১৭ সালের নভেম্বরের মাঝামাঝি কোন এক সময় ছিল তখন। একদিন এলেন ফোন দিয়ে বলল, ‘ঘুরতে যাবে?’ আমি সাথে সাথে রাজি আর কিছু জিজ্ঞেস না করেই বললাম চল যাই। তাই পরদিন সকাল সকাল বাসে করে চললাম Cavite নামের এক জায়গায়। ওখানে এলেনের সাথে দেখা করেই রওনা দিয়ে দিলাম গন্তব্যে । যাওয়ার পথে ও বলছিল যেখানে যাচ্ছি সেটা একধরনের Cove.
সম্প্রতি এক শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তি আমার প্রতি স্নেহসিক্ত হইয়া একখানি অলঙ্কার বাক্স দান করিয়াছেন। মোড়ক খুলিয়া উহার চন্দ্রালোকের ন্যায় বিচ্ছুরিত ছটা আর খোদাই দেখিয়া চিত্ত বিগলিত হইয়াছিল। তৎক্ষণাৎ সিদ্ধান্ত নিলাম আমার মূল্যবান গয়নাগাটি বলিতে যাওবা কিছু আছে বলিয়া আমি মনে করি সেইগুলির তাবৎ খুঁজিয়া পাতিয়া ওই মোহণীয় বাক্স খানায় গুছাইয়া রাখিব।
জার্মানী, অস্ট্রিয়া আর সুইটজারল্যান্ড তিন দেশকে উপকূল দিয়েছে লেক কনস্ট্যান্স; পশ্চিম ইউরোপের দীর্ঘ নদী রাইনের তরল স্ফটিক। মাসুদ রানা থেকেই লেক কনস্ট্যান্স নামের সাথে আমার প্রথম পরিচিতি। মাসুদ রানা থেকেতো কত জায়গার গন্ধই পেয়েছি। কিন্তু এই হ্রদের জন্য কি এক অদমনীয় টানে অজান্তেই বশীভূত হয়ে আছি অনেককাল। ইচ্ছে ছিল জীবনে কখনো ইউরোপে যাওয়ার সুযোগ হলে যাবই যাব। এসেছি তাও বেশ ক বছর হয়। এবারের গ্রীষ্মে সুয
পশ্চিম ইউরোপের বুকের ওপর দিয়ে বয়ে চলেছে দীর্ঘ স্রোতস্বিনী রাইন। রাইনের পূর্ব তীরে ছবির মত ছিমছাম পরিপাটি এক দেশ। প্রায় পনেরশ বছর আগে পাহাড়ের মাঝের এই বিচ্ছিন্ন ভু-খন্ডে থিতু হতে আসা আলেমানি গোষ্ঠীর বংশ ধারা বয়ে এসেছে এদেশের অধিবাসীদের মাঝে। যদি ‘এক দেশে ছিল এক রাজা, রানী, রাজ পুত্র আর তাদের প্রজাকুল’ এভাবে শুরু করতে পারতাম তবে যথার্থ হত। সুবিশাল আল্পস পর্বতমালার একাংশ গভীর আলিঙ্গনে ঘিরে রেখেছে রু
ঘন্টা দেড়েক হয় গরম জলে ডুবে আছি।
আলো-আঁধারি ঘর, মৃদু লয়ে একটা সুর বাজছে কোথাও, জানালার গোড়ার খিলানটা স্পাইডার প্লান্ট আর আইভি গাছে ভর্তি। জলাধারের একপাশে আমার সঙ্গীর জন্য একটা চেয়ার। সাথে লাগোয়া একটা ছোট টেবিলে ট্রে-তে সাজানো ঠান্ডা জল আর ফলের রস।
হ্যানার কথার মতোই শান্ত কোনো স্নেহ যেন মিশে আছে এ ঘরের গাছ গুলোয়, আইভির সুবাসে, আমার স্নানের ঊষ্ণ জলাধারে ।
সর্বশেষ ইমনের করা কাজ দেখেছিলাম আমাদের বসার ঘরের টিভিতে, সেটা ছিল আরএময়াইটি-র ফিল্ম কোর্সের জন্যে ওর বানানো একটা শর্ট ফিল্ম। ইমন আর তন্বীর মেলবোর্নে থাকাকালীন একটা বছর আমাদের জন্যে উল্লেখযোগ্য একটা সময় হয়ে থাকবে আজীবন, সেটা নিয়ে লিখেছি আগে এখানেই, নাম ছিল ‘গগন আজ দেশে ফিরছে”। সে দিন সকাল বেলা আমাদের বাসায় বসে দুইজনে ব্যাগ গোছাচ্ছে, আর পাশের ঘরে বসে আমি ভীষণ মন খারাপ করে লিখে চলেছি সেই ব্লগ, অতঃপর রাতে যখন ওদের প্লেনে তুলে দিয়ে আসলাম, মনে আছে তারপরের অনেকগুলো দিন আমার আর তিথি-র চারপাশ জুড়ে ছিল একটা অদ্ভুত শূন্যতা।
সেই প্লেন উড়ে চলে যাবার বছর চারেক বাদেই যে আমি আবু শাহেদ ইমনের পরিচালিত সিনেমা বড় পর্দায় দেখার জন্যে এই মেলবোর্নেরই এক সিনেমা হলের টিকেটের লাইনে দাঁড়াবো, সত্যি বলছি, এই কথা সেদিন ঘুর্নাক্ষরেও ভাবিনি!
খবিশ খানের সাথে সাক্ষাতঃ
অবশেষে সেই বহুল প্রতীক্ষিত সাক্ষাতের দিন আসলো। তো গেলাম খবিশ স্যারের সাথে দেখা করতে। খবিশ স্যার যথেষ্ট ভদ্র ব্যবহার করলেন। জার্নালিজম এর কী কী জিনিশ আমার মেজর কাভার করে, কতদিন বাকী পড়া শেষ হওয়ার, আমার কোন অ্যাপ্লিকেশন লাগবে কিনা, বা ওনাকে সুপারভাইসার হিসেবে কী কী করতে হবে এইগুলা নিয়ে কথা বললেন। উনি কিন্তু ছবি চাইলো না, সিভিও চাইলো না। এইখানে একটু বলে র ...
ক্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে ইংরেজীতে চান্স পাওয়ার পর একটা কারনেই খুব খুশি ছিলাম যে আব্বুর স্বপ্ন আরেকবার ধুলিসাৎ করতে পারসি (প্রথম বারেরটা ডাক্তার হওয়ার ছিল)। কত করে বললাম, বি.ই.ওয়াই.এ ইউনিভার্সিটিতে ম্যাস কমিউনিকেশনে পড়ি। আমাকে বলে, কি!! সাংবাদিক হইতে চাও! চুপচাপ ক্র্যাকে বিজনেসে পড়। কিন্তু আব্বুর সেই আশা আর পূরণ হল না। তো যাই হোক, ক্র্যাকে ক্লাস শুরু হয়। যেয়ে দেখি লিটারেচারের সব ...