এগারো
ডেল্টা, ল্যাম্বডা, মিউ
সব করি পার,
হাতে থাকে করোনা।
বারো
উপরে আছেন বুবু,
জ্বলেপুড়ে সংখ্যালঘু;
ভরসা রাখুন নৌকায়।
তেরো
ফখা ইবনে চখা শুধায়,
'ফাহামবাগ, তুমি কুথায়?'
ডিবেটার কহে, 'আব্বা, কেবলই পায়খানা হয়ে যায়।'
চৌদ্দ
আলাল ও দুলাল;
তাদের আম্মা গুলাবী মেম,
কাশিমপুরে প্যাডেল মেরে পৌঁছে বাড়ি।
পনের
হবু রাজার গবু মন্ত্রী
নাম তার ওকা;
পাঁচ
বাংলাদেশের করোনা রোগী
যেন শ্রোডিঙ্গারের বিড়াল;
অজানা রোগে লোক মরে বেশুমার।
ছয়
ছয় ফুট সামাজিক দূরত্ব
রাখি মানবদেহে; মনে মনে
ব্যবধান যোজন যোজন।
সাত
পৃথিবী বদলে দেয়া বড়ই সোজা!
কে ভেবেছিলো একদিন,
বাদুড়ের স্যুপ, বনরুই খেলে হবে এত মজা?
আট
পাপ বাপকেও ছাড়েনা
প্রকৃতিও নেয় প্রতিশোধ,
ধেয়ে আসে করোনা।
নয়
২০২০;
আকাশে বাতাসে বিষ।
এক
বাতাসে ভাসে প্রেম,
আর ভাসে করোনা;
হাত ধুতে ভুলো না।
দুই
বেড়াতে গিয়ে ইতালি;
সাঙ্গ হলো মিতালী,
করোনার কবলে।
তিন
মুখ ঢেকে যায়
মুখোশের আড়ালে,
করোনার ছলে।
চার
উহান হতে আসে,
মজুদদার হাসে,
এন্টার্কটিক হুজুরের পোয়াবারো।
বাইকুজ্বর ও তার আরোগ্যার্থ প্রেসক্রিপশন
হাইকু, বাংলায় যাকে বলা যায় ক্রীড়মান পদ্য, জাপানের এক বিশেষায়িত কাব্যআঙ্গিক। আকৃতির দিক থেকে জানাশোনার মধ্যে এটিই পৃথিবীর সর্বাপেক্ষা ছোটো কবিতা। উনিশ শতকের শেষদিকে হক্কু নামে সমধিক পরিচিত এই কাব্যআঙ্গিকের হাইকু নামটি দেন জাপানি লেখক মাসাউকা শিকি (১৮৬৭-১৯০২)। প্রথাগতভাবে একটি উ ...