বাংলাদেশের সুন্দরতম দ্বীপ

তারেক অণু এর ছবি
লিখেছেন তারেক অণু (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৩/০৩/২০১৪ - ৬:৩৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

IMG_0838
পলিময় ঘোলা জল নিয়ে গিরিরাজ হিমালয় থেকে আগত নদী এসে আঁকড়ে ধরেছে নীল সাগরকে। আলাদা বর্ণের জল স্পষ্ট বোঝা যায় সামান্য সূর্যকিরণেই। সেখানে ঝকঝকে সাদা মিহির বালির এক মনোলোভা সৈকত। আরেকটু এগোলেই দেখা যায় সবুজ ঝাউয়ের সারি, মোটেও কালচে পাথর নয়, যা মনে হচ্ছিল মুহূর্ত কয়েক আগেই। বালুচড়ায় নৌকা ভিড়তেই ঝপাং করে নামতেই মানুষের পদচিহ্ন আকার সাথে সাথেই বেমালুম অদৃশ্য হয়ে যায় এই দ্বীপে আসলে বাসিন্দারা, কোটি কোটি লাল কাঁকড়া!

IMG_0070

তারা রগড় করতে করতে ফিরে যায় স্বদাঁড়ায় খোঁড়া আপন গর্তে। তবে বেশীক্ষণের জন্য নয়, যে বোঝা গেল মানুষেরা পা ফেলে ফেলে নিরাপদ দূরত্বে গিয়ে দাঁড়িয়েছে, সাথে সাথে সুড়সুড় করে বেরিয়ে আসবে তারা খাদ্য সংগ্রহের তাগিদে। এ এক জানা বৈশিষ্ট্য বিশ্বের সব খানের কাঁকড়ার, সারা সৈকতে বিছিয়ে আছে কাতারে কাতারে, কিন্তু পা ফেলা মাত্রই যে দিক দিয়ে কেউ যাবে সেখানে মন্ত্রবলে অদৃশ্য হয়ে যাবে মুহূর্তের মাঝেই, অনেকটা সিনেমার দেখা মোজেসের নীল নদ ভাগের মত, আবার বেরিয়ে আসবে কয়েক মুহূর্ত পরেই সাংঘাতিক দ্রুত গতির প্রাণীগুলো।

946930_10152822215935497_1466545450_n

428523_10152822215930497_133126829_n

এই বিশেষ দ্বীপটার জন্য আমরা অধির আগ্রহে অপেক্ষা করি প্রতি বছর। বাংলাদেশ বার্ড ক্লাব কতৃক আয়োজিত উপকূলীয় জলচর পাখিশুমারির সপ্তাহব্যপী কার্যক্রম শেষে সাধারণত শেষ দিন বা শেষের আগের দিন এই অপূর্ব চরে পৌঁছানো হয়। সেখানে স্নানের জন্য মুখিয়ে থাকা পাখিপ্রেমীরা মনের আনন্দে সাঁতার কেটে নেন ঘণ্টাখানেক ( এই কদিন নোনা দরিয়ায় মুখ ধোঁয়া ব্যতীত অন্য কিছুর সুযোগ মেলা ভার), অনেকেই আবার ছোট ডিঙ্গি নৌকার অপেক্ষা না করে বড় ট্রলার থেকে সোজা ডাইভ মেরে সাঁতরে চলে যান দ্বীপে।

543885_10152709835190497_1513549852_n

এ যেন বইয়ের পাতা থেকে উঠে আসা কোন পলিনেশিয়ান প্রবাল দ্বীপ, কেবল জলের জীব প্রবালটাই বাদ গেছে, আর প্রশান্ত মহাসাগরীয় আগ্নেয় দ্বীপের পাহাড়! এছাড়া নীল ল্যাগুন, সবুজ বন, সাদা সৈকত, পাখির কিচিরমিচির, লাল কাঁকড়া, আর কী লাগে? আর হ্যাঁ , এই দ্বীপের সেরা বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, এখানে কোন মানববসতি নেই। ভার্জিন আইল্যান্ড!! মানে ধরণীর স্বর্গ।

IMG_0869

ঝাউবনের ভিতরে এক ঘণ্টার মাঝেই আপনি প্রায় ৩০ জাতের পাখিবন্ধুদের দর্শন পাবেন ঘণ্টাখানেকের মাঝেই। ধৈর্য ধরে নিঃশব্দে অপেক্ষা করলে দেখা দেবে শেয়াল, ভোঁদড়, কাছিম। জানা নেই আরও কী অজানা সৌন্দর্য আমাদের কাছে থেকে লুকিয়ে রেখেছি দ্বীপটি। নাই বা জানা থাকল। যতদিন মানুষ এসে বসতি না গাড়ছে ততদিন নিরুপ্রদপ জীবন কাটাক না সুমসাম জায়াগটি, তাই না?

IMG_0874

গেলবার যেয়ে চরতে থাকা গরু আর মহিষের পালের দেখা পেয়েছি, মানুষই এসে ছেড়ে গেছে সবুজ ঘাসের লোভে। হয়ত আর সব দ্বীপ, দখল হয়ে যাওয়া চরের মতই এখানেও একদিন চিরতরে চলে আসবে ছিন্নমূল মানুষ, যাদের হর্তাকর্তা হবে স্থানীয় কোন কেউকাটা। তখন আমাদের বিস্মৃতির সন্ধানে আদ্র নিঃশ্বাস খানিকটা ভারী করবে উপকূল, লাল কাঁকড়া বদলে সৈকতে চরে বেড়াবে ঘেয়ো বেড়াল- কুকুর, আর মানুষের মলের উপরে ভনভন করা মাছি।

নিশ্চয়ই সবাই পরিকল্পনা করে ফেলেছেন এরই মাঝে দ্বীপটিতে যাবার জন্য, ভাবছেন লেখা শেষ করেই আমাকে ইনবক্স করবেন যাবার ইচ্ছা পোষণ করে, তথ্য জানতে চেয়ে। তাই না?

734604_10152712164985497_1401867798_n

কিন্তু এই বাংলাদেশের সুন্দরতম দ্বীপটির সন্ধান আমরা গোপনই রাখব, যতদিন পারা যায়। কারণ আমাদের দেশের মানুষ এখনও Mass Tourismএর জন্য প্রস্তত নয়, এরা সেন্ট মার্টিনে যেয়ে চায়ের ব্যাগ ফেলে সমুদ্রের তলদেশ ভরিয়ে ফেলে, লাউয়াছড়ার মত অনন্য বনের পিকনিক পার্টির মাইক তেরটা বাজিয়ে দেয় বুনোপ্রাণীর (বনের যত্রতত্র লুকিয়ে থাকা কনডমের কথা নাই বা বললাম), সুন্দরবনের মত ভয়াল গহীন অরণ্যের কিছু খালেও এসে বাগড়া দেয় বিরিয়ানির গন্ধ, টাকার জন্য কাপ্তাইয়ের বন কেটে তৈরি করা হয় সেগুন, আগরের বন---- তাই থাক সে বিপন্ন বিস্ময় তাঁর মত। যতদিন পারা যায়।

যদিও উটকো দেখানেওয়ালা পর্যটকের চেয়ে পরিবেশের জন্য অনেক অনেক গুণ বেশী হুমকি সংঘবদ্ধ চক্র যারা বন নাশ করে, নদী মেরে ফেলে, পশু-পাখি পাচার করে। আমাদের আশা এই দুই পক্ষের করাল দৃষ্টি থেকেই সুন্দরতম দ্বীপটি আরও অনেক অনেক বছর জনশূন্য থেকে সঙ্গী হবে বাতাস, কাঁকড়া, পাখি, কাছিমের।

IMG_0858


মন্তব্য

গান্ধর্বী এর ছবি

সুন্দরতম দ্বীপটি আরও অনেক অনেক বছর জনশূন্য থেকে সঙ্গী হবে বাতাস, কাঁকড়া, পাখি, কাছিমের।

ভাল থাকুক সুন্দরতম এই দ্বীপ।

------------------------------------------

'আমি এখন উদয় এবং অস্তের মাঝামাঝি এক দিগন্তে।
হাতে রুপোলী ডট পেন
বুকে লেবুপাতার বাগান।' (পূর্ণেন্দু পত্রী)

তারেক অণু এর ছবি

আশা করি-

amn এর ছবি

ভালোই বলেছেন। আমরা আসলেই প্রকৃতির ব্যপারে একেবারেই সচেতন নই। থাকুক গুপোনে যতদিন সম্ভব।

তারেক অণু এর ছবি

হ, আবিস্কার হলেই তো জ্বালাও পোড়াও।

মেঘলা মানুষ এর ছবি

কিন্তু এই বাংলাদেশের সুন্দরতম দ্বীপটির সন্ধান আমরা গোপনই রাখব, যতদিন পারা যায়।

-সহমত। বাংলাদেশের মানুষ এখনও ঘুরতে গিয়ে প্রকৃতির সাথে বন্ধুত্ব পাতানো শেখেনি।

শুভেচ্ছা হাসি

তারেক অণু এর ছবি

শিখবে কত দিনে কে জানে!

মেঘলা মানুষ এর ছবি

তবে, একইসাথে আশার কথা এই যে, আপনাদের মত মানুষের লেখা পড়ে (এবং ছবি দেখে) -ই মানুষ সচেতন হবে। আমি মনে করি আমাদের দেশের মানুষ যদি ছোটবেলা থেকেই এই ধরণের লেখা পড়ে বড় হয়, তবে তারা যেকোন জায়গায় গেলেই প্রকৃতির স্বাভাবিক বৈচিত্র্যকে শ্রদ্ধা করবে, এমনভাবে একটা জায়গায় বেড়িয়ে আসবে যেন বোঝা না যায় সেখানে কোন মানুষ গিয়েছিল।

শুভেচ্ছা হাসি

অফটপিক: আমাদের পাঠ্যক্রমে এখন কোন ভ্রমণকাহিনী অন্তর্ভুক্ত আছে কি?

তারেক অণু এর ছবি

একেবারে ছোট্টবেলা থেকে পরিবার ও স্কুল একসাথে কাজ করলেই এটা সম্ভব, যেমনটা অনেক দেশে দেখেছি।

এখনকার সিলেবাস সম্পর্কে ভালো জানি না, খবর নেওয়া দরকার।

ফাহিম হাসান এর ছবি

পর্যটন প্রতিষ্ঠানগুলো কিন্তু এই ব্যাপারে পর্যটকদের আরো সচেতন করতে পারেন। আমি জানি গাইড ট্যুরস বা বেংগলস সুন্দরবনে যে ট্রিপগুলোর আয়োজন করে, সেখানে বেশ গুছিয়ে এই বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়।

" Take only photographs, leave only footprints" এটাকে একেবারে গেঁথে ফেলতে হবে।

তারেক অণু এর ছবি

হুম করলেই ভাল! অনেকে আছে সারা পথ বোতল, ময়লা সব বস্তায় ভরে তীরে এসে নদীতে উপুর করে দেয়। ইদানীং মেজাজ খারাপ হয় অনেক জায়গায়, ঘুরতে আসে না ভুং ভাং তাই বুঝি না !

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

না, ইনবক্সে আর জানতে চাইবোনা বরং এখানেই বলি, জায়গাটা কোথায়?
হ্যাঁ, মনে হয় একটা টাইপো আছে,
নিরুপ্রদপ = নিরুপদ্রব।

তারেক অণু এর ছবি

ধন্যবাদ, ঠিক করে দিব।

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

এইটা কিছু হইল? দাওয়াত দিয়া নিয়া গিয়া কইতাছেন বেশী খাওয়া ভাল না, ডায়েট কন্ট্রোল করেন। আমরা দেখুম না? আপনে খালি একাই দেখবেন? জমিদারী পাইছেন? দিলাম একটা অফ যা

তারেক অণু এর ছবি

এত ইচ্ছা থাকলে তেতুলিয়া থেকে টেকনাফ ঘুরেন, ভালো কিছু পাইতেও পারেন দেঁতো হাসি

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া
সবখানেতে তারেক গিয়া(হায়) চোখ টিপি

তারেক অণু এর ছবি
সত্যপীর এর ছবি

যারে দেখি নাই সে বড় সুন্দরী, যার রান্ধা খাই নাই সে ব্যাপক রাঁধুনি। কইলেন সুন্দরতম দ্বীপ, তারপরে নাম ও নাই ধাম ও নাই, কোন কথা হইল?

নাম দেন। দেইখা আসুমনি একদিন। তারপরে বাকি কথা।

..................................................................
#Banshibir.

তারেক অণু এর ছবি

আগে দেশে আসেন পীরবাবা

আয়নামতি এর ছবি

গরুরপাল নিয়ে যারা আসেন দ্বীপে তাদের মাধ্যমেই দেখবেন একদিন দ্বীপটা জবরদখল হয়ে গেছে ইয়ে, মানে...
আচ্ছা দ্বীপটার নিশ্চয়ই সুন্দর একটা নাম আছে! না জানতে চাইছিনা নামটা।
ভাবছি নিজের মনেই কী হতে পারে নাম চিন্তিত

হিমু এর ছবি

স্থানীয়রা দেখবেন এর নাম দিয়ে দিয়েছে হাগারচর দেঁতো হাসি

তারেক অণু এর ছবি

এমনই কিছু একটা ! নাহ, হিম্ভাই, আপনার পেট ভর্তি হিংসা!

সত্যপীর এর ছবি

প'টাকেট ব্র্যুয়ারির এক্সিকিউটিভ বাথরুম আইল্যান্ড ও হৈতারে বস।

..................................................................
#Banshibir.

হিমু এর ছবি

হো হো হো

মেঘলা মানুষ এর ছবি

বড় হয়ে 'এক্সিকুটিভ' হবো

amn এর ছবি

"হাগারচর" ভালোই বলেছেন।
আমার ছোটবেলার প্রথম চরভ্রমণটাই বিভীষিকায় পরিণত হয়েছিল, এই জিনিসের কারণে। চরম এই জিনিসটার কারণে কোন মানব বসতির চরে তো শ্বাসপ্রশ্বাস নেয়াই যাই না। তার উপর পা ফেলতে একটু ভুল করলে.... আর কইলাম না!

তারেক অণু এর ছবি

সেই সাথে রেল লাইনে---

তারেক অণু এর ছবি

গরু মহিষ দিয়েই দখল হয় !

তাসনীম এর ছবি

কিন্তু এই বাংলাদেশের সুন্দরতম দ্বীপটির সন্ধান আমরা গোপনই রাখব, যতদিন পারা যায়। কারণ আমাদের দেশের মানুষ এখনও Mass Tourismএর জন্য প্রস্তত নয়, এরা সেন্ট মার্টিনে যেয়ে চায়ের ব্যাগ ফেলে সমুদ্রের তলদেশ ভরিয়ে ফেলে, লাউয়াছড়ার মত অনন্য বনের পিকনিক পার্টির মাইক তেরটা বাজিয়ে দেয় বুনোপ্রাণীর (বনের যত্রতত্র লুকিয়ে থাকা কনডমের কথা নাই বা বললাম), সুন্দরবনের মত ভয়াল গহীন অরণ্যের কিছু খালেও এসে বাগড়া দেয় বিরিয়ানির গন্ধ, টাকার জন্য কাপ্তাইয়ের বন কেটে তৈরি করা হয় সেগুন, আগরের বন---- তাই থাক সে বিপন্ন বিস্ময় তাঁর মত। যতদিন পারা যায়।

যতদিন গোপন রাখা যায় ততদিন গোপন থাকুক।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

তারেক অণু এর ছবি
দীনহিন এর ছবি

কিন্তু এই বাংলাদেশের সুন্দরতম দ্বীপটির সন্ধান আমরা গোপনই রাখব, যতদিন পারা যায়। কারণ আমাদের দেশের মানুষ এখনও Mass Tourismএর জন্য প্রস্তত নয়, এরা সেন্ট মার্টিনে যেয়ে চায়ের ব্যাগ ফেলে সমুদ্রের তলদেশ ভরিয়ে ফেলে, লাউয়াছড়ার মত অনন্য বনের পিকনিক পার্টির মাইক তেরটা বাজিয়ে দেয় বুনোপ্রাণীর (বনের যত্রতত্র লুকিয়ে থাকা কনডমের কথা নাই বা বললাম), সুন্দরবনের মত ভয়াল গহীন অরণ্যের কিছু খালেও এসে বাগড়া দেয় বিরিয়ানির গন্ধ, টাকার জন্য কাপ্তাইয়ের বন কেটে তৈরি করা হয় সেগুন, আগরের বন---- তাই থাক সে বিপন্ন বিস্ময় তাঁর মত। যতদিন পারা যায়।

সবকিছু মানছি, অণু ভাই। তারপরও মানতে পারছি না দ্বীপটার নাম সংগোপন করার বিষয়টা! অগোচরে রাখাই তাহলে দ্বীপ বাঁচানোর একমাত্র রাস্তা? তাছাড়া কদ্দিন অগোচর থাকবে চিন্তা করছেন?
কিছু পাঠক নিজেদের হতভাগা ভাবতেই পারে, কেউ কেউ প্রতারিত, কেউ প্রলেতারিয়েত!

.............................
তুমি কষে ধর হাল
আমি তুলে বাঁধি পাল

হিমু এর ছবি

কিছু দ্বীপ থাক না "গুপন"?

তারেক অণু এর ছবি
দীনহিন এর ছবি

"গুপন" মানে কি, হিমু ভাই?
আপনার শব্দ ভান্ডার নিয়ে তো আর নতুন করে বলার কিছু নাই, তাই কইতেছিলাম, আবার গাইল-টাইল দেন নাই তো?

.............................
তুমি কষে ধর হাল
আমি তুলে বাঁধি পাল

তারেক অণু এর ছবি

গুপন মানে গোপন

মন মাঝি এর ছবি

কুনুব্যাপার্না, হুঁহ্‌! লুক্কাইপেন কৈ! ব্যাক বাইরকৈরালামু! চাল্লু শয়তানী হাসি

****************************************

তারেক অণু এর ছবি
মেঘলা মানুষ এর ছবি

ভুঁড়ির উপর ছুরি ধরে ছিনতাইকারীরা এরকমটা বলে

অতিথি লেখক এর ছবি

চলুক

থাকুক না বেঁচে প্রকৃতি তার মতো করে অপরুপ রুপ নিয়ে এই বাংলার কোন এক সমুদ্রতীরে।

মাসুদ সজীব

তারেক অণু এর ছবি
সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

হাততালি হাততালি হাততালি হাততালি হাততালি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

তারেক অণু এর ছবি
শাব্দিক এর ছবি

চলুক

---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।

তারেক অণু এর ছবি
রকিবুল ইসলাম কমল এর ছবি

পানিতে দুজন মানুষ! অ্যাঁ

প্রথমে একবার পড়ে গেছি, তখন খেয়াল করি নাই!

তারেক অণু এর ছবি

সাঁতার !

অতিথি লেখক এর ছবি

বাংলাদেশে এরকম অনেক সুন্দর দ্বীপই আছে। খুজলে এরকম অসাধারন সৌন্দর্য আরও পাওয়া যাবে। আর এগুলো খুজে বের করতে পারে সত্যিকারের অভিযাত্রিরাই।
ধন্যবাদ তারেক অণুকে, কিছু অসাধারণ ছবি পোস্ট করার জন্য।

নিকঃ শেহজাদ আমান।

তারেক অণু এর ছবি

শুভেচ্ছা

তানিম এহসান এর ছবি

চেনা চেনা লাগে হাসি

গুপন থাক চলুক

তারেক অণু এর ছবি

আহা !

অতিথি লেখক এর ছবি

এইখানে গিয়েছিলাম একবার একাডেমিক কাজে । গোপনেই রাখবো হাসি

তাহসিন রেজা

তারেক অণু এর ছবি

আচ্ছা !

অতিথি লেখক এর ছবি

খুব সুন্দর! কাঁকড়ারা সারবেধে ছোটাছুটি করে পুরো সৈকতের রঙ লাল বানিয়ে দিচ্ছে- কল্পনা করতেই মন ভরে যাচ্ছে। থাকুক গোপন আরো অনেক দিন। প্রকৃতি অন্তত কিছু জায়গায় নিজের মতো শ্বাস নিক এই অভাগা দেশে।

অঃটঃ ফেসবুকে শেয়ার করা সেই তুমুল আলোচিত সেই ছবিখানা এখানে দিলেন না যে?
(সঙ্কেত- গামছা) চোখ টিপি

---- মনজুর এলাহী -----

তারেক অণু এর ছবি

হা হা , আসলেই !

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

ঠিক - আমরা এখনো এত অসেচতন!

____________________________

তারেক অণু এর ছবি

আসলেই

amn এর ছবি

ছবি আর বর্ণনা শুনে কেন জানি মনে হচ্ছে আগে এই চরে আমি গিয়েছি। সেই সময়ও সেখানে মানব-বসতি ছিল না। তবে ঐখানে যতদূর মনে হয় বন্য শুকরও ছিল মনে হয়।

তারেক অণু এর ছবি

তাই!

অতিথি লেখক এর ছবি

খুব সুন্দর করে লিখেছেন ভাই। আমাদের দেশের এমন আনাবিল জায়গা গুলুর কথা যদি আমরা আরও দেরি করে জানাতাম তাহলে জায়গাগুলো আরও কিছুদিন ভাল থাকতো। কিছুদিন আগে একটা নিউজ এ চোখ আটকালো, "ছি! আর আসব না খইয়াছড়া" - লেখক খইয়াছড়া ঝর্নায় যাবার রাস্তায় এবং ঝর্নার আশে পাশে যে আবর্জনা দেখেছে তাতেই এমন শিরোনাম দিতে বাধ্য হয়েছে। বেশ কিছুদিন আগে জলার বন রাতারগুল এ গিয়েও আমি এমনটাই পণ করেছি আর যাবো না। বান্দারবান এর দুর্গম পথে জাদিপাই ঝর্নায় গিয়েও মনটা খারাপ হয়েছিল মানুষের ফেলে আসা আবর্জনা দেখে। খাগড়াছড়ির রিসং ঝর্ণায় গিয়ে দেখলাম ডিজে চলছে আর ছেলে মেয়েরা নাচছে। আমরা কি প্রকৃতিকে ভালোবেসে তার কাছে যাচ্ছি নাকি তাকে ধ্বংস করতে যাচ্ছি তা মনে হয় নিজেরাও যানি না। এখন হয়ত অনেকেই বলবে, কেন তুমি খালি একাই দেখবা নাকি! হুমম দেখবো, কারন আমি জানি প্রকৃতিকে কিভাবে ধ্বংস না করে তাকে উপভোগ করা যায়। আগে প্রকৃতিকে ভালোবাসো তারপর যেওক্ষণ। হাসি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।