“কীর্তনখোলায় পূর্ণিমা দেখবেন নাকি স্যার? জোস লাগে কিন্তু।“
যে বান্দরবন দেখে নি, সে বাংলাদেশটাই দেখে নি।
এখন সে কতো রাত;
এখন অনেক লোক দেশ-মহাদেশের সব নগরীর গুঞ্জরণ হ'তে
ঘুমের ভিতরে গিয়ে ছুটি চায়।
পরস্পরের পাশে নগরীর ঘ্রাণের মতন
নগরী ছড়ায়ে আছে।
কোনো ঘুম নিঃসাড় মৃত্যুর নামান্তর।
অনেকেরই ঘুম
জেগে থাকা।
নগরীর রাত্রি কোনো হৃদয়ের প্রেয়সীর মতো হ'তে গিয়ে
নটীরও মতন তবু নয়;-
প্রেম নেই- প্রেমব্যসনেরও দিন শেষ হ'য়ে গেছে;
“মোহনা কাকে বলে জানিস?”
“স্যার, আমার খালাত বোনের নাম মোহনা। খুব ভাল ছাত্রী। সারা রাত জেগে পড়াশোনা করে দেখে আম্মা আমাকে ঝাড়ি দেয় কেন তাঁর মত রাত জেগে পড়াশোনা করি না।“
“চুপ থাক ফাজিল কোথাকার। আমি কি এই মোহনার কথা জানতে চেয়েছি?”
“এই রূপক ভাই, উঠেন। আরে মিয়া উঠেন না। যমুন সেতু চইলা আইসে তো।“
ক্রমাগত ধাক্কাধাক্কিতে যথেষ্ট বিরক্তি নিয়ে চোখ খুললাম। কিন্তু কিছু বলতেও পারলাম না। বেচারা এই প্রথম এত কাছ থেকে যমুনা সেতু দেখছে, ওর উৎসাহে পানি ঢেলে দেওয়ার তো কোন মানে হয় না।