আতিক খুব মনোযোগ দিয়ে তার মানিব্যাগের দিকে তাকিয়ে আছে। নিজের মানিব্যাগ এতক্ষণ ধরে দেখার কিছু নেই, রেক্সিনের সস্তা মানিব্যাগ, জায়গায় জায়গায় রঙ চটে গেছে, ভেতরেও তেমন কিছু নেই যা এভাবে একদৃষ্টিতে দেখতে হবে। আসলে আতিক কিছুই দেখছিল না, তার ভ্রূ কুঁচকে আছে আর নীচের ঠোঁট কামড়ে ধরা। যখন খুব চিন্তায় থাকে তখন ঠোঁট কামড়ে ধরা আতিকের অভ্যাস। মানিব্যাগে সব মিলিয়ে বত্রিশ টাকা আছে। তিনটা দশ টাকার নোট, একটা দুই টাক
“There are two tragedies in life. One is to lose your heart's desire. The other is to gain it.”― George Bernard Shaw, Man and Superman
মানুষের প্রেম যে খালি মানুষের সাথে হয়--এমন না।
‘ভালোবাসা ভালো নয়’-- কথাটা আমার নয়, সমাজের। সমাজ যাই বলুক অর্ধেক জীবন পার করে হিসেব কষতে বসি ভালোবাসাটা শিখলাম কবে? আমার স্মৃতি বড়ই প্রখর। একেবারে দিন তারিখে হিসাব মেলাতে না পারলেও বয়স-বছরের হিসাব সে দাখিল করতে পারে। শৈশব কেটেছে ৮০-৯০ দশকে। বাংলা রোমান্টিক সিনেমার তখন রমমনা যুগ। ঠিক উত্তম-সূচিত্রার মতো প্রেমকাহিনি না হলেও তখন বড়লোকের মেয়ে ফকিরের ছেলে টাইপের সিনেমার রস গেলানো হচ্ছে ৮০ বছরের বুড়ো থেকে ৮ বছরের শিশুদের পর্যন্ত। সেই সাথে এও গেলানো হচ্ছে, প্রেম মানে পূত-পবিত্র সম্পর্ক--আদিম যৌনতা সেখানে কড়াকড়িভাবে অবাঞ্ছিত।
বুড়োদের কাছে কেমন ছিল জানি না, আমাদের কাছে সিনেমা মানে সিনেমাই। বাস্তবতার ছিটেফোঁটা সেখানে খোঁজার চেষ্টা করিনি। খুঁজব, সেই মগজ কোথায় তখন?
আমার এখন নিজেকে বর্ষার পর পিচ উঠে গিয়ে গর্তে ভরে যাওয়া সড়কের মত মনে হয়। হৃদয় বল, মন বল- আমার সমগ্র অস্তিত্বে এখন শুধু ক্ষত আর ক্ষত। একটা বিশাল ক্লান্তি। ঝড়ে বিধ্বস্থ ফসলের মাঠের মত এলোমেলো হয়ে গেছি। ক্ষতগুলো সারতে ক'দিন লাগবে জানিনা, আদৌ সারে কিনা কে জানে।অনেকে বলে, সময় সমস্ত শোকের অসুখ সারিয়ে তোলে। আমি নিজেও বলেছি একথা কয়েকজনকে, এখন মনে পড়ছে। কিন্তু আমার উপর আঘাতগুলো এসেছে একটার পর আরে
অভ্রের সাথে আমার যখন বিয়েটা হয়, বুঝতেই পারিনি কি হতে যাচ্ছে। খুব হঠাৎ করে আর খুবই সাধারণভাবে আমাদের বিয়েটা হয়ে গেল। সাধারণ বলতে আসলে অনুষ্ঠানটার কথা বলতে চাচ্ছিনা, অনুষ্ঠান একটা হয়েছে মাশাল্লাহ, কিছুরই অভাব ছিল না। বলছিলাম পুরো প্রক্রিয়াটার কথা । কোথায় কেউ এসে আমাকে একটু খোঁচা দেবে..." আপু, বরটা তো সে রকম পেয়েছেন"।অথবা বিয়ের পর কি কি হবে সেসব নিয়ে দু'একটা কথা বলতে ছাড়বে না, এমন কিছুই হয
প্রতিদান
-সাদ মাহবুব
১.
সজীব আহমেদ অস্ট্রেলিয়া এসেছে মাস তিনেক হবে। সারাদিন রুমে একা একা সময় কাটে তার। দেশে বাবা মা আর ছোট একটা বোন আছে। এখানে আসার মাস দুয়েক আগে break up হয়ে গেছে girl friend এর সাথে। single ছেলেদের যা হয়-আশেপাশে মেয়ে দেখলেই গিলে খেতে ইচ্ছা হয়। আর যদি চেহারা ও দেহ সুন্দর হয় তাহলে তো কথাই নাই।
বিদেশের মাটিতে প্রথম আজ পাঞ্জাবী পড়েছে সে। একটা বাংলাদেশী মেলা ছিল। সেখান থে ...
হঠাৎ লোকটাকে দেখে চমকে উঠল মিতা। কেমন যেন চেনা চেনা। আর কেমন একটা অদ্ভূত অনুভূতি।ভিষন ভির বাসে। তবুও ভাল এখন এইসব ডাইরেক্ট বাস পাওয়া যায়। আগেত একটা সি এন জ়ি র জন্য হা পিত্তেস করে বসে থাকতে হত। মিতা বনানীতে একটা প্রাইভেট ফার্ম এ কাজ করে, আর ওর বাসা মালীবাগ।প্রতিদিন সকালে এক যুদ্ধ অফিসে যাওয়া নিয়ে। প্রায় ৫ বছর হল মিতা এই অফিসে আছে কিন্ত এখনও এই সকাল যুদ্ধটা গা সওয়া হল না।আর ভিরের ম ...
[justify]সারাদিন আমার কোন কাজ নেই। আমার একটা ছোট্ট রুম আছে, সাথে বাথরুম-বারান্দা আছে। মোবাইলে ইন্টারনেট আছে। খুব বেশি প্রয়োজন না হলে আমি রুম থেকে বের হইনা। আমার রুম থেকে বের হলেই আব্বার সামনে পরতে হয়, কিন্তু আমি তার সামনে পরতে চাইনা। তাকেও বিব্রত করতে চাইনা, নিজেরও লজ্জা পেতে আর ভালো লাগে না।
নিজের রুমে অনেক্ষণই ভাল লাগে। তাও সন্ধ্যার পর কারেন্ট থাকলে আইপিএল এর খেলা দেখতে বসি। আব্বা ...
যারা ইতিমধ্যে কষ্ট করে আগের দুই কিস্তি ( ভালবাসার ক্যান্সার - ১ ও ভালবাসার ক্যান্সার - ২ ) পড়েছেন তাঁদের প্রতি আমার বিনম্র কৃতজ্ঞতা । যদি না পড়ে থাকেন, তাতেও শেষ কিস্তি পড়তে কোন অসুবিধা নেই । যারা পরিসংখ্যানের কচকচানি সহ্য করতে পারেন না, তাঁদের দ্বিতীয় কিস্তি না পড়াই ভাল ।
আলো হাতে চলিয়াছে আঁধারের যাত্রী....
ক্যান্সারের কাছে স্বজন হারানো মানুষ জানে নিজের দেশে বিশ্বমানের আধুনি...
যারা ইতিমধ্যে কষ্ট করে ভালবাসার ক্যান্সার - ১ পড়েছেন তাঁদের প্রতি আমার বিনম্র কৃতজ্ঞতা । যদি না পড়ে থাকেন, তাতেও ভালবাসার ক্যান্সার - ২ পড়তে কোন সমস্যা হবে না ।
ক্যান্সারের কড়া গণ্ডা শতকিয়া
তিরিশ বছরে বাংলাদেশে ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা কত বেড়েছে তার কোন সঠিক হিসেব আমার জানা নেই । তবে জনসংখ্যার বিপুল বিস্ফোরণ, শিল্পায়ন, নগরায়ন, পরিবেশ দূষণ, ইত্যাকার হাজারো কারণে এই রোগের বিস্...