ইংল্যান্ডের পাখিমেলায়

তারেক অণু এর ছবি
লিখেছেন তারেক অণু (তারিখ: মঙ্গল, ২১/০৭/২০২০ - ৭:২৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

গত ক’বছর ধরেই ইংল্যান্ডে জমজমাট পাখিমেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে, গত বছর বন্ধু সীমান্ত দীপু সেখানে শকুন রক্ষার এজেন্ডা নিয়ে ঘুরেও আসলেন, আর প্রতি শীতে বাংলাদেশে বার্ড রিং ক্যাম্পে অংশ নেওয়া ইংরেজ বন্ধুরাও সেখানে আসেন প্রাণের টানে, তাই বছরের গত আগস্ট মাসে যুক্তরাজ্যে থাকার সময় ভেবেই রেখেছিলাম পাখিমেলায় অংশগ্রহণ করার। উল্লেখ্য বাংলাদেশের প্রথম দুই পাখি মেলায় সক্রিয় ভাবে অংশ গ্রহণের সাথে সাথে চীনের পাখিমেলায়ও অংশগ্রহণ করেছিলাম ইনাম ভাইয়ের সাথে কিন্তু পাখি দেখা ও পাখিপ্রেম যেখানে বলা চলে গত ১৫০ বছর ধরে সংস্কৃতির অংশ, সেই ইংল্যান্ডের পাখিমেলার ধরন অনেক সমৃদ্ধ ও অভিজ্ঞতালব্ধ হবে এই আশায়ই রওনা হলাম ইউরোপ ভ্রমণের এক ফাঁকে স্কটল্যান্ডের রাজধানী এডিনবার্গ থেকে পাখিমেলার উদ্দেশ্যে।

সীমান্ত দীপু ফোন দিয়ে জানিয়েছে রুটল্যান্ডে চলে যেতে, কিন্তু রুটল্যান্ড কোথায়! ম্যাপে দেখা গেল সেটা একটা বিশাল বিল মতো জায়গা এবং সেখানে যাবার কোন রাস্তা নাই, এডিনবার্গ থেকে দুই/তিনবার ট্রেন বদল করে অবশেষে পিটারবোরো নামের এক অজ পাড়াগাঁ’র ট্রেনে চাপতেই অ্যান্থনি নামে এক পাখিবুড়োর সাথে দেখা, সেও পাখিমেলাতেই যাচ্ছে, মূলত কলম্বিয়াতে পাখি দেখার খোঁজ খবর নেবার জন্য, একসময় ভেনিজুয়েলা নিবাসি ভদ্রলোক খুব উৎফুল্ল হয়ে জানালেন যে কলম্বিয়ার সিয়েরা নেভাদার একটা মাত্র ন্যাশনাল পার্কে সমগ্র উত্তর আমেরিকার চেয়ে বেশী প্রজাতির পাখি আছে। আমার সাথে অনেক লটবহর দেখে সে আবার চোখ মটকে বলল ট্রেন থেকে নেমেই কিন্তু দৌড়াতে হবে, কারণ শুধু মাত্র পাখিমেলার জন্য ষ্টেশনের এক প্রান্ত থেকে একটা মিনিবাসের ব্যবস্থা আছে যা প্রতি আধা ঘণ্টা /১ ঘণ্টা পরপর ছাড়ে, আসন সীমিত বিধায় পাখিপ্রেমিরা সবাইই চেষ্টা করবে সেই মিনিবাসে স্থান করে নিয়ে যত দ্রুত সম্ভব ৫ মাইল দূরের পাখিমেলায় পৌঁছাতে, যেখানে যাবার জন্য আসলেই গাড়ি ছাড়া অন্য ব্যবস্থা নেই ট্যাক্সিতেও সেখানে যাওয়া সহজ নয়।

ট্রেন থামার পরপরই আসলেই পাখিপ্রেমীদের সেই ইঁদুরদৌড় শুরু হলো, ৫টা ব্যাগ নিয়ে অবশ্য বেশ সময়মতই পৌঁছে গেলাম মিনিবাসে, এবং তার কয়েক মিনিটের মধ্যেই পাখিমেলার মূল ফটকে। বিশাল এলাকা ঘিরে আটটি প্যাভিলিয়নে ভাগ করে শত শত স্টল বসেছে পাখি বিষয়ক কর্মকাণ্ড নিয়ে। পাখিমেলায় প্রতিদিনের প্রবেশ মূল্য ১৫ পাউন্ড, তাতেও নিসর্গপ্রেমীদের উৎসাহের কমতি নেই, লাইন ধরে লোকজন মেলায় আসছে, আর গাড়ি পার্ক এর জায়গাতে বেশুমার ভিড়। টিকেট কেটে ভিতরে যেতেই সীমান্ত দীপু হাজির হল, তার সাথে সবার আগে গেলাম ৮ নাম্বার প্যাভিলিয়নে আর এস পি বি এবং সেভের শকুন রক্ষা বিষয়ক স্টলে, মূলত এখানে অংশ নেবার জন্য আই ইউ সি এন বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে দীপু ও সাকিব এসেছে। সেই সাথে দেখা হল শকুন সংরক্ষণে পরিচিতমুখ ভারতনিবাসী ক্রিস বাউডেনের সাথে।

স্টলটি বেশ পরিপাটি করে সাজানো, সবখানেই শকুন বিষয়ক ফ্লেয়ার, টি-শার্ট, আলোকচিত্র, কোটপিন, মগ ইত্যাদি সন্নিবেশন। সেখানে কিছুক্ষণ থেকে তারপর মেলার অন্যান্য আয়োজন দেখতে ও সেই হিম হিম দিনে হট চকলেটের আশায় বেরিয়ে পড়লাম অন্য দিকে।

ইংল্যান্ডের পাখিমেলা এখন এক বিশাল কর্মযজ্ঞ হলেও ঠিক ৩০ বছর আগে ১৯৮৯ সালে এই রুটল্যান্ডের সংরক্ষিত জলাভূমির ( এটি একটি রামসার সাইট) ধারেই কয়েকজন অতি উৎসাহী মানুষের উদ্যোগে পাখিদর্শকদের এক ছোটখাটো বার্ষিক মিলনমেলা হিসেবেই এর যাত্রা শুরু হয়েছিল, এবং সেখানে পাখি সংরক্ষণের জন্য দর্শকদের দেওয়া অনুদান এসেছিল ৩ হাজার পাউন্ড, আর গত বছরে সেখানে অনুদান এসেছে ৩ লক্ষ ৩৩ হাজার পাউন্ড। এবং বছরের পর বছর এর গুরুত্ব ও আবেদন বেড়েই চলেছে, শুধু ইংল্যান্ডে নয়, সারা বিশ্বে, যে কারণে সারা বিশ্ব থেকেই পাখিপ্রেমীরা নানা ধরনের স্টল দিয়েছেন এখানে নানা সংস্থার মাধ্যমে।

এক নাম্বার প্যাভিলিয়নটি বিশেষ ভাবে পাখি বিষয়ক শিল্পকলার জন্য বরাদ্দ, এখানে পাখির অপূর্ব সব চিত্রকর্ম, নানা মাধ্যমের ভাস্কর্য, স্মারক, ডিকয় মূর্তি সাজানো আছে থরে থরে। আর আছে অ্যান্টিক কর্নার, যেখানে শত বছরের প্রাচীন আসল পেইন্টিংও ঠাই পেয়েছে, যদিও মূল্য আকাশ ছোঁয়া।

কাঠ দিয়ে বুনোহাঁসদের হুবহু একই ধরনের মূর্তি বানান এমন এক ভাস্করের সাথে কথা বলে জানলাম একসময়ে এই মূর্তিগুলো খোলা জলাশয়ে সাজিয়ে বুনোহাঁসদের আকর্ষণ করে মূলত শিকারের কাজে ব্যবহার হলেও এখন টা কেবলই শিল্পরসিকদের জন্য নির্মাণ করা হয় ঘরে সাজিয়ে রাখতে, যদিও দুঃখ করে জানালেন এই মাধ্যমেও কাঠকে সরিয়ে আস্তে আস্তে দখল করে ফেলছে প্লাস্টিকের হাঁস, কারণ কাঠের হাঁসের দাম অনেক বেশী।

বাকী ৭টি প্যাভিলিয়ন ঘুরে ফিরে কিছুটা একই ধরনের , পাখিদর্শক ও আলোকচিত্রগ্রাহকদের নানা ধরনের পোশাক ( পায়ের জুতা থেকে শুরু করে মাথার টুপি), পাখি বিষয়ক বই ও ফিল্ডগাইড, পুস্তিকা ইত্যাদির অসংখ্য স্টল। একাধিক প্যাভিলয়নে দূরবীন, টেলিস্কোপ ও ক্যামেরার রাজত্ব যেখানে বাজারে নতুন আসা সব লেন্স, ক্যামেরার বডি ইত্যাদি হাজির। তবে মেলায় আসার আগে ভেবেছিলাম সারা পাখিমেলা দখল করে রাখবে বিশাল সব লেন্স আর দূরবীনের কোম্পানি। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল সারা মেলার রাজত্ব করছে পর্যটন কোম্পানিরা। পাখি ভরা এই গ্রহের সাত মহাদেশের প্রতিটি কোণে থাকা নানা প্রজাতির পাখি দেখতে নিয়ে যাবার জন্য দেওয়া হচ্ছে আকর্ষণীয় সব অফার।

সত্যি বলতে খুব কম দেশেই দেখলাম যারা তাদের প্রতিনিধি পাঠায় নি সেই জাপান থেকে শুরু করে কেনিয়া হয়ে পানামা ছাড়িয়ে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপগুলোর পর্যন্ত লোক হাজির। এশিয়া মহাদেশের নেপাল, ভারত, কম্বোডিয়া, কাজাখস্তান, মঙ্গোলিয়া, চীন, থাইল্যান্ড অনেক দেশের ট্যুর কোম্পানির রঙচঙে পাখির ছবিসব চিত্তাকর্ষক সব বিজ্ঞাপন নজর কাড়ছিল বিশেষ ভাবে। আশা করি বাংলাদেশের কোন প্রতিনিধিও এই মেলায় অংশ নিবেন সামনের বছরগুলোতে। আবার দেশহীন মহাদেশ অ্যান্টার্কটিকা নিয়েও কয়েকটা স্টল চোখে পড়ল নানা প্যাভিলিয়নে, যেখানে আবার বিখ্যাত পাখির আলোকচিত্রগ্রাহক নিজেই উপস্থিত আছেন নিজের তোলা ছবি সব, জানান দিচ্ছেন যে তার সাথে দক্ষিণের সেই প্রাণে পূর্ণ হিম মহাদেশে গেলে সেই ধরনের ছবি ফ্রেমবন্দি করার সুযোগ মিলতেই পারে।

মাঝে এক পশলা ঝরঝর বৃষ্টি হয়ে গেল, ইংল্যান্ডের সামার বলে কথা, এই আবহাওয়াই স্বাভাবিক। তখন মেলা জলে কাদায় এক অকথ্য অবস্থা, অনেকেই বুটজুতো কিনে ফেললেন এই অবস্থায়।

দুপুরের খাবারের আগেই দেখা হয়ে গেলে বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের অকৃত্রিম বন্ধু পাখি রিং করানোর শিক্ষক বিল জোন্স এবং স্টিভ স্যামওয়ার্থের সাথে, যারা বাংলাদেশেই এসেছেন ৭/৮ বার করে, এবং আসতে চান আরও অনেক অনেক বছর, মূলত বাংলাদেশের পাখির টানে এবং আমাদের পাখি রিংএ আরও পোক্ত করে তুলবার জন্য। তাদের সাথে ছিলেন গত শীতে বাংলাদেশে রিং করে যাওয়া ডিন রিয়া। আড্ডার ষোলকলা পূর্ণ করে যোগ দিলেন বাংলাদেশের আরেক পাখি বন্ধু একসময়ে আর এস পি বির বড় কর্মকর্তা রব সেল্ডন। সবাই মিলে মূলত বাংলাদেশে কাটানো সময়েরই স্মৃতিচারণ চলছিল। উনারা এই ৩ দিন ব্যাপী চলা পাখিমেলায় শুধু একদিনই আসার সময় পাচ্ছেন, কারণ দুই দিন পরেই পাখি রিং এর জন্য তাদের মঙ্গোলিয়া যেতে হবে। পাখিমেলার দ্বিতীয় দিন এসেছিলেন বার্ড ক্লাবের আদি সদস্য পল থমসন এবং বাংলাদেশের বেশ ক’বছর কাটানো জেমস পেন্ডার। সেই সাথে আড্ডা হল আমাদের অতি পরিচিত নাম ফিল্ডগাইড দম্পতি টিম এবং ক্যারল ইন্সকিপের সাথে।


(টিম এবং ক্যারল ইন্সকিপের সাথে দিপু এবং আমি। উল্লেখ্য টিম বাংলাদেশে এসেছিলেন পাখি দেখতে। উনাদের লেখা ফিল্ডগাইড পড়ে এবং দেখেই আমাদের সকলেই পাখি চেনা) )

পাখিমেলার এক অংশে পাখি সম্পর্কিত নানা বিষয়ে বক্তৃতা চলছিল সবসময়ই, তেমনই এক বক্তৃতা দিলেন রব সেল্ডন। সেখানে নানা দেশের পতাকার মাঝে বাংলাদেশের পতাকা দেখে একটা বিমলানন্দ অনুভব হয়ে ছিল তা অস্বীকারের উপায় নেই।

আর প্রতিটি প্যাভিলিয়নেই ছিল পুরনো বইয়ের দোকান, যাদের অনেক গুলোই ছিল অ্যান্টিক ও দুর্মূল্য বই। আবার বেশ কিছু ছিল বিরল কিন্তু অপেক্ষাকৃত সস্তা বই। এগুলোর ফাঁকে ফাঁকে মিলে গেল অনেক দিন ধরে খুঁজতে থাকা নমস্য জীববিদ পিটার স্কটের আত্মজীবনী, ডেভিড অ্যাটনবোরোর লাইফ অফ বার্ডস ইত্যাদি বইগুলো। এবং আসল জেমস বন্ডের লেখা পাখির গাইড, উল্লেখ্য আয়ান ফ্লেমিং উনার সাথে দেখা করেই তাঁর নাম ব্যবহারের অনুমতি নিয়েছিলেন, জেমস বন্ডের একাধিক সিনেমায় দেখলাম সে পাখিদর্শক।

মেলা চলছিল সকাল নয়টা থেকে বিকাল ৫টা অবধি, আর আমাদের থাকার ব্যবস্থা ছিল মেলাচত্বরের বাহিরেই বিশাল খোলা মাঠে তাঁবুতে। বিকাল ৫টার মাঝে ব্রিটিশ বন্ধুরা বিদায় নিয়ে চলে গেলেও আমরা রওনা দিলাম আর এস পি বি এবং বার্ড লাইফ ইন্টার ন্যাশনাল আয়োজিত সান্ধ্যভোজে, কিন্তু সে গল্প আরেক লেখায় হবে, ইংল্যান্ডের পাখিমেলায় অংশগ্রহণ অভূতপূর্ব এক অভিজ্ঞতা, যা আসলেই পাখি ও পাখিদের আবাস রক্ষায় সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণের স্বতঃস্ফূর্ততা দেখে এই ক্রান্তিকালেও আমাদের আশান্বিত করে তোলে পাখিদের জন্য নিরাপদ পৃথিবীর জন্য।

( পাখি মেলার মাঝে কিভাবে নিজের নাম সম্বলিত নেমপ্লেট সমৃদ্ধ গাড়ী হাঁকিয়ে এসে হাজির হলেন অপু ভাই, এবং ছোঁ মেরে আমাকে নিয়ে গেলেন নটিংহ্যামের শেরউড বনে, দুই ভাই মিলে খুঁজতে লাগলাম রবিনহুডের আস্তানা, সেই গল্প আরেকদিন হবে, কী বলেন?)


মন্তব্য

ওডিন এর ছবি

পৃয় অফু বাইয়ের গাড়িতে জি-এইট লেখা ক্যানো? তাইনে কি প্রভাবশালী জি৮ গ্রুপের মেম্বর নাকি?

তারেক অণু এর ছবি

উনি মেম্বার না, উনিই প্রভাবশালী জি৮ !

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

আমার মনয়, গ্রেট শব্দের সংক্ষিপতরূপ হচ্ছে G8! গ্রেট অফু।

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

তারেক অণু এর ছবি

মনে হইতে হবে কে রে ছোঁড়া, সেইটাই ধ্রুব সত্য

ওডিন এর ছবি

তাইলে পৃয় অফু বাই কে এখন থেকে আমরা আর পৃয় অফু বাই ডাকবো না। তাইনে এখন থেকে গ্রেট অপু ভাই।

তারেক অণু এর ছবি

উনি অবশ্য মনে হইলো গ্রেটের চেয়ে ' পৃয় অফু বাই'ই পছন্দক করবেন

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

প্রাণিকুলে আমার প্রিয় জিনিস পাখি। ঘরপ্রিয় মানুষ না হলে বনেজঙ্গলে পাখি দেখে জীবনডা কাটানো যেত!

এই লেখার সবচে আকর্ষণীয় ব্যক্তি অফু বাই। অন্তত আমার কাছে। তারে নিয়া একটা লেখা দেন।

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

তারেক অণু এর ছবি

রবিনহুডের সাথে সাথেই আসিবেক

আবরার এর ছবি

পাখির পায়ে যেহেতু ছোট একটা কড়া পরানো হয়, পাখি 'রিং' করা না বলে আমরা কি পাখি 'কড়ানো' বলতে পারি না? 'কড়ানো' এক্ষেত্রে পাখিবীক্ষকদের জন্য একটা স্বতন্ত্র ক্রিয়াপদ হিসাবে জন্মাতে পারে।

মাঝেমধ্যে খবরে পড়ি, অপরাধীকে জামিন দিয়ে পুলিশ পায়ে একটা বেতার-লাগানো কড়া পরিয়ে দেয়, যেটা দিয়ে তার অবস্থান শনাক্ত করা যায় এবং এলাকা ছাড়লে জামিন বাতিল হয়। ঐ প্রসঙ্গেও 'কড়ানো' ব্যবহার করা যায়।

উদাহরণ ক: সেদিন পাখি কড়াতে ইংলাণ্ড গিয়েছিলুম।
উদাহরণ খ: প্রতারক সাহেদের চামচা জাহেদকে কড়ানোর শর্তে জামিন দিলেন আদালত।

তারেক অণু এর ছবি

ভালো প্রস্তাব, ধন্যবাদ। রিংগিং এর বাংলা আমরা খুঁজতেছি অনেক দিন ধরেই। দেখা যাক, 'কড়ানো' জানাবো অন্যদের

অতিথি লেখক এর ছবি

আমারও প্রিয় প্রাণী পাখি। আর পাখিদের জন্য এই আয়োজন দেখে সত্যিই আশা করতে ইচ্ছে করে পাখিরা সামনে একটি সুন্দর বাসযোগ্য আর নিরাপদ পৃথিবী পাবে। আচ্ছা অণু'দা আপনি কখনো ইস্তাম্বুল গেছেন ? মানে আপনার অনেক ভ্রমণ কাহিনী পড়েছি কিনা, তাই বললাম। ইস্তাম্বুল সম্পর্কে কখনো লেখা দেখিনি। আশা করি অপরাধ নেবেন না জিগ্যেস করাতে ?
আনন্দ

তারেক অণু এর ছবি

খুব প্রিয় জায়গা, ইস্তাম্বুল নিয়ে অনেক লেখা আছে তো, সচলায়তনেই, পাবেন এবং পড়বেন আশা করি।

শুভেচ্ছা

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।