পল থমসনের প্রথম শ্রীমঙ্গলে পাখি দেখা

তারেক অণু এর ছবি
লিখেছেন তারেক অণু (তারিখ: রবি, ১১/০৭/২০২১ - ৪:৫৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১৯৮৬ সালে শ্রীমঙ্গলে পাখি দেখা

-পল থমসন

১৯৮৬র শুরুর দিকে আমি বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো এসেছিলাম। যদিও আমার অধিকাংশ সময়ই পিএইচডি গবেষণার জন্য তথ্য সংগ্রহের পিছনে যাচ্ছিল তবুও সেই সময় আমি শ্রীমঙ্গলে প্রথম পাখি দেখার জন্য যেতে সক্ষম হই যা সেখানে পরবর্তীতে অসংখ্য ভ্রমণের প্রথমটি হিসেবে মনে আছে।

স্থানীয় শিক্ষককে বলা হয়েছিল যে আমি পাখি দেখতে অত্যন্ত উৎসাহী এবং বাংলাদেশ ত্যাগ করার আগে অল্প কিছুদিন আমি পাখি দেখতে নিসর্গে যেতে ইচ্ছুক। উনি আমাকে সঠিক পরামর্শের জন্য প্রফেসর জাকির হোসেনের নাম বলেছিলেন। তাই‌‌ একদিন বুয়েট থেকে আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সবুজ পাতাছাওয়া রাস্তায় রওনা দিয়েছিলাম প্রফেসরের সন্ধানে। প্রফেসর সাহেবের সাথে দেখা হওয়ার পর উনি অত্যন্ত উৎসাহ এবং যত্ন নিয়ে আমাকে বেশ কিছু পাখি ও বিভিন্ন জায়গা সম্পর্কে জানান এবং সেই সাথে পরামর্শ দেন যে আমার অবশ্যই শ্রীমঙ্গলে বিশেষ করে লাউয়াছড়ার বনে যাওয়া উচিত। তিনি সেই জায়গাটি সম্পর্কে চট করে স্কেচ এঁকে সাথে একটি চিঠিও দিয়েছিলেন।

এই তথ্য সম্বল করেই চাঁদপুর থেকে এক ভ্রমণ শেষে বুয়েটের একজন ছাত্রকে নিয়ে আমি ট্রেনে শ্রীমঙ্গল যাত্রা করি। পরদিন, ১৯৮৬র ১১ ফেব্রুয়ারি, আমরা শহরের এক প্রান্তে বনবিভাগের অফিসে যাই, স্তুপ করে রাখা বিশাল সব গাছের গুঁড়ির আড়ালে থাকা ভবনটিকে সহজেই চেনা গিয়েছিল। আমরা সেখানে বন পরিদর্শনের কথা বলতেই, উপস্থিত বন বিভাগের কর্মচারী অত্যন্ত উৎসাহের সাথে (হয়তো প্রফেসর জাকিরের লেখা চিঠিও এক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করেছিল) একটি কাঠ পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত ট্রাকে তুলে দেন এবং আমরা শহরের বাহির দিকে চলে যাওয়া একটি অত্যন্ত বালিময় ও ধূলিধূসরিত রাস্তায় চলতে থাকি।‌ এরপরে চা বাগানের সবুজ গালিচার মত গাছের মধ্যে চলতে চলতে হঠাৎ ঘন বনে প্রবেশ করি কিন্তু আবার বাম দিকে যাবার পর আরও একটি ধুলোময় রাস্তায় আমরা মাইলের পর মাইল চলতে থাকার পরে একটা মোটামুটি ফাঁকা জায়গায় উপস্থিত হই, যেখানে অল্প কিছু ভবন এবং কয়েকটা বিশাল গাছ ছিল, যেখানে কাঠ কাটা চলছিল। (পশ্চিম ভানুগাছ সংরক্ষিত বনের কালাছড়া বিট অফিস)

সেই সময়ে কমলগঞ্জ থেকে শ্রীমঙ্গল যাবার প্রধান রাস্তা একটি ধুলোময় রাস্তাই ছিল এবং যা বনের মধ্য দিয়ে যাওয়া বহুলব্যবহৃত কাঠ পরিবহনের পথ থেকে আলাদা করার কোন উপায় ছিল না। বন অফিস ছিল পথের শেষ মাথায় এবং সেখান থেকে শ্রীমঙ্গলে হেঁটে ফেরার লম্বা রাস্তা আমার জন্য খুবই চিত্তাকর্ষক ছিল কিন্তু নিশ্চিত ভাবেই আমার সহকর্মীর জন্য তা ছিল এক কষ্টময় ক্লান্তিকর পথ।

এতদিন পর আমার ফিল্ডনোট গুলো দেখাচ্ছে যে প্রথম দিনেই আমি‌ ৫৬ প্রজাতির পাখি দেখেছিলাম, যার মধ্যে ছিল বিট অফিসের কাছেই দেখা মেটেমাথা-কাঠকুড়ালি ( Black-naped Woodpecker), মেটে-হাঁড়িচাচা ( Grey Treepie), মদনা-টিয়া (Red-breasted Parakeet)। সেদিনের উল্লেখযোগ্য প্রজাতির মধ্যে ছিল একজোড়া ছোট-হরিয়াল (Ashy-headed Green Pigeon) এবং সরুঠুঁটি (Slender-billed Vulture) ও বাংলা (White-rumped Vulture) দুই জাতের শকুন (যারা সেই আমলে বিরল কিছু ছিল না)।

তবে সত্যি বলতে সবচেয়ে চিত্তাকর্ষক ছিল নানা ধরনের ঝোপঝাড়ের মধ্যে দেখা অনেক ক্ষুদে ছাতারে জাতীয় পাখির আনাগোনা, যাদের মাঝে ছিল দাগি-তিতছাতারে( Pin-striped Tit-Babbler, লালকপাল-ছাতারে (Rufous-fronted Babbler), মেটেগলা-ছাতারে(Grey-throated Babbler), খয়রাগাল-ফুলভেটা(Brown-cheeked Fulvetta), ধলাপেট-উহিনা( White-bellied Yuhina)। আশির দশকেও এই ক্ষুদে ছাতারে জাতীয় পাখিগুলো লাউয়াছড়াতে যথেষ্ট দেখা যেত যদিও দুঃখজনকভাবে নব্বইয়ের দশক থেকে সেগুলো হারিয়ে যেতে শুরু করে।

প্রচন্ড ব্যথা যুক্ত পা কিন্তু হাসিময় আমার মুখ দেখে সহকর্মী বুঝতে পারলেন যে সবচেয়ে ভাল হয় আমাকে নিজের মত ছেড়ে দিয়ে উনি যদি ঢাকা ফিরে যান তাহলে হয়তো তার পদযুগল এই পাগলাটে পরিশ্রম থেকে রক্ষা পাবে।

পরদিন ১২ফেব্রুয়ারি আমি একই ধরনের অভিজ্ঞতার জন্য খুবই আগ্রহী ছিলাম। কাঠ পরিবহনের আর একটি ট্রাকে চেপে বনের আরেক পয়েন্টে নামলাম ( যেখানে এখন লাউয়াছড়া বনের প্রবেশমুখে টিকিট কাউন্টার আছে), এবং সেই শুষ্ক কিন্তু ঘন বনভূমিতে চমৎকার কিছু পাখির দেখা পেয়ে গেলাম যেমন ধলাভ্রু-কুটিকুড়ালি ( White-browed Piculet) এবং জর্ডানের-বাজ (Jerdona’s Baza), যে কিনা লম্বা বাঁশ বনের মাথায় বসে তার চমৎকার ঝুঁটি মেলে ছিল।

শ্রীমঙ্গল শহরের পৌঁছানোর পর কেউ আমাকে জানালো যে সেখানে অন্যান্য বিদেশিরাও আছে, তাই সে বিকেলে আমি ব্রিটিশ ODA ( এখন টি-রিসোর্ট নামে পরিচিত, কিন্তু সেই সময়ে যুক্তরাজ্যের অর্থায়নে চলতে থাকা একটি চা প্রকল্পের অংশ ছিল)তে ঢুঁ মারি এবং সৌভাগ্যক্রমে আর এক পাখি-দর্শকের সন্ধান পেয়ে যাই, যার নাম ডেভিড মিল্লিন ( David Millin)।

( ডেভিড মিল্লিন শ্রীমঙ্গলের চা প্রকল্পে‌ ১৯৮৪র ফেব্রুয়ারি থেকে ১৯৯০র এপ্রিল পর্যন্ত কাজ করেছিলেন এবং তার সমস্ত অবসর সময় পাখি দেখার কাজে নিয়োজিত ছিলেন বিশেষত লাউয়াছড়া বনে, আশেপাশের চা-বাগানে এবং হাইল হাওড়ে এবং মাঝে মাঝে অন্য কোথাও। একজন দক্ষ পাখি দর্শক হিসেবে তিনি সমস্ত স্থানীয় পাখি অত্যন্ত ভালো চিনতেন এবং সেইসাথে বনের মধ্যে চলে যাওয়া প্রত্যেকটি কাঠুরে পথ তার নখদর্পণে ছিল। সে অঞ্চলের পাখিদের একটি চমৎকার কার্যকরী তালিকা তিনি করেছিলেন এবং যেখানে মাস অনুযায়ী বিভিন্ন প্রজাতির উল্লেখ থাকতো। তার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য রেকর্ড ছিল ১৯৮৮র ২৫শে মার্চে মাধবপুর লেকে দুইটি ধলাপেট-বক (White-bellied Heron) আবিষ্কার করা । এছাড়া ১৯৮৫র ফেব্রুয়ারি এবং এপ্রিল মাসে নুরজাহান টি স্টেটের প্রান্ত সীমায় বনের কাছে বাঁশ বনে বড় লালমাথা-টিয়াঠুঁটির ( Greater Rufous-headed Parrotbill) একটি ক্ষুদে দল আবিষ্কার করা। উল্লেখ্য যে এই দুইটি পাখি স্বাধীন বাংলাদেশে আর কোনো সময়েই দেখার রেকর্ড নেই।)

তার আতিথেয়তার কারণে আমি স্টেশনের কাছের সেই বিষন্ন হোটেল ছেড়ে উনার প্রশস্ত বাংলোর অতিথিশালায় চলে আসি এবং তার দীর্ঘ স্থানীয় অভিজ্ঞতা থেকে জানতে থাকি এই এলাকা নিয়ে। পরদিন ডেভিডের ল্যান্ড রোভার গাড়ির সুবিধার্থে আমি সকালে বনে পৌঁছে যাই এবং হলদেতলা-ফুটকি ( Yellow-vented Warbler) দেখে আবার মধ্যাহ্নভোজনের আগেই বাংলাতে ফিরতে পারি। তারপরে এক বিকেলে আমরা হাইল হাওরের জলাভূমি দেখতে বেরিয়ে পড়ি, নদী ধরে ধরে হাওরের দক্ষিণ প্রান্তে নেমে সোজা উত্তরের দিকে হাটা শুরু করি এই জলাভূমির পাখি আবিষ্কারের জন্য।

আমরা জলজ উদ্ভিদ পূর্ণ নদীর পাশ দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে অনেক জায়গায় শুষ্ক তৃণভূমি দেখার পাই কোথাও কোথাও ঢোল-কলমির ঝাড়, কোথাও বা কর্দমাক্ত ধানের ক্ষেত। জনবিরল সেই এলাকায় তখন অনেক বেশি পাখি ছিল, বিশেষত সৈকত পাখিদের ( Waders) ক্ষুদে ক্ষুদে ঝাঁক। আমি সবচেয়ে খুশি হয়েছিলাম একটি অতি সুন্দর পুরুষ পাকরা-কাপাসি ( Pied Harrier) দেখে যে কিনা আমাদের পাশে উড়ে উড়ে শিকার করছিল, যদিও সেদিনের পক্ষে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারটি ছিল প্রায় ২০০ হলদেবুক-চটকের ( Yellow-breasted Bunting) একটি বিশাল ঝাঁক, যারা কিনা ঢোল-কলমি ঝাড়ে বসে ছিল। এবং একটি তুলিকা যাকে শুকনো ঘেঁসো জমিতে বেশ খানিকক্ষণ পর্যবেক্ষণের পরে তামাটে-তুলিকা ( Tawny Pipit) বলে আমরা চিনতে পারি।

১৪ ফেব্রুয়ারি ছিল সেই অঞ্চলে আমার কাটানো শেষ পুরো একটা দিন। সকাল সকাল আমরা বন থেকে ফিরে সেই কাঠ পরিবহনের রাস্তা ধরে দক্ষিণে যেতে যেতে অন্তত ৫০ প্রজাতির পাখি দেখতে পাই। যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল একটি দাগি-তামাপাপিয়া ( Banded Bay Cuckoo), যে কিনা রাস্তার পাশে পশ্চিম ভানুগাছ সাইনবোর্ড লেখা জায়গার কাছের গাছে বসে গান গাচ্ছিলো ( যা বর্তমান লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের শুরুতেই লাগানো কড়ুই গাছের সারি কিন্তু তখন ছিল একটি চমৎকার পরিপূর্ণ বন যা কিনা ১৯৮৬-৮৭র শুকনো মৌসুমে কেটে ফেলা হয়)। সেই সকালে আমরা আরও দেখা পেয়েছিলাম একটি বড়-চোখগ্যালো ( Large Hawk-cuckoo এবং একজোড়া ল্যাঞ্জা-সাহেলির ( Long-tailed Minivet)।

সেই বিকেলে আমি ওই এলাকার চা-বাগানের আশেপাশেই একটি স্ত্রী জর্ডানের-ঝাড়ফিদ্দার ( (Jerdon’s Bushchat)খোঁজে ঘোরাঘুরি করছিলাম, ডেভিড আমাকে জানিয়েছিল যে পাখিটি সেখানেই তার শীতকালীন সময় কাটাচ্ছে। আমি কল্পনাও করতে পারছিলাম না যে, সেই চা বাগানের বিভিন্ন জায়গায় আরো কত পাখি এভাবে শীতকালে পরিযায়ন করছে যার খবর আমরা পাখি-দর্শকেরা কোনদিনই পাইনি। পাখির খোঁজে হাঁটতে হাঁটতে লম্বা পথ বেয়ে আমি বনের প্রান্তে চলে গিয়েছিলাম। নতুন চা বাগান তৈরীর জন্য পরিষ্কার করা একটি শুষ্ক এবং খুবই গরম টিলাময় এলাকায় এক দল ক্ষুদে-চটকের ( Little Bunting) দেখা পেলাম, যদিও সে দিনের জন্য আমার প্রিয় মুহূর্ত ছিল যখন একজোড়া বাংলা-রাঙাচ্যাগা ( Greater Painted-Snipe) উড়ে না যেয়ে আমাকে একটি ছোট্ট‌ জলা থেকে সতর্ক দৃষ্টি মেলে দেখছিল।

দুঃখজনকভাবে পরদিন ছিল সেই এলাকা ছেড়ে আসার সময় কিন্তু চার দিনে প্রায় দেড়শ প্রজাতির পাখি দেখা (যাদের অনেকগুলোই বিশেষত এখানে উল্লেখিত নামগুলো ) সবগুলোই ছিল আমার জন্য নতুন দেখা, যা এই অপেক্ষাকৃত কম জানা অঞ্চলের পাখি বৈচিত্র নিয়ে সামান্য হলেও ধারণা দেয়। এবং বাংলাদেশের ফিরে এলে পাখির নেশায় পথচলা হয়তো খুব একটা কঠিন হবে না।

কিন্তু আমি তখন জানতাম না জীবনের পরবর্তী ৩৩ বছরের ৩০০ দিন এই অঞ্চলে পাখি দেখে, এবং পাখিদের শ্রীমঙ্গলে এই হটস্পটের অনেক পরিবর্তনের সাথে জড়িত থেকে (১৫০ দিন লাউয়াছড়া তে, ১২০ দিন হাইল হাওড়ে) কাটবে আমার।

( Paul Thompson পল থমসন প্রায় ৪০ বছর ধরে বাংলাদেশে বাস করছেন। একজন নিরলস পাখিদর্শক হিসেবে সমগ্র বাংলাদেশের যাবতীয় পাখি দেখার ও শুমারির তথ্য স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে রাখছেন আসার পর থেকেই। চোখের সামনে দেখেছেন বাংলাদেশের নিসর্গের নানা পরিবর্তন এবং যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন নিসর্গ রক্ষার। বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের জন্মলগ্ন থেকে পল আছেন এবং আমরা যে কোন পাখির বিষয়ে যে কোন তথ্যের জন্যই সবার আগে পল থমসনকেই স্মরণ করি। খুবই সুখের কথা যে ইনাম আল হকের অনুরোধে পল ‘বাংলার পাখি’র জন্য তাঁর নানা সময়ের নানা অঞ্চলের অভিজ্ঞতা থেকে লেখা শুরু করেছেন কয়েক সংখ্যা ধরে, তাঁর অনুমতি নিয়ে সেগুলোর অনুবাদ শুরু করলাম, মূল্য উদ্দেশ্য যাতে তরুণেরা কিছুটা হলেও বুঝতে পারে যে বাংলাদেশে মাত্র কয়েক দশক আগেও পাখিবৈচিত্রে কতটা ঐশ্বর্যশালী ছিল। )


মন্তব্য

ওডিন এর ছবি

দারুণ লাগলো!

টি রিসোর্ট , যার ডাক নাম আগে ছিলো 'বিটিশ কারিগর' এখন ভেঙে আধুনিকায়ন (?) করা হচ্ছে। '১৩ সালে যা দেখেছিলেন তার চে বাজে ব্যপার এখন।

তারেক অণু এর ছবি

ওইখানে দ্রুত যেতে হবে, ডেভিড মিলিং নিয়ে সামান্যতম তথ্য হলেও আসা দরকার।

হিমু এর ছবি

পল থমসনের জন্যে শুভেচ্ছা। এ ধরনের লেখাগুলো বাংলায় আসা জরুরি। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

তারেক অণু এর ছবি

আসিতেছে ভাই। পলকেও বলা হচ্ছে আরও বেশী লেখা দিতে সকল অঞ্চল নিয়েই।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।