Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

বানানায়তন

বানানায়তন- ১৮ | আস্ত-ত বনাম খণ্ড-ত |

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ২৬/০৯/২০১১ - ৯:৩৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]ভাগ্যিস বাংলায় একটি খণ্ড-ত (ৎ = হসন্ত ত) আছে, তাই এই বর্ণযুক্ত শব্দের উচ্চারণে ভুল হয় খুবই কম। অর্থাৎ 'কুৎসিত'-কে আমরা 'কুৎ-সিত'-ই উচ্চারণ করি, 'কু-তসিত' নয়। তবে প্রায়ই উল্টো ফ্যাকড়া বাঁধে যখন 'ত'-য়ের বদলে 'ৎ' লিখে ফেলি। বলার অপেক্ষা রাখে না, বাংলায় অন্ত্য অ-কারের উচ্চারণ না থাকাতেই এই অনাসৃষ্টি। যেমন, উচিত, কুৎসিত ইত্যাদি শব্দে ত-য়ের উচ্চারণ হসন্ত ত-য়ের মতো। ফলে হরহামেশাই এ-জাতীয় শব্দে [


উ-কার বনাম ঊ-কার

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ২৪/০৫/২০১১ - ১১:৪৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]"আমার মত অনভিজ্ঞ ও নতুন পোড়োদের পক্ষ থেকে পণ্ডিতদের কাছে আমি এই আবেদন করে থাকি যে, ব্যাকরণ বাঁচিয়ে যেখানেই বানান সরল করা সম্ভব হয় সেখানে সেটা করাই কর্তব্য তাতে জীবে দয়ার প্রমাণ হয়।" –রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

দুর/দূর, কুজন/কূজন, কুল/কূল, পুত/পূত, পুর/পূর, সুতি/সূতি, অনুপ/অনূপ, অনুদিত/অনূদিত, কুট/কূট, ধুম/ধূম, আহুতি/আহূতি–ইত্যাদি অজস্র শব্দের উচ্চারণই অভিন্ন, তবু বানানের তারতম্যের কারণে অর্থ আলাদা হয়ে যেতে দেখা যায়। বাংলায় নাকি উ-কার (‍ ‍ু) ব্যবহার হয় হাজারে ১৭টা আর ঊ-কার ( ‍ূ) হাজারে মাত্রই ১টা। তাই 'উ' ব্যবহারকে ঊন বলা না-গেলেও 'ঊ' ব্যবহার কিন্তু সত্যিই


বানানায়তন- ১৬ | স্পেস নিয়ে ভাবনা / আর না আর না |

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ২০/০৫/২০১১ - ৯:০০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]শব্দের সুতোয় গাথা এক একটি বাক্য, আমরা তাকে বলি ভাষা। একটা বাক্য মানে কি কেবলই কিছু শব্দের সমাহার?—না। কারণ, বাক্য তৈরি হয় শব্দ সাজিয়ে। শব্দগুলো এলোপাতাড়িভাবে বসে না; বসলে অর্থ বোঝা যায় না, আর অর্থ না-বুঝলে বাক্যও হয় না। অর্থাৎ একটি বাক্য হলো কিছু শব্দের সারি এবং সেই সারিতে কার পাশে কে বসবে তার নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে শব্দগুলোকে পরপর বসতে হবে।

পাদটীকা

  • ১. হায়াৎ মামুদ (বাংলা লেখার নিয়মকানুন, পৃ.


বিনির্মাণের ভাষা, বাংলা ব্যাকরণের ভিন্নপাঠ

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ০৭/০২/২০১১ - ১:৪৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ডিসক্লেইমার : লেখাটাতে কাউন্টার ন্যারেটিভ কিছু গুঁজে দেওয়া হয়নি। ভাষা বা ব্যাকরণের সংজ্ঞা রি-কন্সট্রাকশনের প্রচেষ্টাও এতে যৌক্তিকভাবেই অনুপস্থিত। তাই, খুব খেয়াল কৈরা! খাইছে


বাংলা ভাষা এল কোথায় থেকে

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ২৬/০১/২০১১ - ১:২৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সংস্কৃত না পালি—ভারতের সবচেয়ে পুরোনো ভাষা কোনটি তা নিয়ে সুদীর্ঘকাল ধরেই বিতর্ক চলেছে। তবে সে বিতর্ককে পাশ কাটিয়েও বলা যায়, সংস্কৃত গ্রিকের চেয়ে বেশি নিখুঁত, ল্যাটিনের চেয়ে বেশি গভীর, এবং এ দুটো ভাষার তুলনায় অনেক বেশি নিপুণতার সাথে সংস্কারকৃত, যদিও তাদের উভয়ের সাথেই সংস্কৃতের যথেষ্ট পরিমাণে সাদৃশ্য রয়েছে। ক্রিয়াপদের মূল এবং ব্যাকরণগত গঠনপ্রণালীর দিক থেকে এ তিনটি ভাষায় এত বেশি মিল যে, ভাষাগুলোর উৎপত্তি যে একই উৎসমূল থেকে হয়েছে সে বিষয়ে সন্দেহের কোনো অবকাশই নেই। সেই অজ্ঞাত মূল সূত্রটি অবশ্য চিরতরে কালের গর্ভে হারিয়ে গেছে।


বাংলা ভাষায় বাঙালিয়ানা কতটুকু?

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ১৯/০১/২০১১ - ৮:৩০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বাংলা ভাষা মানুষ বা তরুর মত জন্ম নেয়নি, কোন কল্পিত স্বর্গ থেকেও আসেনি।—হুমায়ুন আজাদ

গবেষকদের মতে বর্তমান পৃথিবীতে প্রায় সাত হাজার ভাষা প্রচলিত আছে। অবশ্য সব ভাষার লিপি নেই। আবার লিপি আছে, কিন্তু কিছু ভাষাকে মাতৃভাষা হিসেবে ব্যবহারের মানুষ নেই। যেমন, লাতিন ও সংস্কৃত ভাষা। আর পৃথিবীতে প্রচলিত প্রধান ভাষাগুলোর একটি সম্পর্ক লক্ষ করে ভাষাবিজ্ঞানীরা এদের পরিবারভুক্ত করেছেন। এই ধারায় আমাদের বাংলাসহ গ্রিক, ল্যাটিন, ইংরেজি, হিন্দি, ফারসি, ফরাসি, ডাচ, নেপালি ইত্যাদি ভাষা হচ্ছে ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাবংশের অন্তর্ভুক্ত। [১]


বাংলা ভাষার ব্যাকরণ কবে তৈরি হবে?

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ০৮/০১/২০১১ - ৯:১৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ভাষা একদিনে জন্মায় না। বাংলা ভাষার জন্মও একদিনে হয়নি। মানুষের মুখে মুখে ধ্বনি বদলে যায়। শব্দ তো ধ্বনি দিয়ে আঁটিবাঁধা মালার মতন। সেও তাই বদলে যায় ধীরে ধীরে। একই সাথে বদলায় তার অর্থও। অনেক দিন পার হয়ে গেলে মনে হয় ভাষাটি একটি নতুন ভাষা হয়ে উঠেছে। বাংলা ভাষার আগেও এদেশে ভাষা ছিল। অধিকাংশ বিশেষজ্ঞের মতে, খ্রিষ্টীয় দশম শতকের কাছাকাছি সময়ে বাংলা ভাষার উদ্ভব হয়। কেউ কেউ অবশ্য ধারণা করেন খ্রিষ্টীয় সপ্তম শতক থেকেই এ ভাষার অস্তিত্ব ছিল। এসব হিসেব থেকে একটি বিষয় পরিষ্কার যে, বাংলা ভাষার পথ পরিক্রমা কমপক্ষে হাজার বছরের। কিন্তু অবিশ্বাস্য শোনালেও এটাই সত্যি যে, বাংলা ভাষার ব্যাকরণ এখনও তৈরিই হয়নি!
[i]


বানানায়তন- ১১ | সংস্কৃত বানানরীতি বনাম বাংলা বানানরীতি |

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ২১/১২/২০১০ - ১০:৪১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

“উচ্চারণ যেন ঠিক নদীর বহমান জলের মতো, প্রতি মুহূর্তে তার দিকপরিবর্তন হচ্ছে, কিন্তু বানান থাকে পাথরে খোদাই, তাকে মোছা কঠিন। লিখন ও মুদ্রণ প্রক্রিয়াই বানানের অজরত্ব এনে দেয়। বানানের কোনো পরিবর্তন দেখলেই তাই আমরা গোঁড়া হয়ে পড়ি। আরে এই ফটো তো সেই লোকের (শব্দের) নয়, একে মানি না। কানের ভিতর দিয়া যা মরমে পশে, তার চেয়ে চোখের ভিতর দিয়ে যা মগজে পৌঁছায় তার ওজন বেশি, সে খাঁটিকে ধমক দেয়, তুমি যা- ...


বানানায়তন- ১০ | কখন কি লিখব, কখন কী লিখব |

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ০৩/১২/২০১০ - ১০:৩৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

... বানান ব্যক্তির সম্পত্তি নয়, তাই তা ব্যক্তির ইচ্ছাধীন ভৃত্যও নয়; বানান ভাষার সম্পত্তি, ব্যাকরণের নিয়ন্ত্রণাধীন। এই অধিকারের সীমানা সম্পর্কে ঔচিত্যজ্ঞান থাকলে বানানের ক্ষেত্রে নিয়মনিষ্ঠা প্রতিষ্ঠা করা যাবে, নইলে নয়। –হায়াৎ মামুদ

অর্থভেদে অভিন্ন বানানকে কার-এর সাহায্যে ভিন্ন বানান করার প্রবণতা প্রথম শুরু হয়েছিল রবীন্দ্রনাথের মাধ্যমে। তিনিই প্রথম কি শব্দের ভিন্ন ভিন্ন ...


বানানায়তন- ৯ | ব-য় শূন্য 'র' বনাম ড-য় শূন্য 'ড়'|

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৫/১১/২০১০ - ৪:৩৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমরা যে ধ্বনি উচ্চারণ করতে পারি না তা শুনতেও পাই না। যদি বা শুনি, ভুল শুনি। বাংলাদেশের বেশ কিছু আঞ্চলিক ভাষাতে ড় ধ্বনি নেই কিংবা প্রায় নেই। অনেকেই তাই এই ধ্বনি দুটিকে ভিন্নভাবে উচ্চারণ করেন না। এঁদের উচ্চারণে পড়া/পরা, কড়া/করা একই রকম শোনায় (জোড়ার দ্বিতীয় শব্দটির মতো)। এদিকে আড়জেরাই বা কম কিসে? তাঁদের উচ্চারণেও পড়া/পরা, কড়া/করা একই রকম শোনায়। তফাৎ শুধু এই যে, এঁরা উচ্চারণ করেন ...