আম নিয়ে বই

তারেক অণু এর ছবি
লিখেছেন তারেক অণু (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৪/১০/২০১৩ - ২:২০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

IMG_1427

একবার মোঘল বাদশাহ আকবরের শাহী দরবারে এক বিশাল ভোজসভার আয়োজন ছিল, সেখানে বরাবরের মত বীরবলও উপস্থিত ছিলেন। তৃপ্তির সাথে ভোজন পর্ব সমাধা করে বীরবল জানালেন তার পেটে আর ফাঁকা জায়গা নেই। তার পরপরই একজন পরিবেশনকারী পাত্রে আম রেখে গেলে বীরবল বেশ কয়েক টুকরো পাকা আম খেয়ে ফেললেন, তাই দেখে সম্রাট আকবর রাগের দৃষ্টিতে তাকালে বীরবল অনুনয়ের ভঙ্গীতে বললেন- মহামান্য সম্রাট যখন রাস্তা দিয়ে কোথায়ও যেতে শুরু করেন, সেই রাস্তাটি মানুষের ভিড়ে যতই ব্যস্ত থাকুক, সঙ্গে সঙ্গেই রাস্তা ফাঁকা হয়ে যায়! আপনি যেমন আমাদের সম্রাট তেমন আম হচ্ছে ফলের মধ্যে সম্রাট! আপনাকে যেমনভাবে আমরা রাস্তা ছেড়ে দিই, তেমনি আমকে দেখে পেট আপনাআপনি তার মধ্যে জায়গা করে দিয়েছে। বীরবলের এই যুক্তিপূর্ণ বুদ্ধিদীপ্ত উত্তর শুনে আকবর খুশী হয়ে পাকা আমের ঝুড়িসহ অনেক উপহার প্রদান করেন।

এই ঘটনা দিয়েই শুরু হয়েছে মাহবুব সিদ্দিকীর প্রথম বই আম। কোলকাতা থেকে প্রকাশিত বইয়ের দেশ পত্রিকাটিতে বাংলাদেশের প্রথম যে বই নিয়ে রিভিউ বেরিয়েছিল তা ছিল আম নামের বইটি, কিছুটা সেই কৌতূহল থেকে, কিছুটা আমের প্রতি টান থেকে, আর বাকীটা জ্ঞান লাভের আকর্ষণেই হেরিটেজ রাজশাহী নামের সংস্থা কতৃক প্রকাশিত বইটা সংগ্রহ করে পড়ে ফেললাম, ৩৫০ পাতার বই, কিন্তু ফ্ল্যাপে লেখকের ছবি দেখে চমকে উঠলাম, মাহবুব সিদ্দিকী তো আমাদের পাড়ার মিন্টু মামা ! মানে পাশের বাড়ীর পরিচিত মামা, যাকে আমরা পুলিশ মামা নামেই চিনতাম, ভদ্রলোক থানার ওসি ছিলেন, খাকী পোশাকেই থাকে দেখ অভ্যস্ত আমরা, সেখান এত চমৎকার তথ্যপূর্ণ একটি বইয়ের লেখক হিসেবে তাকে দেখে যেমন ভাল লাগল, তেমন গর্বও হল, সেই সাথে অবাক হলাম জেনে যে চাকুরি থেকে অবসর নিয়েই তিনি নানা তথ্যমূলক গবেষণা এবং বই লেখার কাজে নিজেকে নিয়োজিত করেছেন, যা আমাদের কর্মবিমুখ সমাজে অতীব বিরল দৃষ্টান্ত। মিন্টু মামার সাথে আজকের সন্ধ্যার আড্ডার কিছু চুম্বক অংশ এবং আম বইটির সারাংশ নিয়েই এই পোস্ট-

আমের প্রাচীন উৎপত্তিস্থল পার্বত্য চট্টগ্রাম, উত্তরপূর্ব ভারত এবং মায়ানমার, অন্তত ৬ ০০০ বছর আগে থেকেই তা চাষ হয়ে আসছে, , আমগাছ বাংলাদেশের জাতীয় বৃক্ষ, ভারত- পাকিস্তান- ফিলিপাইনের জাতীয় ফল আম ইত্যাদি ইত্যাদি তথ্য দিয়ে শুরু হয়েছে বইটি, এক ফাঁকে বর্ণনা করা হয়েছে আমগাছের ভেষজ গুনাগুণ।

IMG_1432

আছে আমের নাম নিয়ে কথকতা- সংস্কৃতে ফলটির নাম অম্র, যদিও আম্রের অর্থ হচ্ছে অম্ল, মানে টক। কাঁচা আম আস্বাদনকারী কেউ হাজার বছর আগে ফলটির নাম রাখে অম্র, সেখান থেকে আসে আম। আবার তামিল ভাষায় আমকে বলা হয় মানকে, মান মানে আম গাছ এবং কে অর্থ ফল, বুঝতেই পারছেন এই মানকে থেকেই ম্যাঙ্গো শব্দটির উৎপত্তি! সেই সাথে আছে শত শত আমের নাম এবং তাদের কয়েকটির উৎপত্তির ইতিহাস- ফজলী বিবি নামের মালদহ জেলার এক বৃদ্ধার বাড়ীতে পাওয়া বিশেষ আমের গাছকে র‍্যাভেনশ নামের ইংরেজ সাহেব ফজলী নামে অভিহিত করেন, বা বেনারসের এক খোঁড়া ফকিরের আস্তানা থেকে পাওয়া জাতের নাম যে ল্যাংড়া হয়েছে তা এর আগে কে জানত !

IMG_1431

সেই সাথে আছে অগ্নি, অমৃত ভোগ, আলফাজ বোম্বাই, আতাউল আতা, আরিয়াজল, আরাজনমা,‌আলমশাহী, আনারস, আশ্বিনা, ইলশাপেটি, কলাচিনি, কাঁচামিঠা, কপিল বাংড়ি, কালিয়া,
কৃষ্ণচূড়া, কালিভোগ, কালুয়া, কাঞ্চন খোসাল, কাজলা সিন্দুরী, বিষাণ ভোগ,
কোহিনুর, কোহিতুর, কুয়া পাহাড়ি, কালাপাহাড়, কাজল ফজলি, কাইয়া ডিপি,
কাটাসি, খুদি খিরসাপাত, খিরসাপাত, গোলাপ খাস, গোলাপ বাস, গোলৱা, গুলিৱ,
গিলা, গোপাল ভোগ, গৌরজিত, গুলগুলিৱ, চেপি, চরবসা, চম্পা, চন্দন, চিনিয়া
ফজলি, চিনি কালাম, চিনি বড়ই চিনি পাতা, ছাবিয়া, ছানাজুর, ছবেদা, জালী
বান্ধা, ভাংগা, জিলাপীর ক্যাড়া, জোয়ালা, জিতুভোগ, জর্দা, জর্দালু
টিক্কাফরাশ, টিয়াকাঠি, টোফা, ত্রিফলা, বাওয়ানী, বাউনি লতা, তাল পানি, দার
ভাংগা, দরশন, দাদ ভোগ, দেউরী, দিলসাদ, দোফলা, দিলিৱ লাডুয়া, দুধিয়া,
দেওভোগ, দুধস্বর, নারিকেলী,নয়ন ভোগ, নাগ ফজলি, প্রসাদ ভোগ,
পাথুরিয়া, ফজলি, ফজলি কালান, ফনিয়া, বৈশাখী, বারমাসি, বোতল বেকি, বোতলা,
বড় শাহী, বাতাসা, বাউই ঝুলি, বিড়া, বেগম পছন্দ, বেল খাস, বিমলা, বিশ্বনাথ,
বোম্বাই, বোম্বাই কেতুলৱা, বগলা গুটি, বদর্বদ্দোজা, বোম্বাই গোপাল ভোগ,
বোম্বাই খিরসা, বৌ ভুলানী, বৃন্দাবনী, সাহা পছন্দ, বাদশা ভোগ, ভাদুরী,
ভবানী, ভবানী চৌরস, ভারতী, মাল ভোগ, মাংগুড়া পাকা, মিসরীদাগী, মিসরী ভোগ,
মিসরী দানা, মিসরী কান্ত, ভূত বোম্বাই, মতিচুর, মোহন ভোগ, মোহন পছন্দ,
রাজরানী, রাম প্রসাদ, রানী পছন্দ, রানী ভোগ, রাজ ভোগ, লাক্ষ্ণৌ, লাদুয়া,
ল্যাংড়া, লাডুয়া, লালমন, লৰণ ভোগ, লতা খাট, লতা বোম্বাই, লোহাচুর, শ্যাম
লতা, রসবতী, সাটিয়ার ক্যাড়া, সাদাপাড়া, সবজা, সুবা পছন্দ, শাহী পছন্দ,
সরিখাস, শরিফ খাস, সিন্দুরী, সাদা, সারাবাবু, শোভা পছন্দ, সুলতান পছন্দ,
সূর্যপুরী, সুরমাই ফজলি, হাড়ি ভাঙ্গা, হায়াতি, হিমসাগর, ৰীরপুরি, ৰীরমন,
ৰীর টাটটি, ৰীর বোম্বাই, অমৃত ভোগ, অনুপম, আব্দুল আজিজ, আজিজ পছন্দ, আলফানসো,আলীচৌরস,আম্রপালি,আমবাজান, আনারস, আমন দাশেহারী, আনানাস খাশ, আলমপুর, আওবেক, এনায়েত পসন্দ,
কালা পাহাড়, কাইটুক, গোলাপখাস লাল, চাঁপা, চৌসা, চ্যাটার্জি, ছিদরালী,
ছওসি, জনারধন পছন্দ, জাহাঙ্গীর, জামুরাদ, জারদালু, জামাদার, জাহানারা,
জাওনিয়া, জাফরান, ঝুমকো ফজলি, ডক্টর পছন্দ, তৈমুরিয়া, তোতা পুরী, দউদি,
দিল রোশন, দিল বাহার, দিল ওয়ালা, দিল পসন্দ, দুধ কুমার, দালুয়া, দাসেহারী,
ধুপা, নীল উদ্দিন, নোড়া, নীলাম, নওয়াব পসন্দ, নিলাম্বরী, নিসার পসন্দ,
বোম্বাই গ্রীণ, বনরাজ, পেয়ারা ফুলী, পীরের ফলী, রাজাপুরী, রওশান টাকী,
ফজলি জাফরানি, বাঙ্গালোরা, বেগম ফুলি, বেনেসান (বাগানপলৱী), ভবানী বা
ভবানী চৌরস, ভুলীয়া, ভাদুরিয়া, বাদামি, মহারাজ পছন্দ, মিঠা গাজীপুর,
মালদাহ, মালগোবা, মালকুরাদ, মলিৱকা, মাদ্রাজী, মিঠুয়া পাটনা, র্বমানী,
রাসপুরী, রাগ, রাসপুনিয়া, রত্না, লাল মালগোয়া, লাজুক পছন্দ, লাভ-ই-মশগুল,
লিটল ফ্লাওয়ার, শাহ পছন্দ, সব দেরাজ, সরবতী, সামার বেহেস্ত, সুবর্ণরেখা,
সামার বেহেস্ত চৌসা, স্বাদওয়ালা, সুকুর খন্দ, সরিখাস, সফদর পছন্দ, সুরখা
কলকাতা, সারেঙ্গী, হিমায় উদ্দিন,
হুসনারা ইত্যাদি ইত্যাদি দেশ- বিদেশের আমের বর্ণনা, এলাকা, স্বাদ। সেই সাথে বেশ কিছু আমের আলোকচিত্র, কোন কোনটিতে গোটা আম, কোনটিতে আবার একই ফ্রেমে গোটা আম, কাটা আম এবং আমের আঁটির ছবি !

IMG_1429

তা দেখে এ পর্যন্ত কয় জাতের আমের আস্বাদন করেছেন জিজ্ঞাসা করতেই একগাল হেসে বললেন বাংলাদেশের শতাধিক জাতের তো বটেই, ভারতেও কয়েক ধরনের আম খাওয়ার অপূর্ব অভিজ্ঞতা আছে তার। সবচেয়ে পছন্দের আম তার রাণী পছন্দ ! যদিও সারা বিশ্বের সেরা আম বলতে ওনার ভোট গেল বেনারসের হাজিপুরী ন্যাংড়ার পক্ষে!

আম বইটিতে আলাদা আলাদা অধ্যায় জুড়ে আছে আম সংগ্রহ, সংরক্ষণ, আমের রোগের বর্ণনা ও তাদের প্রতিকার, আম বাগান তৈরি ও ব্যবস্থাপনা, আম থেকে নানা খাদ্যসামগ্রী তৈরির প্রণালী, বাংলাদেশে এই ব্যবসার কিছু তথ্য। ২য় সংস্করণে আলাদা ভাবে এসেছে আমের ভেষজ গুণ নিয়ে একটি অধ্যায়।

IMG_1430

একটি সম্পূর্ণ অধ্যায়ে বর্ণনা করা হয়েছে শিল্প-সাহিত্য- কাব্য- ধর্মীয় অনুষ্ঠানে আমের উপস্থিতির কথা, প্রাচীন কাব্য রামায়ণে রচয়িতা বাল্মিকি চিত্রকূট পর্বতের অপরূপা নিসর্গের বর্ণনা দিতে যেয়ে প্রথমেই আমের কথা বলেছেন, সেখান থেকে কালিদাসের শকুন্তলা, কবি উমাপতিধরের পঙক্তি, আমীর খসরুর কবিতা, ইবনে বতুতার বর্ণনা, সম্রাট বাবরের আত্মজীবনী, রবি ঠাকুরের গান, জীবনানন্দের নির্জন কাব্য, জসীমউদ্দিনের ছড়া কোথায় নেই আম !! বিশেষ করে রবীন্দ্রনাথের বেশ কটি কবিতা স্থান পেয়েছে আম ও আম্রমুকুলের বর্ণনা নিয়ে।

সেই সাথে বিশেষ ভাবে আছে আমের সাথে জড়িত ইতিহাসের নানা অধ্যায়, লঙ্কারাজ রাবণপুত্র ইন্দ্রজিৎ যে স্বর্গ জয় করে সেখান থেকে হাজারো ফলের স্বাদ গ্রহণ করে আমকে সর্বশ্রেষ্ঠ বিবেচনা করে বীজ ও চারা সহ ফিরলেন এই পুরাণ কথা যেমন আছে, তেমনি আছে ১৫৯০ সালে সম্রাট আকবরের তৈরি পৃথিবীর প্রথম আমবাগানের কথা, বিহারের দ্বারভাঙ্গার কাছে লাখো গাছের সমাহারের জন্য যার নামকরণ করা হয়েছিল লাখবাগ যেখানে প্রথম আমের কলমের চারা তৈরি কৌশল উদ্ভাবন করা হয়, আওরঙ্গজেব ও তার পিতা শাহজাহানের মাঝে আমগাছ নিয়ে সৃষ্ট সম্পর্কের টানাপোড়নের কথা , ইন্দিরা গান্ধীর আত্মজীবনীতে আমবাগানের কথা, ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের উপহার হিসেবে ভিনদেশে আম প্রেরণের গল্প।

পুলিশের চাকরিতে থাকাকালীন নানা জটিলতার কারণে লেখা প্রকাশের সমস্যা এবং নিষেধাজ্ঞা থাকার কারণে বই প্রকাশে এত দেরী হলেও মাহবুব সিদ্দিকী বললেন চাকরির কারণেই বাংলাদেশের নানা প্রান্ত ঘুরতে পেরেছেন তিনি, মিশেছেন হাজারো মানুষের সাথে। দেখেছেন তাদের সংস্কৃতি, ইতিহাস, আগ্রহ। জীবন থেকেই তুলে নিয়েছেন তার পছন্দের বিষয়গুলোর উপাত্ত।

আড্ডায় উপস্থিত হেরিটেজ রাজশাহীর সেক্রেটারি মাহমুদ হাসান ডন অবশ্য বললেন সেই স্কুল জীবন থেকেই তাদের চেনা পরিচয়, তখনো আমের মৌসুমে কিছুটা অপরিচিত আম পেলেই মাহবুব সিদ্দিকী কৌতূহল নিয়ে পরখ করতেন আমের খোসার পুরুত্ব, আঁটির আকার, অনেক সময়ই বন্ধুদের দেখাতেনও তা ! বোঝা যায় আম সবসময়ই তার মানসে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করেছিল। যদিও লেখক মাহবুব সিদ্দিকী বললেন তার বাবা প্রায়ই সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় কাটানো শৈশবের কথা বলতে যেয়ে বিশাল আমবাগানের বর্ণনা দিতেন এবং প্রায় ৫০ ধরনের আমের নাম আলাদা আলাদা ভাবে বলতে পারতেন, হয়ত তখনি শিশুমনে বুনে গিয়েছিল আগ্রহের বীজ।

বর্তমানে তিনি কাজ করছেন বাংলাদেশের নানা শহরাঞ্চলে একদা উপস্থিত এবং বর্তমানে বুজে দেওয়া জলাশয় নিয়ে, জানা গেল ১৯৪০ সালে এক রাজশাহী মহানগরীতেই ৪৫০০ পুকুর বা দীঘি থাকলেও বর্তমানে আছে বড়জোর ১৭০টি! সেই গবেষণার কাজেই কেবল ফিরলেন বরিশাল থেকে। এর মাঝে গত কবছর ধরে মৃত বিলুপ্ত নদী এবং জলাশয় নিয়ে গবেষণা করছেন, জেনেছেন বিস্ময়কর সব তথ্য। যেমন সম্প্রতি পুরনো শ্মশান দেখে বাহির করেছে ৪ কিমি দূরে সরে যাওয়া এক মৃত জলধারার অস্তিত্ব। নারদ নদ, বড়াল নদ নিয়ে প্রকাশিত হয়েছে আলাদা আলাদা গ্রন্থ। ইচ্ছা আছে গঙ্গা –পদ্মা নিয়ে বিশাল কলেবরে কাজ করার। সেই সাথে এখন পালন করছেন হেরিটেজ রাজশাহীর সভাপতির দায়িত্ব।

IMG_1426

আড্ডার এক ফাঁকে বললেন- একজন ভাল পুলিশ অফিসারের অনেক অনেক লেখাপড়া করতে হয়। বিশেষ করে আইন নিয়ে। তাই পড়ার অভ্যাস তার সবসময়ই ছিল, তবে তার বুনিয়াদ গড়ে উঠেছিল ১৯৬৯এর গণআন্দোলনের সময় যখন তিনি বামধারার রাজনীতিতে যুক্ত হয়ে রাজপথে, এখনো মনে করেন সমাজতন্ত্রই পারে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ধনী –গরীবের সাম্য আনতে। সেই সাথে হেসে এও বলতে ভুললেন না যে অবসর জীবন তিনি উপভোগ করছেন একটি স্বাধীন পাখির মত, মনের আনন্দে পছন্দসই সৃষ্টিকর্মে মেতে থেকে।

(আরও অনেক বছর সচল থাকুক মাহবুব সিদ্দিকীর কলম ও গবেষণা। আশা করছি ভবিষ্যতে নদী ও জলাশয় নিয়ে তার মূল্যবান গবেষণার খবর আমরা দেখতে পাব সচলায়তনে। )


মন্তব্য

সাইদ এর ছবি

চলুক

তারেক অণু এর ছবি
ঈয়াসীন এর ছবি

আম খাইতে মুঞ্চায়।

------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।

তারেক অণু এর ছবি

সিজন আহুক

সুকমল মোদক এর ছবি

ভাল।

তারেক অণু এর ছবি

আম মানেই ভাল

শাহীন হাসান এর ছবি

একটি অপূর্ব লেখা পড়লাম/ তারেক অণু, আপনাকে ধন্যবাদ ।

....................................
বোধহয় কারও জন্ম হয় না, জন্ম হয় মৃত্যুর !

তারেক অণু এর ছবি

শুভেচ্ছা

মন মাঝি এর ছবি

চলুক ভারতের বিশ্ববিখ্যাত আলফোন্সো আমের নাম তো দেখলাম না, যেটা কিনা অনেকের মতেই বিশ্বসেরা? আর আমার প্রিয় 'নানিভুলানি' আমও তো নাই! হাসি

****************************************

তারেক অণু এর ছবি

আলফোন্সো বাদ গেছে নাকি ! হায় হায়

অতিথি লেখক এর ছবি

চলুক

এতো প্রকার আম হো হো হো । জীবনে অনেক আম খেয়েছি তবে রাজশাহী থাকা অবস্থায় তাজা আমের যে স্বাদের আম পেয়েছিলাম তা আর কিছুতেই পাইনি, ফরমালিন নামক সুস্বাদু রস মিশে আমকে এখন দীর্ঘজীবি করেছে। মাহবুব সিদ্দিকের মতো মানুষেরা বেঁচে থাকুক দীর্ঘ সময়, দিয়ে যাক আমাদের ভিন্ন ধারার সব অভিজ্ঞতা আর তথ্য বহুল জ্ঞান।

মাসুদ সজীব

তারেক অণু এর ছবি
স্পর্শ এর ছবি

দারুণ একজন মানুষের কথা জানলাম। অবসর জীবনে ভেঙ্গে পড়ার বদলে নিজের প্যাশন নিয়ে মেতে আছেন।
আমের যে এত প্রজাতি আছে জানতাম না।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

তারেক অণু এর ছবি

উনাকে নিয়ে আরও লেখা আসিতেছে

ছায়াবৃত্ত এর ছবি

আম খামু ওঁয়া ওঁয়া

তারেক অণু এর ছবি

ওঁয়া ওঁয়া

আব্দুর রহমান এর ছবি

ইশকুলের পোলাপানদের যন্ত্রণা দিতে এই বই খুব কাজে লাগবে। বাংলাদেশে পাওয়া যায় এমন ৩০ জাতের আমের নাম লিখ।

------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল

তারেক অণু এর ছবি

আপনি তো ভারী ইয়ে--

অতিথি লেখক এর ছবি

দেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে থাকা এই সব চমৎকার লেখকের সাথে পরিচয় করিয়ে দেবার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। লেখার সাথে মাহাবুব সিদ্দিকীর একটা ছবি তো পেতেই পারতাম, তাই না? হাসি

(বিঃদ্রঃ - ৭ বছর কাটিয়ে যখন রাজশাহী ছাড়লাম, তখনি আপনি সেখানে ঘাঁটি গাড়লেন) মন খারাপ

--সাদাচোখ
sad_1971এটymailডটkom

তারেক অণু এর ছবি

পরের বার দিচ্ছি

ফয়সাল ইজা এর ছবি

‍“মাহবুব সিদ্দিকী” আমার জন্য নতুন নাম, একেবারেই আনকোরা সদ্য শোনা। আগ্রহ বোধ করছি। পড়ার ইচ্ছা জাগছে। বইগুলো কোথায় পাওয়া যায় ঢাকায়, জানেন কিছু অণু ভাই?

অণুকে ধন্যবাদ। চলুক

তারেক অণু এর ছবি

আজিজে আর মধ্যমায় পাওয়া যাবে আশা করি

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

বাপ্রে... এ তো "আম্রপিডিয়া" হাততালি মিন্টু মামারে উত্তম জাঝা! অণু'দা কে আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

তারেক অণু এর ছবি

আমারে আম দ্যান!

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

এসব কি বুইলছে গো অ্যাঁ
আপনার কাছে কপি নাই? বই ছাড়াই রিভ্যু লিখ্যা ফালাইলেন নাকি? চিন্তিত

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

তারেক অণু এর ছবি

বই আছে, ফল নাই

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

বই পাঠায়া দেন, ফিরতি ডাকে ফলের ব্যাবস্থা করুম্নে দেঁতো হাসি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

তারেক অণু এর ছবি
সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

ইয়ে, মানে...

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

আমটি আমি খাব পেড়ে।

তারেক অণু এর ছবি

এক্কেরে

সৃষ্টিছাড়া  এর ছবি

চলুক

তারেক অণু এর ছবি
ইয়াসির আরাফাত এর ছবি

মাহবুব সিদ্দিকী নামটির সাথে পরিচয় করিয়ে দেবার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ তারেক অণু পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

তারেক অণু এর ছবি
প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

আমের সীজন শেষ আর উনি আসছেন আমের প্যাঁচাল পাড়তে! এখন যে আমাশায় (আম খাইবার আশা) ধরলো, তার বিহিত কে করবে শুনি? আহা, আম খেতে খেতে এই লেখাটা আর আমের বইটা পড়তে পারলে কত ভালো হতো!! দুই/তিন সপ্তাহের মধ্যে আবার আসছি রাজশাহী, তখন কিনবো মিন্টু মামার বইটা।

____________________________

তারেক অণু এর ছবি

জানিয়েন কখন আসবেন-

তাপস শর্মা এর ছবি

আমেরও এত্ত হ্যাপা? বাপরে, কত কিসিমের নাম রে। পোস্ট চমৎকার হয়েছে হে হাসি

তারেক অণু এর ছবি

আমেরই হ্যাপা

 মেঘলা মানুষ এর ছবি

বাবা, এত রকমের আমও নাকি আছে দুনিয়াতে!

আমের উপরে যে বইও আছে, এ তথ্যটাও অজানা ছিল। বইয়ের লেখককে সাধুবাদ যে অবসর গ্রহণের পরও তিনি বইটা প্রকাশ করেছেন। (আমি হলে হয়ত ইচ্ছাটাই মরে যেত সেই বয়সে)

অণু ভাইকেও ধন্যবাদ আম নিয়ে শৈশবের সুখস্মৃতি মনে করিয়ে দেবার জন্য হাসি

তারেক অণু এর ছবি
স্যাম এর ছবি

অণুদার লেখা মানেই নতুন কিছু জানা ... যথারীতি ফাইভ ষ্টার চলুক চলুক
মাহবুব সিদ্দিকীকে শ্রদ্ধা, শুভকামনা

তারেক অণু এর ছবি

আহেন, আড্ডা দিমু নে

অমি_বন্যা এর ছবি

অনু দা, মাহবুব সিদ্দিকীর পরিচয় আগে জান্তাম না। আজ তা হল।এরকম লেখার জন্য ধন্যবাদ

তারেক অণু এর ছবি
সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

এক জাতের আম আছে, যারা গাছে ধরে না... ভোট দেয় খালি হাসি

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

তারেক অণু এর ছবি
আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

আগে শুনলে হয়তো ভাবতাম আম নিয়ে আবার বই, সেটা আবার কে পড়বে? কিন্তু আপনার চমৎকার লেখাটি পড়ে বুঝলাম এটা আসলেই অসাধারন একটি বই, না পড়লে তো কিছতেই চলবে না। একটা বিষয় একটু বলুন, ক্যারীবিয় এবং আফ্রিকায় তাহলে কি এদেশ থেকেই আম গিয়েছে?

তারেক অণু এর ছবি

অতিথি লেখক এর ছবি

আম বিষয়ক পোস্টে অনেক কিছু জানা গেল।

ধন্যবাদ, শুভকামনা রইল।

তুহিন সরকার।

তারেক অণু এর ছবি
এক লহমা এর ছবি

চমৎকার লাগল।
আম কিন্তু ভয়ানক বিপদও ঘটাতে পারে। যাদের আম-এ অ্যালার্জী থাকে আমের কষ-এ তাদের মুখ চোখ ফুলে যেতে পারে। অনেক সময় ঘটনাটা আস্তে আস্তে ঘটে ফলে ভাল রকম ঝামেলা পাকিয়ে যাওয়ার আগে টের-ও পাওয়ার উপায় থাকে না। আমের কষ এবং রস থেকে ভাল রকম জ্বালা ধরান ফুস্কুড়ি উঠতে পারে। চরম ক্ষেত্রে চরম বিপদ-ও ঘটে যেতে পারে। তাই অ্যালার্জীর লক্ষণ দেখা গেলে সাবধান।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

তারেক অণু এর ছবি

ইশ, আমের অ্যালার্জি থাকলে জীবন তেঁতো

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।