[justify]মে মাসের এক সকালে আমার ল্যাবে হটাৎ প্রফেসর এসে হাজির, সকালের এ সময়টাতে তিনি সাধারণত পদধূলি দেন না। আজ এসেছেন নিজের কোন কাজে হয়তো, হাতে একখানা খাম। সেটি হাতে নিয়েই আমার দিকে এসে খামটি আমার দিকে বাড়িয়ে বললেন তোমার নামে একটি চিঠি পেলাম মেইলবক্সে আমার চিঠি চেক করবার সময়ে। ডিপার্টমেন্টের গবেষণা সহকারী হওয়ায় আমার প্রফেসরদ
ফেব্রুয়ারি মাসের এক তারিখেই আমরা উঠে যাই আসলাম ভাইয়ের সেই ছেড়ে যাওয়া বাড়িতে। এই বাড়িটি ফুল ফার্নিস্ড। তবে তাই বলে ভাবার কারণ নেই যে বাড়িটি ভর্তি আধুনিক সব আসবাব। পুরনো আমলের সোফা, রং চটা কার্পেট, খাট, ড্রেসিং টেবিল এই নিয়ে তিন রুমের ফ্ল্যাট। তৃতীয় রুমটি এক চিলতে, সেটিকে ভাড়ার ঘর বিসেবেই সাধারণত ব্যবহার করা হয়। এছাড়া আছে আসলাম ভাইয়ের রেখে যাওয়া বেশ কিছু জিনিশ, যার ভেতরে একখানা ছোট টেলিভিশনও আছে। এই
[justify]বাড়িওয়ালার নাম কেইন, ছ ফুটের উপর লম্বা, টিকালো নাক, মাথার চুলে পাক ধরলেও শরীরের বাঁধন এখনও মজবুত। ষাটোর্ধ এই বৃদ্ধ হলেন মার্কিন মুল্লুকে আমার প্রথম বাড়িওয়ালা। কেইনই সর্বপ্রথম কোন মার্কিনী যার সাথে আমার এ দেশে আসবার পরে পরিচয় হয়। সে অর্থে মার্কিনীদের সম্বন্ধে একটা প্রাথমিক ধারণা গড়ে তুলতেও কেইন আমাকে সাহায্য করে। আমি এদেশে আসবার আগে শুনেছিলাম এ দেশটি নাকি চলে ‘ফেলো কড়ি মাখো তেল’ নিয়মে। কিন
রাত সাড়ে নয়টা বাজে। আমি খালিশপুরের কোন এক কানাগলিতে চায়ের দোকানের চিপায় লুকিয়ে আছি। এই জায়গাটা রাতের বেলা এমনিতেই খুব নির্জন এবং বিপজ্জনক। আমি লুকিয়ে আছি রাফসানের আব্বাকে ধরতে। মাসের ২০ তারিখ; বেতন পাইনি। খুব খারাপ অবস্থা। চায়ের দোকানী লিটন ভাই খুব কাছের মানুষ। কাছের মানুষ গুরুত্বপুর্ণ কথা সবার সামনে বলেন না। উনিও বাঁকির খাতায় অংক বেড়ে যাবার কথা সবার সামনে বলেন না। তবে যেহেতু সবার সামনে বলেন না তা
বেশ ভালই দিন চলে যাচ্ছিল। সকালে ঘুম থেকে উঠে বাবাকে নিয়ে বাজারে যাই, বাবাকে চায়ের দোকানে বসায় রেখে আমার ঘুরাঘুরি শুরু হয়ে যায়। ৩০/৪০ মিনিট পর পর এসে দেখে যাই বাবা অন্য কোথাও যাবে কি না অথবা কোন কিছু লাগবে কি না?
প্রত্যাবর্তন
শাহেদের আজকে বড়ই আনন্দের দিন। জীবনের প্রথম formal shirt pant shoe পরে অফিসে যাচ্ছে সে। পাশ করার পর যখন সবার মধ্যে ভালো বেতনের চাকরি পাওয়ার অদৃশ্য অসুস্থ প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছিল, সেই দলে অন্যন্যদের মত সেও ছিল। engineer wanted লেখা দেখলেই সাথে সাথে cv দিয়ে আসতে কখনও-ই ভুল করতনা সে। সময়ের সাথে সাথে “ভালো বেতন” বিশেষণ টি উঠে গিয়ে শুধু যেকোনো একটি “চাকরি” পাবার বাসনাই মুখ্য হয়ে উঠেছি ...