ফের এই বইটা পড়লাম, শেষ বার যখন পড়ছিলাম তখন ছিলাম আলাতাও পর্বতের পাদদেশে অবস্থিত কাজাখস্তানের অপূর্ব পার্বত্য শহর ও পুরাতন রাজধানী আলমতিতে ( Almaty), ভ্রমণের সময় নানা কারণে অসম্ভব আনন্দময় সময়ের সাথে সাথে প্রচুর উৎকণ্ঠা, ঝুঁকি এইগুলোও থাকে, তাই অনেকটা stress drain করার জন্য ভ্রমণের মাঝে আমি সবসময়ই খুব সুখপাঠ্য প্রিয় বইগুলো ফের পড়তে থাকি, বিশেষ করে কৈশোরের প্রিয় বইগুলো। যাহোক শেষ বিকেলের আলো যখন আলাতাও পর্বতমালার শিখরের বরফকে ক্ষণে ক্ষণে নানা রঙে রাঙাচ্ছিলো, আসলেই মনে করাচ্ছিল যে রঙধনুর ৭ বর্ণ মিলেই সাদা হয়, তখন ৭০ আর ৮০ দশকের ঢাকা নিয়ে লেখা মায়াময় এই বইটা পড়তে আমার খুব সাধ হলো। ফের পড়লাম, এবং পড়ার মাঝেই লেখক তাসনীম ভাইকে ফোন দিয়ে বললাম যে আলমাতি শহরে বসে উনার ‘স্মৃতির শহর’ পড়ছি,
শুনেই তাসনীম ভাই বললেন, “আলমাতি, আরে দাড়াও দাড়াও, আলমাতি আর ঢাকার তো কোন সময়ের পার্থক্য নাই তাই না? আমাদের ছোট বেলায় ঢাকার উপরের দিকে এগোলেই ম্যাপে যে কটা শহর দেখতাম যারা ঢাকার সাথে একই সময় শেয়ার করে, অক্ষাংশ-দ্রাঘিমাংশের জটিল সব হিসেব এড়িয়ে সেই সোভিয়েত ইউনিয়নের কত দূরের আলমাতি শহর তাদের একটি! একই সময় সেখানে ভাবে খুবই অবাক হতাম, আহা তুমি এখন সেখানে, ঢাকারই সময়ে”।
কণ্ঠ শুনেই বুঝলাম তাসনীম ভাই ফের ডুব দিয়েছেন, তিনি আমার সাথে কথা বললেও ফোনের অপরপ্রান্তে তিনি আর ডালাসে নেই, তিনি তখন স্মৃতির শহর ঢাকায়, যে শহরে চাইলেই তিনি ফিরে যান যে কোন মুহূর্তে, স্মৃতির রঙ্গিন কাঁচের মধ্য দিয়ে স্বচ্ছতোয়া সব স্মৃতিরা ফিরে আসে, বা নির্মিত হয় কল্পনায়, যেখানে তাসনীম হোসেন বাস করেন নিরন্তর।
“স্মৃতির শহর কিন্তু থাকার জন্য দারুণ! ওখানে না-গরম, না-ঠাণ্ডা, লোকজনের ব্যবহার মধুর, রিকশাভাড়াও বেশ কম। কলে পানি পাওয়া যায় ঠিকমতোই, ধুলাবালির প্রকোপ তেমন নেই, মশার উপদ্রব সহনীয়, অসুখ-বিসুখের বালাই নেই, কাজকর্ম করলেও চলে, না করলেও অসুবিধা নেই। লোডশেডিং শুধু পূর্ণিমা রাতেই হয়, সাথে একটু উতল হাওয়াও থাকে। বিনা টিকেট, বিনা পাসপোর্টে সেখানে ঢোকা যায়, যতদিন খুশি থাকুন সেখানে, কেউ কিছু বলবে না। আমি প্রায়ই যাই সেখানে, আমার ভূমিকা শুধু চোখ মেলে দেখা। আব্বাই সবকিছু সামলান, আমি তো বালক মাত্র। সকালে উঠে উনি আমাকে আইনস্টাইন আর সত্যেন বোসের গল্প শোনান। আমাকে মসজিদে নেওয়ার কথা উনার মনেই নেই। কোনো কোনো দিন ভোরে রেডিওতে ভাসে আব্দুল আলীমের উথালপাথাল সুর। আজম খানও যুদ্ধফেরত যুবক, গান তাঁর ক্রোধ আর অভিমান। রবীন্দ্রনাথ থাকেন ভিনাইল রেকর্ডে, আর ভাইয়ার দরাজ গলার কবিতায়। বৃষ্টির রাতে মাঝে মাঝে সন্ন্যাসী উপগুপ্ত মথুরাপুরী ছেড়ে ভিজতে ভিজতে তেজগাঁয়ে চলে আসেন। এই শহরে না ফিরে উপায় আছে? “
তাসনীম ভাই এবং বাংলাদেশে প্রায় সমবয়সী, উনি সামান্য বড়, তাই ৮০ পাতার এই এক চিলতে বইতে উনার সাথে সাথে বাংলাদেশের ইতিহাসও সমান্তরাল ভাবে বয়েছে, বঙ্গবন্ধুর হত্যা, রাজাকারদের পুনর্বাসন, এরশাদ বিরোধী আন্দোলন সবই এসেছে স্মৃতিচারণার ফাঁকে ফাঁকে, কিন্তু সেই সাথে তাসনীম হোসেন অপূর্ব মুন্সিয়ানার বারবার ফিরেই নিয়ে গেছেন তাঁর শৈশবে, এক নয়, আমাদেরকেও-
“আমার স্মৃতির শহরটা বড়ই সুন্দর। সেখানের বিকেলগুলো লম্বা আর নরম, মোলায়েম রোদের আলোতে স্নান করে রাস্তার পাশের বড় বড় কৃষ্ণচূড়া গাছ, তাতে বসে থাকে হলুদ রঙের কুটুম পাখি। শব্দ আছে হরেক রকমের, গাড়ির হর্ন থেকে ঝালমুড়িওয়ালার হাঁকডাক, আছে সুরের মতো রিকশার টুংটাং আওয়াজ। দূর থেকে কান পাতলে মনে হবে যেন সংগীত শুনছি। সেই শহরে হেমন্তের সকালগুলো ঘুম ঘুম কুয়াশামাখা, বসন্ত হাজির হয় সংগোপনে; গ্রীষ্মের খরতাপ যেমন আছে তেমনি আছে শ্রাবণের প্রবল ধারাতে কাকভেজা হওয়ার সুব্যবস্থা।“
জীবনের অর্ধেক ঢাকাতে আর বাকী অর্ধেক এখন অবধি সব পেয়েছির দেশে যুক্তরাষ্ট্রেই আছেন তিনি, যে দেশে উনার মা মাস্টার্স করে সাথে সাথেই ঢাকায় ফিরেছিলেন, দেশ ছাড়ার বেদনার লিপিবদ্ধ করছেন গনগনে আগুনে পুড়ে,
“আমি দেশ ছাড়ি ১৯৯৬ সালের আগস্ট মাসে। দিনটাও মনে আছে, আগস্ট মাসের পাঁচ তারিখ। গুমোট একটা গরম ছিল সেই সকালে। আকাশটাও অনেক মেঘলা ছিল, সেই রঙের সাথে মিল রেখে আমার মনটাও ছিল বেশ ভারী। বর্ষা আমার প্রিয় ঋতু, কিন্তু সেই সকালের প্রবল বর্ষণটা আর দেখা হয় নি, ম্যাকডোনাল্ড ডগলাসের বিমানটা বৃষ্টির আগেই আমাকে একটানে নিয়ে গেছে অনেক দূরে। ছিল দুটো স্যুটকেস, তাতে বোঝাই বঙ্গবাজারের বেঢপ কাপড়চোপড়, কিছু পড়ার বই, জীবনানন্দ আর শামসুর রাহমানের কবিতা। আমার যা কিছু পার্থিব সম্পত্তি সব এঁটে গেছে সত্তর পাউন্ডের দুটো বাক্সে। স্যুটকেসে আঁটে নি শুধু দীর্ঘশ্বাস, বরং বুক থেকে সেটা বেরিয়ে এসেছে ক্ষণে ক্ষণে। আমেরিকা নাকি মানুষকে গিলে ফেলে, আবার ফিরতে পারব তো এই শহরে? কেউ কি অপেক্ষায় থাকবে? “
আসলেই কেউ কি অপেক্ষায় থাকে? ঐ যে কেউ না থাকলে স্মৃতিরা থাকে, সযত্নে, সংগোপনে ভিতরে-
“স্মৃতির শহরের দিনগুলো ঝকঝকে হয়, মলিনতা ঝেড়ে ওরা সর্বদাই তরতাজা। ওখানে আব্বা রীতিমতো যুবক পুরুষ, সকালে গুনগুন করে গান করেন, নাস্তার টেবিলে টুকটাক আলাপ করেন আর অজান্তেই জীবনদর্শন ঢুকিয়ে দেন মাথার মধ্যে। রান্নাঘর থেকে রেশমি ধোঁয়া উড়ছে, মিষ্টি গন্ধটা ফুলের নয়, মিষ্টি কুমড়া নিয়ে তৈরি সব্জির। আর ছ্যাঁৎছ্যাঁৎ শব্দটাতেও ভয় পাওয়ার কিছু নেই, ওটা পরোটা ভাজার শব্দ। দূরে কোথাও সাগর সেন গাইছেন, “তুমি এপার-ওপার করো কে গো ওগো খেয়ার নেয়ে...”, এই সকালের চলচ্চিত্রে ব্যাকগ্রাউন্ড সংগীতের মতো ছড়িয়ে পড়ে তাঁর অপূর্ব কণ্ঠের ব্যাকুলতা। এই আশ্চর্য ভোরবেলাটা যেন বিস্মৃতির আড়াল থেকে উঠিয়ে আনে একমুঠো স্মৃতির শহর। সেই শহরে আর ফেরা হয় না, তার অপার্থিব সৌন্দর্যের জলছবি দেখি শুধু।“
ঢাকার নাগরিক কবি খ্যাত শামসুর রাহমানের কবিতার লাইন দিয়ে বইটির ১৬টির অধ্যায়েরই শুরু, বোঝা যায় আজীবন ঢাকাকে লালন করে যাওয়া কবিকে তাসনীম ভাই হৃদয়ের খুব কাছেই লালন করে যাচ্ছেন এখনো,
“এরপর ঢাকা থেকে এনেছি তাঁর শ্রেষ্ঠ কবিতার সংকলন, আনন্দ ও বেদনায় আঁকড়ে রাখি বইটাকে, কখনো চোখের জলে বইয়ের পাতা ভিজে গেলে সন্তর্পণে মুছে রেখে দেই শেলফে। মাঝে মাঝে ব্যস্ত দিনের কাজের ফাঁকে বাচ্চুর মতো এক অবুঝ বালক এসে আমাকেও বড় জ্বালাতন করে। কাজ ফেলে সেই বালকের সঙ্গে ঢুকে যাই স্মৃতির শহরে, মিথ্যে হয়ে যায় যা যা কিছু পার্থিব আছে এই সংসারে। ক্ষণিকের জন্য ভুলে যাই আমার সময়ও সুমিষ্ট পিঠার মতোই ভাগ করে খাচ্ছে সবাই। কবি, আপনার সাথেই যেন চলে আমার এই আশ্চর্য ভ্রমণ। “
মাঝে আমাদের সকলেই কালের ঘোড়ায় চাপিইয়ে ১০ মিনিটের জন্য তাঁর নিজস্ব ঢাকায় নিয়ে বের হন লেখক,
“শীতের পাতা ঝরা দিন অথবা বসন্তের ঝলমলে সকাল, অথবা ঝমঝমে বর্ষা সবই পাবেন দশ মিনিটের সফরে, বেড়ানোর এমন জায়গা কি আর কোথাও আছে? কী আশ্চর্য স্মৃতির শহর! আজ আমরা দুই পৃথিবীর বাসিন্দা, ভৌগোলিক দূরত্বের বাইরেও এই দুই জগতের দূরত্ব যেন প্রায় অনতিক্রম্য। এখান থেকে সেই জগতে ফেরাটা অসম্ভব। সেই দূরত্ব অতিক্রম করতে পারে শুধুই স্মৃতির শহর, বিনাটিকেটে, বিনাখরচে, বিনাবাধায় সেই জগতে প্রবেশ করা যায়, এইটুকু আছে বলেই আমার সেই পৃথিবীটা এখনো হারিয়ে যায় নি। স্মৃতির শহর আছে বলেই বর্তমান পৃথিবীটাকে এখনো মায়াময় লাগে।
বেঁচে থাকুক আমার এক ফোঁটা স্মৃতির শহর! “
পরম মমতায় ছুঁয়ে ছেনে দেখান প্রতিটি স্মৃতিময় জনপদ,
“পলাশী, সায়েন্স ল্যাব, ধানমন্ডি, লালমাটিয়া, মোহাম্মদপুর, শ্যামলী, ইন্দিরা রোড, শুক্রাবাদ, কলাবাগান, এলিফ্যান্ট রোড, ফার্মগেট, মিরপুর, মগবাজার, গ্রীন রোড, নিউমার্কেট, রাজারবাগ, বনানী, গুলশান, উত্তরা, মালিবাগ, শাহবাগ, টিএসসি, বিজয়নগর তোমাদের কথা মনে পড়ে যায় ঠিকঠাক, গত জন্মের স্মৃতির মতো। “
নিজের জীবনের লক্ষ্য নিয়ে দ্বিধাহীন ভাবেই লেখক বলেছেন, “ঠিক করা ছিল বড় হয়েই ঘুরতে বের হবো, যতটা পারব ঘুরে দেখব এই পৃথিবী। জীবনের লক্ষ্যের কাছাকাছি না হলেও আমি যখনই পেরেছি তখনই মোটামুটি চষে বেড়িয়েছি। কিন্তু কোনো ভ্রমণই শৈশবের সেই ভ্রমণকে অতিক্রম করতে পারে নি। কল্পনার রথে চড়ে যে যাত্রা, তাকে জেট প্লেন, রেন্ট-এ-কার, ট্রেন বা বাস কীভাবে হার মানায়? “
আর সেই সাথে বাস্তবতা জর্জরিত আজকের জীবনে যেন আমাদের ফিরেই নিয়ে যান সেই শৈশবে অনেকটা নিঃশ্বাস নেবার মতো, এই স্মৃতিরাই যেন প্রাণদায়িনী,
“ফিরবেন বাসায় নাকি থেকে যাবেন লেকের পাড়ে? আপনার ইচ্ছে। তবে শৈশবের শব্দ, গন্ধ আর ছবি বুকে মেখে নিয়ে ফিরে আসতেই হবে এই পোড়া পোড়া গন্ধওয়ালা বাস্তবে, ফিরলেই ঘিরে ধরবে নানান ধান্ধা আর যাবতীয় মিথ্যে সব কাজ। কিন্তু এরপরও বুকের মাঝে যেই চিনচিনে ব্যথাটা লাগছে, সেটা কিন্তু ব্যথা নয়, এক টুকরো আনন্দ। ওইখানটাতেই আছে আপনার স্মৃতির শহর। “
অনেকটা জীবনের escape tunnel এর মতোই আমাদের সবারই এই স্মৃতিতে বা নিজস্ব জগতে ডুব দেবার ব্যাপার আছে, অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি নিয়ে তাইই হয়তো বারংবার আলোকপাত করেছেন লেখক,
“জীবন নিয়ে যদি আমার অভিমত জানতে চাওয়া হয়, তবে আমি বলব জীবন অত্যন্ত বিস্ময়কর এক যাত্রা, যতই এর ভেতর দিয়ে যাচ্ছি সেই বিস্ময় যেন শুধু রঙ পালটাচ্ছে এবং আরও নতুন রূপে আসছে আমার কাছে। তবুও এই মাঝবয়েসের কাছে এসেও যেন বালকবেলার বিস্ময় রয়ে গেছে অমলিন অথবা হয়ত এখনো আমি শৈশবকে অতিক্রম করতে পারি নি। এতদিনেও যদি না পারি, তবে বাকি জীবনেও যে এর থেকে মুক্তি নেই, সেটাও সুনিশ্চিত। তবে শৈশব কৈশোরের স্মৃতি আছে বলেই জীবনযাপন বাস্তবতার কষাঘাত থেকে একটু সুরক্ষা পায়।“
কিন্তু আবার সেই চেনা শহরের বদলে যাওয়া, জানা মানুষদের হারিয়ে যাওয়া যে আমাদের অন্য মানুষ করে ফেলে, জীবিত নির্বাসনের মতই সেটাও হাহাকার করে তাঁর লেখায়,
“আমি মনে হয় আজও ঘুরে বেড়াচ্ছি গন্তব্যহীন... সফর শেষ করে মন ফিরতে চায় সেই স্বপ্নঘেরা সবুজ শহরে, যদিও আজকের ঢাকা থেকে আম, জাম, লিচু, নারিকেল, টিয়া, প্রজাপতি, পুকুর, ভূতপ্রেত সবাই বিতাড়িত হয়েছে। আমিও কি নির্বাসিত নই ওদের মতোই? “
তাসনীম হোসেন বাংলা ব্লগের সবচেয়ে জনপ্রিয় লেখকদের একজন। বিশেষ করে সচলায়তনে লেখা উনার ‘স্মৃতির শহর’ এবং ‘শিশু পালন’ এখনো পাঠকদের মুখেমুখে ফিরে। অনেক বছর আগেই ‘স্মৃতির শহর’এর ই-বুক পড়েছিলাম সচলায়তনের সৌজন্যে, এখন ফের ছাপা কপি পড়ে প্রভূত আনন্দ হল।
বইটি প্রকাশ করেছে ‘অনার্য’, গায়ের মূল্য ২৫০ টাকা ।
ছাপা, বাঁধাই সুন্দর। পরের সংস্করণের কিছু স্কেচ সংযুক্ত হলে আরও ভালো লাগবে সম্ভবত।
পরিশেষে প্রিয় তাসনীম ভাই,
দু-হাত খুলে লিখতেথাকুন, আমাদের ঋণী করুন আরও। আর শেষ বার যখন মেক্সিকোর কানকুনে মায়ান রাজ্য আমাদের দেখা হল, বলেছিলাম কিন্তু যে বাংলাদেশকে অন্যভাবে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখাব আপনাকে, সেই কথায় রইলো-
মন্তব্য
হ
এবার "শিশুপালন" ছাপার অক্ষরে আসুক, তাসনীম ভাই।
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
হ, তাহলে একটানে পড়তে পাইতাম
facebook
অনেকদিন পরে সচলে ঢুকেই তোমার পোস্ট। তার ওপর আবার তাসনীম ভাইয়ের 'স্মৃতির শহর' নিয়ে। তাসনীম ভাইয়ের 'স্মৃতির শহর' এর একটু আধটু পড়েছি। পুরোটা একটানে পড়া হয়নি। একবার নিয়ে বসতে পারলে এর আবহ বুঝতে পারতাম। তোমার রিভিউয়ে দুধের স্বাদ ঘোলে পুষিয়ে নিলাম। ওদিকে ষষ্ঠ পাণ্ডবও একই শহরকে নিয়ে ‘রোদের রঙ আর বাতাসের ঘ্রাণ' লিখছে। পাণ্ডব ডিটেইলসের কাজে কুশলী, স্থিতধী ও সিদ্ধহস্ত। মনে হচ্ছে, সেও জনপ্রিয় ও মনপ্রিয় হবে। তোমার খবর কি? নতুন নতুন দেখায় ভরা চোখ দুটো আমাদের এখন আর সহসাই ধার দিচ্ছ না কেন?
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
হ ভাই, বহু দিন বাৎচিত হয় না! মাঝখানে টানা লিখছিলাম, আপনারই খোঁজ পাইলাম না! যা হোক লেখা দেন -
facebook
নতুন মন্তব্য করুন