আমাদের যা নেই
তাই নিয়ে ডেকে গেল একটা লাজুক ঘুঘু
তার ডাকের ভেতর তৈরি হয়েছিলো কতগুলো মহাকাব্য?
দৃশ্যের ভেতর যা নেই
তার ইতিহাস তৈরি হয় অচিন অক্ষরে
আমরা নই সেই ভূবনের বাসিন্দা
একপুকুর ভর্তি টলটলে জল পেছনে আর সামনে একটা মসজিদ। ঠিক কত বছর পর নামাজ পড়বো আজ, তাই গুনে বের করার চেষ্টা করছিলাম। খুব বেশিক্ষণ অপেক্ষায় থাকিনি , তারপরই দেখলাম তুমি হেঁটে আসছো। ঐটুক পথ হেটে আসতে তোমাকে এত ক্লান্ত দেখাচ্ছিল যে, আমি সযত্নে জমিয়ে রাখা সব অভিমান মুহুর্তেই ভুলে গেলাম। প্রবল অসহায়ত্ব ভর করলো বরং। একটা ব্লটিং পেপার হয়ে জন্ম নিলেও তোমার দুঃখগুলোকে সুনিপুণ শুষে নিতে পারতাম। অথচ অবলা আর ব্যর্
কে যেন জড়িয়ে ধরলো শক্ত করে। চিনি কি তাকে ? নাতো। বিজয়ের আনন্দ কি আপন পর ভেদাভেদ ভুলিয়ে দেয় ? আলিঙ্গন যন্ত্রণা থেকে মুক্ত হতেই ভুভুজেলার আওয়াজে কান ঝালাপালা। আর ঢাকের শব্দে উন্মাতাল জনসমুদ্র। "আমরা জিতে গেছি ভাই।" কান ফাটিয়ে চিল্লায় পাশের জন। জানি তো। এতক্ষনতো পাশে বসেই খেলা দেখলাম। মানুষকি পাগল হয়ে গেছে? এরাই কি সেই জনতা যারা পুরা দলকে একসাথে গালাগালি করেছে বিপর্যস্ত হতাশায়?
Rimbaud এর a season in hell বইটি নরকের ঋতু নামে অনুবাদ করতে শুরু করেছিলাম। শিরোনাম "নরকের ঋতু" বদলে "নরকে পরম ঋতু" করলাম।
Une Saison en Enfer: Délires II: Alchimie du Verbe শিরোনামের ৫ম অধ্যায়টির প্রথম অংশ অনুবাদ করলাম। A. S. Kline এর ইংরেজি অনুবাদ থেকে বাংলায় অনুবাদ করা হল।
ভাগ্যবান যে আমার শৈশব মনোরম নয়, চমত্কার কিংবা বীরভোগ্যা নয়-যা লিখে রাখা যেতে পারে স্বর্ণালী পাতায়। কিন্তু কি ভূলে? কি পাপে আমি উন্নীত হলাম বর্তমান দূর্বলতায়। যারা ভাবে কেবল বিষাদে কাঁদে প্রাণ, ভাবে দূদর্শা মানেই অসুস্থতা, আর মৃতরাও মুক্ত নয় দুঃস্বপ্ন থেকে, তারা চাইলে পুনঃবিবেচনা করতে পারেন আমার এই অধঃপতন আর অলসতাকে। আমি নিজেকে এক অবিরাম ভিখিরি'র বেশি কিছুই ভাবি না। হে পিতা, আর ...
এটি une saison en enfar এর শেষ বা সপ্তম অধ্যায়। এই অধ্যায়ের শিরোনাম adeu। ধারাবাহিকভাবে দেয়া গেল না বলে দুঃখিত।
_________________________
বিদায়
শরত্ চলে এল। তবে কেন আক্ষেপ অনন্ত গ্রীষ্মের , যদি আমরা মগ্ন থাকি সেই মহিমান্বিত আলোর উদ্ভাবনে -নশ্বর লোকালয়গুলো থেকে যা দূরবর্তী।
শরত্! স্থির কুয়াশা ভেদ করে ছুটে চলেছে আমাদের জাহাজ, গন্তব্য দারিদ্র্যের বন্দর-সেই বিকট শহর যার আকাশ রাঙানো থাকে আগুন আর কাঁদায়। আহ ...
নরকের ঋতু (une saison en enfer) প্রথম লিখিত ও প্রকাশিত হয় ১৮৭৩ সালে। আর্তুর রেবুর তখন ১৯ বছর বয়স। ভার্লিনের সঙ্গে দুই বছরের উদ্দাম প্রেম ভয়াবহ বাজে অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে শেষ হয়েছে মাত্র আর নতুন ভাবে প্রেমে পড়েছেন আফিমের। ভার্লিনের সাথে কাটানো সময় আর আফিম দু'টি ঘটনাই মারাত্বকভাবে প্রভাবিত করেছে এই বইটিকে । ছোট বড় নানা আকৃতির মোট নয়টি অধ্যায়ে সম্পূর্ণ করেছেন একটি কবিতা। তার পরের শিল্পী বিশেষ ...
আরো দুর্বোধ্য হবে
পাঠ অযোগ্য সময়ের রেখা
নিরবতাকে সরলীকরন ভেবে
মানবিকীকরন করবে পাদটীকা
যদিও আমি এসব কিছুরই উর্ধে
শূন্যে ভাসাই শূন্যতার'ই গান
তথাপী এই ধূলোনিবিড় মর্ত্যে
যে কেউ ঘাটুক গীতা -পুরাণ-কোরান
তাতে আমার কি আসে যায় বল
ভাবতে ভাবতে যার ইচ্ছা চুল পাকাক
কেউবা বলুক জাতের মেয়ে ভাল
যার খুশি সে ঘাড় উচিয়ে তাকাক
আমি বরং আনমনেতেই থাকি
বনের বাঘ মনেতে না আসুক
হিসাব কিছু থাকুক না ...