তাহিরপুরের রাজা কংসনারায়ণ আজ থেকে প্রায় সাড়ে চারশ বছর আগে মহাসমারোহে রাজসিক বিধানে বাংলায় প্রথম দুর্গোৎসবের আয়োজন করে মহাযজ্ঞ সমাধা করেছিলেন তার গ্রাম রামরামাতে। আজ যাওয়া হয়েছিল তাহিরপুরে, রাজার প্রসাদ, সেই আমলের কিছু স্থাপনা এবং গাছের সাথে পরিচয় হল, যদিও সেই মণ্ডপ আর নেই, চলে গেছে বারনই নদীর গ্রাসে।
কদিন আগেই অষ্টমীর রাতে বন্ধুদের সাথে রাজশাহী বেশ কয়েকটা পূজা মণ্ডপে যাওয়া হয়েছিল, আজ তাহিরপুর ঘোরার সময় মনে হচ্ছিল সেই সময়ের কয়েকটা ছবি সবার সাথে ভাগাভাগি করলে কেমন হয়? সেই ধারণা থেকে এই পোস্ট---
জগতের সকল প্রাণী সুখী হোক।
২৮
সবচেয়ে ছোট প্রতিমা, সম্ভবত দেশের একমাত্র ঠাকুর যা একজন মাত্র ব্যক্তি নিজ চেষ্টায় চালান, কারণ এই মন্দিরের দেবোত্তর সম্পত্তি বেহাত হয়ে গেছে, তারপরও মানুষটি সামর্থ্য মত অনেক বছর ধরে চালিয়ে যাচ্ছেন ক্ষুদে মণ্ডপটি।
এইটা ছিল সবচেয়ে প্রিয় মুহূর্ত, যখন আবারও জানলাম বাংলা সকল ধর্মের, সকল মতের মিলনমেলা-
মন্তব্য
ভালো লাগা জানিয়ে গেলাম।
facebook
মন্ডপ ঘুরিয়ে আনার জন্য অনেক ধন্যবাদ। শেষবার গিয়েছিলাম অনেক আগে, ২০০০ এর এর দিকে।
facebook
অপেক্ষায় আছি, কবে শেষ ছবিটা ফেসবুকে শেয়ার শুরু হবে "বিধর্মীদের পূজায় ভেসে উঠলো আল্লাহপাকের পবিত্র নাম" ধরণের স্ট্যাটাস দিয়ে।
facebook
facebook
সর্বশেষ ছবি আর ক্যাপশনটি মন ভরিয়ে দিল। প্রকৃত শিক্ষার অভাবে এর মর্ম বোঝার মতো মানুষ দিন দিন কমে যাচ্ছে।
আসবেই সুদিন
facebook
জগতের সকল প্রাণী সুখী হোক
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
হ
facebook
বাঃ! খুব ভাল লাগল।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
রঙের ফডু আসিতেছে
facebook
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
তৎকালিন বাংলা বিহারের মধ্যে সর্বপ্রধান পন্ডিত হিসাবে গণ্য বাসুদেবপুর নিবাসী পন্ডিত রমেশ শাস্ত্রী প্রণীত পদ্ধতিতে নাটোরের তাহিরপুরের রাজা কংসনারায়ণ ষোড়শ শতাব্দীর শেষ ভাগে এই আধুনিক পদ্ধতিতে দুর্গাপুজার অনুষ্ঠান করেন। এই পদ্ধতির পুজানুষ্ঠান প্রচন্ড জনপ্রিয়তা লাভ করে।
বর্তমানকালেও রমেশ শাস্ত্রী প্রণীত পদ্ধতিতেই দুর্গাপুজার অনুষ্ঠান হয়।
আপনার দেওয়া ছবিগুলো দারুণ প্রাণবন্ত।
অনেক অনেক ধন্যবাদ
facebook
ভালোলাগা জানবেন
- আরাফ করিম
শুভেচ্ছা
facebook
ছবিগুলো দেখে খুব ভালো লাগল।
ঢাকার বালিকাদের নিয়ে এত্ত না ঘুরে এদিকে আইলেই পারতেন-
facebook
কংসনারায়ন চেয়েছিলেন তার বিত্ত বৈভবের জাঁক প্রদর্শনের জন্য কিছু একটা করতে, শেষে পণ্ডিতদের পরামর্শে বিপুল অর্থ ব্যায়ে বাংলাদেশে প্রথম দুর্গা পুজা করেন। তার সেই পুজার অনুষ্ঠান সুপারহিট করেছিল, অন্য জমিদার এবং ধনাঢ্য ব্যক্তিবর্গ এর অনুকরণ শুরু করেন, কালের প্রবাহে সেই দুর্গা পুজা আর ধনাঢ্য জমিদারদের কুক্ষিগত না থেকে সার্বজনীন পুজায় পরিণত হয়েছে, এটাই সুখের বিষয়। আর দুর্গাপূজার প্রচলনের (বাংলায়) সাথে তাহেরপুরের নাম জড়িত, এটাও আমাদের জন্য গর্বের বিষয়।
তারেক, এখানের ছবিগুলো কোন কামেরায় তোলা? একটু অন্যরকম লাগলো।
একটি ক্যামেরা ! ৭ডি, নতুন আর পামু কোথায়?
facebook
দারুণ! দূর্গাপূজার ইতিহাসটা শুরু হয় কিন্তু চট্টগ্রাম থেকেই, বোয়ালখালী থানার পূর্বদিকে যে বিস্তীর্ণ পাহাড়শ্রেণী সেখানেই মুনি মেধসের আশ্রমে রাজা সুরথকে প্রথম দেবী দূর্গার পূজা করতে বলা হয়েছে বলে জানতাম।
অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।
ভাগেন মিয়া ! বিগ ব্যাং তো চট্টলাতেই শুরু হয়েছিল জানতাম
facebook
সচলের কল্যাণে দেশী মন্ডপ ঘোরার অভিজ্ঞতা হয়ে গেল! ছবি ৯ এর প্রতিমা কি মনসার ?( সাপের ফণা দেখে বললাম আর কি)
মানুষের ভীড়ের দুই একটা ছবি দিতেন যদি!
--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।
ওটা দুর্গা প্রতিমাই, মনসা নয়। পেছনের ওই ব্যাকগ্রাউন্ডটাকে বলে চালচিত্র। প্রতিমা গড়ার সময় একেক কারিগর একেক রকম চালচিত্র তৈরি করেন। মনের মাধুরী আর কি!
দুর্গা এবং মনসার মধ্যে পার্থক্য বোঝা যায় তাঁদের হাতের সংখ্যা এবং বাহন দেখে। দুর্গার হাতের সংখ্যা দশটি আর বাহন হলো সিংহ, মনসার হাতের সংখ্যা চারটি আর তাঁর বাহন হলো হংস। তবে বিজয়গুপ্তের "মনসামঙ্গল" কাব্যটির কথা এই ক্ষেত্রে স্মরন করা যেতে পারে। চাঁদ বেনে ছিলেন শাক্ত, তিনি চন্ডী তথা দুর্গার পুজা করতেন, মনসাকে তিনি পুজা দেওয়া তো দূরের কথা, দেবী হিসেবেই গন্য করতেন না। চাঁদের পুজা পাওয়ার আকাঙ্খায় মনসা তাঁকে ভোর বেলায় একটি স্বপ্ন দেখান, যাতে চাঁদ দেখেন যে দেবী দুর্গাই আসলে মনসা, যদিও পৌরানিক কাহিনী অনুযায়ী মনসা শিবের স্ত্রী নন, কন্যা। যাই হোক, বাংলার অন্তজ শ্রেনীর কাছে মনসা বহুকাল থেকে পরম সমাদরে পুজিত, বিজয়গুপ্তের মত এই মুর্তি নির্মাতার মনেও মনসা এবং দুর্গা একাকার হয়ে গেছেন কি না কে জানে।
ঐটা একটা থিম, মানে সাপের ফণা পিছনে রেখে বেদী নির্মাণ
facebook
ফুলকো লুচি, বেগুন ভাজা, নাড়ু এগুলোর ছবিও চাই।
সেগুলো টো হজম
facebook
facebook
সব দূর্গাকে একসাথে নিয়ে এলেন যে! অসাধারণ! কলকাতায় একবার দূর্গা পূজার সময় গিয়েছিলাম, সে এক অসাম অভিজ্ঞতা!
ভালো লাগলো আপনার ছবিগুলো।
ভালো থাকুন, অণু ভাইয়া, খুব।
-এস এম নিয়াজ মাওলা
সেটা নিয়ে লিখুন পিলিজ
facebook
দেশে খুব ঘোরা হচ্ছে না।।
চলে আস একসাথে ঘোরা যাবে
facebook
চাইলেই ও যদি ও আসা যেত।
দারুন সব ছবি
facebook
এবার পূজোয় আমিও ছিলাম রাজশাহীতে!! মন্ডপে মন্ডপে ঘোরার সময় দেখা হয়ে গেলে তো ভালোই হতো!! তবে এবার পূজো দেখতে বেরিয়ে মনটা কিছুটা খারাপ ছিল - বন্ধুরা কেউ রাজশাহীতে নেই যে! মাসীমার হাতের নাড়ু কতদিন যে খাই নি!
____________________________
আহা, জানালেন না তো !
facebook
বারনই নদী আছে এখনো? ছবি থাকলে দেন একটা দেখি।
রাজশাহী’তে দূর্গাপূজায় কি আরতি হয়? ঢাকা শহরে আরতির নামে হিন্দি গানের সাথে লাফালাফি দেখতে দেখতে ক্লান্ত।
বারনই নদী আজকেই দেখলাম
facebook
এবার ঘোরার সুযোগ কম হয়েছিলো, বেশিরভাগ প্রতিমাই ছবিতে দেখা হয়ে গেলো।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
ভালো লেগেছে।
নতুন মন্তব্য করুন