসাবেলা-ফার্দিনান্দ এর আমল থেইকা স্পেনিশ। অল্প সংখ্য়্ক সিলেটি যেমন ভাবে বাংলাদেশের সাথে তাদের কোন লেনা দেনা নাই।
***
ফোয়াগা = ফোয়া গ্রা (Foie Gras, ফরাসিতে চর্বি ওয়ালা কলিজু!)
কাতালান যেয়ে সেইটা বলার দরকার নাই
facebook
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
facebook
ঠিকাছে, ঠিকাছে, আমিও স্ত্রী-সন্তান নিয়ে শিকাগোর কোন নামি হোটেলেই খেতে যাব। হা হা হা।
লেখা ও ছবি.............।
হোকে
facebook
সমুদ্রপাড়ের ছবিটা দেখে আমি তো ভাবছিলাম পিকাসোর কোনো অপ্রকাশিত ছবি বুঝি!
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
হ অথবা তার ছেলের ! সাদা কালো দিলে বেশী যথার্থ হইত, কী কন?
facebook
লেখা পড়ে ঘুরে এলাম অল্প
আফরিন আহমেদ
facebook
দুইডা জিনিস জিগাই: ১। কি আসক্রিম খাইছিলেন? ২। ফোয়াগ্রা খাইতে কেমুন? মানে ঝাল না মিষ্টি? গন্ধ কেমুন? একটু যদি কইতেন? খাইতে মুঞ্চায়। শ্রবণং কিঞ্চিত ভোজনং করে নেই।।
-------------------------------------------------
ভালবাসা কেবল নিজেকে দেয় এবং নিজ থেকে নেয়-
ভালবাসার যেমন নিজেরও কিছু নেই, তেমনি সেও কারো নয়;
কেননা, ভালবাসার জন্য শুধু ভালবাসাই যথেষ্ট।
খাইতে মাক্ষন বরাবর! মুখে দিতেই গলে যায়, আহা মরি মরি, সে কী সোয়াদ মাইরি!
facebook
অনেক ভাল লেগেছে অনু দা। মনে হল আমি নিজেই ঘুরে আসলাম চার বিড়াল রেস্তোরাঁ থেকে। স্প্যানিশ আর কাতালান দের সম্পর্ক নিয়ে কোন পোস্ট দিলে খুশি হব।
আসিতেছে
facebook
থ্যাঙ্কু
facebook
প্রশংসার ভাষা নাই
-আরাফ করিম
facebook
আপনার যে কোন পোষ্ট পড়ে ফেলার আগে মানসিক প্রস্তুতি নেই। নাহলে ঝামেলা তৈরী হয়।
একেতো আপনি নানা জায়গায় ঘোরেন আর ছবি পোষ্টান। সেটা একটা টনটনে ঈর্ষার ব্যথা জেগেই রাখে!
ঘুরতে গিয়ে যে সকল খাদ্য-পাণীয় গলাধঃকরণ করেন তার উপর বিশেষ লেখা ছাড়েন। সেটাতে আর কারো হোক না হোক আমার পাকস্থলীর জারক রস নির্গমণ বেড়ে যায়!
আবার কাতালান হুয়ান এর সঙ্গে আপনারই পরিচয় থাকতে হয়, যে কিনা বাংলাদেশে আসতে চায়? তার উপর আপনার সঙ্গেই কিনা পাবলো পিকাসোর বন্ধুর নাতির দেখা হয়ে যায়। সেই নাতি আবার আপনাকে তার ফিনল্যান্ডের বান্ধবীর কারণে বেশী করে আপন ভাবে! আপনার ভিঊ ফাইন্ডারেই পিকাসোর লুক এলাইক ধরা পড়তে হয়?
কি আশ্চর্য!!!
এতো কাকতাল আপনার জীবনে!!! ক্যামনে???
আপনে একটা কি? আপনারে আর ভালো লাগে না !!
******
কিন্তু সচলায়তনের পেজে আপনার পোষ্ট, সেটা না পড়ারও একটা সাহস লাগে।
যান, সব ভুলে গেলাম। আপনার বাড়ি রাজশাহী আর এই শহর ঘিরে আমার জীবনের অনেক মধুর স্মৃতি আছে।
**********
অনেক কিছু জানলাম।
আপনার জন্য শুভকামনা। ভালো থাকবেন অনু।
----------------------------
কামরুজ্জামান পলাশ
কাক এবং তাল একই সাথে হইলে খুব খ্রাপ কথা
আসেন, রাজশাহী নিয়ে যৌথ ভাবে পোস্ট দিই-
দানি ব্যাটা এই বছরই বাংলাদেশে যাচ্ছে ঘুরতে, কী তামশা
facebook
আপনার লেখা পড়ে এবং ছবি দেখা শেষ করে মনে হচ্ছে আমিও ঘুরে এলাম।
ষাঁড়ের রেসলিং এর পোস্ট যিনি চেয়েছেন তার সাথে সহমত।
ষাঁড়ের রেসলিং নিষিদ্ধ
facebook
মেনুতে বিড়ালের স্টেক নাই? এই নাম দিয়া লাভ হইল কী?
..................................................................
#Banshibir.
পীর বাবা, নোলা কম করেন
facebook
অসাধারণ বর্ণনা অনু দা। ফোর ক্যাটস এ আডডা দিতে মঞ্চায়।
অমি_বন্যা
দিবেন, দিবেন
facebook
নতুন মন্তব্য করুন