বাঘকেও ওনাকে না খেয়ে ফিরে যেতে হল।
উনি হচ্ছে সুচিৎ, লেখকের এক কর্মচারী, বনের মাঝে তাকে ধরার জন্য বাঘ এসেছে টের পেয়ে সুচিৎ, তাবুর মধ্য সেঁধিয়ে ছিল, তখন লেখক সেই মুহূর্তের বর্ণনা দিলেন এই বলে যে - বাঘকেও সুচিৎকে না খেয়ে ফিরে যেতে হল। এমন বিপদঘন মুহূর্তের কথা এমন প্রাঞ্জল রসঘন ভাবে পড়ে কেন যেন রয়েল বেঙ্গল টাইগার দেখে অজ্ঞান হবার আগমুহূর্ত পর্যন্ত লালমোহন গাঙ্গুলীর বর্ণনা মনে হচ্ছিল। খানিকটা একই রকম রকম ঝরঝরে সুখপাঠ্য ভাষা, রোমাঞ্চঘন, ফেলুদার মত জনমনিষ্যি না থাকলেও প্রতি পাতার প্রায় সব প্যারাতেই কোন না কোন পশু-পাখি-গাছ এসে হাজির।
বলছিলাম সদ্য পড়ে শেষ করা শত বর্ষ আগে লেখা প্রমদারঞ্জন রায়-এর ”বনের খবর” বইটির কথা। উল্লেখ্য, প্রমদারঞ্জন রায় ছিলেন উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর আপন ভাই, সেই সুবাদে সুকুমার রায়ের কাকা ও সত্যজিতের ঠাকুরদা, তাই তাদের ভাষা রীতির অসামান্য সারল্যে মিল কোন কাকতাল ঘটনা নাও হতে পারে, হয়ত রায় পরিবারের যারা লেখালেখির চেষ্টা করেছেন তাদের রীতিটাই এমন ছিল! ”বনের খবর” প্রথম ছাপাও হয়েছিল সন্দেশ পত্রিকায়। আবার প্রমদারঞ্জন রায় ছিলেন শিশুসাহিত্যের অতি জনপ্রিয় লেখক লীলা মজুদারের বাবা , সন্দেহ নেই শিশু লীলার মনে দূর দেশের অ্যাডভেঞ্চারের ও প্রকৃতির গন্ধ খোঁদাই করে দিয়েছিলেন বাবা প্রমদারঞ্জন।
”বনের খবর” ঠিক বনের বই নয়, শিকার কাহিনী নয়, প্রকৃতির বর্ণনা নয়, জীবনকাহিনী নয়, জীবজন্তু নিয়ে বইও নয়। এটি একজন জরিপকারক ( সার্ভেয়ার)-এর দূরদেশে শ্বাপদসংকুল পরিবেশে চলার কাহিনীর, ১৮৯৯-১৯২০ এই বছরগুলোতে প্রমদারঞ্জন রায় সরকারি জরিপে দুর্গম ব্রহ্মদেশ, লুশাই পাহাড়, শানরাজ্য এমনকি চট্টগ্রাম এবং সিলেট ( শ্রীহট্ট) কিভাবে টিকে ছিলেন সেই বাঘ-ভালুক-অজগর- গণ্ডারের রাজ্যে তারই এক মুনমুগ্ধকর আয়না, যা হাতে নিলে চলে যেতে হয় মন্ত্রমুগ্ধের মত সেই বনজ লতা-ঘাসের জগতে, যেখানের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে আছে বুনো জন্তু, তাদের সাথে মানুষের যুদ্ধের এবং সহাবস্থানের কথা। সেই সাথে মরুময় বেলুচিস্তান অঞ্চলের ১৯০৪-১৯০৫ সালের অভিজ্ঞতা আছে বোনাস হিসেবে।
যেখানে লেখক অবলীলায় বলেছেন, যারা জরিপের কাজ করে, তাদের মধ্যে অনেককে ভারি ভয়ঙ্কর সব জায়গায় ঘুরে বেড়াতে হয়। সেই সব জায়গায় হাতি, মহিষ, বাঘ, ভাল্লুক আর গণ্ডার চলাফেরা করে, আবার যেখানে সেই-সব নেই, সেখানে তাদের চেয়েও হিংস্র আর ভয়ানক মানুষ থাকে। প্রায় কুড়ি-বাইশ বছর এইসব জায়গায় ঘুরে কত ভয়ই পেয়েছি, কত তামাশাই দেখেছি।
সরকারি জরিপের কাজে অনেক লোককে দলে দলে নানা জায়গায় যেতে হয়। এক -একজন কর্মচারীর উপর এক -একটা দলের ভার পড়ে। তাঁর সঙ্গে জিনিসপত্র বইবার জন্য , হাতি, গোরু, ঘোড়া, খচ্চর ও উট, আর জরিপ করবার জন্য সার্ভেয়ার, আমিন, খালাসি ও চাকর-বাকর বিস্তর থাকে। বনের মধ্যে থাকতে হয় তাঁবুতে। লোকজনের বাড়ির কাছে থাকা প্রায়ই ঘটে ওঠে না, এক-এক সময় এমনও হয় যে চারদিকে কুড়ি-পঁচিশ মাইলের মধ্যে আর লোকালয় নেই। বন এমনই ঘন আর অন্ধকার যে তার ভিতর অনেক সময় সূর্যের আলো প্রবেশ করে না; চলবার পথ, জঙ্গল কেটে তৈরি করে নিতে হয়, তবে অগ্রসর হওয়া যায়। যদি জানোয়ারের রাস্তা, বিশেষত হাতির রাস্তা , পাওয়া গেল তো বিশেষ সুবিধার কথা বলতে হবে।
এমনি বিশ্রী জায়গা!প্রথম-প্রথম এইসব জায়গায় সহজেই ভয় হত। আমার মনে আছে প্রথম বছর যখন শান স্টেটে যাই, আমার তাঁবুর সামনে বসে একটা বাঘ ফোঁস-ফোঁস করে নিশ্বাস ফেলছিল, আমি তো শুনে বড়োই ব্যস্ত হয়েছিলাম। তারপর, এর চেয়েও কত বড়ো-বড়ো ঘটনায় পড়েছি কিন্তু তেমন ব্যস্ত কখনো হইনি।
”বনের খবর”-এ সবচেয়ে বেশী খবর দেওয়া হয়েছে বাঘের। মানে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মানুষ শিকারের, আবার মানুষের বাঘ শিকারের, বার্মার বাঘ ধরার ফাঁদের নিটোল বর্ণনা, বাঘ দেখে জনৈক ফুলবাবুর অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার সময় করা মলত্যাগের কারণে উৎসরিত দুর্গন্ধের গল্প, আবার কুলিদের কারো হরিণ কারো বা কচ্ছপের ডাক শুনে বাঘ বলে ভয় পাওয়ার হাসিময় বর্ণনা, কিন্তু অধিকাংশ সময়ে লেখক যখন না জেনেই বাঘকে অনুসরণ করেছেন বা ঘাপটি মেরে লুকিয়ে থাকা বাঘ লাফ দিয়ে পড়েছে কুলির উপরে, কোন সর্দারজী আবার বাঘের মাথায় বাঁশ দিয়ে আঘাত করে উদ্ধার করেছেন আক্রান্ত সুহৃদকে, তখন গা ছমছমের সাথে সাথে ঘাম দিয়ে জ্বর ছাড়ে যেন।
আছে অনেক অনেক হাতির গল্প, বুনো হাতি, পোষা হাতি, মত্ত হাতি, খুনি হাতি, তাদের দলের বর্ণনা, একজায়গায় লেখক স্বয়ং বলেছেন, অনেক রাত্রে খচ্চরগুলোর ছুটোছুটিতে সকলের ঘুম ভেঙে গেছে। ব্যাপারখানা কী? এই ভেবে যেমন একজন খালাসি তাবুর দরজা ফাঁক করে গলা বের করেছে, আর অমনি দেখে- ওরে বাবারে, এয়া বড়ো দাঁতওয়ালা হাতি, তার পিছনে আরও হাতি। সে আস্তে আস্তে সকলকে সাবধান করে দিয়ে যেমন তাঁবুর পিছন দিয়ে বেরোতে যাবে অমনি হাতিও তাবুর ওপর এসে পড়ল। তখন সকলে গড়িযে গড়িয়ে খাদের ভিতর ঢুকে কোনো রকমে প্রাণ বাঁচাল, আর হাতিগুলো সেই রাস্তায় চলে কাল । তাঁবু-টাবু যা কিছু তাদের সামনে পড়েছিল, সব তারা শুঁড় দিয়ে ছুড়ে ছুড়ে খাদের মধ্যে ফেলে দিয়ে গেল। খচ্চরগুলোও রাস্তার উপর বাঁধা ছিল তারা সকলে দড়ি-টড়ি ছিঁড়ে পালাল, শুধু একটা খচ্চর মজবুত নতুন দড়ি দিয়ে বাঁধা ছিল, সে বেচারা পালাতে পারেনি। হাতিরা সেটাক পা দিযে মাড়িয়ে একেবারে পিষে দিয়ে গেল।
ভালুকের গুহায় না জেনে চলে গেছেন লেখক জরিপ করার সময়, কখনো মুখোমুখি হয়েছেন ভীম গণ্ডারের, হনুমান মাতা-র সন্তান প্রেম দেখে হয়েছেন আপ্লুত, খাদ্যের প্রয়োজনে করেছেন হরিণ শিকার, অজগরের মুখ থেকে টেনে বের করতে দেখেছেন শিকার হয়ে যাওয়া হনুমানকে। সবকিছুর উপরে স্থান দিতে হয় তাঁর সরল বর্ণনাকে, বুনো শূকরের আক্রমণের ভয়াবহতা বোঝাতে বলেছেন- এমন একরোখা গোঁয়ার জন্তু বুঝি আর নেই, তাই লোকে বলে শুয়োরের গোঁ। যেমন মেজাজ, তেমনি তেজ আর তেমনিই তাঁর শক্তি, যতক্ষণ তাঁর শরীরে প্রাণ থাকে ততক্ষণ ওই সর্বনেশে গোঁ সে ছাড়ে না। আমাদের দেশে বলে ”বাঘ-শিকারির ভাত রেঁধো। শুয়োর-শিকারির রেঁধো না।” সে যে ফিরে আসবে তাঁর কোন নিশ্চয়তাই নেই! অথচ এই বইতেই অন্তত এক ডজন মানুষের বাঘের পেটে যাবার ঘটনা লিপিবদ্ধ করা আছে।
প্রমদারঞ্জনের দিনলিপি থেকে বাদ যায় নি মানুষও, নানা দেশের হরেক কিসিমের মানুষ, কেউ কেউ আবার মানুষখেকো, এক জায়গায় বার্মার শান কুলিদের রান্না নিয়ে লিখেছেন -কী করে রান্না করে? একটা লম্বা কাঁচা বাঁশের চোঙার একটি বাদে সমস্ত গাঁটগুলিকে ফুটো করে, সেটাকে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিয়ে, তাতে আবশ্যক মতো চাল পুরে, জল ভরে, ঘাস-পাতা দিয়ে মুখটা বন্ধ করে একটা গাছে হেলান দিয়ে দাঁড় করিয়ে রেখে দেয়। তিন-চার ঘণ্টা অমনি থাকে, তারপর ওই চোঙাটা ধুনির আগুনে ঝলসায়। চারদিকে বেশ ঝলসানো হলে চোঙাটি জায়গায়-জায়গায় পুড়ে যায়- সেটাকে ধুনি থেকে বার করে রেখে দেয়। ঠান্ডা হলে পর দা দিয়ে আস্তে আস্তে বাঁশটাকে চিরে ফেলে আর তার ভিতর থেকে দিব্যি একটা ভাতের পাশ বালিশ বার হয়ে আসে। সেটা চাকা-চাকা করে কেটে সকলে ভাগ করে নেয়, আর নুন, লঙ্কা, শুকনো মাছ বা মাংস উপকরণ দিয়ে খায়। গরমের দিনে কখনো বা ঝিঁঝি পোকা ধরে, আগুনে পুড়িয়ে তার চাটনি করে খায়। ঝিঁঝি পোকা নাকি অতি উপাদেয়!
পাখি শিকারের বর্ণনা আছে অল্প, বরং ঢের বেশী আছে পাখির বর্ণনা। গগনবেড়ের (পেলিক্যান) মাংসের স্বাদ যে অতি অখাদ্য চামড়ার মত সেটি তাঁর বর্ণনাতেই পাই। তবে মনের আনন্দে শিকারের উল্লেখ তিনি করেন নি, একমাত্র কুলিদের খাবারের সরবরাহ মেটাতে মাঝেসাঝে, এবং মানুষকে বিপদ থেকে উদ্ধার করতে গুলি চালিয়েছেন। আর মনে রাখতে হবে সেই সময়ে সারা বিশ্বেই বুনো জীবদের কী চোখে দেখা হত।
বইটা পড়া শুরু করেছিলাম কাল রাতে, শেষ করার আগ পর্যন্ত নামিয়ে রাখতে পারি নি। পটলের সমান জোঁকের বর্ণনায় যেমন মুখ কুচকেছি, হেসে ফেলেছি উল্লুকের বাঁদরামিতে, বাঘের ডোরার আভাসে হয়েছি রোমাঞ্চিত, তার চেয়ে অনেক অনেক গুণ বেশী হয়েছি ব্যথিত, সেই সবুজ ভরা অতীতের গল্পে। এগুলো আজ শুধুই গল্প, সেই বন নেই, নেই কোন জন্তু, আজ সবখানেই মানুষের রাজ্য। তারপরও জিম করবেটেরও বেশ আগে এমন স্বাদু রোমন্থন জানিয়ে দেয় আমাদের প্রাচুর্যময় অতীত নিয়ে, আর তার জন্য সকল ধন্যবাদ প্রাপ্য অকুতোভয় প্রমদারঞ্জন রায়ের যিনি বইয়ের শেষ লাইন শেষ করেছেন এই বলে - এর পরের বছর আমি কলকাতায় বদলি হয়ে গেলাম আর জঙ্গলের কাজের সঙ্গে আমার সাক্ষাৎ সম্পর্ক ঘুচে গেল। সুতরাং আমার বক্তব্যও এখানে শেষ হয়ে গেল।
কিন্তু শেষ হইয়াও হইল না শেষ। শত বছর আগে লেখা অসামান্য কাহিনীতে আমাদের মনে বুনে দিয়ে গেছেন তিনি প্রকৃতি সম্ভোগের উদাত্ত আহ্বান, বনের প্রতি ভালবাসা, অজানার প্রতি পা বাড়ানোর উৎসাহ। এমন বই বাংলায় আর দুটি আছে কিনা জানা নেই। ”বনের খবর” একটি অবশ্যপাঠ্য জীবনকাহিনী।
( সচলায়তনের অন্যতম সচল কলমটি তাঁর, নিবিড় প্রকৃতিপ্রেমিক মানুষটির জীবজগতকে একই সাথে খুঁটিয়ে দেখার ও চমৎকার ভাষায় বর্ণনা করার দক্ষতা আমায় মুগ্ধ করেছে অনেক অনেক বার, যেমন মুগ্ধ করেছে ঝিনাইদহের সীমান্ত এলাকার কাঁদামাটি ও ভাষার গন্ধ নিয়ে আসা এই মুক্তমনা, অতি পরোপকারী তরুণের চিন্তা-চেতনার গভীরতা ও অসঙ্কোচ প্রকাশের দুরন্ত সাহস- আব্দুল গাফফার রনি ভাই, এই সামান্য পোস্টটি আপনার জন্য।
প্রমদারঞ্জন রায়ের ”বনের খবর”-এর কথা প্রথম জানতে পারি রনি ভাইয়ের কাছেই, উনিই আমার অতি উৎসাহ লক্ষ্য করে এর বাংলাদেশী সংস্করণটি ( অ্যাডর্ণ প্রকাশনীর) উপহার দেন। পরে কাঁটাবনের ”মধ্যমা” বইয়ের দোকানে যেয়ে ভারতীয় সংস্করণ, যা লালমাটি প্রকাশন থেকে ছাপা দেখে মুগ্ধ হয়ে সেটিও কিনে ফেলি যার মলাটে জ্বলজ্বল করছে সত্যজিৎ রায়ের আঁকা রয়েল বেঙ্গলের মুখ।
আর বইটির অন্যতম প্রাণ অবশ্যই ভিতরে ব্যবহৃত শ্যামলকৃষ্ণ বসুর স্কেচ এবং স্বয়ং প্রমদারঞ্জনের আঁকা ড্রয়িং। অদ্ভুতভাবে লালমাটির সংস্করণটি ছাপা, হার্ড-কভার বাঁধাই, আকৃতি সব দিক থেকেই অনেক গুণ শ্রেয়তর হলেও দাম বেশ কম অন্যটির তুলনায় ! নিজে পড়ুন, কিশোর-কিশোরীদের উপহার দিন এই অসাধারণ বইটি)
মন্তব্য
বাব্বা, হাতি-ঘোড়া (খচ্চর), বাঘ-শুয়োর, উল্লুক-ভাল্লুুক সব মিলিয়ে দারুণ মজাদার একটা লেখা।
দারুণ বইটা। চিন্তা করা যায় ১০০ বছর আগের এমন বাঙ্গালী লেখক?
facebook
রিভিউ ভালো লাগলো, তারচে' বেশি লাগলো দুঃখ। কারণ বইটা আদৌ পড়ার সুযোগ হবে কিনা জানা নেই।
অপঠিত বইয়ের সংখ্যা এত বেশি যে দীর্ঘশ্বাসের দাপটে নিজেকেই উড়ে যেতে হয়
এইটা পাবেন, বাতিঘরে দেখতে পারেন
facebook
রিভিউ ভাল লাগল।
রণিকে অভিনন্দন!
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
ধন্যবাদ
facebook
এই বইটার মাত্র দুটো পাতা পড়েছি, দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে। লেখকের নাম শুনেই, মনে পড়েছিল, উনি রায় পরিবারের কেউ। তার সম্পর্কে আগেই জানতাম।
কিন্তু বড় দুঃখের বিষয়, বইটা পড়া হয়নি। ৩-৪ দিনের মধ্যেই বিদেশ চলে আসি, একটা বইও নিতে পারিনি (পড়ার বই আর আমার কিছু পেপার ছাড়া), সম্ভব ছিলো না। কি যে আফসোস হয়।
আপনি সুকুমার রায়ের জ্ঞান-বিজ্ঞান ও জন্তু-জানোয়ার বিষয়ক লেখা পড়েছেন কি? সেগুলোও কিন্তু অসাধারণ।
হ্যাঁ, সুকুমার লন্ডনে থাকতে প্রায়ই ন্যাচার জাদুঘরে যেতেন
facebook
লেখাটি আমাকে উৎসর্গ করেছেন বলে নিজেকে অনেক অনেক ভাগ্যবান মনে করছি। এত সুন্দর রিভিউ আমি কখনোই করতে পারতাম না। এজন্যই আপনার রিভিউয়ের জন্য অপেক্ষা করেছিলাম। বইটার মতো রিভিউটাও আপনার অন্যসব লেখার মতই অমরত্ব লাভ করবে বলে আমার বিশ্বাস। তবে আমার সম্পর্কে একটু বেশিই বলে ফেলেছেন বোধহয়।
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
মোটেও না, তবে আসল কথা হচ্ছে আপনার লেখা যেন সচল থাকে আজীবন।
facebook
চমৎকার রিভিউ। বইটা পড়তে ইচ্ছে হচ্ছে।
ঢাকায় কোথায় পেতে পারি বইটা ??
------------------------------------------------------------------------------------------------------------
“We sit in the mud, my friend, and reach for the stars.”
অলীক জানালা _________
মধ্যমা, কনকর্ড টাওয়ার , কাঁটাবন।
facebook
রিভিউ পড়েই মুগ্ধু হলাম, প্রথম সুযোগেই পড়ার আশা রাখি। আরো মুগ্ধ হই এটা দেখে যে, এত এত কিছু করার পরও আপনি খুঁজে খুঁজে অসাধারন সব বই পড়েন, সময় কিভাবে বের করেন আল্লা মালুম। শুধু তাই না, সে সবের চমৎকার সব রিভিউও লেখেন।
সময়েরই অভাব রে ভাই, সে অভাব পূরণ হবার নয়
facebook
বইটা পড়তে হবে।
facebook
****************************************
facebook
ভালো লাগলো বই রিভিউ।
আগেকার সময়ে গাছপালা কত বেশি ছিল!
এখন কেবল মানুষই বেড়েছে, আমরা দখলে নিয়েছি সব বন।
আর, রনি ভাইকেও তার ধৈর্য্য নিয়ে লেখা সিরিজটার জন্য ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছা আপনাদের দু'জনকেই
facebook
খুব আগ্রহ হলো পড়তে। স্ক্যান কপি আছে কারো কাছে?
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
আমার কাছে নাই
facebook
বেশ ভালো হয়েছে রিভিউটা। আমিও বেশ পড়বার আগ্রহ পেলাম। দেখা যাক কবে নাগাদ বইটা হাতে পাওয়া যায়।
ফেইসবুক
---------------------------------------------
এক আকাশের নীচেই যখন এই আমাদের ঘর,
কেমন ক'রে আমরা বলো হতে পারি পর. . .
পেয়ে যাবেন আশা করি, আর আপনার পিচ্চিটাকেও পড়াবেন
facebook
আমি মাঝে মাঝে ভাবি বনের প্রতি আমার এই অমোঘ, দুর্বোধ্য টানের কারণ কি? এ কি আফ্রিকানদের জিনগত উত্তরাধিকার? নাকি করবেট-এন্ডারসন-বিভূতিভুষণ-জীবনানন্দ পাঠের ফল? মন বলে- প্রথমটা। কারণ যে বয়সে জঙ্গলকে ভালোবাসতে শিখেছি, তখন এসবের কিছুই পড়িনি। ভালোবাসা থেকেই পরে পড়েছি। ছেলেবেলা কেটেছিল গারো পাহাড়ের পাদদেশে। বাবা কখনোই বনে ঢুকতে দিতেন না। কারণ নব্বই দশকের মাঝামাঝি পর্যন্তও এক-দুটো লেপার্ডের দেখা মিলত কালে-ভদ্রে। যদিও বাবা নিজে ঠিকই যেতেন- রাত-বিরেতে রোগী দেখতে সরকারী বাইক চালিয়ে! বর্ডারের অংশে রাস্তা ছিল না। সেসব বনভূমি এখন ইতিহাস। ভাওয়াল গিলে খেয়েছে ফ্যাক্টরিবাজরা। পৃথিবী আজ জিম্মি বৈষয়িক পশুদের হাতে।
বইটা কালই খুঁজব।
ধন্যবাদ চমৎকার ভাবে নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করার জন্য। এসবই সেই সাভানা অঞ্চলে তৈরি অনুভূতি।
facebook
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
facebook
অতি অবশ্যই পড়বো।
কড়িকাঠুরে
নতুন মন্তব্য করুন