পুণে শহরে জলাভাব বরাবরই। সেই কবে ব্রিটিশরা এসে খড়গওয়াসলা বাঁধ ও জলাধার বানিয়েছিল, সেই জলাধারই বহুবছর পুণের মানুষজনকে গৃহস্থালীর কাজকর্ম ও খাবার জলের যোগান দিয়ে গেছে। তারপর আস্তে আস্তে এলো পানশেত, পওনা, মুলশি, কাসারসাই ইত্যাদি জলাধারগুলো। যতবেশী জায়গা জুড়ে তোলা জল নল বেয়ে ঘরে ঘরে পৌঁছাতে লাগল ততই মানুষের থেকে দূরে সরতে লাগল মুঠাই, নীরা, মুলা নদীরা।
১।
আমার পরিচ্ছনতার ব্যারাম আছে বলে মনে হয়। তবে সেটা শুচিবায়ুগ্রস্থতার পর্যায়ে পৌছেছে বলে মনে হয় না। কারণ ..... লিমিট টানতে পারি, ধূলাবালি ভরা কীবোর্ডেও টাইপ করে যাচ্ছি, কিন্তু সচেতনতায় ধূলাবালির কথাটা বিস্মৃত হচ্ছে না। বাসে, সিএনজিতে ময়লা সিটে ভ্রমন করতে পারি, ড্রেনের উপরের সালাদিয়া হোটেলের পাশে দাঁড়িয়ে চা খেতে পারি।
গত কদিন ধরে মন বড্ড খারাপ হয়ে আছে, চোখ বুজলেই খবরের কাগজের একটি ছবি বার বার মনের পর্দায় ভেসে উঠছে, একটি লাশ, ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে দড়ি দিয়ে বাঁশের সঙ্গে, মুখ থেঁতলানো, আঘাতের পর আঘাতে দাঁত বিকৃত হয়ে বেরিয়ে পড়েছে, খুব খেয়াল করে দেখলে হয়ত সেখান থেকে টপ টপ ঝরে পড়া রক্তবিন্দুও দেখতে পেতাম।
আমাদের একখন্ড উপকূলীয় বনভূমির দাম কত? প্রশ্নটা সিরিয়াসলিই করছি, একটু ভেবে দেখুন।
সেই সাথে চলুন দুটো কেস্ স্টাডি দেখি।
কমোড দেখেননি এমন লোক খুঁজে পাওয়া বাংলাদেশে অসম্ভব নয়। আর কমোডের ব্যবহার কিভাবে করতে হয় জানেন না সেরকম লোকেরও অভাব নাই দেশে। তবে কমোড সঠিকভাবে ব্যবহারের তরিকা জানেনা বিদেশেও এরকম লোক পাওয়া যায় বলেই মনে হয়। না না প্রবাসী বাঙালী না, একেবারে প্রথম বিশ্বের আসল এবং খাঁটি বিদেশীর কথাই বলছি। সেজন্যই জাপানে টয়লেটের দরজার ভেতরের দিকে কিংবা কমোডের ঢাকনার উপরে, অথবা টয়লেটের ভেতরে এমন কোন জায়গায় - যে
ছাদের উপরে বাগান করা নতুন কোন বিষয় নয়। তবে সবুজ ছাদ বা গ্রীন রুফ বলতে এই বাগান করার বিষয়টাকে দুই একটা টবের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে একটা বিশেষ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া বুঝানো হয়ে থাকে। উইকিপিডিয়া অনুসারে একটা ভবনের ছাদ পুরোপুরি বা বা কিছু অংশ পানি নিরোধী আবরণের উপরে বৃদ্ধি উপযোগী কোন মাধ্যমে জন্মানো গাছপালা দিয়ে আচ্ছাদিত থাকলে একে green roof বা সবুজ ছাদ বলা হয়। এটার মধ্যে শিকড় প্রতিরোধী স্তর, পানিনিষ্কাশন