স্লোভেনিয়ার গাইড বই মানেই মলাটে একটা অপূর্ব সুন্দর পাহাড়ি হ্রদের ছবি থাকবে, দেখা যাবে দিগন্তে তুষার ছাওয়া আল্পস, চারিদিকে পান্নাসবুজ বন, নীলার মত স্বচ্ছ নীলাভ সেই হ্রদের জল, যার মাঝখানে আছে রূপকথার এক দ্বীপ! সেই দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক দ্বীপ। সেখানে হীরের ফুল, মুক্তোর ফল নেই বটে কিন্তু মাথা উচিয়ে আছে এক স্থাপত্য যা ঘিরে আছে উঁচু উঁচু স্বর্গীয় গাছ। কোথায় এই হ্রদ?
সাধারণত কোন দেশের গাইড বইয়ের মলাটে ঘুরে ফিরে সেই দেশের রাজধানীর কোন এক সুপরিচিত আকর্ষণের কথা স্থান পায়, কিন্তু স্লোভেনিয়ার ব্যাপার আলাদা, এখানে রাজধানী লুবলিয়িনা নয়, সবসময় এই ক্ষেত্রে জয়ের মুকুট শোভা পায় এই পাহাড়ি হ্রদ, শহরের সাথেই নাম মিলিয়ে যার নাম লেক ব্লেড, এবং নৈসর্গিক দৃশ্যের সাথে সাথে মাঝে মানব সৃষ্ট স্থাপত্য মিলে তৈরি করেছে এক নিখুঁত দ্যোতনা, যার কারণে বিশ্বের রোমান্টিকতম হ্রদ হিসেবে লেক ব্লেডকে অভিহিত করা হয় প্রায়শই।
এই বছরেরই এক রোদেলা বিকেলে স্লোভেনিয়ার বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর মানসিক প্রস্ততি ছিল লুবলিয়ানা যেয়ে বাসে চেপে ৫৫ কিলোমিটার দূরের ব্লেড শহরে যাওয়া, বিখ্যাত সেই হ্রদের তীরেই অবস্থিত একই নামের পার্বত্য শহরটি। কিন্তু উড্ডয়নযন্ত্রের পোতাশ্রয়ের বাহির হতেই দেখা মিলল সারি সারি মাইক্রোবাসের যারা সরাসরি ব্লেড যাবে, ফলে সময়, পরিশ্রম, অর্থ সবকিছুর অযাচিত সাশ্রয় তো হলই, সেই সাথে মিলল পাহাড়ি রাস্তায় সিঁদুররঙা সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসতে দেখার অপূর্ব অভিজ্ঞতা। ব্লেড এমন কোন আহামরি বড় শহর নয়, বরং হ্রদটির কারণেই লাখ লাখ পর্যটক আসে সেখানে ফি বছর, তাদের উপর ভরসা করেই গড়ে উঠেছে পর্যটন, বলা চলে বাসভবনের চেয়ে হোটেলের সংখ্যা কোনমতেই কম না সেখানে। এখানের সবচেয়ে বিখ্যাত নিয়মিত পর্যটক ছিলেন সাবেক যুগোস্লাভিয়ার দণ্ডমুণ্ডের কর্তা মার্শাল তিতো।
হোস্টেলে ব্যাগ রাখার সময়ই হোস্টেলের রিসেপসনিস্ট নীনার কাছে জানা গেল স্বপ্নের সেই লেক ব্লেড মাত্র ২০০ মিটার দূরেই অবস্থিত, তৎক্ষণাতই পদব্রজে রওনা হলাম নীনারই বান্ধবী আলিয়ার সাথে, এই প্রসঙ্গে বলে রাখি স্লোভেনিয়ার মানুষেরা বিশেষ করে বালিকারা খুবই বন্ধুত্বপরায়ণ এবং আবেদনময়ী, এবং পানশালায় তারা প্রবেশ করতে পারে ১৫ বছর বয়স থেকেই! যা হোক, হাটি হাটি পা পা করে পৌঁছানো হল রোমান্টিক হ্রদের ফেনিল কিনারে, সারি সারি স্পেশাল ব্লেড নৌকা যেন অপেক্ষায় রয়েছে স্বপ্নালোকে যাত্রা শুরুর জন্য, পুব থেকে ছেয়ে আসা আঁধারে হ্রদের জলের আসল টলটলে রঙ বোঝা গেল না যা কিনা হিমবাহ হ্রদের আসল সৌন্দর্যের উৎস।
সত্যি বলতে প্রথম দর্শনে কিছুটা হতাশই হয়েছিলাম লেক ব্লেড দর্শনে, সায়মা হ্রদের বুকে কাঁপন তোলা ভয়াল বিশালতা নেই তার, নেই ইনারি হ্রদের বিধ্বংসী তরঙ্গ, বা বৈকালের অতল গভীরতা , টিটিকাকার একক সংস্কৃতি, কেমন যেন শান্ত, স্থির, নীরব, মৌন প্রেমিকের মত, টলটল করে চেয়ে থাকার মাঝেই যার জীবনের সকল উদ্দেশ্য ও বিধেয় নিহিত।
তবে আলিয়া জানাল আমরা পুরো হ্রদের মাত্র অর্ধেক দেখতে পাচ্ছি, দৃষ্টি বাঁধা পাচ্ছে মাঝের দ্বীপে! বাকী অর্ধেক একসাথে দেখতে চাইলে পাহাড়ের মাথায় অবস্থিত দুর্গে যেতে হবে! প্রায় দুই কিলোমিটার দীর্ঘ আর দেড় কিলোমিটার প্রশস্ত হ্রদ এবং তার মাঝে অবস্থিত মহাগুরুত্বপূর্ণ দ্বীপটি একইসাথে পাখির চোখে দেখার এবং ক্যামেরার চোখে ধারণ করার উদ্দেশ্য পরদিন কাক ভোরে চললাম দুর্গের দিকে, সূর্যদেবের মঙ্গলবার্তা বহনকারী রশ্মিতীরেরা ইতিমধ্যেই আল্পস পেরিয়ে ব্লেড জনপদ আলোকিত করা শুরু করেছে, একটু পরেই তার চোখ ধাঁধানো রথ আসবে সমগ্র গ্রহকে আলোকিত করতে।
পাকদণ্ডী পথ বেয়ে উপরের দিকে উঠতে উঠতে মাঝেই প্রাকৃতিক লীলাখেলার সেই সন্নিবেশনের সাক্ষী হবার জন্য থামত হচ্ছিল বারবার, অবশেষে মধ্যযুগের ব্লেড দুর্গের ফটকে পৌঁছাতেই মুখ থেকে অনর্গল খাঁটি বাঙ্গালী গালি বাহির হওয়া শুরু হল, কারণ আর কিছুই না দুর্গতোরণ সকাল নয়টার আগে খোলা হবে না ! অথচ সেই সময়ের তীব্র রোদে কোন ভাল ছবিও আসবে না, কাজেই আবার কেচে গণ্ডূষ করতে হবে হ্রদের কিনারে যেয়ে।
হ্রদ তখন পরিণত হয়েছে সবুজ রঙা টলটলে তরল ভর্তি এক বিশাল কাপে, যেখানে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে মাছের ঝাঁক,
মা নীলশির হাঁসের পেছনে জীবন সংগ্রামে টিকে থাকার শিক্ষা আহরণে ব্যস্ত তুলতুলে ছানারা।
প্লেতনা নামের বিশেষ নৌকারাও যাত্রা শুরু করেছে দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক দ্বীপটির দিকে। হ্রদের একাধিক জায়গা থেকে এমন কাঠের তৈরি নৌকায় ওঠা যায়, কিন্তু যেখান থেকে তা ছাড়বে ঠিক সেখানেই আবার এনে নামিয়ে দেবে, অন্য গন্তব্যে নিয়ে যাবে না, সব মিলিয়ে ঘণ্টাখানেকের ভ্রমণ, আধা ঘণ্টা সবুজ স্নিগ্ধ জলে, বাকীটা সময় দ্বীপে। সবুজ কেটে চলল আমাদের আমাদের মাঝি।
১৫৯০ থেকে এই বিশেষ কেঠো নৌকার ব্যবহার শুরু হয়, যা কেবলমাত্র এই একটি হ্রদেই দেখা যায়। সম্পূর্ণ সমতল পাটাতনের নৌকাটিতে প্রবেশের পথ মাত্র একটা থাকে, সাধারণত ২০ জন আরোহী একসাথে যেতে পারে, যদিও নির্দিষ্ট সময় পরপরই মাঝি নৌকা চেয়ে দেয়, আবার চাইলে পুরো নৌকাও ভাড়া করার ব্যবস্থা আছে। একজন একই সাথে দুইটা দাড় দিয়ে নৌকা চালাতে পারে। বংশ পরম্পরায় কিছু পরিবারের লোকেরাই ব্লেড হ্রদের মাঝি হয়ে আসছে সবসময়, যাদের বলা হয় Pletnarstvo । স্থানীয়দের কাছে এটি অতি সন্মানিত এক পেশা। প্রতিটি নৌকার আলাদা আলাদা নামও আছে!
রোয়িংএর জন্য হ্রদটি অতি জনপ্রিয়, গুরুত্বপূর্ণ সব প্রতিযোগিতা হয় এখানে, এমনকি বিশ্ব রোয়িং প্রতিযোগিতা হয়েছে তিন তিন বার! আমাদের সামনেই কজনা ছিপছিপে নৌকা নিয়ে দাঁড় চালিয়ে চোখের নিমিষে চলে গেল হ্রদের অন্য প্রান্তে। এছাড়া ছিল মাছ ধরা জেলেদের নৌকা। আর স্নানার্থীরা। তাদের মাঝে দিয়েই জ্বলজ্বল সবুজ মখমল জল চিরে পৌঁছে গেলাম দুর্গের নিচ দিয়ে বিখ্যাত দ্বীপটাতে, হাজার দ্বীপের দেশ ফিনল্যান্ড থেকে বেড়াতে এসেছি একটি মাত্র দ্বীপের দেশ স্লোভেনিয়াতে, ব্যাপারটি কিছুটা কৌতুককরও বটে! দূরের জুলিয়ান আল্পস, কাছের দুর্গ আর আধুনিক নগরী , মাঝের বন মিলিয়ে স্থানটির বিশেষত্ব আরও ফুটে ওঠে দ্বীপের মাঝখানে গেলে।
সেখানে এক গির্জাতে বিয়ে পড়াবার সময় বর কনে বহন করে ৯৯টি সিঁড়ি ভেঙ্গে, স্থানীয় সংস্কার বশে। সেখান থেকে দুর্গর অন্য অংশটিরও দেখা মিলল যা ভোরের বেরসিক নিয়মের কারণে চাক্ষুষ করতে পারি নাই।
মিনিট বিশেক ক্লিক ক্লিক করে, গির্জা প্রাঙ্গণের চমৎকার আইসক্রিম খেয়ে , আবারও ফেরার পথে। অন্যদের সাথে দেখা হল যারা আমাদের মতই এসেছে লেক ব্লেডের সুবিদিত সৌন্দর্যে অবগাহনের জন্য।
দেখা মিলেছিল ক্ষুদে অন্য ধরনের নৌকার মাঝে রাজহাঁস আকৃতির নৌকার সাথেও !
তীরে ফিরেই একটা ট্যুর কোম্পানিতে যাওয়া হল যদি আল্পসে হাঁটার কোন গ্রুপে আজকের জন্য যাওয়া যায়, মূল আকর্ষণ সেই পথের মাঝখানে একটি উঁচু পাহাড় যেখান থেকে লেক ব্লেডের প্যানরোমা তোলা সম্ভব হবে পিছনে আল্পস পর্বত আর মাঝের দ্বীপসহ। কিন্তু বিধিবাম, যে কয়টি ট্যুর আছে সবই ৬ থেকে ৭ ঘণ্টার, একটা আবার ইতালির ভিতর দিয়ে, আর আমার সেই দুপুরেই ৩ ঘণ্টা পরে যেতে হবে জাগরেবের ট্রেন পাকড়াতে। কাজে কাজেই এই যাত্রা লেক ব্লেড আর জুলিয়ান আল্পসকে হাসতা লা ভিসতা বেইবি বলে ক্রোয়েশিয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করতে হল।
( কাজে কাজেই বুঝতেই পারছেন পোস্টের প্রথম ছবিটা আমার তোলা না, নেট থেকে সংগৃহীত, কিন্তু সেটাই লেক ব্লেড বা স্লোভেনিয়ার সবচেয়ে পরিচিত আলোকচিত্র। আর শেষ ছবিটাও আমার তোলা না, নৌকার মাঝি ভাইয়ের তোলা)
(এই পোস্টটা নতুন বৃশ্চিক বন্ধু রোয়েনা রাসনাত শশীর জন্য )
মন্তব্য
দারুণ!
(কাল এই সময় আমি বিমানে আসীন আর, পরশু জাহাজে - আলাস্কার গ্লেসিয়ার দর্শনে!)
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
বাহ বাহ ! লেখা দিও কিন্তু !
facebook
স্লোভেনিয়ার মানুষেরা বিশেষ করে বালিকারা খুবই বন্ধুত্বপরায়ণ এবং আবেদনময়ী
বরাবরের মতো এই লেখাটাও অসাধারণ!
বিশ্বাস হইল না ?
facebook
বিশ্বাস হবে না কেন! স্বচক্ষে লেক ব্লেড ও স্লোভেনিয়ার বালিকাদের দেখে আসার বাসনা রইল
সাবাশ , ইয়ে তারা বয়স জিজ্ঞাসা করলে উদাস চোখে পান করেই যাবেন, করেই যাবেন
facebook
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
facebook
আলিয়ার জন্য তালিয়া আর তারেকাণুর জন্য গালিয়া ...
আলিয়ার ছবি কো?
আছে, কিন্তু সে দিয়া আপ্নের কী কাম !
facebook
বিশ্বের রোমান্টিকতম হ্রদ এর আবেশে আবেশিত হলাম।
পঞ্চসুখ
পঞ্চসুখে আর আবেগের কী অভাব !
facebook
হিংসায় জ্বলে পুড়ে গেলাম!!!!
এত অসাধারণ জায়গা!!!!!!
ওহে হংস পুরুষ ( © চরম উদাস দাদা),
লেকের জলে আপনিও সাঁতার দিলেন না কেনু??
কে বলেছে দিই নাই
facebook
সুন্দর, সুন্দর! কিন্তু, আমার প্রিয় একটা শব্দ "হিমবাহ"কে যে "হিমাবহ" বানিয়ে দিলেন।
ফেইসবুক
---------------------------------------------
এক আকাশের নীচেই যখন এই আমাদের ঘর,
কেমন ক'রে আমরা বলো হতে পারি পর. . .
এহ, টাইপো! এই জন্যই চলন্ত বাসে লিখতে হয় না !!!
ঠিক করে দিচ্ছি, ধন্যবাদ
facebook
মা হাঁস আর পোনা হাঁসগুলারে আমাদের গ্রাম থেকে চুরি করে নিয়ে গেছে কে?
লেখা বরাবরের মতোই
____________________________________________________________________________________
তবু বিহঙ্গ, ওরে বিহঙ্গ মোর,
এখনি, অন্ধ, বন্ধ কোরো না পাখা।
না না, এগুলো তো বুনো হাঁস !
facebook
বিশ্বের রোমান্টিকতম হ্রদ লেক ব্লেড না কি স্লোভেনিয়ার খুবই বন্ধুত্বপরায়ণ এবং আবেদনময়ী বালিকাদের, ঠিক কোন আকর্ষণে স্লোভেনিয়ায় যাব, বুঝতে পারছি না :-?।
ওয়াইনের জন্যও যেতে পারেন
facebook
facebook
দারুণ যায়গা।
আপনি মিয়া ভয়াবহ লিঙ্গবাদী, কোথাকার মেয়েরা বন্ধুত্ব পরায়ন, আবেদনময়ি, পড়ুয়া, রসিক, মিষ্টি, সুহাসিনী শুধু এসবের খবর দেন। কেন ছেলেরা কি দোষ করল শুনি।
আর ছেলেদের নিয়ে যে একগাদা পোস্ট দিলাম ! সেইগুলো চউখে যায় না, নাকি?
facebook
ফাইন!!!
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
চাঁদনী রাতের পাইন?
facebook
দারুণ নিক তো !
facebook
তোমার পোস্টে কমেন্ট করতে বিরাট আলসি লাগে। এক কথা আর কাঁহাতক বলা যায়? এখন থেকে হাত্তালি দিয়ে কেটে পড়ব ঠিক কর্লাম। এই নাও
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
তুমি এত্ত আইলসা ক্যান! ৩ মাসে একটা লেখা দাও, আবার কমেন্টও কর না !! নাহ, তোমার হাওয়া বদল দরকার হে
facebook
আল্পসের সব ছোট-বড় হ্রদ আমাকে খুব টানে, স্লোভেনিয়া যেতে হবে!
....জিপসি
facebook
কছ কি?! (আবেগঘন তুই-তোকারি...)
আবেদনময়ী ও বন্ধুত্বপরায়ন বান্ধবী আলিয়ার কথা জানতে চাই। পুস্টান।
..................................................................
#Banshibir.
বাকিদের ?
facebook
তুমি ক্যামন করে এতো ঘুরে বেড়াও হে গুনী,আমি শুধু অবাক হয়ে ভাবি(প্যারোড়ি)।কোন বিশেষন দিলাম না,বিশেষনের ও অভার পড়ছে,সব বিশেষন এতো এতো ব্যবহার হইছে আপনার জন্যে যে নতুন বিশেষন এর সংযোজন দাবি করছি। এটাই বার বার বলার থাকে শুধু বাকী।
আমার কাছে তো আমাদের শান্ত ছায়া ঘেরা নরম জলের দীঘি কিংবা জলাশয়গুলোকে সবচেয়ে রোমান্টিক মনে হয়।
মাসুদ সজীব
হায় রোমান্স, যায় রোমান্স !
facebook
হুঁ, আমিও বুড়ো হলাম আর আপনি এইসব খবর প্রচার...........।
লেকের ছবিগুলো খুব সুন্দর ! আর লেখা..........!
বুড়ো ?? তাহলে পাবলো পিকাসো আছে কেনু !
facebook
দারুণ! ছবিগুলো!
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
facebook
বরাবরের মতো চোখ জুড়ানো সব ছবি আর হৃদয় ছোঁয়া বর্ণনা। আশা করি আপনার ভ্রমণ কাহিনির সঙ্কলন হবে বাংলাদেশের ইতিহাসের সেরা।
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
ওরে বাবা
facebook
টং হইলে ক্যান রে ভাই, একজন ভ্রমণকারীর নাম কন তো দেখি যে তারেক অণুর মত সেবা'র দুনিয়া ঘুরছে?
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
ফডুশপকারি
facebook
প্রথম ছবিটা কোথা থেকে তোলা?
মুগ্ধ! জীবনে একবার হলেও স্লোভেনিয়া যেতে হবে!
____________________________
উঁচু পাহাড় থেকে, ঐটাই নেট থেকে নেওয়া
facebook
আবেদনময়ীর ছবি কই অণুদা?
আপনার ছবি আর লেখা নিয়ে বই পড়তে ভালো লাগবে। ব্লগে স্ক্রলিং করে শান্তি নেই!
বই আসিতেছে
facebook
ছুটো ছুটো মাছ দিয়া চচ্চড়ি খাইতে মঞ্চায়
পাইন পাইন পটুক
চচ্চড়ি !
facebook
আমি কিন্তু খানিকটা হতাশই হলাম। লেকটা সুন্দর সন্দেহ নেই, কিন্তু "বিশ্বের রোমান্টিকতম হ্রদ" অভিধাটা অতিশয়োক্তিই মনে হল। পৃথিবীতে মনে হয় এর থেকে অনেক সুন্দর লেক আছে। স্লোভেনদের কি আমাদের মতই সব কিছুতে বিশ্বের বা এশিয়ার দীর্ঘতম/বৃহত্তম ইত্যাদি জাতীয় স্বঘোষিত তক্মা জুড়ে দেয়ার অভ্যাস আছে নাকি?
আমার কাছে আপনার পোস্টেই দেখা ফিনল্যান্ডের কোন কোন লেক অনেক বেশি সুন্দর বা 'রোমান্টিক' লেগেছে। খুব সম্ভবত দ্বীপওলা একটা লেকের ছবিও দিয়েছিলেন, তাই না? ঐটা বরং আমার কাছে অনেক বেশি 'রোমান্টিক' লেগেছিল!
যাজ্ঞে, চমৎকার পোস্ট।
****************************************
রোমান্স ব্যাপারটাই আপেক্ষিক
আসলে মাঝের দ্বীপটার জন্যই এই নাম
facebook
আবেদনময়ী বালিকারা কই?
সেই খানেই
facebook
প্রথম ছবিটা দেখেই-তো মাথা নষ্ট হয়ে গেল! আর কত মাথা নষ্ট করবেন, এইবার একটু ক্ষ্যামা দেন দিকিনি
আরেহ বললাম প্রথমটা আমার তোলা না , অবশ্য তোলা না এমন কঠিন কিছুও না
facebook
আমার কিন্তু প্রথম ছবিটা দেখার পর দ্বিতীয় ছবিটা দেখেই মনটা বেশি আকুপাকু করে উঠলো । ঐরকম একটা নৌকায় করে যদি ঐ হ্রদে ঘুরে বেড়ানো যেত ।
facebook
একটা ছবি নেব দাদা, একটু ফেইসবুকে দিতাম ?
ফাহাদ
অবশ্যই
facebook
ও মোয়াই, আপনাকে প্রচণ্ড হিংসা করি
কুন কারণ নাই
facebook
কেবলই মুগ্ধ! স্লোভেনিয়া যেতে চাই !
ধন্যবাদ scorpi
----- রোয়েনা
hi5 !
facebook
লেক ব্লেডে যাওয়ার প্ল্যান ছিল কিন্তু লুবলিয়ানা ঘুরে দেখার পর এমন বৃষ্টি শুরু হইছিল যে রাতটা লুবলিয়ানায় কাটিয়ে পরের ট্রেনে ভেনিসের পথ ধরতে হইছিল। তবে স্লোভেনিয়ান বালিকারা যে অসম্ভব বন্ধুত্বপরায়ণ এবং আবেদনময়ী ওইটুকু সময়ের মধ্যেই তা বুঝেছিলাম!!
-নিহাদ
, সাবাশ সাবাশ
facebook
নতুন মন্তব্য করুন