এক তরুণ খালি পায়ে পেটে পাথর বেঁধে সীমান্তের দিকে রওনা হয়। আধুনিক প্রজন্মের একজন সে, হঠাৎ দেখায় উদভ্রান্ত মনে হলেও দৃঢ় সংকল্পে অটুট, পরিষ্কার চিন্তা ভাবনার অধিকারী একজন মানুষ সে। তার হিসাব খুব সহজ, এই রাস্তা দিয়েই ১৯৭১ সালে তার মা সন্তানসম্ভবা অবস্থায় খালি পায়ে, স্রেফ চিড়া-পানি সম্বল করে ভারতের সীমান্ত অতিক্রম করেছিলেন, আমাদের গল্পের তরুণের জন্ম দিয়েছিলেন সংগ্রামী মা। আজ বুকে কষ্ট আর আবেগের ফোয়ারা নিয়ে তরুণটি জানতে চায় তাকে পেটের ভিতরে নিয়ে কিভাবে মা যুদ্ধের সময় এতখানি পথ পাড়ি দিয়েছেন।
সোফায় হেলান দিয়ে আরামে পড়তে থাকা পাঠকের মনে তীব্র চড় কষিয়ে যায় গল্পটির মূল বক্তব্য, বুকের ভেতরে বয়ে যায় অনুভূতির ঝড়, তারচেয়েও বেশি উদ্দীপ্ত হয় একাত্তরের বর্ণনায়।
এই লেখকই আমাদের আশার বাতিঘর মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যার।
জাফর ইকবাল স্যার বাংলাদেশের ব্যস্ততম মানুষদের একজন, বিশ্ব-বিদ্যালয়ের নিজ বিভাগের এক গাদা কাজ, বই লেখার চাপ, নিজস্ব কলাম লেখা, গণিত অলিম্পিয়াড, সারা দেশের আনাচে-কানাচে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড, শিক্ষানীতি ইত্যাদি ইত্যাদি নিয়ে কাজের পরও তার কাছে সবসময়ই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি থাকে মুক্তিযুদ্ধ।
যে কারণেই আমার বন্ধু রাশেদের মত একটি অমর কিশোর উপন্যাস লিখেন তিনি, জানিয়ে দেন স্বাধীনতা যুদ্ধে কিশোরদের ভূমিকা ও রাজাকারদের অপরাধ। লিখেন একজন দুর্বল মানুষ নামে এক অতি অসাধারণ ছোট গল্প সংকলন। একেবারে অন্য ধাঁচের বইতেও মোক্ষম ভাষায় আলতো করে জানান মুক্তিযোদ্ধাদের সাহস, রাজাকারদের অন্যায়, স্বাধীনতার আনন্দের কথা। টি-রেক্সের সন্ধানে-তে এক লাইনে লিখেছিলেন -মানুষও তো দানব হয়, একাত্তরে হয়েছিল না? রাশার মত কিশোরীকে নিয়ে তৈরি কাহিনীতে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি রাজাকারদের লালিত ক্ষোভ এঁকেছেন বাস্তবতার তুলিতে।
জাফর স্যারের সাথে প্রথমবারের মত যখন সামনাসামনি দেখা হয় তখন তার মাথা ভর্তি কুচকুচে কাল চুল, কিছুটা লালচে গোঁফ, যার আড়ালে সর্বদাই ঝিলিক মারে স্নেহময় হাসি, আর হাসে তার তীক্ষ চোখ দুটো। অবলীলায় তিনি বলেছিলেন রাজশাহী বিশ্ব-বিদ্যালয়ের মুক্তিযুদ্ধ চর্চা কেন্দ্রের আড্ডায়- এক বাচ্চা আমাকে চিঠি লিখে জিজ্ঞাসা করল আপনি কী সব ছাইপাঁশ লিখেন, পড়লে আমার বমি আসে !! তখনই মনে হয়েছিল নিজেকে নিয়ে যে মানুষটি রসিকতা করতে পারে, ভক্তদের সমস্ত দোষ ত্রুটি ক্ষমা করে দিয়ে, উনি নিশ্চয়ই মানুষ হিসেবে খুব উঁচু মানের।
এখন জাফর স্যারকে দেখি শ্বেত শুভ্র পক্ক কেশ-গুম্ফের এক চিরতরুণ মানুষ হিসেবে যিনি তারুণ্যের পাশে থাকেন, দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলেন- তরুণ প্রজন্ম জীবনবাজি রেখে অংশগ্রহণ করেছিল বলেই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল। দেশের নামকরা সব মানবতাবাদী সুশীলেরা যখন নানা লাভ-লোকসানের হিসাব-নিকাশে ব্যস্ত ছিল, জাফর ইকবাল স্যার তখন সরাসরি শাহবাগে তরুণদের কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে বলেছিলেন – ক তে কাদের মোল্লা, তুই রাজাকার, তুই রাজাকার ।
আজ পর্যন্ত শত বার পড়া দিপু নাম্বার টু, হাত কাটা রবিন, দুষ্টু ছেলের দল, টি-রেক্সের সন্ধানে, আমার বন্ধু রাশেদ, বিজ্ঞানী সফদর আলীর মহা মহা আবিস্কার, মহাকাশে মহা ত্রাস, টুকুনজিল, অনুরণ গোলক, যারা বায়োবট এমন অসংখ্য বই, যা আমার ফেলে আসা কৈশোর ও চলমান তারুণ্যের বাঁকে বাঁকে রঙিন সব মুহূর্তের সাথী হয়েছিল, তাদের লেখক মুহম্মদ জাফর ইকবালকে আমি তখন দেখি না, দেখি একজন প্রাজ্ঞ ঋষিকে যিনি অতীত যাচাই করে, যুক্তি বিচার করে অতি সরল ভাবে আমাদের করনীয় পন্থাকে উপস্থাপন করে সবার বোধগম্য করেই। যিনি জানেন মৌলবাদের থাবা কতটা গভীর ও সুদূরপ্রসারী। তাই তো প্রিয় বাংলাদেশকে সামনের দিকে, সুখী ভবিষ্যতের ভোরে এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য তিনি লিখেন – জামাত ইসলাম একটি রাজনৈতিক দল, কোন ধর্মীয় দল নয়। এবং এটি সবসময় ভুল রাজনীতি করেছে। এরা পাকিস্তান জন্মের সময় সেটির বিরোধিতা করেছে, বাংলাদেশ জন্মের সময় সেটিরও বিরোধিতা করেছে প্রবল ভাবে।
যখন সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন করা নিয়ে সবাই দুশ্চিন্তায়, স্যার আলতো হেসে দৃঢ় কণ্ঠে বলেন- জামাতকে বাদ দিলেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যায়।
স্যারের সাথে শেষবার কথা বলার সময়, যে দিন আমার প্রথম বইয়ের মোড়ক উম্মোচনকালে আগ্রহভরে অটোগ্রাফ চেয়ে মহা লজ্জায় ফেলে দিয়ে চিরস্মরণীয় এক মুহূর্তের জন্ম দিয়েছিলেন তিনি,
( আমার মা ও জাফর স্যারের সাথে বইয়ের মোড়ক উম্মোচন অনুষ্ঠানে)
সেই সাথে সুদূর সিলেট থেকে সেই দিনই এসে আমাদের আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করে তিনি এবং ইয়াসমিন ম্যাডাম আমাদের চিরকৃতজ্ঞ করেছিলেন-
(৩১ জানুয়ারি, ২০১৪ ধানমণ্ডির দৃক গ্যালারীর সুন্দরতম মুহূর্ত আমাদের শাহেনশাহ সিমন এবং জাফর স্যার )
বলেছিলাম, - স্যার, বাংলাদেশের কোটি মানুষ আপনাকে নিয়ে কোটি কথা বলে, নানা কারণে নানা মানুষ আপনাকে সন্মান করে, আপনার মত হতে চায়, কিন্তু আপনি সারাজীবনই আমার কাছে একজন রোলমডেল হয়ে থাকবেন অন্তত একটি কাজের জন্য, আপনিই বাংলাদেশের একমাত্র সেলিব্রেটি যে মিডিয়াতে সরাসরি বলেছিলেন –
আপনি জামাত করেন! আপনার লজ্জা করে না?
স্যার নিজে থেকেই হাত মিলিয়েছেন কথাটি শুনে, তার চোখে ছিল নতুন প্রজন্মের উপর আশ্বাস, ঠোঁটের কোণে আত্মবিশ্বাসে ভরা হাসি। যে বিশ্বাসটি তিনি আমাদের নিয়ে করেন, যা নিয়ে স্বপ্ন দেখেন এক নতুন বাংলাদেশের- মৌলবাদমুক্ত, সাম্প্রদায়িকতামুক্ত।
মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যার আমাদের আশার বাতিঘর। বাংলা মায়ের সমস্ত বিপদে এই মানুষটি শত লাঞ্জনা সহ্য করেও সবার আগে এগিয়ে আসেন। অসম সাহসী এই মানুষটি যে কী পরিমাণ বিরুদ্ধ স্রোতের সাথে লড়ে প্রায় একাই এগিয়ে নিচ্ছেন জাতিকে তা সম্পর্কে আমরা যতটাই ওয়াকিফহাল, ঠিক ততটাই জানে মৌলবাদী আঁধারের জীবরা, তাই তো এত বিষেদাগার, এত কুৎসিত আক্রমণ তার বিরুদ্ধে।
কিন্তু জাফর স্যার একা নন, আমরা তার সাথে আছি, একদিন সারা বাংলাদেশ তার সাথে থাকবে। একদিন সারা বাংলাদেশ দ্ব্যর্থহীন ভাবে আঁধারের দূতদের বলবে- আপনি জামাত করেন! আপনার লজ্জা করে না?
মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যার, উই লাভ ইউ, ম্যান।
প্রিয় মুখ সিরিজের বাকী পর্বগুলো নিচের লিঙ্কে পাবেন
প্রিয় মুখ- ৯ , আম্মা জাহানারা ইমাম
প্রিয় মুখ ৮- আমার প্রিয় রাজা কুমার শরৎকুমার রায়
প্রিয় মুখ-৬, গণিতবিদ সুব্রত মজুমদার
প্রিয় মুখ-৫, সত্যসৈনিক আরজ আলী মাতুব্বর
মন্তব্য
লেখা এখনও পড়িনি অনুদা, স্যারের ছবি দেখেই (ইটা) । :)
পরে আবার আসছি ফিরে .........
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
ফিরে আইসা বুইলেন কিন্তুক-
facebook
=DX
স্যারকে এক কপি লাইনে আসুন দিব নাকি? তাহলে আমার ৬০ পুশ সেল হবে !
facebook
=DX কমিশন কত দিচ্ছে?
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
০০০০০০০০০০০০০০ % , :(
facebook
টেকাটুকার বেলায় তাইলে উনি আর উদাস না :( আমি ভাবলাম তিন-চার কপি সেল করলাম ঐটার জন্য কিছু চাইতাম, হইলো না!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
চরম পরম খারাপ লুক
facebook
আমি আরও শুনলাম আপনে নান্দনিক স্টলের সামনেই নাকি সারাদিন দাঁড়ায়ে থাকেন, পাটিকারা লাইনে আসতে গেলে তাদের জোর করে পার্শ্ববর্তী ছায়াবিথী স্টলে নিয়ে উপুর্জুপুরি পৃথিবীর পথে পথে নিয়ে আসার জন্য জবরদস্তি করেন। আমরা কি এই পুশ সেল চেয়েছিলাম!!!
দেশে থাকলে নিজ হাতে গিয়ে জাফর স্যারকে বই দিয়ে আসতাম। আপনি যদি এর মধ্যে দেখা করেন স্যারের সাথে ক্যামেলিয়া বা শুভর কাছ থেকে কপি নিয়ে স্যারের চরণ তলে দিয়ে আইসেন, পিলিজ লাগে ।
নাহ হে, আগে আপনি লাইনে আসুন-
facebook
দারুন লাগল অনুদা।
স্যারকে অটোগ্রাফ দেবার ছবিটা তো ক্লাসিক। :D
(Y)
আমি, আমরা আপনাকে ভালবাসি স্যার। চারিদিকের এই অসংখ্য ভণ্ড মানুষের মাঝে আপনি এত আশ্চর্য রকম সৎ দেখলে আস্থা আসে। স্যার আপনার মত একজন মানুষ যে আমাদের দেশের জন্য বড্ডও দরকার। আপনি ভালো থাকুন স্যার, সুস্থ ভাবে আরও বহুদিন বেঁচে থাকুন। আমার মত আরও অসংখ্য মানুষের শুভকামনা আপনার সাথে আছে প্রতিনিয়ত।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
:)
facebook
বেশ অনেক দিন ধরে ভাবছিলাম, স্যার এত কিছু নিয়ে লিখেন, কিন্তু স্যারকে নিয়ে যে অনেক কিছু লেখার আছে, সেগুলো কে কবে লিখবে? স্যারকে নিয়ে যা লেখা পাই বেশীরভাগই ছাগু লেখার প্রতিবাদে কমেন্ট আকারে, অথবা বিশেষ কোন ঘটনার সাথে স্যারকে সংশ্লিষ্ট করে বিচ্ছিন্নভাবে লেখা। ব্যাক্তি স্যারকে নিয়ে লেখা আমার চোখে খুব একটা পড়েনি। আমি কয়েকবার শুরু করে খুব একটা এগুতে পারিনি। এত বিশাল ক্যানভাস হয়ে যায় যে সামলাতে পারিনা; প্রতিবার একটু করে শুরু করে মনে হয়, আচ্ছা আর কিছুদিন পরে লিখব।
আপনি কম কথায় বেশ ভালো পরিমাণ কাভার করেছেন, পড়ে ভালো লাগলো।
--
মাগো তুমি রেখো জেনে, এই আমরাই দেব এনে,
আঁধারের বাধা ভেঙে রাঙা ভোর, রোদ্দুর মাখা দিন।
http://www.youtube.com/watch?v=8OB_uPY4i4M
ধন্যবাদ, আপনিও লিখুন
facebook
সত্যি সত্যি- স্যারকে যখনি সামনে থেকে দেখার সৌভাগ্য হয়, বা ছবিতেও যখন দেখি, ঠোঁটদুটো প্রথমে আস্তে আস্তে একটু একটু করে প্রসারিত হয় তারপর সম্পূর্ণ খুলে গিয়ে সবগুলো দাঁত বের হয়ে যায়। দেখলেই মন ভাল হয়ে যায় এমন একটা মুখ। শ্বেত শুভ্র পক্ক কেশ-গুম্ফের মাঝে, চশমার ভেতর দিয়ে- উপর দিয়ে উঁকি দেয়া স্ব-আলোয় উদ্ভাসিত চোখজোড়া! কি সু্ন্দর না!
আমরা আপনার কাছে অনেক অনেক কৃতজ্ঞ, স্যার। সাদা কে সাদা আর কালো কে কালো বলার সৎ সাহস, অনুপ্রেরণা সব আপনার কাছ থেকে প্রতিনিয়ত পাই। আপনি আপনার স্বপ্নগুলো তরুণদের মাঝে বপন করে চলেন প্রতিনিয়ত। যে স্বপ্নেগুলোর পুরোভাগে বাংলা নামে দেশ। অনেক ভাল থাকুন আমাদের আশার বাতিঘর।
কড়িকাঠুরে
(জাঝা)
facebook
আরও অনেক অনেক কিছু নিয়ে লিখুন। আমরা পড়ি। (Y)
চেষ্টা করব, আপনার লেখা কোথায়?
facebook
(Y)
স্যারকে নিয়ে ফেসবুকে কিছু মানুষ নানা আজেবাজে কথা লেখে, দেখে সাময়কিভাবে মনটা খারাপ হয়ে যায়। দিনকতক আগে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের বই পড়া উৎসবে স্যার এসেছিলেন অতিথি হয়ে, তিনি আসা মাত্রই কয়েকশ কিশোর কিশোর একযোগে দাঁড়িয়ে উল্লাসে ফেটে পড়ে। দেখে মনটা চিরদিনের জন্য ফুল্ল হয়ে যায়।
যাদের কিছু করার নাই, তাদের আকামই ভরসা।
facebook
(Y)
অন্যের পাতে ছাই দেয়াই তাদের প্রধান কাজ। আরেকটা প্রবাদ মনে আসছিল, আঙুল দেয়া সংক্রান্ত। শালীনতার গন্ডিতে থাকার জন্য ঐটা আর লিখলাম না।
ফেসবুকে মনে হয় একটা স্যাটায়ার গ্রুপ আছে, "জাফর ইকবাল জবাব চাই"
[মেঘলা মানুষ]
"জাফর ইকবাল জবাব চাই"
facebook
এরকম লেখায় কি কোনো মন্তব্য সাজে ! কেবল নিরব সমর্থন দিয়ে যেতে হয় (Y)
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
ধন্যবাদ
facebook
তুমি ভাগ্যবান।
বাংলাদেশ ভাগ্যবান।
(Y)
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
আমাদের সৌভাগ্য উনি আমাদের মাঝে আছেন
facebook
(Y)
এই নষ্ট আর মুখোশে ভরা সুশীলের মিছিলে তিনিই একমাত্র শুদ্ধতার প্রতীক, তিনিই একমাত্র আশা আর স্বপ্রের নিরন্তর কারিঘর।
মাসুদ সজীব
(ধইন্যা)
facebook
অনেক ব্যাপারেই উনি সোচ্চার, দুর্লভ এই গুণের জন্য স্যালুট !!
- ফরহাদ হোসেন মাসুম
:)
facebook
আবার, একারণেই ওঁকে অনেক গালমন্দ শুনতে হয়। প্রায়ই, অনেককে বলতে শুনেছি,
এদের ভাবখানা এমন যে, দেশের যাবতীয় সমস্যার উপর একটা করে প্রবন্দ্ধ লিখে দেবার জন্য জাফর ইকবাল স্যার চুক্তিবদ্ধ।
এই চুক্তির আওতায়, দেশের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে লেখার পাশাপাশি, অতি অবশ্যই ড. জাফর ইকবালকে দেশের বাকি সব সমস্যা যেমন, কুরবানির গরুর দাম বেড়ে যাওয়া, আলাল মেম্বারের যৌতুকের সাইকেলের চেইন পড়ে যাওয়া, জামাল-কামালের জমির আইল নিয়ে শালিস - এসব নিয়েই কলম ধরতে হবে। তা না হলে উনি নিরপেক্ষ না।
@তারেক অণু, জাফর ইকবাল স্যারকে অটোগ্রাফ দিয়েছেন, আপনার তো সবাইকে একবেলা কেক্কুক খাওয়ানো উচিত।
[মেঘলা মানুষ]
[মেঘলা মানুষ]
জি না, আমাকে এক বেলা খাওয়াই দেন গো, বড়ই অসাধ্যের কাজ করছি
facebook
:))
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
অনেক কথা বলেও কোন কথাই যেন বলা হবেনা! তাই শুধু এটুকু জানিয়ে গেলাম - পড়লাম।
____________________________
শুভেচ্ছা
facebook
ঝরঝর করে একজন ভালো মানুষ কে নিয়ে লিখেছেন।
আপনাকে ধন্যবাদ।
অনেকগুলো ছবির স্বাক্ষী আমি। ভালো লাগলো সেটাও।
ভালো থাকবেন অণূ।
------------------------------
কামরুজ্জামান পলাশ
ধন্যবাদ পলাশ ভাই
facebook
শুভ জন্মদিন, প্রিয় জাফর ইকবাল স্যার।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
নতুন মন্তব্য করুন