• Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_clear_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_electoral_list_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_results_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_writeins_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).

সদ্য পড়া বই – ঠগী

তারেক অণু এর ছবি
লিখেছেন তারেক অণু (তারিখ: বুধ, ০৫/০৩/২০১৪ - ৩:৪৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

উপকরণ অতি সামান্য।

ঢাল নয়, তলোয়ার নয়, বোমা-পিস্তল-কামান-বন্দুক- কোন আগ্নেয়াস্ত্র নয়, একমাত্র হাতিয়ার সেই হলুদ রঙের রুমালটি। রুমাল নয়, ওরা বলত পেলহু। কিংবা – সিকা।

খুলে রাখলে মনে হবে যেন কোন পাগড়ী খুলে রাখা হয়েছে, অথবা “সাস”- কোমরবন্ধনী হিসেবে ব্যবহৃত কোন কাপড়। দু,ভাঁজে ভাজ করার পর সেটি দৈর্ঘ্যে মাত্র তিরিশ ইঞ্চি। আঠার ইঞ্চি দূরে একটি গিঁট। গিঁটের প্রান্তে একটি রুপোর টাকা বাঁধা। নয়তো তামার একটি ডবল পয়সা। হাঁটু মুড়ে মাটিতে বসে মেপে মেপে অতি যত্নসহকারে ওরা যখন সেটি তৈরি করে, তখন দেখলে কিছুই বোঝা যাবে না। রুমালটা আসলে একটা ফাঁস। প্রান্তে বাঁধা সিদুর মাখান টাকাটা তাকেই আরও নির্ভুল, আরও নিটোল করার জন্য।

এই ভাবেই নিখুঁত ভাবে নির্লিপ্ত স্বরে ইতিহাসের আঁধার থেকে শ্রীপান্থ তুলে নিয়ে এসেছেন এক ভয়ংকর অদ্ভুত সম্প্রদায়কে, যাদের তিনি বলেছেন- ওরা হৃদয়হীন মানুষ, ইতিহাসের হিংস্রতম, নিপুণতম খুনী- ওরা ঠগী।

ঠগী বইটি শুরু হয়েছে কিছুটা অপ্রচলিত নিয়মে, বাস্তব আর কল্পনার মিশেলে, দেখানো হয়েছে ব্রিটিশ ভারতবর্ষের বিশেষ সময়ে, এবং তার আগেও বছরে চল্লিশ হাজার লোক স্রেফ উধাও হয়ে যেত! তিনশ বছর এমন হয়েছে! কোন রকম পাত্তা মিলত না তাদের। কোথায় যেত তারা?
ঠগীদের ইতিহাস ঘেঁটে দেখা যায় তাদের আদি গোত্র মাত্র সাতটি মুসলিম পরিবার, এখান থেকে শাখা-প্রশাখা মেলে তারা শত শত বছরে। শিকারের সব নির্দিষ্ট নিয়ম কানুন মেলে চলতে হত ঠগীদের, রক্তপাত ছিল সম্পূর্ণ রূপে নিষিদ্ধ। বিশেষ করে সুবর্ণ যুগে নিজের থেকে জালে এসে ধরা দিলেও কায়স্থ, ফকির, কামার, কুমোর, ছুতোর মিস্ত্রী, গানের ওস্তাদ, নাচের মাস্টার বা গৃহপালিত গরু-মোষ নিয়ে রাস্তা হাঁটছে এমন কোন পথিককে হত্যা করা চলবে না। স্ত্রী লোকদের হত্যা নিষিদ্ধ ছিল প্রথম দিকে।

ভবানী দেবীর পূজারী ছিল ঠগীরা, তাঁর ইশারা ছাড়া কিছুই করত না, সারা বছরের স্বাভাবিক গৃহস্থগুলো যখন বর্ষা শেষে দিনক্ষণ দেখে শরতের ভোরে পথে নামল তখন তারা সম্পূর্ণ অন্য মানুষ, ভবানীর সন্তান। ওদের হাসি তখন হাসি নয়, কান্না তখন আর কান্না নয়, ওরা তখন ভিন্ন জগতের মানুষ- ওরা ঠগী, আপাদমস্তক শিকারি খুনি।


(ফেলুদার বইতে ঠগীর অস্ত্র )

আর বইয়ের নায়কের নাম উইলিয়াম হেনরি স্লিম্যান, যাকে ইউরোপিয়ানরা বলতেন ঠগী স্লিম্যান, ইতিহাসের প্রবল অনুরাগী এই তরুণের মনে প্রবল উৎসুক্য ছিল এই গুপ্ত খুনি সম্প্রদায়দের নিয়ে, যাদের খোঁজ তিনি পেয়েছিলেন একাধিক ধূসর পান্ডুলিপির মাঝে। চোস্ত হিন্দুস্তানি ভাষা বলতে পারা স্লিম্যানকে ঠগী নিয়ে অতি উৎসাহের কারণে আড়াল থেকে টিপ্পনি কাটত কিন্তু দিন রাত ঠগী নিয়ে গবেষণা করেই তিনি কিন্তু প্রথমবারের মত এদের পাদপ্রদীপের আলোয় নিয়ে আসেন, খুঁজে বাহির করে গ্রেফতার করেন সত্যিকারের ঠগীদের, মূলত তাঁর কারণেই ভারতবর্ষ থেকে এই খুনে সম্প্রদায় প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। তবে ইতিহাসবিদরা মনে করেন ঠগীদের এমন বিশ্বাস ছিল যে শ্বেতাঙ্গরা অজেয়, দেবী তাদের কোন ক্ষতি হতে দেবেন না, এই কারণেও নিজেদের অজান্তেই বিশাল সুবিধা লাভ করে স্লিম্যানের বাহিনী।

ঝিরনী অর্থাৎ গলায় ফাঁস লাগাবার সংকেত , কাসসি নামের কোদাল, জলের ঠগী ম্যাকফানসাঁ, ধুতুরা খাইয়ে ছিনতাইকারী ধুতুরিয়া এমন সব গোপন গা ছমছমে রহস্যের মাঝে হারিয়ে যাবেন কয়েক ঘণ্টার জন্য বইটি হাতে নিয়ে। সেই সাথে আছে কিংবদন্তীতে পরিণত হওয়া কজন ঠগীর সাক্ষাৎকার। আরও জেনে অবাক হবেন যে পূর্ববঙ্গে কতটা শক্ত ছিল ঠগীদের রাজত্বের ভিত, ঠগ বাছতে গাঁ উজাড় করেই তবে তাদের নাই করে দেয়া গিয়েছিল।

আসলেই কি তাই? শেষ ঠগী সম্প্রদায় যদি রংপুর, ময়মনসিংহ, মুন্সিগঞ্জে টিকে থাকে শত বছর আগে, তাদের কোন কোন বংশধরই আজও মলমপার্টি, ধুতুরা পার্টি ইত্যাদি নামে সক্রিয়?

বইয়ের নাম - ঠগী
লেখক- শ্রীপান্থ
প্রকাশক - দেজ
প্রথম প্রকাশ- জুন ১৯৬৩

( ছবি গুলো উইকি থেকে নেওয়া। পোষ্টখানা প্রিয় ইতিহাসবিদ সদ্য বাবা হওয়া সত্যপীরের জন্য, সে যেন তাঁর বিচিত্র ঝুলি ঝেড়ে ঠগী বা সমসাময়িক বিচিত্র বিষয় নিয়ে স্বাদু ভাষায় মুচমুচে সব নতুন লেখা আমাদের উপহার দেয়। )


মন্তব্য

মেঘলা মানুষ এর ছবি

ঠগীর গমাছা নিয়ে সত্যজিতের লেখাটাই প্রথমে আমাকে 'ঠগী' নামটার সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়।
আনার লেখাটা পড়তে পড়তে সত্যপীরের গল্পটা মাথায় চলে এসেছিল। ওখানে বলা ছিল, ফিরিংগি হত্যা করা যাবে না।

বাবা হওয়া উপলক্ষ্যে সত্যপীরকে অভিনন্দন!

শুভেচ্ছা :)

তারেক অণু এর ছবি

সত্যপীর লোকটা অদ্ভুদ !

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

১৮৮৫ সালে প্রকাশিত "সেকালের দারোগার কাহিনী" তে লেখক গিরিশ বসুও বাংলার ঠগিদের সম্পর্কে অনেক কিছু লিখেছেন, তিনি অবশ্য মুলতঃ রূপান্তরিত ঠগি, অর্থাৎ বেদে সম্প্রদায়দের দিকটাই তুলে ধরেছেন। বইটি বিডিনিউজ টুয়েন্টি ফোর ডট কমের সাইটে ইবুক আকারে আছে(@সত্যপীর)
বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে এখন স্থায়ীভাবে বসবাসকারী বেদেদের বিভিন্ন গোত্র রয়েছে, যারা আসলে রূপান্তরিত ঠগি ছাড়া আর কিছু নয়। বৃহত্তর পাবনা জেলায় উনবিংশ শতকে ভয়ংকর গামছা মোড়া বাহিনীর প্রাদুর্ভাব ঘটেছিল, যারা আসলে ছিল ঠগি। তখনকার মত দমিত হলেও সে বিষবৃক্ষের ডালপালা বোধ হয় এখনও র‍য়ে গেছে, সে অঞ্চলের দস্যুদল থেকে শুরু করে তথাকথিত সর্বহারার দল পর্যন্ত ঠগিদের অনেক কৌশলই ব্যবহার করে বলে শোনা যায়। এখন চলন্ত ট্রেনের ছাদে যারা ডাকাতি করে এবং প্রায়শই হত্যা করে লাশ ছুঁড়ে ফেলে দেয়, তাদের কৌশলও নাকি ঠগিদেরই মত, ওরাও ঠগিদের মত ফাঁস ব্যবহার করে।

তারেক অণু এর ছবি

বইটাতে আরও কিছু সম্প্রদায়ের বর্ণনা আছে/

অতিথি লেখক এর ছবি

বইটা পড়েছি ।একদম টানটান থ্রিলারের মতই । আমার মনে হয় ঠগীরা এখনো আছে :-?

Tahsin Reja
তাহসিন রেজা

তারেক অণু এর ছবি

হু, যদিও শেষটা খুব একটা টানটান হয় নাই!

শোয়েব মাহমুদ সোহাগ এর ছবি

হ।

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

(Y) (Y)
ঠগিদের জীবন নিয়ে জানার বেশ আগ্রহ ছিল, বিচিত্র লাগত তাদের জীবন। বইটা পড়ার বিশাল আগ্রহ হচ্ছে।
হায়, কত না পড়া বই যে জমে গেছে তালিকায়, কবে পড়ব?? :S

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

তারেক অণু এর ছবি

শুরু করেন --

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

লেখাটা ভালো লেগেছে। পড়তে পড়তে সত্যপীরের লেখাটার কথাই মনে হচ্ছিল (আপনার দেয়া ছবিটা দেখে ফেলুদার কথা মনে পড়লো, আগে মনে পড়ে নাই)। উৎসর্গটা তাই মজা লাগলো বেশ। ঠগী সম্পর্কিত লেখা প্রসঙ্গে আপনার উল্লেখ করা দু'জনের নামের শুরুই কিন্তু সত্য দিয়ে - সত্যজিত আর সত্যপীর!! ;) হি হি।

____________________________

তারেক অণু এর ছবি
অতিথি লেখক এর ছবি

বইটা এক বসায় শেষ করে উঠেছিলাম। অসাধারণ একটা বই।

ইংরেজি ‌'থাগস' শব্দটা কিন্তু ঠগী থেকে এসেছে। আবার উইকিতে এবং ইন্টারনেটেও দেখলাম ঠগীদের অত্যাচার নাকি অনেকটাই ইংরেজদের বাড়াবাড়ি, নিজেদের বীরত্ব এবং ভারতীয়দের সুসভ্য করে তোলার জন্যে তাদের মহান অবদানের জন্যে বড়াই করে লেখা। হতেও পারে। কিন্তু ঠগীরা ছিলো, নাহলে কেউ দল বেধে চলাফেরা করতো না। মোঘল আমলের শেষে ডাকাতি যে একটা ভাল লাভজনক পেশা ছিলো, এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই আমার।

ধ্রুব আলম

অতিথি লেখক এর ছবি

আবার উইকিতে এবং ইন্টারনেটেও দেখলাম ঠগীদের অত্যাচার নাকি অনেকটাই ইংরেজদের বাড়াবাড়ি, নিজেদের বীরত্ব এবং ভারতীয়দের সুসভ্য করে তোলার জন্যে তাদের মহান অবদানের জন্যে বড়াই করে লেখা।

এইগুলি হইল উত্তর-উপনিবেশবাদিদের কথা! এদের কেউ কেউ দাবী করে যে সতীদাহ রদ করে নাকি ব্রিটিশরা স্থানীয় সংস্কৃতিতে অনাকাঙ্খিত হস্তক্ষেপ করেছিল। ঠগিদের মূল টার্গেট ছিল ভারতের সাধারণ মানুষ। আমি তো মনে করি তাদেরকে দমন করে ব্রিটিশরা অত্যন্ত সঠিক কাজ করেছে, যে কাজটা আমাদের স্থানীয় শাসকদের পক্ষে সম্ভব হয়নি।

Emran

স্পর্শ এর ছবি

এই বই কি এখন পাওয়া যায়?


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

সত্যপীর এর ছবি

পাবলিক ডোমেইনে পাবেন এইখানে

এই বইটাও পড়তে ভুইলেন না। বিশেষতঃ প্রথম ছয়টি চ্যাপ্টার।

..................................................................
#Banshibir.

স্পর্শ এর ছবি

দারুণ! দারুণ! অনেক ধন্যবাদ বইগুলোর জন্য। :)


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

তারেক অণু এর ছবি

(Y)

অতিথি লেখক এর ছবি

প‌ড়তাছি।
আপনেরে ধইন্যা পীর সাব।
বাবা হওয়ার জন্য অভিনন্দন। :)

সুবোধ অবোধ

মাহবুব ময়ূখ রিশাদ এর ছবি

হ্যাঁ,আছে। ঠগী আমার কাছে নেই। কেয়াবৎ মেয়ে, জিপসী পায়ে পায়ে, কলকাতা এগুলো তক্ষশীলা, মধ্যমায় পাবেন

------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !

তারেক অণু এর ছবি

(ধইন্যা)

মাহবুব ময়ূখ রিশাদ এর ছবি

(Y)

------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !

সত্যপীর এর ছবি

বিটিশ আমলে ধুতরা পার্টির কাজ কারবার নিয়া একটা মজার বই পাইছি এইখানে। ভূমিকা আবজাব বাদ দিয়া সরাসরি চইলা যান পরের পাতায় যেখানে ঠগীরা সাক্ষ্য দিতেছে কিভাবে তারা বিষ খাওয়ায় প্ল্যান করে মানুষ মারতেছে। একজনে তো ঘরের মধ্যে মার্ডার হোটেল খুইলা রাখছে, অতিথিরে রাতে ভাতের সাথে বিষ মাখানো তরকারি খাওয়ায় মারতেছে। পুরা ফিলমি কারবার!

(আমি ইতিহাসবিদ নই কিন্তু, ইতিহাসের মনোযোগী পাঠক। পড়ি অনেক, বুঝি অল্প, লিখি আরো কম, বিশ্লেষণ করি না বললেই হয়। ইতিহাসবিদের কাজ বিশ্লেষণ করা, আমি তাদের বিশ্লেষণ থেকে মালমশলা জোগাড় করি 8) )

..................................................................
#Banshibir.

তারেক অণু এর ছবি

আহাহা, কী বিনয় !

দুর্দান্ত এর ছবি

এই ট্রেন্ড লন্ডন থেইকাও আমদানি হইতে পারে। সুইনি টড দ্রষ্টব্য়।

অতিথি লেখক এর ছবি

কাগুজে ব‌‌‌ই পামু কোনে?
লেখা ভালৈছে। (Y)

সুবোধ অবোধ

তারেক অণু এর ছবি

কইতারিনা !

আয়নামতি এর ছবি

বইটা আমার পড়বার তালিকায় আছে তাই অতি আগ্রহে দেখতে আসা একই লেখকের কিনা।
শ্রীপান্থেরই লেখা :)

আপনার উল্লেখ করা দু'জনের নামের শুরুই কিন্তু সত্য দিয়ে - সত্যজিত আর সত্যপীর!! হি হি।

মুখের কথা কেড়ে নেবার জন্য প্রোফেসরকে নিন্দা জানাই :D
পীরবাবা-মা দু'জনকে অভিনন্দন! সদ্য ফোটা ফুলটির জন্য অনেকক আদর দোয়া :)

তারেক অণু এর ছবি

প্রোফেসরকে নিন্দা :D

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

8)

____________________________

মন মাঝি এর ছবি

ঠগীদের সাথে পারস্যের "হাশাশিন"-দের দারুন মিল দেখি!

****************************************

তারেক অণু এর ছবি

রুট এক হতেও পারে

ফাহিম হাসান এর ছবি

চরম ইন্টারেস্টিং একটা বই মনে হচ্ছে। আমি তেমন কিছুই জানি না ঠগীদের সম্পর্কে, কিন্তু পোস্ট পড়ে মনে হচ্ছে দেশি পটভূমিতে এদেরকে নিয়ে ক্রাইম ফিকশান জাতীয় সিনেমা বানালে দারুণ হবে।

তারেক অণু এর ছবি

অবশ্যই, লাইনে আসুন, কাজ শুরু করুন

এক লহমা এর ছবি

লেখা ভাল লেগেছে, যেমন লাগার কথা :)
ছোটবেলায় ঠগীদের নিয়ে লেখা পড়েছিলাম, শ্রীপান্থের-ই লেখা সম্ভবতঃ।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

তারেক অণু এর ছবি

সম্ভবত

সাফি এর ছবি

ফেলুদার বইয়ে পড়েছিলাম। কিন্তু এই সচলে কী এই বই নিয়ে কেউ রিভিউ করেছিলো? আরেকটা রিভিউ পড়েছিলাম মনে হয়। যাই হোক পীরবাবার দয়ায় বইতো পেলাম, এখন পড়ে ফেলতে হবে :-D

তারেক অণু এর ছবি

তাই? বলতে পারি না ! করার মতন বইই বটে

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

বাহ ইন্টারেস্টিং। পড়া শুরু করি।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

তারেক অণু এর ছবি

(Y)

গান্ধর্বী এর ছবি

পড়তেই হবে!

------------------------------------------

'আমি এখন উদয় এবং অস্তের মাঝামাঝি এক দিগন্তে।
হাতে রুপোলী ডট পেন
বুকে লেবুপাতার বাগান।' (পূর্ণেন্দু পত্রী)

তারেক অণু এর ছবি

আপনার দেখা নাই কেনু?

সৈকত চৌধুরী এর ছবি

বইটা চরম। পড়া শুরু করেছি। এ থেকে তখনকার মানুষের চিন্তা-ভাবনা, সামাজিক আচার-আচরণ সম্পর্কেও একটা ধারণা পাওয়া যায়। ধন্যবাদ অণু ভাই।

তারেক অণু এর ছবি

পড়ে আপনিও লিখুন

কৌস্তুভ এর ছবি

কত বইই পড়া বাকি!

তারেক অণু এর ছবি

এই লোক বেশ লেখে, তাঁর আরও কিছু পড়লাম। জব্বর

অতিথি লেখক এর ছবি

ঠগিদের কাজ-কারবার থেকেই কি বাংলায় "গলায় গামছা দিয়ে টাকা আদায় করা" প্রবচনের উৎপত্তি?

Emran

তারেক অণু এর ছবি

:-? হতেও পারে।

সুরঞ্জনা এর ছবি

এই যে তারকাণু, এবার পেয়েছি। এই বইটাই আমাকে উপহার দিতে হবে। এক্ষণ এক্ষণ কিনে প্যাকেট করে পাঠিয়ে দেন। রিভিউ পড়ে যেমন মনে হচ্ছে, বই পড়ে যদি সেরম ভালো লাগে তাহলে চা-সমুচা খাওয়াবো। :)

............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্‌ চিনে।

তারেক অণু এর ছবি

সুরঞ্জনা, যেয়ো নাকো ঐখানে,
বলো নাকো কথা ঐ যুবকের সাথে ! প্রাণে ব্যাথা লাগে !

(চা-সমুচা ভালু পাই )

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

চমৎকার রিভিউ। 'বাহির' না লিখে 'বের' লিখলেন না কেন?

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

তারেক অণু এর ছবি

বদভ্যাস। আপনার এলাকায় বেড়াতে আসছি, প্রস্তত হউন-

অতিথি লেখক এর ছবি

ফেলুদা'য় পড়েছিলাম- দেখেছিলাম পিচ্চিকালে। বদ ছিলাম তো তাই গামছায় শক্ত কিছু ভরে গিঁট দিয়ে নিজে নিজে প্র্যাক্টিসও করতাম। ব্যাপারটা ডেনঞ্জারাস। জায়গা মতো লাগলে খবর আছে।

এই বই নিয়ে জমজমাট আলোচনা তো খোমাখাতার একটা গ্রুপে হলো কয়েকদিন আগে। তখন থেকেই টু-রিড লিস্টে আছে এইটা।

পড়ে ফেলবো সময় করে। ধন্যবাদ পীরভাইয়া কে। বইটা পেলে বগলদাবা করে ফেলবো।

কড়িকাঠুরে

তারেক অণু এর ছবি

পড়ে ফেলেন-

নীড় সন্ধানী এর ছবি

শ্রীপান্থের 'ঠগী' আর ফিলিপ টেলরের 'কনফেশন অব এ থাগ' নামিয়ে রাখছিলাম পরে পড়বো বলে। আপনার এই লেখা দেখে আর ধৈর্য রাখতে পারলাম না। দুই বৈঠকে ঠগী শেষ করে ফেললাম গায়ের অর্ধেক লোম খাড়া রেখে।

এরকম ভয়ংকর একটা সম্প্রদায় আমাদের অতীতে ছিল কিন্তু বর্তমানে নেই, ভাবতেই স্বস্তি হয় আবার রাস্তার গামছা পার্টি বা মলম পার্টির কথা ভাবলে মনে হয় তাদের বংশলতিকা এখনো ঝুলে আছে এই শতকেও।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

তারেক অণু এর ছবি

তারা টিকে আছে বলেই মনে হয়, অন্য নামে, অন্য রূপে।

আসিফ মোহাম্মদ আদনান এর ছবি

Where is the reference that said, thugees were stemmed from 7 "Muslim" families?

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।