অনেক দূরের সেই পৃথিবী - সারপ্রাইজ !!

দিশা এর ছবি
লিখেছেন দিশা [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ১৬/১২/২০০৯ - ৯:৪০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

দূরে কোথাও কারো বাড়ির লোহার গেট বন্ধ বা খোলার শব্দে চোখের পাতায় কাপন নিয়ে রুবাবার ঘুম ভাংগে। দাদীর ভাজা পরোটার গন্ধ পায় চোখ বন্ধ করেই, সাথে কানে আসে টুং টাং চামচের শব্দ।

হঠাৎ মনে পরে আজ তো সে গরু হয়ে গেছে। চোখ খুলতে ভয় ভয় লাগে। হাত পা নাড়াতেই ভয় ভয় লাগে নিসাড় পরে থাকে নরম বিছানায় শেষ বারের মত বিছানা ব্যপারটার আরাম পাবার জন্য। আজ থেকে তো তাকে বারান্দায় থাকতে হবে মনে হয়।

কেউ যেন ঘরে এলো - শব্দ পেয়ে বুঝলো - দম বন্ধ করে অপেক্ষা করে সে এক চিৎকার শোনার জন্য আগন্তুকের ওকে বিছানায় গরু হয়ে দেখার কারনে। উহু না কেউতো কোন শব্দ করল না। মনে হয় কাজের মেয়েটা এসেছিল খেয়ালই করেনি এদিকে। ও তো কোন কিছুই খেয়াল করেনা সব সময়। তাইতো দাদী ওকে সব সময় বলে খেয়াল করে কাজ করতে।

আস্তে আস্তে চোখ খোলার আগে রুবাবা ওর হাতটা কিছুটা নাড়াল। বোঝার চেষ্টা করল হাতটা ক্ষুর হয়ে গেলে কেমন ফিলিং হয়। উমম তেমন তো কিছু মনে হলো না। এবার পায়ের পাতা নাড়ালো। হুম তাও তো কিছু মনে হচ্ছে না। ভালই তো তাহলে সব অনুভুতি গুলো একই থাকলে।

ভাবলো এবার চোখ খুলতে হয়। পিট পিটিয়ে একটু একটু করে চোখ খুললো, হাতের তালু দেখলো। আহ তালু সহ হাতটা তো আগের মতনই আছে !!! পা দেখলো পা'ও তো আগের মতনই আছে !! সারা শরীর টাই তো আগের মতন আছে !!! আহ কি যে ভাল লাগায় ওর মনটা ভরে গেল !! লাফ দিয়ে বিছানা থেকে উঠে ড্রেসিং টেবিলের সামনে চলে গেল। আহ সে তো মাথা থেকে পা পর্যন্ত মানুষই রয়ে গেছে কোনই তো শিং গজায়নি !! কি করে এটা হলো?

দৌড়ে রান্না ঘরে চলে গেল দাদীর সামনে। " দাদী আমাকে দে-খ!" দাদী পরোটা বেলতে বেলতে চোখ তুলে তাকাল। বললো "কি?" রুবাবা নিজের বুকের উপর হাত রেখে বললো "দে-খ আমি ত মানুষই আ-ছি" দাদী আক হয়ে বললো "তুই তো মানুষই তো কি হোলো?"

"কেন কাল তুমি বলেছিলেনা আমি আজ সকালে গরু হয়ে হাম্বা হাম্বা করব গোসল না করার জন্য? ভুলে গেছ এর মধ্যেই" অবাক হয়ে গেল রুবাবা। দাদী আবারও একবার মুখ তুলে ওর দিকে তাকায় "ও তাই তো !! "মনে হয় পরে তুই তাড়াতারি নেমে এসে গোসল করে ভাত খেলি যে লক্ষ্মী হয়ে তাই আল্লাহ মনে হয় তোকে মাফ করে দিয়েছে। কি ভাগ্যরে তোর !! দেখলি লক্ষ্মী হলে কত কিছু বদলে যায়? যা এখন মুখ হাত ধুয়ে স্কুলের জন্য রেডি হ"

উমম রুবাবা খুব ভাল লেগেছিল মানুষ থেকে যাওয়ায়। এমন ভাললাগা অনেক দিন লাগেনি! পৃথিবীটা কত সুন্দর লাগছে এখন!! কিন্তু ও ভেবেছিল আজ আর স্কুলে যেতে হবেনা তাই তো ওর স্কুলের ব্যাগ টাও গতরাতে ঠিক করে গুছিয়ে রাখেনি :(। যাগ্গে ও তো দুমিনিটের কাজ।

মুখ হাত ধুয়ে যখন বারান্দায় এসে দাঁড়ায় উঠোনে গ্যারাজের পাশে এক অচেন মানুষকে লুংগি ও সাদা শার্ট পরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখলো। কে ও - ভাবে মনে মনে। হঠাৎ দেখল সেই মানুষটা ওর দিকে এগিয়ে আসছে। রুবাবার একটু ভয় করতে থাকল। ভাবছে দৌড় দেবে কিনা দাদীর কাছে। মানুষটি বারান্দার কাছে এসে বলল " "কেমুন আছিন মা জননি, সবরি খাইবেন নি" এবার রুবাবার ভয়ে আধমরা হবার যোগার। একটা কথাও সে বুঝলো না মানুষ টা কি বলতে চাচ্ছে ওকে। কামড়ে দেবে নাকি ওকে শেষ পর্যন্ত মন খারাপ! দৌড়ে দাদীর কাছে গিয়ে দাদীর কোমর জড়িয়ে ধরল। দাদী বলে "কি রে কি হয়েছে?" রুবাবা কথা পর্যন্ত বলতে পারে না ভয়ের চোটে। শুধু বলে "মানুষ!" দাদী ওকে নিয়ে দেখতে যায় বারান্দায় ব্যপার কি।

মানুষটা দাত বের করে হাসছে ওদের দেখে। দাদীকে দেখে বলে " মা গো জিগাই ছিলাম সবরি খাইবো নি"

দাদী হেসে ফেলে বলে "ও এই এই ব্যপার, আরে ও হচ্ছে মজিদ মিঞা, আজ থেকে আমাদের নতুন দাড়োয়ান, ভয় পেয়েছিস কেন বোকা ও তোকে জিঙ্গেস করছে সবরি খাবি ?" রুবাবা বলে " সবরি কি"

"সবরি হচ্ছে পেয়ারা" বাবা বের হয়ে আসে ঘর থেকে। "আজ থেকে মজিদ মিঞা তোমাকে স্কুলে আনা নেয়া করবে কেমন? আর ওর একটা মেয়ে আছে রহিমা, সেও আমাদের এখানে থাকবে, ওর সাথেও ভাল ব্যবহার করবে, ঠিক আছে?"

রুবাবা শুনল চুপচাপ। মনে মনে ভাবে কেমন দেখতে সেই রহিমা? কত বড় সে? সে কি তার মতন পুতুল খেলে? সে কি লক্ষ্মী মেয়ে?

বাবার সাথে নাস্তার টেবিলে চলে গেল। মনে হলো মানুষ যখন রয়েই গেল তখন বাবাকে চুলের সাদা ফিতের কথাটা বলেই ফেলেনা কেন। মনে মনে কয়েক বার প্র্যাক্টিস করে নিয়ে তবে ভয়ে ভয়ে আল্লাহ বলে মুখ খুললো " বাবা টিচার বলেছে সবাইকে সাদা ফিতে দিয়ে চুলে দুইটা পনিটেইল করে তবে স্কুলে যেতে।" বাবা বললো "বলোনি কেন আগে" রুবাবা কি করে বলে গত কাল রাতে ভেবেছিল আজ সে গরু হয়ে যাবে তাই আর সাদা ফিতে দরকার হবে না কারন স্কুলে যেতে হবে না, তাহলে তো বাবা জেনে যাবে আবার ও সে গাছে উঠেছিল।

মাথা নিচু করে বলে মাত্র গতকাল টিচার এটা বলেছে রাতে বলতে ভুলে গেছিল। ইস আবারও মিথ্যা বলার কারনে আল্লাহ না জানি কি শাস্তি দেয় ওকে :(। সরি বলে আল্লাহকে কয়েকবার মনে মনে। বাবা বললো "ঠিক আছে আজ যদি টিচার কিছু বলে বলবে কাল থেকে পনিটাইল করে আসবে"

মনে মনে রহিমা নিয়ে ভাবতে ভাবতে স্কুলের জন্য রেডি হয়। কোথাও তো তাকে দেখা যাচ্ছেনা মনে হয় দাড়োয়ান চাচার রুমে ! যাক পরে এব্যপারে খোজ নেয়া যাবে। দাড়োয়ান চাচা মানে মজিদ মিঞা ওর জন্য অপেক্ষা করছে বাইরে।

স্কুলে যাবার পথে মজিদ মিঞা নন স্টপ কথা বললো রুবাবার সাথে যার কিছুই ও বুঝলো না শুধু অবাক চোখে তার দিকে তাকলো সে। মনে মনে ভাবে এই মানুষ এত তাড়াতারি করে কি করে কথা বলে। রহিমাও কি এর মতন?

"ম্যাম ডু ইউ ওয়ান্ট এ্যানাদার কফি?" কফি ক্লাবের ওয়েট্রেসের কথায় রুবাবা চমকে তাকালো ওর হাসি মুখের দিকে - "উমমম ইয়েস প্লিজ,

∞∞∞∞∞∞∞∞∞∞∞∞∞∞∞∞∞∞∞∞∞∞∞∞∞∞∞∞∞∞∞∞∞∞∞∞∞∞∞∞∞∞∞∞∞∞∞∞∞∞∞∞∞∞

চলবে যদি আপনারা পাঠকরা চান -------

অনেক বানান এবারও হয়তো ভুল থাকলো। সাবার কাছে থেকে শুদ্ধ বানানটা চাই শুধরে নেবার জন্য। তবে একটা জিনিস সবার কাছে প্রশ্ন - সাবাই আমার মনের ভাবটা বা কি বলতে চাইছি এখানে তা কি বুঝতে পারছেন? কমিউনিকেশনটা কি এখানে ক্লিয়ার? না হলে বা আমার লেখা ভাল না লাগলে জানাবেন এটাই আমার শেষ লেখা হবে সচলায়তনে।

সবাইকে ধন্যবাদ।


মন্তব্য

তিথীডোর এর ছবি

আপুনি -- আমি বয়সে তোমার অনেকক ছোট... কিছু মনে করোনা, এই ধারাবাহিক গল্পটা ভাল লাগছে অনেক.. শুধু বানান ভুল একটু বেশিই! বুঝতে পারছি তুমি কি বোঝাতে চাইছো.. এট্টুশখানি খেয়াল করে বানানগুলো শুধরে নাও শুধু ... আমি নিজে উল্টোপাল্টা ফরমেটিং আর ভুল বানানের গোডাউন, তাড়াহুড়োয় করা ভুলগুলো যখন চোখে পড়ে ; রাগ হয় নিজের ওপরই... সো মাইন্ড করোনা প্লিজজজজ ,ভালবাসা নিও!!

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

দিশা এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। মাইন্ড করার প্রশ্নই আসে না যে ব্যপার টি আমি নিজে জানিনা সে ব্যপারে কেউ জানালে। কিন্তু ব্যপার হচ্ছে আমি ১০০% ভাগ খেটে খাওয়া মানুষ। আমার সময়ের বরই অভাব। বাংলা বানান নিয়ে গবেষনা করে শিখে তার পরে লিখতে আসবার মত সময় বের করা খুউব কষ্ট কর আমার জন্য। তবু চেষ্টা করেছিলাম। কোনটা যে ভুল বানান সেটা জানলে তো সেটা নিয়ে সার্চ দিতাম। হা হা হা সেটাই তো জানিনা।

বেশি ঝামেলা হয়ে যাচ্ছে বানান নিয়ে। এখানে কোনটা ভুল বানান জানি না আর পরে যখন সাবাই জানান তা সংশোধোন করার কোন উপায় নেই নিজে নিজে যে পদ্ধতিতে সংশোধোন করতে হয় তা সময় সাপেক্ষ। তাছারা বাংলা টাইপেও আমি ভাল না।

তো পেট চালাতে আমার অনেকটা সময় দিতে হয় আগেই বলেছি। তার পাশাপাশি আমি কিছু সমাজ সেবা মুলক কাজ করি যেমন কোন এতিম খানাকে সময় দেই আমার ফ্রি সময় থেকে সাহায্য করার জন্য। এর পারে এখানে এসে বানান নিয়ে গবেষনা করার কতটুকু সময় পাবো জানিনা।

বাইরে থাকায় ও নানান ধরনের মানুষ দেখে ও নানান রকমের কাজ করায় অনেক রকমের অভিঙ্গতা অনেক সময় হয় আমার। ভেবেছিলাম আমার অভিঙ্গতা হয়ত সবার সাথে শেয়ার করলে আপনাদের ভাল লাগবে। কিন্তু এখন মনে হচ্ছেনা বানান নিয়ে এত ঝামেলা করে এত সময় আমার বের করা সহজ হবে। আপানদের সবার লেখা ভাল লেগেছে। ভাল থাকবেন সবাই। অনেক ধন্যবাদ!!

দিশা
_____________________________
যে পাখি আকাশে ওড়ে আকাশ ছোবার ইচ্ছেয়

দিশা
_____________________________
যে পাখি আকাশে ওড়ে আকাশ ছোবার ইচ্ছেয়

সাইফ তাহসিন এর ছবি

বানান ঠিক হয়ে যাবে যদি লেখতে থাকেন, আর শেষ লেখা কেন হবে, হাত পা খুলে লিখুন চোখ টিপি লেখা ভালো না লাগলে মডারেশন পার হয়ে এতদুর আসতোই না, উমম্‌, তাই এসব চিন্তা বাদ দিয়ে ধুমায় লিখতে থাকেন।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

দিশা এর ছবি

হা হা হা ভাই, হাত পা খুলে তো লিখতে বলছেন কিন্তু আমার তো আবার পেট চালানোর চিন্তা করতে হয়। তাছারা বাংলা বানান নিয়ে গবেষনা করে একটা সুন্দর লেখা দাঁড় করানোর জন্য সময় ব্যয় করার চাইতে আমি যদি এখানে কোন এক এতিমখানায় গিয়ে ওখানকার বাচ্চাদের যত্ন নেয়ার বা কিছু শেখাবার জন্য সময় টা ব্যয় করি আপনি কোনটাকে প্রডাক্টিভ বলবেন?

বা যদি সেই সময়টা কোন ওল্ড হোমে গিয়ে বৃদ্ধ বৃদ্ধাদের খাওয়াতে বা টেককেয়ার করতে বা সংগ দিতে আমার বানান গবেষনা বন্ধ রাখি একটা সুদ্ধ বানানে ভরা লেখা ছাপাবার জন্য এই ব্লগে কোনটাকে আপনি প্লাস দেবেন?

চেয়েছিলাম আমার এতসব চমৎকার অভিঙ্গতা শেয়ার করব। তবে সময় আমাকে অনেক কিছুই করতে দেয় না। খেটে খাওয়া মানুষরা অনেক কিছুই করার ইচ্ছা থাকলেও পারে না। তাছারা যা পারিনা তা পারিনা বলতে লজ্জা নেই আমার। না পারাটা যেখানে অতি বড় সমস্যা সেখানে জোর করে সেধিয়ে পরার মানুষ আমি নই।

অনেক অনেক ধন্যবাদ সব সময় আমার লেখা পড়ার জন্য। ভাল থাকবেন।

দিশা
_____________________________
যে পাখি আকাশে ওড়ে আকাশ ছোবার ইচ্ছেয়

দিশা
_____________________________
যে পাখি আকাশে ওড়ে আকাশ ছোবার ইচ্ছেয়

রেজওয়ান এর ছবি

লেখা চর্চার ব্যাপার এবং প্রথমেই রণে ভঙ্গ দেবার ইচ্ছে থাকা উচিৎ নয়। এই লেখার ব্যাপারে মন্তব্য করছি না - মনে হয়েছে হঠাৎ শেষ হয়ে গেল। আরও কয়েকটি পড়েই মন্তব্য করব। আপনার দিনলিপি গুলো কিন্তু বেশ ছুঁয়ে যায়।

শুদ্ধ বানানের কিছু তালিকা:

কাঁপন, ভাঙ্গে, ব্যাপারটার (পুরো বাক্যটি আবার ভাবা যেতে পারে), বুঝল, অনুভূতি, আক - অবাক, তাড়াতাড়ি, লুঙ্গি, দারোয়ান, খোঁজ।

শুদ্ধ বানান (অনেকটা) নিশ্চিত করার জন্যে ফায়ারফক্স এবং এই এড অনটি ব্যবহার করতে পারেন।
https://addons.mozilla.org/en-US/firefox/addon/13660

সাথে স্বয়ংক্রিয় ডিকশনারী সুইচার জীবন অনেক সহজ করে দেবে:

https://addons.mozilla.org/en-US/firefox/addon/3414

পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?

দিশা এর ছবি

ধন্যবাদ সাহায্যের হাত বারাবার জন্য।

আসলে গল্পটা তো শেষ হয়নি। গল্পটি ক্রমশ পরিনত পাবে পরের পর্ব গুলোতে। পরের পর্ব গুলো পড়তে চাইলে জানাবেন আমার ব্লগের লিংক দেব নিশ্চই। কেন এখানে লিখব না সে উত্তর উপরের দুটো কমেন্টের উত্তরে দিয়েছি।

ভাল থাকবেন।

দিশা
_____________________________
যে পাখি আকাশে ওড়ে আকাশ ছোবার ইচ্ছেয়

দিশা
_____________________________
যে পাখি আকাশে ওড়ে আকাশ ছোবার ইচ্ছেয়

দিশা এর ছবি

ধন্যবাদ সাহায্যের হাত বারাবার জন্য।

আসলে গল্পটা তো শেষ হয়নি। গল্পটি ক্রমশ পরিনত পাবে পরের পর্ব গুলোতে। পরের পর্ব গুলো পড়তে চাইলে জানাবেন আমার ব্লগের লিংক দেব নিশ্চই। কেন এখানে লিখব না সে উত্তর উপরের দুটো কমেন্টের উত্তরে দিয়েছি।

ভাল থাকবেন।

দিশা
_____________________________
যে পাখি আকাশে ওড়ে আকাশ ছোবার ইচ্ছেয়

দিশা
_____________________________
যে পাখি আকাশে ওড়ে আকাশ ছোবার ইচ্ছেয়

অবাঞ্ছিত এর ছবি

তাড়াতারি > তাড়াতাড়ি

দাড়োয়ান > দারোয়ান

জিঙ্গেস > জিজ্ঞেস (জ্ঞ = জ + ঞ)

আমি ইউনি কিবোর্ড ব্যবহার করি আমার শিফট+৭ এ চন্দ্রবিন্দু, তবে একান্তই সমস্যা হলে, মন্তব্যের ঘরের উপরে "মাউস দিয়ে বাংলা" অংশটা ব্যবহার করে দিতে পারেন।

হাসি

লেখা চলুক।
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

দিশা এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ বানান গুলোর জন্য। ভাল লাগলো আপনার সহযোগিতার মন দেখে। ভাল থাকবেন।

দিশা
_____________________________
যে পাখি আকাশে ওড়ে আকাশ ছোবার ইচ্ছেয়

দিশা
_____________________________
যে পাখি আকাশে ওড়ে আকাশ ছোবার ইচ্ছেয়

সাঈদ আহমেদ এর ছবি

"না হলে... এটাই আমার শেষ লেখা হবে সচলায়তনে" ধরনের হুমকি দেখলে মন্তব্য করতে ভয় লাগে।

কমিউনিকেশনটা ক্লিয়ারই। কিন্তু ক্লিয়ার না হলেও তো বরং বেশি বেশি লিখে সচলালোচনার মাধ্যমে সেটা ক্লিয়ার করা উচিৎ, তাই না?

-----------
"সে এক পাথর আছে কেবলি লাবণ্য ধরে"

-----------
চর্যাপদ

দিশা এর ছবি

হয়তো আমার বোঝাবার ভুল ছিলো। বলতে চেয়েছিলাম "ভাল লাগলে বা না লাগলে জানাবেন। এটা আমার শেষ লেখা এখানে"। আমি হুমকি দেইনি। বিদায় নিচ্ছি সেটা জানিয়েছি।

দিশা
_____________________________
যে পাখি আকাশে ওড়ে আকাশ ছোবার ইচ্ছেয়

দিশা
_____________________________
যে পাখি আকাশে ওড়ে আকাশ ছোবার ইচ্ছেয়

রিয়াজ উদ্দীন এর ছবি

আমার কাছে লেখা খুব ভাল লাগছে। অবশ্যই লেখা চলবে। আমি নিজেও প্রচুর বানান ভুল করে থাকি। কাজেই আমি বানানের ব্যপারে তেমন কিছু বলতে পারবনা কেবল এটা বলা যায় বানান ভুলের চেয়ে শুদ্ধ হলে ভাল।

তবে রুবাবা হঠাৎ কফি ক্লাবে কিভাবে পৌছাল সেটা বুঝিনাই। অবশ্য এটা লেখিকার ইচ্ছাকৃত হতে পারে আমার ধরতে না পারার ভুলও হতে পারে।

দিশা এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ পড়ার ও ভাললাগার জন্য।
রুবাবা কি করে কফি ক্লাবে পৌছালো সে রহস্য পরের পর্বে থাকবে তাই এই পর্বে নেই। পরের পর্ব গুলো আমার অন্য ব্লগে লেখার ইচ্ছে আছে। ওখান কার লিংক পরে একসময় দেব নিশ্চই যারা জানতে চান।

দিশা
_____________________________
যে পাখি আকাশে ওড়ে আকাশ ছোবার ইচ্ছেয়

দিশা
_____________________________
যে পাখি আকাশে ওড়ে আকাশ ছোবার ইচ্ছেয়

রিয়াজ উদ্দীন এর ছবি

একটাও বানান ভুল হয়না এরকম কেউ এই ব্লগে আছে কিনা আমি জানিনা। কিন্তু পাঠকেরা সঠিক বানানের দাবি করবেই এমনটা অস্বাভাবিক বা অন্যায় নয়। আপনি কোন ব্লগে লিখবেন এটা আপনার সিদ্ধান্ত। কিন্তু পরের পর্বগুলো এখানে দেবেননা এমনটা জেনেশুনেই এখানে প্রথম পর্ব দেয়ার ব্যপারটা আমার বোধগম্য হলো না। সময়ের অভাবে অনেকের অনেক লেখা আটকে থাকে কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সেটা অনিচ্ছাকৃত। বলতে বাঁধা নেই আপনার এই ব্যপারটায় পাঠক হিসাবে প্রতারিত বোধ করছি। কারন একটা সিরিজের একটা পর্ব পরের পর্বের কমিট মেন্ট নিয়েই বোধ করি দেয়া উচিত। আপনার লেখার মান যেমনই হোক এখানে অনেকে মন্তব্যে আপনাকে উৎসাহ দেবার চেষ্টা করেছে আপনার কমিটমেন্ট আছে এটা ধরে নিয়েই। যা হোক আপনার কমিট মেন্টের অনেক গুরুত্বপূর্ন ক্ষেত্র আছে জানলাম আপনার মন্তব্য থেকে। শুনে ভাল লাগল যে লেখালেখির চেয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজে আপনি ব্যস্ত থাকেন। শুভকামনা থাকল।
.......................
আপনার আগের পোস্টটা দেখলাম সেখানে অনেক জল গড়িয়েছে। এখানে একটা কালচারাল গ্যাপ হয়ত কাজ করেছে। আমার মনে হয় ব্যপারটা সেভাবে দেখার চেষ্টা করলে ভাল করবেন। একটা preconceived notion নিয়ে আপনি বাঙালিদের বিচার করেছেন। যার জন্য সমালোচনাগুলোকে আপনি সহজ ভাবে নিতে পারেন নি। যদি এই ব্লগের উপর স্টেরিওটাইপ ধরতে চান তবে ব্যাপারটা হয়ত হবে এমন এখানে লেখকেরা বিশ্বাস করেন "আমার সমালোচক আমার বন্ধু"। আমরা বন্ধুদেরই কড়া সমালোচনা করে থাকি। দূরত্ব যেখানে বেশি সেখানে euphemism পাবেন কার্যকর সমালোচনা পাবেন না। যাই হোক এটুকু বলা দরকার ছিল মনে হল, তাই মন্তব্য সম্পাদনা করলাম।
নিচে ইংরেজি থেকে বাংলা ডিকশনারির একটা সফটয়ার পাবেন। আপনার কাজে লাগতে পারে, বানান অনুবাদ দুটিতেই।
http://download.cnet.com/Shoshi-English-To-Bangla-Dictionary/3000-2279_4-10853362.html
অন্যরাও লিঙ্কটা যাচাই করে দেখতে পারেন। আমার খারাপ লাগেনি।

দিশা এর ছবি

সবার জন্য একটা কথা এখানে - আমি কোন হুমকি দেইনি এই কথাটায়:

"তবে একটা জিনিস সবার কাছে প্রশ্ন - সাবাই আমার মনের ভাবটা বা কি বলতে চাইছি এখানে তা কি বুঝতে পারছেন? কমিউনিকেশনটা কি এখানে ক্লিয়ার? না হলে বা আমার লেখা ভাল না লাগলে জানাবেন এটাই আমার শেষ লেখা হবে সচলায়তনে।"

এটা আমার দাড়ি কমার ভুল ছিল ও প্রকাশের ভুল ছিলো। এটা হবে এরকম আসলে:-

"তবে একটা জিনিস সবার কাছে প্রশ্ন - সাবাই আমার মনের ভাবটা বা কি বলতে চাইছি এখানে তা কি বুঝতে পারছেন? কমিউনিকেশনটা কি এখানে ক্লিয়ার? না হলে বা আমার লেখা ভাল না লাগলে জানাবেন। এটাই আমার শেষ লেখা হলো সচলায়তনে।"

তার মানে আমি আপনাদের ভাল লাগা না লাগা জানতে ছেয়েছি এবং সেই সাথে জানাতে ছেয়েছি এটা আমার শেষ লেখা এই ব্লগে। কোন হুমকি নয় বরং বিদায় জানানো।

সবাই ভাল থাকবেন।

দিশা
_____________________________
যে পাখি আকাশে ওড়ে আকাশ ছোবার ইচ্ছেয়

দিশা
_____________________________
যে পাখি আকাশে ওড়ে আকাশ ছোবার ইচ্ছেয়

ভণ্ড_মানব এর ছবি

দিশা আপু, নিচের কথাগুলোতে দয়া করে মাইন্ড করবেন না।
আসলে আমরা মানুষ যা মুফতে পাই তার কদর বুঝতে পারিনা বা সময় বেশি লাগে কদর বুঝতে। আপনার অতিথি হিসেবে সচল হওয়াটাও আমার কাছে সেরকম মুফতে পাওয়ার মত ব্যাপার। অথচ আপনার অতিথি সচল হতে যেখানে দু চার দিন লেগেছে, সেখানে আমাদের অনেককেই মাসের উপরে চেষ্টা করতে হয়েছে। এখন যখন প্রতিবার নিজের নিক টাইপ করতে হয়না, অনেক ভাল্লাগে। নিজের নিকটা যখন বাম পাশে দেখি অনেক ভাল্লাগে। সচলায়তন আমাদেরকে যা ভেবে আধা-সচলত্ব দিয়েছে আপনি তার অপমানই করছেন বলে মনে হচ্ছে। অবশ্য আপনি বলতে পারেন যে, আপনি নিজে তো সচলত্ব চাননি।
যা হোক বহুত ফাও কথা কয়া ফেললাম। বানান ভুল আমাদের সবারই কমবেশি হয়ে থাকে, বিশেষ করে অতিথি সচল এবং অতিথিদের। এটা নিয়ে অভিমান করে সচল ছেড়ে চলে যাবার কারন নেই। ধরুন, আপনি একটা লেখা ২ ঘন্টায় লিখেন, পরেরদিন ২ ঘন্টায় আরেকটা লেখা লিখেন। তো এইকাজটিই একটু সময় নিয়ে দুই দিনে ৪ ঘন্টা মিলে একটা লেখা লিখুন। দেখবেন, লেখাও অনেক গোছানো আর বানান নির্ভুল হবে। আরেকবার চেষ্টা করেই দেখুন না। দুটো লেখার সময়ে একটা লেখা লিখুন। এতো তাড়া কিসের? কমিউনিকেশন ঠিকই হচ্ছে তবে বাংলা ভাষা শুদ্ধ ভাবে লিখার ক্ষেত্রে সকলেরই সচেতন থাকা উচিৎ বলে মনে করি।
আর যদি সচল ছেড়ে যাবার পণ করেই থাকেন, তবে বলি...বিদায়, ভালো থাকবেন।
__________________________________
যাক না জীবন...যাচ্ছে যখন...নির্ভাবনার(!) নাটাই হাতে...

__________________________________
যাক না জীবন...যাচ্ছে যখন...নির্ভাবনার(!) নাটাই হাতে...

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

যার যেখানে ভালো লাগে সেখানেই লেখা ভালো। দুইটা লেখা দিয়ে পরিস্থিতি যাচাই করার কোন মানে হয়না। কারো জন্য কোন কিছু থেমে থাকেনা।

কেউ যদি আপনার প্রথম লেখায় কমেন্ট না করতো, তাহলেও হয়তো আপনি একই কথা বলতেন।

ব্লগ হলো মঞ্চ নাটকের মতো। এখানে অনেক ভালো ভালো লেখকের লেখাতেও সমালোচনা হয়েছে।

মজনুভাই [অতিথি] এর ছবি

দিশাপা,

বানানের জন্য আর লেখায় হেলাফেলার জন্যে আমি যে কতো ডলা খাইছি, তা উপরের পিপিদাকে জিগান।
তারপরও মাইন্ড কিংবা অভিমান কোনোটাই করিনি, বরং তমিজের সাথে মার্জনা চেয়েছি, যদিও তা না করলেও আমার কিছু আসতো-যেতনা, কারণ, কোনো সমস্যা হইলে নিক বদল করে চুরিনিকেও আসা যায়, তারপরও কিন্তু আমি তা করিনি। আখেরে লাভ কিন্তু আমারই হয়েছে বা হচ্ছে।

আপনি কতো কষ্ট করে এখানে লিখেন, আর পাঠকরা এইসব বিবেচনা না করে যে মন্তব্য করেন, তাতে কিন্তু সত্যিই আপনার অভিমান করার কোনো কারণ নাই। কেননা, পাঠকরা যদি আপনার উপর বিরক্ত হতেন, তা আপনাকে না বলে সরাসরি বলতো যে, "এরকম লেখা মডারেশন পার হয় কীভাবে" কিন্তু তারা তা করেননি।

আসলে আপনি লাকী, এই সচলদের দাবীতেই কিন্তু আপনি মাত্র তিন দিনের মাথায় আধা সচল হয়েছেন, অর্থাৎ সচলায়তনে লেখিকার সংখ্যা বাড়ানোর উদ্দোগ নেওয়ায়। আর লেখায় অনেক কমেন্টও পাচ্ছেন, যা কিন্তু খুবই উপকারে আসে, অথচ আমি দুইটা লেখা দিয়েও একটামাত্র কমেন্ট পেয়েছি।

তাই বলছি, গোস্বা না করে আলটিমেটামটা তোলে নিন।

আরেকটা কথা, আমিও সময় পাইনা বানানের ঝামেলা ঠিক করার,
আমি মাঝে মাঝে এটা করি যে, কোনো বই পড়তে থাকলে, এই বইটিতে কী লিখছে বা না লিখছে সেটা বুঝার চেষ্টা না করে শুধু কোন বানান কীরকম সেটাই দেখি, আমার কিন্তু সংক্ষেপে অনেক উপকার হচ্ছে।

এনকিদু এর ছবি

না হলে বা আমার লেখা ভাল না লাগলে জানাবেন এটাই আমার শেষ লেখা হবে সচলায়তনে।

অ্যাঁ !?

মারাত্মক অভিমান হয়েছে দেখছি ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

হিমু এর ছবি

লেখালেখি বাদে আপনার অন্যান্য কাজগুলোর জন্যে শুভকামনা রইলো। সেসব কাজের চাপে আপনি শিখে উঠতে পারছেন না অনেক কিছু, তাই লিখে উঠতে পারছেন না অনেক কিছু। তারপরও আমি সমাজসেবার জন্যেই আপনাকে প্লাস দিচ্ছি। আপনি ওটাই মন দিয়ে করে যান, বানান শিখতে হবে না। শুদ্ধ বানানে লিখে কে কবে কী করতে পেরেছে বলুন?



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

দিশা এর ছবি

হা হা হা সবাই কেন ভাবছেন আমি অভিমান করে চলে যাচ্ছি? আমি তো খোলা ভাবেই বলেছি আমি লেখা লেখি করি শুধু অবসরে। আমার অবসর আসে অনেক অনেক দিন পরে একটু সময়ের জন্য। আমার জন্য এই অল্প মূহুর্ত গুলো খুবই ইম্পর্টেন্ট। আমি আমার ফ্রি সময় গুলো শুধু সমাজ সেবায় নয় আমার ফ্যামিলিকেও দিতে হয় আর নিজের জন্যও কিছু সময় চাই তো!!

বাংলা ব্লগে প্রথম লেখা শুরু নিজের অভিঙ্গতা শেয়ারের জন্য। তখন বাংলা টাইপ করতে পারতাম না একদমই। অনেকেই কত কটু কথা বলেছেন !! বাংগালীর অসহনশীলতার মুখোমুখি সে সময় অনেক হয়েছি। সাবাই ভেবে নিত আমি ন্যকামি করে বাংলা না জানার ভান করছি এরকম আরো কত কিছু। তবু আমার অভিঙ্গতার কথা লেখা বন্ধ করিনি কিছু উদার পাঠকের অনুপ্রেরনায় ও সহনশীলতায়। তারা আমার বানানের চাইতে অভিঙ্গতা শেয়ারকেই বেশি প্রাধান্য দিয়েছেন। সময় নিয়ে আমাকে জানতে চেষ্টা করেছেন, আমাকে শেখার সময় দিয়েছেন।

এখানে অনেক ভাল লেখকের লেখা পরতে ভাল লেগেছে। আমি লেখা শুরু করি এখানে কোন বিশেষ উদ্দেশ্যে নয় - ভেবেছিলাম আরো বেশি হয়তো শেখা যাবে। তবে এখানে আমার শেখার সময়টা হয়তো অনেকের জন্য বিরক্তিকর হবে। কারন কোন কিছুই মূহুর্তে শিখে ফেলা যায় না এই কথা আমি আমার সারা জীবনে অনেক কিছু শেখার মাঝে শিখেছি। সবকিছু শিখতেই সময় ধর্য্য ও সহনশীলতার দরকার হয় সব পক্ষ থেকেই। আমার সময় কম বলে শিখতে সময় বেশি লাগার কথা। এখনও আমার বাংলা টাইপ খুবই পচা। তো এখানের এতো এতো ভাল লেখকদের আমার লেখা পড়ার যন্ত্রনা দেয়ার কোন যৌক্তিকতা নেই। কারন আমি দুদিন বা ২ সপ্তাহে বাংলা বানান শিখে ফেলতে পারব না, তাছাড়া এটাতো আর স্কুল নয় পাঠক কেন আমাকে শেখাবার দ্বায়িত্ব নেবেন।

আমার সময়ের সমস্যা - এ একান্ত আমার নিজের সমস্যা, আপনারা কেন তার ভার নেবেন বা তার জন্য সহনশীল হবেন? আমি অভিমান বা রাগ - কোন কিছুই করে চলে যাচ্ছিনা। এ আমার রিয়েলাইজেশন এখানে লিখতে এসে। তাছাড়া আমি অনেক ট্রাভেল করি, তো সময় আরো কমে যায় অনেক কিছুর জন্য। আমার জন্য এই ব্লগে লেখার জন্য বাংলা বানান শিখে নতুন করে বাংগালীত্ত জাহির করার জন্য ও চমৎকার মন্তব্য পাবার জন্য এতটা সময় দেয়া খুবই কঠিন।

শুধু আমার একদিনের দিনলিপি শুনুন তবেই বুঝবেন।

ঘুম থেকে উঠি সকাল ৬টায় যখন এখানে ধুম অন্ধকার ! ক্লিফ আর আমি ড্রাইভ করে যাই বুকিতিমা হিলে - ক্লিফ করবে হাইকিং আর আমি ইয়োগা। পৌঁছি সকাল ৬।১৫তে। আমি ইয়োগা আর ক্লিফ হাইকিং শেষ করি সকাল ৭।১৫ তে। বাড়ি ফিরি ৭।৩০ শে। আমি আমাদের দুজনের ব্রেকফাস্ট ও ক্লিফের লান্চ ফিক্স করে কফি বানাই যখন ক্লিফ শাওয়ারে।

কফি খেতে খেতে সকালের নিউজ দেখি দুজন। ক্লিফ কে যেতে হয় অফিসে ৮।৩০শে। আমি ওকে ড্রপ করতে যাই। ওকে ড্রপ করে ড্রাইভ করে আমার অফসে যাই। কাজের তালিকা দেখি। তাতে যোগ করি লান্চ আওয়ারে ৭০ বছরের বৃদ্ধা ন্যানসি ট্যানকে খাওয়াতে যেতে হবে। তাই লান্চের আগে অনেক গুলো প্রমো মক আপ সহ রেডি করতে হবে তবেই ন্যানসি ট্যানকে সময় দিতে পারব।

আমি লান্চে কিছু খাইনা তাই ঝটপট হ্যান্ড ব্যাগটা ছো মেরে সিটবেল্টে নিজেকে বাঁধি। যখন ওল্ড হোমে পৌছি তখন দুপুর সারে ১২টা। ওদের লান্চের টাইম। ঝট পট কার পার্ক থেকে পাহাড় বেয়ে উঠে যাই উপরে। আমাকে দেখে ন্যানসির চোখ খুশিতে চকচক করে ওঠে। - বলুন আপনারা এটা কি অনেক বড় ভাল লাগা নয়? অনেক বড় পাওয়া নয়?

আরো দু একটা কাজ সারতে হয় মাঝে মাঝে যেমন বিল দেয়া, অথবা কোন কিছু কোথাও থাকে পিক আপ করা কাজের জন্য। জ্যাম ভেঙ্গে অফিসে ফিরতে দুপুর ২টা থেকে আড়াইটা।

কাজের চাপে আর সারা পৃথিবী মনে থাকেনা নেক্সট ৪ ঘন্টা। মাঝে মাঝে ক্লিফকে পিক করতে হয় অফিস থেকে এর মাঝে ৫।৩০শে।

সন্ধা ৭টায় পিলাতে ক্লাস। কাজ বেশি থাকলে বাদ, না থাকলে যাই। আমার স্পন্ডেলাইসিস থাকায় এগুলো করতে হয়। ক্লাস শেষে বাড়ি ফিরে ডিনার ফিক্স করি দুজনের জন্য রাত ৮।৪০শে । ১০টায় আবারও কম্পিউটার খুলে বসি কাজ নিয়ে। রাত ১২টায় দু চারটা ইমেল আর কিছু বাংলা ব্লগে চোখ বুলান দেশের কথা জানার জন্য। কিছু আমার নতুন অভিঙ্গতার কথা শেয়ার করতে ইচ্ছে করে সবার সাথে। কিন্তু রাত বেশি হয়ে গেছে, পর দিন সকালে উঠতে হবে। সময় বেশি নেই তড়িঘড়ি করে কিছু লিখি সেইভ করি। ৬ লাইন লিখতেই আমার ১৫ - ২০ মিনিট লাগে। বাংলা টাইপে আমি এখনও স্ট্রাগল করি।

এই হলো আমার ফ্রি সময়ের দিনলিপি। যখন ব্যস্ত থাকি তখন কাজ শুরু করি সকাল ৭টায় আর একটানা কাজ করে শেষ করি রাত ১টা বা ২টা বা কখনও ৩টায় !! এর মাঝে ক্লিফকে ড্রপ করা ও ডিনার রান্নার জন্য কিছুটা সময় আমার ব্যায় করতে হয়। মাঝে মাঝে তাও পারি না, তখন ক্লিফ আমার জন্য রান্না করে আর নিজেই ড্রাইভ করে অফিস যায় আসে। এভাবে কখনও ২/৩ মাস একটানা কাজ করি। তার পরে যখন এক একটা প্রজেক্ট শেষ করি রেস্ট করি কয়েকদিন। কোথাও হয়তো যাই কোন অরফ্যানেজকে ফ্রি সাহায্য করার জন্য মাসখানেকের জন্য বা সপ্তাহের জন্য, আমার শিক্ষা তাদর সাথে শেয়ার করি! এটাই আমার অবসর যাপন। তবে এবার এই মাসের শেষে যাচ্ছি অস্ট্রেলিয়া ২ সপ্তাহের জন্য শুধু বেড়াতে!!!! অনেক দিন পরে আমার ছুটি !!!

তো এখন আপনারা বলুন আমার কি অভিমানও করার সময় আছে? বাংগালী হিসেবে অনেক অন্য কিছু করি যেমন এখানে যারা বাংগালী ব্লু কলার ওয়ার্কাররা কাজ করছেন তাদের জন্য তাদের সমস্যার ব্যপার গুলো বাংলা থেকে ইংরেজীতে ট্রান্সলেশন করে দেই হেল্থা সার্ভিসে দেবার জন্য। এটা আমি ফ্রি ভলান্টিয়ার হিসেবে করি। এরকম আরো কিছু কাজ করি বাংগালীদের সাহায্যার্থে। এই সব অভিঙ্গতা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে ইচ্ছে করে অনেক সময় তাই প্রথম বাংলা ব্লগে লেখা শুরু করেছিলাম। তো এখন বাংলা বানান শিখে সুন্দর একটা লেখা নাই বা দাঁড় করালাম শুদ্ধ বাংলায়!! তাতে আমার দেশের প্রতি ভালবাসা কোন অংশে কম হবে না যা আমি করি বা করার চেষ্টা করি অন্য অনেক কিছু করে যেমন হিমু বলেছেন!! বাংলা শিখে শুদ্ধ বানানে লিখলেই চমৎকার বাং্গালী হওয়া প্রমান করে না।

আমার বানান শেখা হবে না এত দ্রুত, যত দ্রুত আপনারা চান। বাংলাতে যে এখন এত কথা বলতে পারি সেটাতেই আমি অনেক খুশি! আমার বাংলা উচ্চারন যে পরিমানে ভাল তাতেই আমি মহা খুশি হা হা হা। আমার বুকের ভেতর দেশের জন্য ভালবাসায় আকু পাকু করা, বিজয়ের দিনে চোখে পানি চলে আসা, যখন তখন দেশে চলে যাতে ইচ্ছে করা, বাংলাদেশের পতাকা দেখলে খুশিতে হাত তালি দিয়ে চিৎকার করে লাফিয়ে ওঠা, কোন বাংগালী কে সাহায্যের কাঁধ বাড়ানো, দেশের কথা মনে করে বিদেশে কিছু করার চেষ্টা যা আমার দেশকে সন্মান দেবে, বাংগালী হিসেবে গর্ব বোধ করা - এগুলোই আমার দেশের জন্য ভালবাসা ও বাংগালীত্ব। বাংলা বানানে চৌকস হওয়া নয় !!

আমি অভিমানে নয় ব্যস্ততায় চলে যাই। যেখানে মানুষ আমার বানানের চাইতে অভিঙ্গতাকে বেশি প্রাধান্য দেবেন সেখানেই আমার অভিঙ্গতা শেয়ার করা উচিৎ ! সেটা বাংলা বা ইংরেজী বা মিক্স ভাষাতেই হোকনা। ব্লগ তো আর বাংলা বানান শেখার স্কুল নয়।

ভাল থাকবেন সবাই। আপানদের সবার লেখা খুবই চমৎকার এবং আমি সময় পেলেই পড়তে আসব। হাসি

দিশা
_____________________________
যে পাখি আকাশে ওড়ে আকাশ ছোবার ইচ্ছেয়

দিশা
_____________________________
যে পাখি আকাশে ওড়ে আকাশ ছোবার ইচ্ছেয়

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

বুঝছি আপনি উনেক উনেক বিজি ............

সাফি এর ছবি

ওরে কেউ একটু লুল ফেলে যারে

হাসিব এর ছবি

প্রস্তর যুগের বাংলা ব্লগারদের মধ্যে একটা কথা প্রচলিত আছে । কথাটা হৈলো রাগ ইমন সিন্ড্রোম । ঐ পাড়ার বিশিষ্ট ব্লগার রাগ ইমনের নামানুসারে এই সিন্ড্রোমের নাম । এই সিন্ড্রোম থিকা গা বাচায় চলাই ভালো ।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

আপনার অনেক সৌভাগ্য আপনি যত্ন করে লেখা এতগুলো মন্তব্য পেয়েছেন।

আপনি বরং লেখার শুরুতে লিখে দিন: "বানান অথবা ভাষা নিয়ে সমালোচনা কাম্য নয়"। ব্যাস, আর কেউ সমালোচনা করবেনা।

সচলায়তন সবার সঙ্গে ঠিক মেশেনা। সচলায়তনের চামড়াকে অণুজীববিজ্ঞানের ভায়ায় বলা যায় "সিলেক্টিভলি পারমিয়েবল"। আপনার সঙ্গে না মিললে বিদায় নেয়াই ভালো।

____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

কনফুসিয়াস এর ছবি

দিশা,
বাংলা বানান এবং সমাজসেবামূলক কাজ- এই দুটোকে আপনি প্রতিদ্বন্ধী বানিয়ে ফেললেন কেন বুঝলাম না। যখন সেটা করছেন, সেটা সুন্দর ভাবে করাটাই তো ভাল, তাই না? আপনি যখন ওল্ড হোমে গিয়ে কোন বৃদ্ধাকে লাঞ্চ খাওয়াচ্ছেন, নিশ্চয়ই চামচে করে তার মুখে খাবার ঠেসে দিচ্ছেন না, খেয়াল রাখছেন মানুষটার যেন দম আটকে না যায়। কোন এতিম শিশুকে যখন অক্ষরজ্ঞান শিক্ষা দিচ্ছেন, নিশ্চয়ই হাতের লেখা যেন সবচেয়ে সুন্দর থাকে, সেটাই চাইছেন, আবোল তাবোল কাকের ঠ্যাং বকের ঠ্যাং লিখতে শেখাচ্ছেন না।

ব্লগের ব্যাপারটাও তাই। এখানে যারাই লিখেন, আমরা পাঠকেরা সবার কথাই শুনতে উদগ্রীব। কিন্তু শুনতে গিয়ে যদি ভুল বানানে হোঁচট খেতে হয় বারেবারে, তাহলে শোনার মজাটাও থাকে না, লেখার ভুল অর্থ করে ফেলারও একটা আশংকা থাকে।

এখানে যারাই আপনার বানানে ভুল ধরিয়ে দিচ্ছে, তারা আপনার অভিজ্ঞতা আরও ভালমতন শুনবার খাতিরেই এমনটা করছে। কিন্তু আপনার মন্তব্যে তাদের প্রতি কেবলই কটাক্ষ দেখলাম, এটা ভাল লাগলো না।

আপনি বারংবার বলতে চাইলেন, বাংলা বানান শেখা বাদেও অনেক জরুরি কাজ আছে আপনার। এখানে যতজন সচল লিখেন, তাদের কতজনকে জানেন আপনি? অন্য কেউ যে আপনার চেয়েও জরুরি কাজ করে না, এতিমখানা কিংবা ওল্ড হোমে সময় দিয়েও শুদ্ধ বাংলায় লিখছে না, এতটা নিশ্চিত কী করে হলেন?

আপনি লিখেছেন, বাংলা শিখে শুদ্ধ বাংলায় লিখলেই চমৎকার বাঙালী, এমনটা প্রমাণটা করে না। কথা ঠিক, তবে শুদ্ধ বাংলায় লেখাটা চমৎকার বাঙালী হওয়ার দিকে একটা গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, এটা অবশ্যই জেনে রাখবেন।

আবারও আগের কথায় ফিরে যাই। বাংলা বানান আর আপনার সমাজসেবা, এরা প্রতিদ্ধন্ধী নয়, এদের পাশাপাশি চলায় কোনই বাঁধা নেই।

ভাল থাকবেন। বাঙালী, বাংলা ব্লগ, সর্বোপরি বাংলা বানান নিয়ে আপনার জ্ঞান আরও সমৃদ্ধ হোক, এই প্রত্যাশা রইলো। শুভেচ্ছা।
-----------------------------------
আমার জানলা দিয়ে একটু খানি আকাশ দেখা যায়-

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

দ্রোহী এর ছবি

খুদাপেজ।

দৃশা এর ছবি

ভুল না হয়ে থাকলে সচলায়তনে আপনার লেখার শুরু চলতি মাসের ১১ তারিখ থেকে (আগেও লিখে থাকলে হিসাবের গন্ডগোলের জন্য দুঃখিত) 'জানার কোন শেষ নাই জানার চেষ্টা বৃথা তাই' পোস্টটি দিয়ে। পোষ্ট পড়ে বুঝলাম আপনে বেশ কর্মঠ নারী, অনেক গুনের অধিকারী! ভেবে বেশ ভাল লাগছিল। কিন্তু পরবর্তী ২ টি পোস্টে করা পাঠকদের মন্তব্য আর আপনার পালটা মন্তব্য দেখে গল্পটা আর পড়ে দেখার ইচ্ছে হলো না। কারণ ৭৫% ভাগ করা আপনার প্রতিমন্তব্যেই ঘুরে ফিরে দেখলাম আপনি কতটা ব্যস্ত সেটা অন্যদের বোঝানোর চেষ্টা করছেন, এবং কেন এটা কেউ না বুঝে অযথা সমালোচনা করছেন তাতে যথেষ্ট বিরক্ত। আপনার ধারণামতে যারা সময় করে আপনার লেখায় মন্তব্য করছেন বা পড়ছেন তাদের হাতে অফুরান সময়? কেউ কি এমন মন্তব্য করেছে যে 'আমি একদমই সময় পাই না,অমুক কাজ তমুক সমাজসেবা করার পর যেই সামান্য সময়টুকু পেয়েছি তার মাঝেই এসে আপনার লেখায় ছোঁ মেরে মন্তব্য করে গেলাম, এতো ভুলে ভরা এটা কি গল্প লিখলেন'? যদি বলে থাকতো তবে বার বার একই কথা শুনতে কি আপনার ভাল লাগতো? খেয়াল করে দেখুন আপনে খারাপ লিখেন কেউই বলেনি, বরং প্রশংসাই করতে দেখলাম। আপনার লেখালেখি করার পেছনের কারণটি সত্যিকার অর্থেই বেশ ভাল, কিন্তু অ্যাপ্রোচটা বেশ হাস্যকর। বানান কার না ভুল হয়, আমিতো আদ্যপান্ত বাংলা মিডিয়ামে পড়ে আসা একজন তাও কি অসহ্য রকম বানান ভুল করি। এখানে আমার জানা মতে সবাই খুশি মনেই এর ওর বানান ঠিক করে দিয়ে থাকেন কেউ কাউকে ছোট না করেই। কারো লেখায় যদি কোন খামতি থেকে যায় কিংবা কেউ যদি বুঝতে ভুল করে থাকে কারো লেখার কোন কিছু তবে বেশ স্বাভাবিক ভাবেই একে অপরের সাথে মন্তব্য বিনিময় করে বুঝে নেন, ভুল থাকলে তা শুধরেও নেন। আপনাকেই দেখলাম এতোটা কটাক্ষ করে উত্তর দিতে। সমালোচনা করাটাকে যদি আপনার কাছে অসহনশীলতার নমুনা মনে হয়, তবে বাঙ্গালীদের( আমি, আমরা, এমনকি আপনিও) অসহনশীল বলার আগে নিজে কিছুটা সহনশীল হতে শিখুন। এটা একটা অনুরোধ। আপনে যেহেতু সবকিছুই নিজে নিজেই ঠেকে শিখে মানুষ এবং সেটাই পছন্দ করেন, তবে নিশ্চয় এটাও জানেন যে কারো জন্যই (না আমার না আপনার) কোন কিছুই থেমে থাকে না। তাই এরকম বিদায়ী ফুটনোট কিংবা অন্য জায়গায় লিখে এরপর এখানে তার ঠিকানা দিয়ে যাবেন এধরণের কথা বলার কি আদৌপে কোন প্রয়োজন ছিল?

যেখানেই থাকুন ভাল থাকুন। আগে নিজে সহনশীল হয়ে উঠুন, বাঙ্গালীরাও তখন আপনার প্রতি সহনশীল আচরণ দেখাবেন। এএএএনশাল্লাহহহ !

দৃশা

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।