I loved you: and, it may be, from my soul
The former love has never gone away,
But let it not recall to you my dole;
I wish not sadden you in any way.
I loved you silently, without hope, fully,
In diffidence, in jealousy, in pain;
I loved you so tenderly and truly,
As let you else be loved by any man.
অনেক আগে চির ভালবাসার কথাগুলি খোদাই করে ছিলেন কবি আলেক্সান্ডার পুশকিন, আজ পর্যন্ত একটি বিশাল জনসংখ্যার জাতি শত বছর ধরে সমান ভাবে ভালোবেসে গেছে একই কবিকে, এমন তিনজন কবির কথা আসলেও তাঁর মধ্যে আলেক্সান্ডার পুশকিন থাকবেনই। রাশিয়ান ভাষাভাষীদের কাছে সময়ের সাথে যেন বেরেই চলেছে তাঁর প্রতি ভালবাসা এবং তাঁর অকালমৃত্যুর জন্য দুঃখ। কবি পুশকিন ১৮২০ সাল থেকে ৩ বছরের নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে ছিলেন মলদোভার রাজধানী চিসিনাউ-এ। সেই কাব্য তীর্থের খোঁজেই আজ সকালে হাঁটা দিয়ে ছিলাম শহরটির হীরক আকৃতির স্কয়ার আর সুদৃশ্য উদ্যানের মধ্য দিয়ে, এবং সেখানে মেজাজ খারাপ করে আবিস্কার করলাম ক্যামেরা বাবাজী কাজ করছেন না !
যাই হোক, পুশকিনের সেই কুটির বাড়ী আবিস্কার করলাম খুঁজে খুঁজে, গাছে ঘেরা দুই কামরার শ্যাওলাধরা টালির পরিপাটি কুটির, দেখেই মনে মাঝে শান্তি আসে। সাথে গাইড ভেতরে দেখালেন এক কামরায় কবির লেখার টেবিল, বইয়ের সংগ্রহ। অন্য কক্ষে খাবারের আসবাব ও পাত্র। সারা বাড়ীতে যেন কবিতা লেপ্টে আছে, উড়ে বেড়াচ্ছে অদৃশ্য কোন আদলে। পেছনের ছোট বাগানে কবির এক আবক্ষ ভাস্কর্য। আর বাড়ীর অন্য প্রান্তে নতুন ভবন গড়ে তাতে পুশকিন সম্পর্কিত নানা তথ্য, বই, গবেষণাপত্রের বিশাল সংগ্রহশালা। জাদুঘরের টিকেতের দাম মাত্র ১০ লেই হলেও ভিডিও এবং ছবি নিতে চাইলে ৩০০ লেই দিতে হবে। সেটার না করে কবির খাসকামরার বেশ ভালো ভিডিও করে, মাত্র ২টি ছবি তোলার আফসোস নিয়ে ফিরলাম হোটেলে।
ততক্ষণে অন্যরা প্রস্তত নতুন যাত্রার জন্য। অপু খুব প্রশংসা করল মলদোভিয়ানদের, তারা নাকি বেশ সৎ, ভুলে বেশি টাকা দিলেও ফেরত দিয়েছে তারা নিজে থেকে। এবারে গন্তব্য মোলডাভিয়া! যা এক কালে এই দেশের অন্তর্গত হলেও এখন রোমানিয়ার অন্তর্গত। ঘণ্টাখানেক ধরে আঙ্গুরক্ষেত ভরা ভুমির ভিতর দিয়ে চলে অবশেষে সীমান্তে পৌঁছানো গেল। এযাত্রা অল্প সময়েই ছাড়পত্র মিলল নতুন দেশে প্রবেশের।
বিশাল দেশ আধুনিক রোমানিয়া, চমৎকার তার ল্যান্ডস্কেপ। দিগন্তবিস্তৃত সোনারঙা শস্যে।
রাস্তার দুই পাশেই খানিক পরপরই কেউ না কেউ পেয়াজ, রসুন, তরমুজ, আঙ্গুর নানা কিছু নিয়ে বসে আছে। মূলত সবাইই অতি বৃদ্ধ- বৃদ্ধা। সময়ে কাটাবার মধ্যম হিসেবে যেন বেছে নিয়েছে তাঁরা এই বেচাবিক্রির ফন্দী।
তবে এলাকায় তরুণেরা নেই বললেই চলে। রোমানিয়ার ২৪ মিলিয়ন লোকের ৬ মিলিয়নই নিদেশ চলে গেছে অর্থ উপার্জনের জন্য, যাদের অধিকাংশই তরুণ-তরুণী। আর মজা লাগল ঘোড়ার ব্যবহার দেখে। সবখানেই ঘোড়া, গাড়ীতে, চড়বার কাজে, পরিবহণের কাজে, ভুট্টা নিয়ে চলেছে- সবখানেই।
কোথাও গরুর পাল আমাদের পথ আটকে ধরল
কোথাওবা আবার দেখলাম ইউরোপের প্রথমবারের মত মুরগি জবাই, বাইরেত ধানের পালা, কবুত্রের খোপ।
উঁচুনিচু পাহাড়ি রাস্তা, নেভিগেটরে দেখা গেল তার জিলাপির প্যাচ।
এবং সন্ধ্যার ঠিক আগে আগেই আমরা প্রবেশ করলাম ট্রান্সস্যালভেনিয়ায়। We are in Transylvania and Transylvania is not England. Our ways are not your ways, and there shall be to you many strange things. -- Dracula (Bram Stoker) । কী যে এক অজানা রোমাঞ্চ কাজ করছিল কাউন্ট ড্রাকুলার রাজত্বে প্রবেশ করতে , থমথমে সন্ধ্যায় বাদুড়ের ডানার মত বিস্তার করে আসছে আঁধার,আমার সাথে পবিত্র ক্রুশ, ধুপ, রসুন নেই বটে কিন্তু যে জিনিস আছে যার ফলে তিনি আমার কিছুই করতে পারবেন না মনে হচ্ছে, মগজ আর কমনসেন্স।
ট্রান্সস্যালভেনিয়ার মূল শহর ব্রাসভ। দারুণ সব স্থাপত্য শহরের সভানে, ভবনগুলো দেখে মনে হয়ে চলে এসেছি সুইজারল্যান্ডের কোন পাহাড়ি শহরে। সেই সাথে প্রচুর মানুষজন। ভ্যাম্পায়ারেরা আসছে না আপাতত এই আলো ঝলমলে শহরে।
আর শহরের অদূরে পাহাড়ের গায়ে ঝকমক করছিল হলিউড স্টাইলে লেখা- ব্রাসভ।
তবে মেজাজ্র আবারও খারাপ হয়েছে হোস্টেলের রিসেপসনিস্টদের ব্যবহারে, ভাব দেখে মনে হচ্ছে যেন আমরা ভিক্ষে করতে এসেছি। পারলে প্রতি ক্তহাতেই প্রতিবাদ করে আমাদের।! রুমে জড়ে শ্নদ করা যাবে না, স্লিপিং ব্যাগ ব্যবহার করা যাবে না, হিটার স্লিপিং ব্যাগ ব্যবহার করা যাবে না, নাস্তা পাওয়া যাবে না, রুমের দেয়াল ঘেঁষে কিছু রাখা যাবে না! না তার এমনি প্রিয় শব্দ যে মনে হল যদি বলি ভাড়া দেওয়া লাগবে, সে উত্তর দিবে - না !!!
কাল সকালে যাত্রা ড্রাকুলা দুর্গের পানে। কোন অজানা কফিনের দেখা পাব কী? সেখানে শুয়ে থাকা কোন ফ্যাকাশেদেহী যার ঠোঁট বেয়ে গড়িয়ে পড়ছে রক্ত? সে কাল জানা যাবে, আজ আপাতত সেবার অনুবাদে ড্রাকুলা পড়ে স্মৃতিটুকু ঝালিয়ে নেই, শুভরাত্রি-
মন্তব্য
চলুক-
পুশকিনের এই কবিতাটির মঙ্গলাচরণ চট্টোপাধ্যায় কৃত বাংলা অনুবাদ-
তোমারে বেসেছি ভাল, হয়ত এখনো
এ বুকে তা নির্বাপিত নয় একেবারে;
সেটা যেন উদ্বেজন না ঘটায় কোনো,
কিছুতেই কষ্ট দিতে চাই নে তোমারে।
নীরব সে ভালোবাসা আশাও না রেখে,
ভুগেছি ভীরুতা আর কভু-বা ঈর্ষায় -
এত অকপটে, এত স্নেহ দিয়ে ঢেকে
অন্য কোন জন ভালবাসুক তোমায়।
facebook
দারুণ অনু ভাইয়া । ড্রাকুলার দুর্গ দেখার অপেক্ষায় থাকলাম।
ফাহিমা দিলশাদ
দেখেন আজকে !
facebook
সাবধান, ড্রাকুলার হাতে আবার মারা পরবেন না যেন! তাহলে, এসব ঘোরাঘুরির বর্ণনা কোথায় পাব?
আর, যেসব জায়গার প্রবেশমূল্যের পরে আবার ছবি তোলার জন্য আলাদা টাকা দিতে হয় সে সিস্টেমগুলো খুবই বিরক্তিকর।
নতুন মন্তব্য করুন