ঘরকুনো বাঙালি বলে যে অপবাদ বা বিশেষণ আমাদের কাঁধে জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসে আছে, তার কারণ আমাদের ঘরোয়া জীবনযাপন নাকি অ্যাডভেঞ্চার বিমুখতা সে হিসেব গবেষকরা এখনো কষেই যাচ্ছেন। তবে বাঙালি যে ঘরকুনো নয়, সেই মতের পক্ষে ভূপর্যটক রামনাথ বিশ্বাস, বিমল মুখোপাধ্যায়, বিমল দে, কর্নেল সুরেশ বিশ্বাস প্রমুখের কথা বলা হলেও আমাদের চোখের সামনে দিবস-রজনী যে বিশ্ব পথিক জ্বলজ্বল করতে থাকে, অন্য নানা শত বিশেষণে খচিত তাকে আর আলাদা ভাবে ভ্রমণবিদ হিসেবে দেখানো হয় না, তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। এবং আমার জানা মতে তাঁর মত ভ্রমণপিপাসু বাঙালি ইতিহাসে আর দুটি নেই। কিন্তু কেন?
এটা কি বিশ্বকবি হিসেবে তাঁর প্রতি আমার প্রগাঢ় পক্ষপাত? আসলে উনার কী কারো পক্ষপাতের প্রয়োজন আছে? এবং যে বিপুল ভ্রমণ তিনি দেশে-বিদেশে করে গেছেন আজীবন, তা সামান্য তলিয়ে দেখলেই বোঝা যায় যে আজীবন অন্য সকল কাজের মধ্যেও নতুন জায়গায় ভ্রমণ কী পরিমাণে তাঁর মনন দখল করে রেখেছিল। সর্বকালের সেরা বাঙ্গালী পর্যটক মনে হয় ঐ চিরতরুণ মানুষটিই- ঘোড়ার গাড়ী আর জাহাজে চেপে ঘুরেছেন জাপান থেকে মেক্সিকো, ইরান থেকে আমেরিকা, রাশিয়া থেকে শুরু করে ইউরোপের কোথাও বাদ দেন নি।
এর মাঝে একটি ঘটনা আমাকে বিশেষ ভাবে আকর্ষণ করে, ১৯৩২ সালের এপ্রিলে সত্তর বছর বয়সে রবীন্দ্রনাথ ইরান গমন করেন পারস্যরাজের আমন্ত্রণে। হ্যাঁ সেটা তিনি সেই দেশের রাজকীয় অতিথি হিসেবেই গেছিলেন। কিন্তু শুধুমাত্র অতিথি হিসেবে মহাখাতিরে নিয়ে গেলেও ঐ বয়সে মানুষ, বিশেষ করে রবীন্দ্রনাথের মত মানুষ, নোবেল জয়ী কবি ও দার্শনিক হিসেবে যার জগতজোড়া খ্যাতি, তিনি ইতিমধ্যেই পাঁচ পাঁচটি মহাদেশের ৩০টির অধিক দেশ ( সেই সময়ের হিসেবে, এখন আরো বাড়বে যেমন সোভিয়েত ইউনিয়ন, যুগোশ্লোভাকিয়া, চেকশ্লোভাকিয়া) ভ্রমণ করেছেন তিনি কেন এই বৃদ্ধ বয়সে কিছুটা ভগ্ন স্বাস্থ্য নিয়েই জীবনে প্রথমবারের মত বিমানে চেপে কলকাতা থেকে এলাহাবাদ হয়ে বোম্বে বন্দর থেকে ফের জাহাজে চেপে দূরের দেশ ইরানে যাবেন? আবার ইরানের তেহরানেই শুধু নয়, বেশ দূরের সিরাজ নগরীতে যেয়ে কবি হাফিজ ও শেখ সাদির সমাধিতে সময় দিবেন, বেদুইনের তাঁবুতে দুম্বার মাংস খাবেন, একফাঁকে সীমান্ত অতিক্রম করে ইরাকেও একটু ঘুরে আসবেন ?
উত্তর একটাই- কারণ তিনি জন্মভবঘুরে, অন্তরে প্রবল ভাবেই ভ্রমণপিপাসু! অজানাকে জানার জ্ঞান যেমন সারা জীবন তাকে তাড়া করেই গিয়েছে, উৎসাহ যুগিয়েছে জীবনপথে চলার জন্য, তেমনই অদেখা কিন্তু জানা স্থানকে দেখার আগ্রহও তাঁর ছিল সবসময়, শত কাজের ভিড়েও তাই চেষ্টা করেছেন সকল কাজ সুচারু ভাবে সম্পন্ন করে ফের ভ্রমণ করতে। সেই ১৯৩০ সালের কথা বাদই দিলাম, সে হতে প্রায় শতবর্ষ পরে এখনো ক’জন বাঙালি আপনি দেখাতে পারবেন যারা পাঁচ পাঁচটি মহাদেশ ঘুরে এসেছেন? এখানেও রবি ঠাকুর স্বমহিমায় সমুজ্জল।
এখন আমার ব্যক্তিগত এক শখের কথা বলি, তবে তা যেহেতু রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কিত, তা নিছক ব্যক্তিগত বাতিক না বলে বাঙালির শখের মধ্যে পড়ে যায়, তা হচ্ছে দেশে-বিদেশে যেখানেই যায় না কেন, আমি সবসময়ই আগে গবেষণা করে বাহির করি যে রবিঠাকুর সেখানেই গিয়েছিলেন কিনা, বা সেখানে উনার স্মৃতি বিজড়িত কিছু আছে কিনা, উনি গেলেও কোথায় ছিলেন এবং সেই স্থান এখন কী অবস্থায় আছে ইত্যাদির খবর নেয়ার চেষ্টা করা।
এবং মুগ্ধ বিস্ময়ে দেখি তিনি প্রায় সবখানেই আমাদের অনেকের আগে ভ্রমণে গিয়েছেন, এবং কেবল পদচিহ্ন এঁকে আর ছবি তুলেই চলে আসেন নাই, বোঝার চেষ্টা করেছেন স্থানীয় জনজীবন। দেশের বাহির আমার প্রথম রবি-যাত্রা শুরু হয়েছিল সুইডেনের রাজধানী ষ্টকহোমের নোবেল পুরস্কার জাদুঘরে, যেখানে একরাশ আনন্দ নিয়ে দেখি সমস্ত জাদুঘরে হাজারো নোবেল জয়ী ব্যক্তিদের অসংখ্য স্মৃতি চিহ্ন থাকলেও সেখানে আবক্ষ ভাস্কর্য মাত্র একজনেরই আছে, তিনি আমাদের রবি ঠাকুর!ব্যস, মাথায় গেঁথে গেলে রবির পদক্ষেপে, তাঁর সারা গ্রহে ছড়িয়ে থাকা চিহ্ন খোঁজার চিন্তা।
লন্ডনে উনি ১৭ বছর বয়সে যে এলাকায় থাকতেন সেখানের উদ্যানে উনার আরেক ভাস্কর্য স্থাপিত হয়েছে, যে উদ্যানে সদ্য কৈশোরত্তীর্ণ রবি তাঁর ভাইপো-ভাতিজিকে নিয়ে খেলতে যেতেন।
কবিপুত্র রথীন্দ্রনাথের অপূর্ব স্মৃতিকথা ‘পিতৃস্মৃতি’ পড়ে জানতে পারি লন্ডনের চ্যারিংক্রস মেট্রো ষ্টেশনে রবীন্দ্রনাথ প্রথমবারে মত পাতাল রেলে চাপেন এবং বিজ্ঞানের জয়যাত্রার ভূয়সী প্রশংসা করেন! সেই থেকেই লন্ডন ভ্রমণের গেলেই কোন কাজ ছাড়াই চ্যারিং ক্রস পাতালরেল ষ্টেশনে একবার হলেও যেয়ে উনার বিস্ময়কে স্মরণ করি।
স্টার্টফোর্ড অন অ্যাভনে শেক্সপিয়ারের বাড়ির বাগানেও রবি ঠাকুরের বিশাল ভাস্কর্য, এবং উনি যে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের মধ্যে এক বিশাল সেতুবন্ধন সেই লেখা দেখা আরো এক বার গর্বিত হলাম।
এবার রবি পরিক্রমায় পথ চলতে চলতে নিজের একবার আবিষ্কার করি দক্ষিণ আমেরিকার দেশ আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েন্স আয়ার্সের শহরতলীতে যেখানে রবি ঠাকুর প্রায় দুই মাস ছিলেন প্রিয় বন্ধু ভিক্তোরিয়া ওকাম্পোর ( যার বাংলা নাম দিয়েছিলেন বিজয়া) সান্নিধ্যে ( উল্লেখ্য রবীন্দ্রনাথ সমুদ্র পথে পেরু যাবার জন্য রওনা দিলেও পরে শারীরিক অসুস্থতার জন্য পথিমধ্যে আর্জেন্টিনায় থামতে বাধ্য হন)।ভিত্তোরিয়া ওকাম্পোর বাসভবন বিখ্যাত ভিয়া ওকাম্পো ( Villa Ocampo) আজ ইউনেস্কোর অন্তর্গত জাদুঘর, শহরকেন্দ্র থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরের সান ইসিদ্রো মহল্লায় অবস্থিত।
ভিয়া ওকাম্পোর মূল ভবন আর বিখ্যাত বাগানটি দেখার সাধ ছিল, প্রবেশ মুখে বাংলাদেশ থেকে এসেছি বলায় প্রহরী বলেছিল ‘তোমার দেশের সেই কবি কিন্তু বাগানেই খুব সময় কাটাতেন!’ এই বাগানেই হয়ত মেতে উঠতেন তারা নব সৃষ্টির আনন্দে, সাহিত্যের ঝঙ্কারের উম্মাদনায়। বিশাল সব মহীরুহ, এখানেই আমাদের রবি প্রত্যহ তার বিজয়াকে নিয়ে আলাপচারিতায় মগ্ন হতেন, লিখতেন কবিতা-ভেবে আনন্দিত হয়েছিলাম যে এই একই আকাশের নিচে, যেখানে রবির প্রিয় নদী পদ্মার পারেরই একজন আজ দাড়িয়ে আছে।
জেনেছিলাম উনার নামে একটা রাস্তাও আছে এই দূর দেশে, জাদুঘর দেখে বেরিয়ে আসেপাশে তিন-চারজনকে জিজ্ঞাসা করেও সুবিধের হল না, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বা ট্যাগোর শুনলেই তারা বলে এত বড় নামের কোন রাস্তা নেই! ততক্ষণে জেদ চেপেছে ভীষণ- আলবৎ রাস্তা আছে, এই অঞ্চলেই আছে। সূর্য ডোবার আগ পর্যন্ত খুঁজে ঠিকই বাহির করে ফেলব সমস্ত গলি-উপগলি- তস্যগলি খুঁজে। এই প্রতিজ্ঞা অবশ্য সেবার মিনিটে তিনেকের বেশী টিকল না, একটা রাস্তার নাম দেখলাম R. TAGORE !
বোঝা হয়ে গেল এটির সন্ধানেই আমরা ব্যস্ত, রবীন্দ্রনাথকে সংক্ষেপে R বানিয়ে রেখেছে, তাতেই যত বিপত্তি! কিন্তু শেষ পর্যন্ত দেখা পেলাম সেই বাড়ীর যেখানে থাকতেন আমার মাতৃভাষার সবচেয়ে বড় শিল্পী। এককালে অজানা, অচেনা দেশে আজও সযত্নে বুকে রেখে লালন করে চলেছে তাঁর একদা উপস্থিতির চিহ্ন।
যেমন ওয়েস্ট ইন্ডিজের সবচেয়ে বড় দ্বীপ দেশ কিউবায় ভ্রমণের সময় রাজধানী হাভানায় এক কমলা রঙের উজ্জল সকালে অভিভূত হয়ে আবিষ্কার করলাম ক্যারিবিয়ান সাগরের তীরে এক সবুজ উদ্যানে চির পরিচিত রবীন্দ্রনাথের ভাস্কর্য!
না উনি কিউবা যান নাই, কিন্তু সেখানের মানুষে ভালোবেসে তাঁর ভাস্কর্যকে ঠাই দিয়েছে তাদের উদ্যানে এবং তাঁর কবিতাকে মনে!
এমনই ভাবে গত সেপ্টেম্বরে মধ্য এশিয়ার দেশ তাজিকিস্তানের রাজধানী দুসেনবেতে দেখা মিলে ছিল আরেক রবি ভাস্কর্যের!
মেঘালয়ের রাজধানী শিলং-এ ‘শেষের কবিতা’র দেশের রবীন্দ্রনাথের একাধিক বাসভবনে যাওয়া হয়েছে, যার একটা এখন জাদুঘর।
শেষবার হিমালয় দেখতে যাব্র সময় কালিম্পং-এ সেই সময়ের সবচেয়ে সুরুচি সম্পন্ন বাড়িটা, যা এখন ভুতুড়ে অবস্থায় সেখানে যাওয়া হয়েছিল কারণ অতীব বৃদ্ধ অবস্থাতেও কবি এখানে এসে থাকতেন।
রবির উপরে অসাধারণ ফ্রেস্কো দেখেছি ইতালিতে, ‘শেষের কবিতা’ যে শহরের পটভূমিকায় লেখা সেই মেঘালয়ের শিলং শহরে তাঁর একাধিক জাদুঘর বাড়ি দেখা হয়েছে, কিংবা পাহাড়ি শহর কালিম্পংয়ে বা মংপুতে! বাংলাদেশের রবীন্দ্রনাথের স্মৃতি বিজড়িত তিন কুঠি বাড়িতেই হয় নিত্য যাওয়া আসা ( শিলাইদহ, পতিসর, শাহজাদপুর) এবং যাওয়া হয়েছে তাঁর শ্বশুরবাড়ি খুলনার দক্ষিণদিহিতে। জোড়াসাঁকো বা শান্তি নিকেতনের কথা আলাদা ভাবে বলার কিছু নেই, কিন্তু কোন খানে সবচেয়ে বেশী সন্মানের সাথে সংরক্ষিত রবীন্দ্রস্মৃতি?
আমার সামান্য ভ্রমণের অভিজ্ঞতায় বলে মধ্য ইউরোপের দেশ হাঙ্গেরিতে। ১৯২৬ সালে এক কবিতা উৎসবে যোগ দেবার জন্য বিশ্বকবি হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টে অবস্থান করছিলেন, সেই সময়ে অসুস্থ হয়ে গেলে তাঁকে হাঙ্গেরির সাগর বলে বিখ্যাত বালাতন হ্রদের তীরে অবস্থিত এক সানাটেরিয়ামে আনা হয়েছিল দুই সপ্তাহের জন্য।
বছর কয়েক আগে বালাতন স্টেশনে নেমেই ম্যাপ দেখে পদব্রজে যাওয়া হয়েছিল হ্রদটির তীরে, এবং তার সাথেই অবস্থিত দুপাশে সবুজ গাছের সারি দিয়ে ঘেরা এক অপূর্ব রাস্তায়। সমস্ত হাঙ্গেরিতে এমন রাস্তা নাকি আর দুটি নেই, তাই অনেকে এঁকে হাঙ্গেরির রোমান্টিকতম রাস্তাও বলেন, যার নাম ঠাকুর রোড! কারণ রবি ঠাকুর হাসপাতালে অবস্থানকালীন সময়ে এই রাস্তা ধরেই রোজ প্রত্যুষে হাঁটাহাঁটি করতেন! তাঁর সেই স্মৃতি অমর করে রাখার জন্য অনেক দশক আগেই এলাকাবাসীরা এই নামকরণ করে রেখেছেন।
সানিটেরিয়াম যা এখন হাঙ্গেরির বিখ্যাত হৃদ চিকিৎসা কেন্দ্র সেখান প্রবেশ করেই দেখি লিফটের পাশে হাঙ্গেরিয়ান ভাষায় এক ফলকে লেখা, ”১৯২৬ সালের নভেম্বরে নোবেল জয়ী কবি রবীন্দ্রনাথ এই হাসপাতালে অবস্থান করেছিলেন ”!
বাংলাদেশ থেকে গেছি বলতেই একজন নার্স সেই উনার অবস্থানের ঘরে নিয়ে যেয়ে বলেছিলেন ‘রবীন্দ্রনাথের স্মৃতি আমরা সবই ধরে রেখেছি, এই ঘরের সব আসবাবপত্র তাঁর ব্যবহৃত, তাঁর লেখা চিঠি, নানা ছবি, কবিতা এখানের দেয়ালে দেয়ালে। আরও বিশেষ আকর্ষণ প্রখ্যাত ভাস্কর রামকিঙ্কর বেইজের তৈরি ভিন্ন ধাঁচের এক আবক্ষ ভাস্কর্য।‘
অবাক হয়ে চিন্তা করেছিলাম হাঙ্গেরি অর্থনৈতিক দিক দিয়ে এমন কোন সম্পদশালী দেশ না, অথচ দেশের সবচেয়ে সেরা হৃদহাসপাতালের একটি কক্ষ তারা প্রায় একশ বছর ধরে জাদুঘর করে রেখেছে ভিনদেশী এক কবির সন্মানে! এটি একমাত্র একটি প্রচণ্ডভাবে সংস্কৃতমনা জাতির পক্ষেই সম্ভব।
হাসপাতাল প্রাঙ্গণ থেকে হ্রদ পর্যন্ত নানা ধরনের গাছ-গাছালি, এর মাঝে একটা বিশেষ গাছ খুজছিলাম আমরা, শতবর্ষী এক লাইম গাছ। ১৯২৬ সালে রবি ঠাকুর স্বয়ং গাছটি লাগিয়েছিলেন পরম মমতায়। অবশেষে তারই আরেকটি আবক্ষ ধাতব ভাস্কর্য দেখে বিখ্যাত গাছটিকে চেনা গেল। গাছ ঘিরে রাখা বেদিতে কয়েকটি ফলকে হাঙ্গেরিয়ান, বাংলা, ইংরেজিতে কবি সম্পর্কে কিছু কথা, এই গাছ নিয়ে অপূর্ব এক কবিতা খোদাই করা। গাছটিকে আলতো স্পর্শ করে মনে হল রবি ঠাকুর হয়ত অদূরেই দাঁড়িয়ে প্রশয়ের মিটি মিটি হাসি দিচ্ছেন আমাদের উৎসাহের, ভালবাসার আতিশয্য দেখে।
এভাবেই রবি পরিক্রমা চলতে থাকে আমার, হয়ত জাপানের ইয়োকোহামায় তাঁর নিজের হাতে লাগানো গাছটি মমতা ভরে স্পর্শ করতে যাব এবার কিংবা ইরানের সিরাজ নগরীতে কবি হাফিজের সমাধি পাশে বাসে রবীন্দ্রনাথের স্মৃতি তর্পণ করব, সন্মান জানাবো আরও একবার, সেরা বাঙালি পর্যটককে।
মন্তব্য
লেখক, আপনি তো একজন বাঙ্গালী তাই না?! তাহলে বাঙালী যে আর ঘরকুনো নয় সে তো এ যুগে আপনিই প্রমান করে চলেছেন। অসাধারণ আপনার সকল ভ্রমণ অভিজ্ঞতা। দেশে দেশে রবি ঠাকুরের স্মৃতি লালনের খবরগুলো জেনে আমার রবীন্দ্র পুজারী মন ভরে উঠল। সমৃদ্ধ হলাম।
এখনের যুগে তো কিছুটা হলেও ঘোরার চেষ্টা করছেন অনেকেই, কিন্তু গুরুদেব সেই যুগেই যা করেছেন, পুরাই অসাধ্য সাধন
facebook
প্রিয় তারেক অণু,
অসাধারণ! এককথায় হৃদয় ছোঁয়া লেখা। বিশেষতঃ হাঙ্গেরির সংস্কৃত-মনস্কতা দেখে আপ্লুত হলাম।
এক অন্য রবীন্দ্রনাথকে চিনলাম আজ। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
স্বরূপ-সন্ধানী
---------------------------------------
অন্ধকারে সব-চেয়ে সে-শরণ ভালো
যে-প্রেম জ্ঞানের থেকে পেয়েছে গভীরভাবে আলো।
মানুষটাকে যত চেনা যায়, যত জানা যায়, ততই আপন লাগে, বিস্মিতও হতে হয়।
facebook
এককথায় অসাধারন লেখনী। আমরা যারা রবীন্দ্রনাথকে চর্চা করি তাদের জন্য এই লেখা একটি আবেগ।
ধন্যবাদ
facebook
দারুন। বিশ্বকবির এই ভ্রমনপিপাসু দিকটা সম্পর্কে তুলে ধরার জন্য অনেক সাধুবাদ অনুকে। সেইসাথে মনে পড়ে গেলো কয়েক মাস আগেই কবির তিনটা ভ্রমনালেখ্য ডাউনলোড করে রেখেছি - জাপান যাত্রীর পত্র, জাভা যাত্রীর পত্র আর ইউরোপ প্রবাসীর পত্র - এই বেলা পড়ে শেষ করতে হবে !
___________________________________
অন্তর্জালিক ঠিকানা
পড়া হলে রিভিউ দিস
facebook
প্রাবন্ধিক গাজী আজিজুর রহমান রবীন 'ভ্রামণিক রবীন্দ্রনাথ' নামের একটি পুস্তক রচনা করেছেন-যা অনবদ্য। আমি রবীন্দ্রনাথের ভ্রমণ নিয়ে লেখালেখি করার ইচ্ছে করছিলাম- এই লেখাসহ অন্যান্য লেখাগুলো কাজে লাগবে বলে মনে হচ্ছে।
নতুন মন্তব্য করুন