সাড়ে তিনশ বছর আগের কথা, মধ্য ইউরোপে দেশ হাঙ্গেরির সমুদ্রখ্যাত যে দিগন্তছোঁয়া হ্রদ আছে, সেই বালাতন হ্রদের এক পাশে মাটি ফুঁড়ে জাদুময় অলৌকিক জল বেরোনো শুরু হল। কে যে সেই ভিন্ন স্বাদের পানীয় প্রথম পান করেছিল তা বলা মুশকিল তবে মানুষে মানুষে ছড়িয়ে গেল সেই দৈবজলের কথা যা শরীরে ছোঁয়ালে রোগ সেরে যায়, আর পান করলে তো সোনায় সোহাগা, অনেক অনেক অসুখ যেমন নিমিষে পালিয়ে যায়, তেমন দেহে আসে তারুণ্যের অমিত তেজ। দলে দলে মানুষ ভিড় করতে লাগল ভূমি চিরে বের হওয়া সেই প্রসবণের সামনে, জল ভরে নিয়ে যাওয়া শুরু হল দূরদুরান্তে। ডাক্তাররাও রায় দিলেন এই জলে নানা ধরনের খনিজের পরিমাণ বেশ ভালো পরিমাণে আছে, এটি নিয়মিত পান করলে হৃৎপিণ্ড এবং রক্ত চলাচলের জন্য ভাল। ১৭৭২ সালেই এটিকে একটি স্পা শহর হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়, এবং সেই ঝর্ণাকে কেন্দ্র করে গড়ে তোলা হয় একটি স্যানিটেরিয়াম।
ভাল মত গবেষণা করে দেখা গেল দৈব জলে আছে আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম, হাইড্রো কার্বনেট, সালফার, অল্প কার্বন ডাই-অক্সাইড। খুবই স্বাস্থ্যকর পানীয় বিঁধায় এক পর্যায়ে সেই স্যানিটোরিয়ামকেই রূপান্তর করা হলে হৃদ রোগের চিকিৎসা কেন্দ্রে, সারা হাঙ্গেরির সবচেয়ে বিখ্যাত হৃদরোগ হাসপাতাল রূপে। সারা দেশের তো বটেই, বিশ্বের অনেক নামকরা লোকও স্বাস্থ্য উদ্ধারের জন্য এই চমৎকার নিসর্গ পরিবেষ্টিত জায়গায় যেমন ছিলেন, আবার অনেকেই ছিলেন চিকিৎসার কারণেও। ১৯২৬ সালে এখানে চিকিৎসার কারণে অবস্থান করেছিলেন হাসপাতালটির ইতিহাসের সবচেয়ে নামকরা রোগী, ”বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর”, তাঁর স্মৃতি আজও ছড়ানো আছে সারা হাসপাতাল এবং বালাতন হ্রদের তীরের এই জনপদ জুড়ে। যার খোঁজে আমরা গিয়েছিলাম গত বছর, অবাক হয়ে দেখেছি বিশ্বের আর কোথাওই, এমনকি স্বদেশভূমেও, এতটা সন্মান পায় নি রবীন্দ্রস্মৃতি, যতটা পেয়েছে মধ্য ইউরোপের দেশটিতে। চলুন ঘুরে আসা যাক বালাতন হ্রদের কিনারে অবস্থিত ঠাকুর রোড থেকে-
(গত বছর এইখানে যেয়েই আনন্দের আতিশয্যে কেবল জায়গাটির ছবি নিয়েই একটি পোস্ট দিয়েছিলাম, আজ আর তাই আলাদা করে ছবি দিলাম না, হাঙ্গেরিতে রবি কবি, তার সনে আজিকার ছবি- এই পোস্টেই একটু টুকি দিয়ে দেখে নিন ! )
বুদাপেস্ট থেকে ট্রেনে চেপেছি হাঙ্গেরিয়ান কবি সুজানা চ্যোবাঙ্কোর সাথে, এখন পর্যন্ত দুটি উপন্যাস এবং দুটি কবিতার বই প্রকাশিত হয়েছে এই তরুণীর, এখন চেষ্টা করছে নাৎসীদের কবল থেকে পালিয়ে আসা এক বৃদ্ধার মনস্তাত্ত্বিক জগত নিয়ে লেখার। রবীন্দ্রনাথের বিশেষ ভক্ত তাঁর বাবা, সেই থেকে মেয়ে উপরেও কিছুটা বর্তেছে সেই প্রেম, তাই নিজে থেকেই গাইড হয়েছে আজকের যাত্রার। দুই ঘণ্টা পরেই ট্রেনের জানালা থেকে সুনীল জলরাশি নজরে আসল, বিশাল হ্রদটি শেষ হতেই চায় না যেন, সাধে কী আর বালাতন হ্রদকে হাঙ্গেরির সাগর বলা হয়! বালাতন স্টেশনে নেমেই ম্যাপ দেখে পদব্রজে যাওয়া হল হ্রদটির তীরে, এবং তাঁর সাথেই অবস্থিত দুপাশে সবুজ গাছের সারি দিয়ে ঘেরা এক অপূর্ব রাস্তায়। সমস্ত হাঙ্গেরিতে এমন রাস্তা নাকি আর দুটি নেই, তাই অনেকে এঁকে হাঙ্গেরির রোমান্টিকতম রাস্তাও বলেন, যার নাম ঠাকুর রোড! কারণ রবি ঠাকুর হাসপাতালে অবস্থানকালীন সময়ে এই রাস্তা ধরেই রোজ প্রত্যুষে হাঁটাহাঁটি করতেন! তাঁর সেই স্মৃতি অমর করে রাখার জন্য অনেক দশক আগেই এলাকাবাসীরা এই নামকরণ করে রেখেছেন।
রাস্তার একধারে নানা ধরনের দোকান, পানশালা মানুষের ভিড়ে গমগম করছে। ঠাকুরের নামে হোটেলও আছে দেখলাম। তবে সবচেয়ে আনন্দ পেলাম রাস্তার শেষ মাথায় বিশ্বকবির নাম লেখা সাইনবোর্ড দেখে। সেখান থেকে লোকজন জিজ্ঞাসা করতে করতে পেয়ে গেলাম সেই স্যানাটেরিয়ামের হদিশ। সবুজ ঘেরা এক প্রাচীন ভবন, দেখলেই মনে হয় যেন হলিউডের রূপোলী পর্দা থেকে আগত। মূল ভবনের সামনেই সেই বিখ্যাত মাটি চিরে বয়ে চলা জলের ধরা, যা বেশ জামজমক পূর্ণ স্থাপত্য দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে, কিন্তু পানীয়জল যে কেউই বিনামূল্যে নিতে পারবেন যত ইচ্ছে। এত বছর ধরে চলে আসা কিংবদন্তীর জলের ধারা থেকে কিছুটা পাত্রে নিয়ে গলাধঃকরণ করতেই মনে হল বেশ টক টক এই জল, স্বাদ অতি অন্য ধরনের কিন্তু বিস্বাদ নয় মোটেও, বরং আবারও পান করতে ইচ্ছে করে! সাথের ব্যাকপ্যাকে দুই বোতল জল নিয়ে অবশেষে হাসপাতাল ভবনে ঢুকতেই মনটা আবার বেশ খুশী খুশী হয়ে উঠল, লিফটের পাশে হাঙ্গেরিয়ান ভাষায় এক ফলকে লেখা, ”১৯২৬ সালের নভেম্বরে নোবেল জয়ী কবি রবীন্দ্রনাথ এই হাসপাতালে অবস্থান করেছিলেন ”! ১৯২৬ সালে এক কবিতা উৎসবে যোগ দেবার জন্য বিশ্বকবি বুদাপেস্টে অবস্থান করছিলেন, সেই সময়ে অসুস্থ হয়ে গেলে তাঁকে এইখানে আনা হয়েছিল দুই সপ্তাহের জন্য।
রিসেপশনে জিজ্ঞাসা করতেই জানা গেল রবি ঠাকুর উপরের এক তলায় ২২০ নং কক্ষে থাকতেন, সেটি বারান্দাঘেষা এক কামরা, বাহির হলেই বালাতন হ্রদের নীল আর দূরের সবুজ দেখা যায়। দুঃখজনক ভাবে কামরাটিতে সেদিন এক মুমূর্ষু রোগী ভর্তি ছিলেন, ফলে কক্ষে ঢুঁকে রবি স্মৃতি অনুভব করা সম্ভব হয় নি, বরং ২২০ নং কক্ষের নেমপ্লেটে রবি ঠাকুরের নামের ছবি নিয়েই ফিরছি, এই সময় এক নার্স এসে হাতছানি দিয়ে নিয়ে গেলেন ২২০ নং কামরার সাথে লাগোয়া উল্টো দিকের কামরাতে। সেইখানে আমাদের ঢুকিয়ে দিয়ে ফিসফিস করে বললেন রবীন্দ্রনাথের স্মৃতি আমরা সবই ধরে রেখেছি, এই ঘরের সব আসবাবপত্র তাঁর ব্যবহৃত, তাঁর লেখা চিঠি, নানা ছবি, কবিতা এখানের দেয়ালে দেয়ালে। আর বিশেষ আকর্ষণ প্রখ্যাত ভাস্কর রামকিঙ্কর বেইজের তৈরি ভিন্ন ধাঁচের এক আবক্ষ ভাস্কর্য। এই ভাস্কর্যটি রামকিঙ্কর রবি ঠাকুরের জীবদ্দশায় গড়েছিলেন, এবং তাঁর কয়েক বছরের মাঝেই গুরুদেবের মৃত্যু হলে নিছক কুসংস্কার বশে হলেও চিন্তায় কাঁতর হয়েছিলেন এই ভেবে যে মূর্তি গড়ে নিজের অজান্তেই রবি ঠাকুরের আয়ু খানিকটা কমিয়ে দিয়েছেন নাকি! একসময়ে ধাতব ভাস্কর্যটি বাহিরের বাগানে শোভা পেলেও এখন ভিতরে এনে রাখা হয়েছে।
অবাক হয়ে চিন্তা করলাম হাঙ্গেরি অর্থনৈতিক দিক দিয়ে এমন কোন সম্পদশালী দেশ না, অথচ দেশের সবচেয়ে সেরা হৃদহাসপাতালের একটি কক্ষ তারা প্রায় একশ বছর ধরে জাদুঘর করে রেখেছে ভিনদেশী এক কবির সন্মানে! এটি একমাত্র একটি প্রচণ্ডভাবে সংস্কৃতমনা জাতির পক্ষেই সম্ভব। নার্সের কথায় মনে হল এই কামরার সাথে ২২০ নং কক্ষের সংযোগ আছে, এবং আমরা যেন রোগী নেই এমন একদিন সেখানে সময় কাটাবার জন্য আসি। রবিস্মৃতি ধন্য জিনিসগুলোর মাঝে খানিকক্ষণ বসে অবশেষে সুজানার তাড়াতে বেরোতে হল।
হাসপাতাল প্রাঙ্গণ থেকে হ্রদ পর্যন্ত নানা ধরনের গাছ-গাছালি, এর মাঝে একটা বিশেষ গাছ খুজছিলাম আমরা, শতবর্ষী এক লাইম গাছ। ১৯২৬ সালে রবি ঠাকুর স্বয়ং গাছটি লাগিয়েছিলেন পরম মমতায়। অবশেষে তারই আরেকটি আবক্ষ ধাতব ভাস্কর্য দেখে বিখ্যাত গাছটিকে চেনা গেল। গাছ ঘিরে রাখা বেদিতে কয়েকটি ফলকে হাঙ্গেরিয়ান, বাংলা, ইংরেজিতে কবি সম্পর্কে কিছু কথা, এই গাছ নিয়ে অপূর্ব এক কবিতা খোদাই করা। গাছটিকে আলতো স্পর্শ করে মনে হল রবি ঠাকুর হয়ত অদূরেই দাঁড়িয়ে প্রশয়ের মিটি মিটি হাসি দিচ্ছেন আমাদের উৎসাহের, ভালবাসার আতিশয্য দেখে।
রবি ঠাকুরের স্মৃতির খোঁজে দেশ ছাড়িয়ে মহাদেশে যাওয়া হয়েছে একাধিকবার, কিন্তু আর কোন দেশে তাঁর স্মৃতি রক্ষার জন্য এই বিপুল পরিমাণ মহাযজ্ঞ আর চোখে পড়ে নি কোথাও। বিশেষ করে হাসপাতালের ঘর জাদুঘর করে রাখা বিশ্বের যে কোন দেশের জন্যই অতি গুরুত্বপূর্ণ। এর কয়েক শতাংশ পরিমাণ যত্ন বাঙ্গালী জাতি নিলে রবি ঠাকুরের সারা জীবনের স্মৃতি বিজড়িত স্থানগুলো অন্তত খুব ভালো ভাবে টিকত বাংলায়। লাইম গাছটির কাণ্ডে হাত বুলাতে বুলাতে এই বালাতনফ্রুডে বসে হাঙ্গরীর উদ্দেশ্যে লেখা রবি ঠাকুরের এক কবিতা তখন মনের মাঝে পাক খেয়ে যাচ্ছে থেকে থেকেই-
হাঙ্গেরি, আতিথ্য তুমি দিলে পান্থজনে
হাঙ্গেরি, বিরাম তুমি দিলে শ্রান্তজনে।
প্রবাসীরে আপনার করিয়াছ যবে
বিচ্ছেদে কখনো তাঁর বিচ্ছেদ না হবে ।।
(আজ আমার আপনার চেয়ে আপন যে জন সেই আনন্দময়ী মজুমদারের জন্মদিন। এই সামান্য পোস্টটি তাঁর জন্য।
শুভ জন্মদিন দিদি, ভালো থাকিস সবসময়। )
মন্তব্য
নতুন করে বলার কিছু নেই ।
facebook
খোদাই করা কবিতাটির নাম কি, অণু ভাই?
হাঙ্গেরির এই হাসপাতালে কবি কোন কবিতা লিখেছিলেন কি? বা তার কোন স্মৃতিকথা আছে এই কক্ষটির অবস্থানকাল নিয়ে, বিশেষত, যেখান থেকে ''বাহির হলেই বালাতন হ্রদের নীল আর দূরের সবুজ দেখা যায়।"
বরাবরের মতই মানিক খুঁজে এনেছেন আমাদের জন্য!
.............................
তুমি কষে ধর হাল
আমি তুলে বাঁধি পাল
যাহ, সেই কবিতাতো জানা নেই! জানতে ইচ্ছা করছে অবশ্য অনেক-
facebook
হাঙ্গেরিকে অভিবাদন।
হাঙ্গেরিতে রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে তোমার আগের পোস্টটি পড়েছিলাম। সেখানে অনেক ছবি দিয়েছিলে। আর বলেছিলে পুরো লেখাটা পরে আসছে। এইবার এল সে লেখা। তোমার আগের লেখাটার সুতোটা ধরিয়ে দিয়ে ভালো করেছ। গিয়ে দেখে এলাম। দুই লেখা মিলে বেশ জমাটি একটা বিবরণ হয়ে গেল।
একজন চমৎকার এবং অসামান্য মানুষের জন্য তোমার এই চমৎকার এবং অসামান্য তথ্যের পোস্ট - একেবারে ঠিকঠাক জুড়ি বাঁধা হয়েছে। আনন্দদিকে জন্মদিনের অনেক শুভেচ্ছা।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
হাঙ্গেরিকে অভিবাদন।
facebook
কত অজানারে জানাইলে তুমি! বিস্ময়ে তাই জাগে আমার প্রাণ! জন্মদিনে এর মত দারুণ উপহার আর কী হতে পারে!?
পুনশ্চ: হাঙ্গেরিতে কোন মানুষ ভাষায় কথা বলে? ওখানে গিয়ে কয় দিন থাকব কিনা ভাবছি!
-আনন্দময়ী মজুমদার
হাঙ্গেরিয়ান। তবে অনেকেই জার্মান আর রাশান পারে।
সারা ইউরোপের সমস্ত ভাষা এক পরিবারের অন্তর্গত, আর হাঙ্গেরিয়ান, এস্তোনিয়ান ও ফিনিশ অন্য পরিবারের, কাজেই শেখাটা এত্ত সহজ হবে না, বুঝলি?
facebook
একটা জাতির স্বরূপ নির্ধারণ হয় তারা কোন বিষয়গুলোকে ভালোবেসে ধারণ করে তা দিয়ে।
আমাদের সত্যেন বোসকে ঢাকা ভার্সিটি ভুলেই গেছে। অথচ শুনেছি কার্জন হলের যে অফিসে তিনি গবেষণা করতেন, যেসব যন্ত্রপাতি ব্যবহার করতেন সেগুলো এখনো জঞ্জাল হয়ে পড়ে আছে এক কোনায়। এগুলোকে মিউজিয়াম না করা গেলে, আমাদের ছেলেমেয়েরা নিজেদের চিনবে কী ভাবে?
যে প্রচণ্ড হীনমন্যতা আমাদের মাঝে বাসা বাঁধছে, সেগুলো দূর করতে সত্যেন বোস, ব্রজেন দাস এর মত নিজেদের মানুষকে সামনে আনতে হবে।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
facebook
আনন্দময়ী মজুমদারকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা।
গোঁসাইবাবু
অনেক অনেক ধন্যবাদ
-আনন্দময়ী মজুমদার
facebook
হাঙ্গেরির অনন্য রবিপ্রেম মুগ্ধ করলো।
আনন্দদিদিকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
অনেক অনেক ধন্যবাদ!
-আনন্দদিদি
facebook
লেখাটির জন্য আপনাকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
আমি, বাবুই পাখি।
ধন্যবাদ
facebook
গুণী লোকের সম্মান দেয়ায় হাঙ্গেরির মানুষদের বাহবা দিতেই হবে।
আনন্দময়ীদি কে জন্মদিনের শুভেচ্ছা
অবশ্যই
facebook
প্রায় দশ মাসের বিরতিতে একই বিষয়ের দু'টো লেখা দেখে আর পড়ে মন ভরে গেলো।
ভালো থাকবেন অণু।
আপনার জন্য শুভকামনা।
অফটপিকঃ একদিন আড্ডা দিতে ইচ্ছে হয় আপনার সাথে। ব্যস্ততা কি অবসর দেয়?
-------------------------
কামরুজ্জামান পলাশ
কত কিছু যে জানছি আপনার তরে!
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
নতুন মন্তব্য করুন