আমরা রেখেছি যারা ভালোবেসে ধানের গুচ্ছের,পরে হাত,
সন্ধ্যার কাকের মতো আকাঙ্ক্ষায় আমরা ফিরেছি যারা ঘরে!
শুভ জন্মদিন প্রিয় কবি।
আপনার মাধ্যমেই পশ্চিমের মেঘে সোনার সিংহ আবিস্কার করি, অদৃশ্য সমুদ্রের শব্দ শুনি, ভোরের রাঙা সূর্যে অর্ধনারীশ্বরের ভয়াবহ রূপ দেখি, দেখি নির্জন মাছের চোখ, আমলকী শাখার পিছনে শিঙের মতন বাকা চাঁদ,কুয়াশার মাঝে হারানো চিল, পাখির নীড়ের মত দুটি চোখ। জীবনকে মায়াবীর নদীর পাড়ের দেশ বলে মনে হয়।
- ভোরের আকাশখানা রাজহাঁস ভরে গেছে নব কোলাহলে
নব নব সূচনার
সুচেতনা, তুমি এক দূরতর দ্বীপ
বিকেলের নক্ষত্রের কাছে;
সেইখানে দারুচিনি-বনানীর ফাঁকে
নির্জনতা আছে।
লাল নীল হলদে সাদা কমলা পালকের
মাছরাঙা চিহ্ন হয়ে চুপে উড়ে এসে
দুই অন্ধ সমুদ্রের মাঝখানে কতটুকু রৌদ্রবিন্দু আছে
দেখাতে চেয়েছে ভালবেসে।
খেয়ানৌকাগুলো এসে লেগেছে তীরের খুব কাছে-
ভেবে ভেবে ব্যথা পাব: মনে হবে, পৃথিবীর পথে যদি থাকিতাম বেঁচে
দেখিতাম সেই লক্ষ্মীপেঁচাটির মুখ যারে কোনোদিন ভালো করে দেখি নাই আমি –
এমনি লাজুক পাখি, — ধূসর ডানা কি তার কুয়াশার ঢেউয়ে ওঠে নেচে;
ভোরের সূর্যের আলো পৃথিবীর গুহায় যেমন
মেঘের মতন চুল — অন্ধকার চোখের আস্বাদ
একবার পেতে চায় — যে জন রয় না — যেই জন
চলে যায়, তারে পেতে আমাদের বুকে যেই সাধ —
যে ভালোবেসেছে শুধু, হয়ে গেছে হৃদয় অবাধ
বাতাসের মতো যার — তাহার বুকের গান শুনে
মনে যেই ইচ্ছা জাগে — কোনোদিন দেখে নাই চাঁদ
যেই রাত্রি — নেমে আসে লক্ষ লক্ষ নক্ষত্রেরে শুনে
যেই রাত্রি, আমি তার চোখে চোখ, চুলে তার চুল নেব বুনে!
অনেক সময় পাড়ি দিয়ে আমি অবশেষে কোন এক বলয়িত পথে
মানুষের হৃদয়ের প্রীতির মতন এক বিভা
দেখেছি রাত্রির রঙে বিভাসিত হয়ে থেকে আপনার প্রাণের প্রতিভা
বিচ্ছুরিত ক'রে দেয় সঙ্গীতের মত কণ্ঠস্বরে!
হৃদয়ে নিমীল হয়ে অনুধ্যান করে
ময়দানবের দ্বীপ ভেঙে ফেলে স্বভাবসূর্যের গরিমাকে।
চিন্তার তরঙ্গ তুলে যখন তাহাকে
ডেকে যায় আমাদের রাত্রির উপরে -
পঙ্কিল ইঙ্গিত এক ভেসে ওঠে নেপথ্যের অন্ধকারে: আরো ভুত
আধেক মানব
আধেক শরীর - তবু অধিক গভীরতর ভাবে এক শব।
বলিল অশ্বত্থ ধীরে: ‘কোন দিকে যাবে বলো-
তোমরা কোথায় যেতে চাও?
এতদিন পাশাপাশি ছিলে, আহা, ছিলে কত কাছে:
ম্লান খোড়ো ঘরগুলো-আজও তো দাঁড়ায়ে তারা আছে;
এই সব গৃহ মাঠ ছেড়ে দিয়ে কোন দিকে কোন পথে ফের
তোমরা যেতেছ চলে পাইনাকো টের!
বোঁচকা বেঁধেছ ঢের,-ভোলো নাই ভাঙা বাটি ফুটা ঘটিটাও;
আবার কোথায় যেতে চাও?
হঠাৎ কখন সন্ধ্যা মেয়েটির হাতের আঘাতে
সকল সমুদ্র সূর্য সত্বর তাকে ঘুম পাড়িয়ে রাত্রি হতে পারে
সে এসে এগিয়ে দেয়;
শিয়রে আকাশ দূর দিকে
উজ্জ্বল ও নিরুজ্জ্বল নক্ষত্র গ্রহের আলোড়নে
অঘ্রানের রাত্রি হয়;
এ-রকম হিরন্ময় রাত্রি ইতিহাস ছাড়া আর কিছু রেখেছে কি মনে।
কবেকার মৃত কাক: পৃথিবীর পথে আজ নাই সে তো আর;
তবুও সে ম্লান জানালার পাশে উড়ে আসে নীরব সোহাগে
মলিন পাখনা তার খড়ের চালের হিম শিশিরে মাখায়;
তখন এ পৃথিবীতে কোনো পাখি জেগে এসে বসেনি শাখায়;
পৃথিবীও নাই আর; দাঁড়কাক একা
— একা সারারাত জাগে
প্রেম যে নক্ষত্র আর নক্ষত্রের গান,
প্রাণ যে ব্যাকুল রাত্রি প্রান্তরের গাঢ় নীল অমাবস্যায় –
চলে যায় আকাশের সেই দূর নক্ষত্রের লাল নীল শিখার সন্ধানে,
প্রাণ যে আঁধার রাত্রি আমার এ, — আর তুমি স্বাতীর মতন
রূপের বিচিত্র বাতি নিয়ে এলে
আমাদের উঁচুনিচু দেয়ালের ভিতরে খোঁড়লে
ততোধিক গুণাগার আপনার কাজ
করে যায়- ঘরের ভিতরে থেকে খসে গিয়ে সন্ততির মন
বিভীষণ, ন্রিসিংহের আবেদন পরিপাক করে
ভোরের ভিতর থেকে বিকেলের দিকে চলে যায়,
রাতকে উপেক্ষা করে পুনরায় ভোরে
ফিরে আসে----
ঢের সম্রাটের রাজ্যে বাস করে জীব
অবশেষে একদিন দেখেছে দু-তিন ধনু দূরে
কোথাও সম্রাট নেই, তবুও বিপ্লব নেই, চাষা
বলদের নিঃশব্দতা ক্ষেতের দুপুরে।
বাংলার প্রান্তরে অপরাহ্ন এসে
নদীর খাড়িতে মিশে ধীরে
বেবিলন লন্ডনের জন্ম, মৃত্যু হলে-
তবুও রয়েছে পিছ ফিরে।
এই ডাঙ্গা ছেড়ে হায় রূপ কে খুঁজিতে যায় পৃথিবীর পথে-
জীবনের প্রতি ভোরে, তারাখসা মুহূর্তে কবি পাক খেয়ে যান মাথার ভিতরে-
সকল লোকের মাঝে বসে
আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা?
আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
আমার পথেই শুধু বাধা?
(শেষ ছবিটি মহামতি ওডিনের তোলা )
সিরিজের বাকী পর্বগুলো পাবেন এইখানে
মন্তব্য
শেষ ছবি খুব সুন্দর এসেছে।
বাকী পর্বের মত এ পর্বও ভাল লাগল খুব।
একটা বানান নিয়ে শুধু কথা আছে, ঠিক করে দেওয়াটা জরুরী বলে মনে করি।
"জীবনের প্রতি ভোরে, তারাখসা মুহূর্তে কবি পাঁক খেয়ে যান মাথার ভিতরে-" এই লাইন-এ পাঁক-এর বদলে পাক হওয়া দরকার, তাই না?
প্রিয় কবির জন্মদিনে শ্রদ্ধা আর ভালবাসা।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
পাক নিয়ে প্যাঁক প্যাঁক চলবে না, চলবে না
facebook
হ
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
ঠিক হয়ে গেছে -
facebook
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
একখানা গীত হইলে কেমুন হয়?
facebook
প্রিয় কবির জন্মদিনের অনেক শুভেচ্ছা। ফটুগ্রাফি ভাল্লগো।
==========================================================
ফ্লিকার । ফেসবুক । 500 PX ।
ধন্যবাদ
facebook
প্রিয় কবিকে জন্মদিনে অনেক শ্রদ্ধা আর ভালবাসা।
আপনার এই সিরিজটা এত বেশি ভাল লাগে অনুদা যে "খুব ভাল লাগল" শব্দটা কম হয়ে যায়।
শেষ ছবিটা
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
জীবনানন্দ নিয়ে নতুন লেখা আসিতেছে --
facebook
facebook
দারুণ।
পাখিদেরও আছে নাকি মন পড়ছি
------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
কেমন লাগল জানিয়েন
facebook
জীবনান্দ, তুমি আছে হয়ে আমার সত্তার খুব আপনজন. তোমাকে তাই দেখি আমি বাঙলার সব পথে ঘাটে আর ধীরে বয়ে চলা সব নদীর তীরে..! শুভ জন্মদিন প্রিয় কবি।
মাসুদ সজীব
facebook
মাঝে মাঝেই জীবনবাবু লোকটার জন্য খুব মায়া লাগে!
বেচারা কেমন মন খারাপ করা সময়গুলোকে ধরে ধরে কাগজের সাথে বেঁধে রেখে গিয়েছিল।
সিরিজ চলুক, শুভেচ্ছা অণু আপনাকে
facebook
প্রিয় কবির জন্মদিনের শুভেচ্ছা
ফটু বেশি ভাল্লাগসে আজকে
থ্যাঙ্কু, থ্যাঙ্কু,
facebook
সব ছবিতে। শেষেরটায়,
--------------------------------------------
ভালো মেয়ে
কেনু ! শেষের টায় কী সমিস্যা?
facebook
ব্লগটা পড়তে-পড়তে এবং দেখতে-দেখতে নীচে এসে থমকে গেলাম। সেকি! জীবনানন্দ দাশ আপনাকে নিয়েও কবিতা লিখেছিলেন!
বড় কামেল লোক হে মশাই আপ্নে।
আমাদের জন্যই তো তাঁর সব লেখা, তবে সত্য কথা হচ্ছে ওনার সব লেখাই তাঁর নিজের জন্য
facebook
দারুণ সব ছবিতা! (ছবি+কবিতা)
ধন্যবাদ
facebook
খেয়ানৌকা জোড়ার ছবিখানা অসাধারণ হয়েছে।
একটা কামের কথা জিগাই আপনারে......... বইমেলাতে প্রকাশিত আপনার বইখানা কিভাবে বিদেশে বসে ক্রয় করতে পারি? রকমারি.কম তো মনে হয় দেশের বাইরে ডেলিভারি দেয়না।
একটা সময় অনেক বই অনলাইনে কিনেছি বইমেলা.কম থেকে, সেই সাইটও অনেকদিন ধরে অকেজো হয়ে আছে।
......জিপসি
খবর নিতাছি, খাড়ান
facebook
আহা! কী দারুণ এ জীবনকথন!
কড়িকাঠুরে
ধন্যবাদ
facebook
দারুন লাগলো আপনার এই লেখাটা।
আমার নিকটা দিতে ভুলে গেছিলাম।
-ভাবুক পাঠক
শুভেচ্ছা আপনার জন্য
facebook
কবিতা ও ছবি।
চমৎকার লাগলো লিখাটা। ধন্যবাদ তারেক অনু।
শুভেচ্ছা
facebook
____________________________
facebook
একটু দেরিতেই লেখাটি পড়লাম । ভাল্লাগলো ।
ধন্যবাদ
facebook
সুন্দর ছবি, সুন্দর সব ছত্র।
মন খারাপ করে দেয়।
আমি আপনার জীবনানন্দ এর পোষ্টগুলো একবারই পড়ি।
কখনো না পড়ার মত করে শুধু ছবি দেখে এগোই। আমার মন খারাপ করতে ভালো লাগেনা।
তবে আপনার ছবি দেখতে আমার ভালো লাগে।
ভালো থাকবেন অণু।
রাজশাহীতো মাসের শেষে প্রোগ্রাম, এতো আগেই চলে গেছেন যে?
বইমেলায় গিয়ে দেখা হবেনা?
-----------------------------
কামরুজ্জামান পলাশ
আবার আসছি, আগামীকালকেই , দেখা হবে
facebook
প্রিয় কবির প্রতি অনেক শ্রদ্ধা আর ভালবাসা।
আর ব্লগ সম্পকে কি বলব
ছবি এবং কবিতার অসাধারণ সংমিশ্রন
আর শেষ ছবিটা
শুভেচ্ছা আপনাকে
facebook
প্রথমেই প্রিয় কবির প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালবাসা । জীবনান্দ মানেই বাংলার অবাধ প্রকৃতি সেই প্রকৃতিরই যেন ছোয়া পেলাম আপনার ফটোব্লগের মাধ্যমে । এ জন্য অবশ্যই আপনার একটা ধন্যবাদ প্রাপ্য....
দোয়া করি আপনি আরও বড় হন, আর শেষের ছবি
kokil farabi
kokilahmed1@gmail.com
অনেক ধন্যবাদ
facebook
নতুন মন্তব্য করুন