• Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_clear_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_electoral_list_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_results_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_writeins_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).

কাঙাল হরিনাথের ছাপাখানায়

তারেক অণু এর ছবি
লিখেছেন তারেক অণু (তারিখ: সোম, ২১/০৪/২০১৪ - ১২:০৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

IMG_3973

এম এন প্রেস, কাঙাল কুটির।

এই লেখা সাইনবোর্ড ছিল সামনের পোড়ো বাড়ীর দেয়ালে, পাশে নতুন একটি ভবন যার উপরে লেখা কাঙাল হরিনাথ স্মৃতি জাদুঘর ও গ্রন্থাগার। দেখেই মনের মাঝে বেশ আশার সঞ্চার হল, নিশ্চয়ই দর্শনীয় কিছু মিলবে এই জাদুঘরে। কিন্তু দরজায় তালা দেখে ফের সেই পোড়ো বাড়ীতে প্রবেশপথের সন্ধানে ফিরলাম আমরা, আমরা বলতে বাংলা মাউন্টেনিয়ারিং অ্যান্ড ট্রেকিং ক্লাব (বি এম টি সি)- এর কয়েকজন সদস্য, যাদের সাথে বেড়াতে এসেছি কুষ্টিয়া। উদ্দেশ্য আসন্ন হিমালয় অভিযান নিয়ে আলোচনা করা এবং কুষ্টিয়ার কয়েকটা বিশেষ স্থান পরিদর্শন করা, যার মধ্যে অন্যতম এই এম এন প্রেস।

IMG_3959

কাঙ্গাল হরিনাথ মজুমদার ১৮৭৩ সালে কুমারখালির নিজ গ্রামেই গ্রামবার্তা প্রকাশিকা পত্রিকাটির জন্য নিজস্ব ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা করেন। এই ছাপাখানাতেই মীর মশারফ হোসেনের বিষাদ সিন্ধু ছাপা হয়েছিল, এবং ছাপাখানা কক্ষেরই এক কোণে কালজয়ী উপন্যাসটির কিছু অংশ রচিত হয়েছিল। জানা যায় এই প্রেস যন্ত্রে রয়েছে কাঙাল হরিনাথ, লালন, মীর মশাররফ ও জলধর সেনের হাতের স্পর্শ।
লালন ফকির? তাঁর সাথে প্রেসের কী সম্পর্ক?

IMG_3966

আসলে গ্রামবার্তা প্রকাশিকা পত্রিকায় হরিনাথ সাহিত্য, দর্শন, বিজ্ঞানসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রবন্ধ প্রকাশের পাশাপাশি অত্যন্ত সাহসিকতার সঙ্গে জমিদার ও ব্রিটিশ নীলকরদের অত্যাচারের কাহিনী প্রকাশ করেন। একটা পর্যায়ে জমিদাররা তাঁর ওপর হামলার পরিকল্পনা করেন। তখন লালন সাঁই অনুসারীদের নিয়ে হরিনাথের বাড়িতে এসে পাহারা দিয়ে তাঁকে রক্ষা করেন। ফকির লালন সাঁইয়ের সঙ্গে হরিনাথের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠতা ছিল।হরিনাথ নিজেও ছিলেন আধ্যাত্মিক সাধক। ‘কাঙাল ফকির চাঁদ বাউল’ নামেও তিনি পরিচিত ছিলেন। এই নামেই তাঁর রচিত অসংখ্য গান ব্যপক জনপ্রিয়তা লাভ করে এবং লোকমুখে ছড়িয়ে পড়ে।

অবশেষে আমাদের ক্ষুদে অভিযাত্রীদের দলটি প্রেসের মূল দরজাটি খুঁজে পেতে সক্ষম হয়, এবং সেখানে অনুপ্রবেশের চেষ্টা মাত্রই পাশের বাড়ী থেকে এক পক্ককেশ অমিততেজা বৃদ্ধ ছুটে আসেন, তাঁর নাম অশোক মজুমদার। তিনি কাঙাল হরিনাথ মজুমদারের প্রপৌত্র। বর্তমানে ইতিহাসের অংশ ছাপাখানাটির একমাত্র অভিভাবক। খুলে ধরলেন তাঁর গল্প ও অভিজ্ঞতার ঝাঁপি-

IMG_3970

কাগজ দেখে বললেন লন্ডনের ১০ ফিন্সবারি স্টিটের ক্লাইমার ডিক্সন অ্যান্ড কোম্পানি থেকে কলম্বিয়া প্রেস মডেলের ১৭০৬ নম্বর এ মুদ্রনযন্ত্রটি তৈরি করা হয় ১৮৬৭ সালে। এডওয়ার্ড বিভান এ যন্ত্রটি পেটেন্ট করেন। ৩০-৩৫ মণ ওজনের ডাবল ক্রাউন সাইজের বিশাল মেশিনটিতে কাগজ ছাপাতে তিনজন লোক লাগত।

নিজে একটু চালিয়েও দেখালেন মেশিনখানা। ১৯৬২ সালে জনৈক বিদেশী দুই লক্ষ টাকার বিনিময়ে ঐতিহাসিক মেশিনখানা কেনার আগ্রহ প্রকাশ করলেও হরিনাথের বংশধরেরা সেই ব্যপারে উৎসাহ দেখান নি, বরং অশোক দাদুর কাছে শোনা গেল বিগত এক দশকেরও বেশী সময় ধরে প্রভাবশালী মামলাবাজ প্রতিবেশীদের ঠুকে দেওয়া মিথ্যা মামলার কারণে এই প্রেস রক্ষা করতেই তারা হিমশিম খাচ্ছেন। মাত্র ১৪ বছর আগেও কিছু না কিছু নিয়মিত ছাপাতেন যন্ত্রটিতে, কিন্তু আজ সে নীরব। একপাশে ডাই করে রাখা সেই ইতিহাসের কিছু সাক্ষী, নানা পোস্টার, লিফলেট, পুরনো পত্রিকার ফটোকপি। যেই না জিজ্ঞসা করেছি জাদুঘরে কী আছে, অশোক দাদু তেড়েফুঁড়ে বললেন- আছে চামচিকা আর পাখির বিষ্ঠা! কেউই দাম দিলো না কাঙালেরে!

IMG_3967

অবাক হয়ে ঘোর লাগার অনুভূতি নিয়ে প্রেসটা ঘুরে ঘুরে দেখছিলাম আমরা, আজ থেকে দেড় শ বছর আগে একদিন এই প্রেস থেকেই বের হতো গ্রামের নিপীড়িত মানুষের প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর 'গ্রামবার্তা প্রকাশিকা'। জমিদারদের নৃশংস অত্যাচারের কথা তুলে ধরতে পত্রিকাটি ছিল সোচ্চার। স্থানীয় জমিদার ও ইংরেজদের প্রজাপীড়ন ব্যথিত ও ক্ষুব্ধ করেছিল হরিনাথকে। এসব নিয়ে তিনি প্রথম লেখালেখি শুরু করেছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের সংবাদ প্রভাকর পত্রিকায়। এভাবেই তাঁর সাংবাদিকতার শুরু। পরে ১৮৬৩ সালে নিজেই প্রকাশ করেন মাসিক গ্রামবার্তা প্রকাশিকা। পরে এটি পাক্ষিক এবং একপর্যায়ে সাপ্তাহিক হিসেবে প্রকাশিত হয়। যদিও পরবর্তীতে বন্ধ হয়ে যায় গণমানুষের পত্রিকাটি।

এই এলাকাতে তখন ছিল মূলত জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারের জমিদারি, প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুরের মৃত্যুর পর তাঁর পুত্র দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের সময় নানা কারণে সাধারণ প্রজারা জমিদারদের লাঠিয়ালে অত্যাচারের শিকার হচ্ছিল, যদিও দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর কোলকাতায় মহর্ষি বলে পরিচিত ছিলেন কিন্তু নিজের জমিদারীর এই সমস্ত অত্যাচারের প্রতিকার ও সুবিচার করেন নি। যেগুলো নিয়ে ছাপা কাঙাল হরিনাথের সংবাদ ও রোজনামচা পড়ে দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের পুত্র বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কাহিনীর সত্যতা জানতে পেরে পত্রযোগে হরিনাথকে অনুরোধ করেছিলেন অন্তত পিতার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত যেন এই সমস্ত অত্যাচারের কাহিনী প্রকাশিত না হয়।

IMG_3956

অল্প বয়সেই পিতা-মাতাকে হারানোর ফলেই কাঙাল হরিনাথ মজুমদারের কোনোদিন কোনো বিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেখা হয়নি। বেঁচে থাকার তাগিদের কারণে বালক বয়সে কুমারখালী বাজারের এক কাপড়ের দোকানে কাঙাল হরিনাথ কাজ নিতে বাধ্য হন দৈনিক দুই পয়সা বেতনে। এরপর ৫১টি কুঠির হেড অফিস কুমারখালীর নীলকুঠিতে শিক্ষানবিস হিসেবে যোগ দেন। কিন্তু নীলকুঠিরে স্বল্পকালীন কর্মজীবনে হরিনাথ প্রজার ওপর কুঠিয়ালদের অত্যাচার ও শোষণের স্বরূপ নিজ চোখে দেখেন এবং স্থানীয় জমিদার ও ইংরেজদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে ঈশ্বর গুপ্তের ‘সংবাদ প্রভাকর’ পত্রিকায় লেখালেখি শুরু করেন। সেই তাঁর সাংবাদিকতার শুরু। পরে ১৮৬৩ সালে নিজেই প্রকাশ করেন ‘গ্রামবার্তা প্রকাশিকা’ নামের মাসিক পত্রিকাটি। ২৫ বছর ধরে পত্রিকাটি নিয়মিত প্রকাশিত হয়েছিল। একইসাথে তিনি বিদ্যানুরাগী ও সমাজ সচেতন ছিলেন। নিজ গ্রামে তিনি বন্ধুবান্ধবের সহায়তায় একটি ভার্নাকুলার স্কুল খুলেছিলেন ১৮৫৫ সালে। সেখানেই অবৈতনিক শিক্ষকতা শুরু করেছিলেন। পরের বছর তিনি কুমারখালীতে একটি বালিকা বিদ্যালয় স্থাপন করেন। ১৮৫৮ সালে এই বালিকা বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের দ্বারোদ্ঘাটন করেছিলেন স্বয়ং ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর।

IMG_3963

কী বিপুল প্রতিভা নিয়েই জন্মছিলেন মানুষটি! সারা জীবন বিলিয়ে দিয়েছিলেন দেশের মানুষের কল্যাণের লক্ষে। কাঙাল হরিনাথ হয়ত বুক ভরা অভিমান নিয়েই লিখেছিলেন তাঁর সেই বিখ্যাত গান- ”ওহে দিন যে গেল সন্ধ্যা হল পার কর আমারে ---”। আমরা কি কিছুটা এগিয়ে আসতে পারি না তাঁর মহান কীর্তিকে সংরক্ষণের জন্য? নিদেনপক্ষে ঐতিহাসিক প্রেসটি যেন যথাযথ ভাবে সংরক্ষণ করা হয় এবং জাদুঘরটি ঠিক মত চলে সেই ব্যাপারে?

Kangal-harinath
( কাঙাল হরিনাথের এই ছবিটি উইকি থেকে নেওয়া)


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

(Y)

অনেক অজনাকে জানলাম আপনার হাত ধরে। আপনি এই তথ্যগুলো কি ওখান থেকে সংগ্রহ করেছেন নাকি অন্য কোথাও থেকে? অবশ্যই সংরক্ষন করা উচিত উনার এই মহান কীর্তি।

মাসুদ সজীব

তারেক অণু এর ছবি

দুই ভাবেই, হরিনাথের উপরে প্রকাশিত বই থেকেও

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আবুল আহসান চৌধুরীর সম্পাদনায় বাংলা একাডেমি প্রকাশ করেছিলো "কাঙাল হরিনাথ মজুমদার স্মারকগ্রন্থ" তাঁকে জানার জন্য এই বইটি অনেকের কাজে লাগতে পারে। এখন বোধহয় বাংলা একাডেমির পুরনো বই ৫০ পার্সেন্ট মূল্যছাড়ে পাওয়া যায়। সে হিসেবে আগ্রহীরা মাত্র ৪০ টাকা দিয়ে সংগ্রহ করে নিতে পারবেন...

"হরি দিন তো গেলো সন্ধ্যা হলো পার করো আমারে" সত্যজিৎ রায় "পথের পাঁচালী" চলচ্চিত্রে ব্যবহার করেছিলেন। কাঙালের অন্য অনেক গান এখন আর পাওয়া যায় না।

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

(Y)

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

তারেক অণু এর ছবি

ধন্যবাদ নজু ভাই, ইদানীং আপনার পোস্ট দূরে থাক, কমেন্টও অতি বিরল হয়ে গেছে :S

অতিথি লেখক এর ছবি

বাংলাদেশর বিভিন্ন প্রতিযোগীতামূলক এমসিকিউ পরীক্ষায় যারা অংশ নেয় তারা সবাই-ই এরকম কিছু তথ্য মুখস্ত করে। যেমনঃ বঙ্গে প্রথম প্রকাশিত পত্রিকা কোনটা, প্রত্থম ছাপাখানা কবে স্থাপিত হয় ইত্যাদি। কিন্তু আমাদের (আমার পড়াই ভাল, সবার দায়-দায়িত্ব না নিই)ভিতরে কৌতুহলই জাগ্রত হয় না যে বাংলাদেশের যে জায়গাগুলোর কথা বলা হচ্ছে সেগুলো এখন কেমন, কি অবস্থায় আছে একটু দেখে আসি। আপনার এই পোস্ট দেখে আমি নিজেই লজ্জিত হয়েছি। আমার বাড়ি এই অঞ্চলের কাছাকাছি হওয়া সত্ত্বেও একবারের জন্যও মনে হয়নি, যাই জায়গাটা একটু দেখে আসি।

আর ইতিহাসের স্থান সংরক্ষণে আমাদের অনাগ্রহতো সীমাহীন। এই ব্যাপারে আর কি করা যেতে পারে কথা বলে যাওয়া ছাড়া, আশায় একদিন কর্তৃপক্ষ আমাদের কথা ঠিকই শুনবেন।

আপনাকে ধন্যবাদ।

গোঁসাইবাবু

তারেক অণু এর ছবি

এবার দেখে আসবেন

তারেক অণু এর ছবি

আমরা যেন চেষ্টা করি সচেতন হবার-

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

কাঙাল হরিনাথ আর গগন হরকরা, এই দুজনেের বিষয়ে আমার খুব আগ্রহ। আপনার লেখা থেকে কাঙাল হরিনাথ সম্পর্কে জানা গেল।
আমরা আমাদের ঐতিহ্য বিষয়ে বড্ড নির্বিকার। আসলে আমরা জাতিগত ভাবে আমাদের ঐতিহ্যের মূল্যায়ন করতে জানিনে।
তারপরও আশা করব সরকার, জনগণ ও আমরা নিজেেরা এ বিষয়ে সচেতন হব।
লেখাটা এবং ছবিগুলোর জন্য ধন্যবাদ।

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

তিনি বটে কাঙাল আর আমরা হলাম ধনী।

তারেক অণু এর ছবি
আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

আপনার পোস্টে মন্তব্য করা সমস্যা। ছবি নিয়ে বলি, নাকি লেখা নিয়ে বলি! (‌ =DX

তারেক অণু এর ছবি

এইটাতে তো ছবি নাই ভাই!

মেঘলা মানুষ এর ছবি

যদিও দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর কোলকাতায় মহর্ষি বলে পরিচিত ছিলেন কিন্তু নিজের জমিদারীর এই সমস্ত অত্যাচারের প্রতিকার ও সুবিচার করেন নি। যেগুলো নিয়ে ছাপা কাঙাল হরিনাথের সংবাদ ও রোজনামচা পড়ে দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের পুত্র বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কাহিনীর সত্যতা জানতে পেরে পত্রযোগে হরিনাথকে অনুরোধ করেছিলেন অন্তত পিতার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত যেন এই সমস্ত অত্যাচারের কাহিনী প্রকাশিত না হয়।

-এটা জানা ছিল না।

আছে চামচিকা আর পাখির বিষ্ঠা! কেউই দাম দিলো না কাঙালেরে!

-আমরা এমনই, অতীতের কিছুরই দাম দেইনি আমরা। কেবল রাংতায় মোড়ানো জিনিসের পেছনেই ছুটেছি।

শুভেচ্ছা আপনাকে, অণু ভাই :)

তারেক অণু এর ছবি

আমারও জানা ছিল না, বই ঘাঁটতে ঘাঁটতে জানলাম

মেঘলা মানুষ এর ছবি

একটু রেফারেন্স দেবেন? ধরুন, কারো সাথে আলোচনা করতে গেলে সুবিধা হত।
আপাতত, "এটা তারেক অণু তাঁর লেখায় বলেছেন, কাজেই এটা সঠিক" -এই টাইপের যুক্তি দিয়ে পার পেয়ে যাব :D

তারেক অণু এর ছবি

ঐখানে একটা পুস্তিকা পাওয়া যায়, প্রেসের ইতিহাস সম্পর্কিত, ১০০টাকা দাম, এছাড়া নজরুল ভাউএ উপরের মন্তব্যে একটা বইয়ের নাম বলেছেন

মেঘলা মানুষ এর ছবি

ধন্যবাদ জবাবের জন্য।
সে দিন আর বেশি দূরে নাই, যখন আপনার রেফারেন্স দিয়ে তর্ক জিতে আসা যাবে :p

শুভেচ্ছা :)

তারেক অণু এর ছবি
হাসিব এর ছবি

বাকেট লিস্টে একটা পয়েন্ট যোগ করে নিলাম।

তারেক অণু এর ছবি

নাগালের মধ্যেই- :D

আয়নামতি এর ছবি

(জাঝা)

দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের পুত্র বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কাহিনীর সত্যতা জানতে পেরে পত্রযোগে হরিনাথকে অনুরোধ করেছিলেন অন্তত পিতার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত যেন এই সমস্ত অত্যাচারের কাহিনী প্রকাশিত না হয়।

বড় বেদনার মত বাজলো বুকে রবিঠাকুরের এই অন্যায় আব্দার! :(

আচ্ছা মেশিনের উপরে রূপার মত চকচকে ধাতব বস্তুটা কী? যত্ন আত্তি করা হয় বোঝা যাচ্ছে নইলে তো কালচে হয়ে যাবার কথা। সরকারিভাবে হরিনাথের ছাপাখানাসহ জাদুঘরটা রক্ষনাবেক্ষণের জন্য জোর চেষ্টা করা যায় না?

তারেক অণু এর ছবি

করা তো যায়ই -

নীড় সন্ধানী এর ছবি

বাপ্রে কাঙালের মেশিন তো সেইরাম রাজকীয়! এটা দেখার জন্যই তো কুষ্টিয়া যাওয়া দরকার। খুব দরকারী একটা ভুলে যাওয়া অমূল্য রতনের খোঁজ দিলেন। এত বছরেও মেশিনটা টিকে আছে, সের দরে কেউ বেচে দেয় নাই দেখে খুব আশ্চর্য হলাম।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

তারেক অণু এর ছবি

জাদুঘরে নেবার কথা হয়েছিল, কিন্তু কতদূর হবে বোঝা যাচ্ছে না

সত্যপীর এর ছবি

মারাত্মক!

..................................................................
#Banshibir.

তারেক অণু এর ছবি

নিদারুণ?

এক লহমা এর ছবি

(Y)
"এই ছাপাখানাতেই মীর মশারফ হোসেনের বিষাদ সিন্ধু ছাপা হয়েছিল, এবং ছাপাখানা কক্ষেরই এক কোণে কালজয়ী উপন্যাসটির কিছু অংশ রচিত হয়েছিল।" পড়ে, ভিতরটা কেমন শিরশির করে উঠল!

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

তারেক অণু এর ছবি

আসলেই

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

আহা,

দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া
ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া

অণুর যতগুলো ভ্রমণের কাহিনী পড়েছি তার মধ্যে এটির জন্য আমি স্থান বরাদ্দ রাখলাম মোটামুটি পুরোভাগে!

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

রানা মেহের এর ছবি

কী অদ্ভুত সুন্দর

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।