দূরে একপাল ছৈঅলা নৌকা দেখা যায়। এই মাঝিদের কাছে অনুরোধ করলাম যেন তারা আমাদের ছৈঅলা নৌকার কাছে পৌঁছে দেয়। আকাশে মেঘের ঘনঘটা। ছৈঅলা নৌকায় ঘোরাই নিরাপদ। কিন্তু এই চাচারাও চটে মটে জবাব দিলেন, ওগুলো নাকি বেদে নৌকার বহর। ওরা আমাদের নেবে না।
বেদে নৌকা! অবাক হলাম। বেদেদের দেখেছি বহুবার। হাটে-বাজারে সাপ খেলা দেখিয়ে বেড়ায় কিন্তু বেদে নৌকার এমন বহর দেখিনি কখনও। ঢাকায়ও বেদেদের চোখে পড়ে আজও, কিন্তু এরা এখনও নৌকায় বাস করে এ ধারণা ছিল না। এখন ওই বেদেপল্লীই আড়িয়ল বিলের মূল আকর্ষণে পরিণত হল
রোজার মাসটা কোনো ছুটি ছাড়া টানা অফিস করে একটা কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলাম আর তা হলো এবার ঈদের ছুটিতে অবশ্যই কোথাও যাবো। ক্যাম্রার অবস্থা ভালোনা, তার মধ্যে রোয়েনা বর্তমানে ক্যাম্রাহীনতায় ভুগছে, তারপরও এই সঙ্কল্প থেকে এক চুলও টলবোনা বলে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হলাম। কিন্তু শালার, যাবোটা কোথায়? ঈদের পর তো বাংলাদেশের ঘুরাঘুরি করার মতো সর্ব অঞ্চলে মানুষের ভীড়ে টেকা দায় হয়ে যায় ... তবে ... তবে ... আমাদের কি আর কোথাও যাওয়া হবে না? পরিস্থিতি যখন এতটাই ঘোলাটে ঠিক তখন প্রমিথিউসের মতো এক খাবলা আগুন হাতে আসমান থেকে নেমে এলো ‘কাউয়া’। কা ... কা ... রবে জানান দিলো যে এবার ঈদের পর বিক্রমপুর যেতে নাকি কোনো বাধা নেই। কারন, আবুইল্লা বা ফারুইক্কা কেউ ‘এই ঈদে কম কম বিক্রমপুর যান, জীবন উন্নত হবে’ টাইপ বক্তব্য দেননি। সুতরাং আমাদের সামনে সম্ভাবনার সমস্ত দুয়ার চিচিং ফাক করে খুলে গেলো।
সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, বিগত ২৩ ডিসেম্বর # আমি, # রোয়েনা, # আশরাফ (নির্জন স্বাক্ষর) ও # আবীর - আমরা এই তিন আদম সন্তান গেলাম বিক্রমপুর জয়ের উদ্দেশ্যে। যদিও আশরাফের এক চাচাত ভাইয়ের 'পাক্কা মুসলিম' হবার অনুষ্ঠানের দাওয়াত ছিলো, তবুও কার কি কাটা পড়লো তা নিয়ে আমরা মোটেও মাথা ঘামাইনি। আমাদের মূল উদ্দেশ্য ছিলো একটাই - প্রবল বিক্রমের সাথে পাগলা ক্যাম্রাবাজি করে বিক্রমপুরকে জয় করা ...