পূর্ব ইউরোপ ১৭ ( মার্শালের সমাধিতে, তেসলার জাদুঘরে )

তারেক অণু এর ছবি
লিখেছেন তারেক অণু (তারিখ: বিষ্যুদ, ০২/১০/২০১৪ - ৫:৩১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

IMG_7480

বেলগ্রেডের হোস্টেল আর নিকোলাই তেসলা জাদুঘর একই রাস্তা মাত্রা তিন ব্লক পরেই! সকালে সাড়ে নয়টার মাঝে সেখানে উপস্থিত হবার পর জানা গেল সকাল ১০টার আগে জাদুঘর খুলবে না! পাশের এই দুর্দান্ত ক্ল্যাসিকাল ক্যাফেতে বাকী সময়টা সার্বিয়ান কফি সহ কাটিয়ে ফিরলাম জাদুঘরে।

IMG_7435

IMG_1691

তখন চলছে নিকোলাই তেসলার জীবনের উপরে এক প্রামাণ্যচিত্র। এই জাদুঘরে তেসলার আবিষ্কারের সাথে সম্পর্কিত ১,৬০,০০০ জিনিস আছে!

IMG_1693

আর আছেকিছু আবিষ্কারের বিশেষ করে ওয়্যারলেস বিদ্যুৎ পরিবহণ ব্যবস্থার ব্যবহারিক প্রয়োগ, যা দেখাতে স্টার ওয়ার্সের লিউক স্কাইওয়াকারের মত কয়েকজনের হাতে দেওয়া হল আলোর তরবারি! আসলে কিনা রড বাল্ব! কিন্তু তেসলা আবিষ্কৃত যন্ত্র চালু করলে বিদ্যুৎ সঞ্চালিত হয়ে সেই সাধারণ রড ব্লাবই পরিণত হয় আলোক অসিতে।

IMG_7450

সেখানে ঘণ্টা খানিক কাটিয়ে পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক রওনা হলাম বেলগ্রেডের ফুলবাড়ির অর্থাৎ হাউজ অফ দ্য ফ্লাওয়ারের উদ্দেশ্যে যেখানে সমাহিত আছেন সাবেক রাষ্ট্র যুগোশ্লাভিয়ার জননায়ক মার্শাল জোসেফ ব্রজ তিতো ( মার্শাল টিটো নামেই পরিচিত)। উজ অফ দ্য ফ্লাওয়ার আসলে বেশ কটি জাদুঘরের সন্নিবেশন, তবে এখানকার মূল আকর্ষণ তিতোর সমাধি। একাধিক জাদুঘর এবং উদ্যান পেরিয়ে তবেই দর্শন মিলে মার্শালের শেষ বিশ্রাম স্থলের।

সেখানে যত্ন সহকারে সজ্জিত আছে তাঁর জীবনের নানা ঘটনা, ব্যবহৃত নানা স্মারক, বিশেষ করে সেই বিখ্যাত সানগ্লাস এবং টাই।

IMG_1749

তিতোর শেষকৃত্যে ঘটেছিল নানা দেশের রাষ্ট্রনায়কদের অংশগ্রহণের বিশ্বরেকর্ড। কিন্তু এই বিখ্যাত স্থান সম্পর্কে নিশ্চয়ই আপনারা আলাদা পোস্ট চান, তাই না? তাই আরেকদিনের জন্য এই স্থানের ইতিহাস মুলতবি রেখে এখন আমরা বাহির পানে-

IMG_1738

বেলগ্রেড থেকে আমাদের আগের পরিকল্পনা ছিল রবি ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত হাঙ্গেরির বালাতন হ্রদ পরিদর্শন করা, কিন্তু অবস্থা দৃষ্টে মনে হচ্ছে সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে গেলে সময় মত ফেরা যাবে না হেলসিংকিতে। তাই অন্য পথ ধরে যাওয়া হল রোমানিয়াতে।

IMG_1757

পথে পড়ল তিমিসওরা, যা কিনা বিশ্বের প্রথম শহরগুলোর একটি যেখানের রাস্তায় বৈদ্যুতিক বাতি ব্যবহৃত হয়েছিল।

IMG_1787

রোমানিয়াতেই পথ চলতে চলতে দেখা হল একটি শেয়াল, ৬টি ফেজ্যান্ট পাখি, এক জোড়া হরিণের সাথে। সন্ধ্যার পর হাঙ্গেরি পৌঁছালেও অচেনা রাস্তা বিঁধায় থামার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল মিসকোলে। আপাতত এখানেই শেষ করছি, এখন কেবল ফেরার গল্প! কাল দেখা হবে আবারও-

গতকালের গল্প


মন্তব্য

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

আহা, ঘরে ফেরা! আনন্দের বৈকি! হাসি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।