ইলেক্ট্রনিক মাধ্যমে বিজ্ঞাপন চিত্র, অনুষ্ঠান উপস্থাপনা, খবরসহ সকল অনুষ্ঠানে বাংলা ব্যবহারের স্পষ্ট নির্দেশনা থাকা উচিত। এক শ্রেণির উপস্থাপক অযথাই বাংলা-ইংরেজি চটকিয়ে এমন এক অদ্ভূতুড়ে ভাষার জন্ম দেন যা রীতিমত কানের জন্য ক্ষতিকর। বাংলাভাষা থেকে ‘র’ উঠে যাবার অবস্থা হয়েছে ‘ড়’ এর তোড়জোরে। বিশেষ করুণ হাল হয়েছে ‘ফ’ এবং ‘ছ’ এর। আর শব্দের ও বাক্যের মধ্যে বিরতি, টান বা স্বরের ওঠানামা অর্থতত্ত্বের সকল বিধিব
ভাষা একদিনে জন্মায় না। বাংলা ভাষার জন্মও একদিনে হয়নি। মানুষের মুখে মুখে ধ্বনি বদলে যায়। শব্দ তো ধ্বনি দিয়ে আঁটিবাঁধা মালার মতন। সেও তাই বদলে যায় ধীরে ধীরে। একই সাথে বদলায় তার অর্থও। অনেক দিন পার হয়ে গেলে মনে হয় ভাষাটি একটি নতুন ভাষা হয়ে উঠেছে। বাংলা ভাষার আগেও এদেশে ভাষা ছিল। অধিকাংশ বিশেষজ্ঞের মতে, খ্রিষ্টীয় দশম শতকের কাছাকাছি সময়ে বাংলা ভাষার উদ্ভব হয়। কেউ কেউ অবশ্য ধারণা করেন খ্রিষ্টীয় সপ্তম শতক থেকেই এ ভাষার অস্তিত্ব ছিল। এসব হিসেব থেকে একটি বিষয় পরিষ্কার যে, বাংলা ভাষার পথ পরিক্রমা কমপক্ষে হাজার বছরের। কিন্তু অবিশ্বাস্য শোনালেও এটাই সত্যি যে, বাংলা ভাষার ব্যাকরণ এখনও তৈরিই হয়নি!
[i]