উম্মাতাল কৈশোর থেকে বুনো তারুণ্যের পথে এগোনোর সময় মেঘপিয়নের সাথে সখ্য গাঢ় থেকে গাঢ়তর হতে থাকে প্রতি পশলায়, কুমারী আদ্র ভূমি থেকে প্রথম মিলনের চমকময় তৃপ্ত আদ্রতা ভাপের রূপ নিয়ে ওঠে জলশরের মৃদু স্পর্শে, যে আক্রমণ অতি প্রতীক্ষিত, অতি মোহময়, আবেদন জাগানিয়া।
এমন দিনে-১
সারারাত ধরে বৃষ্টির গান। একই তালে, একই লয়ে। এতটুকু বিরক্তি আসে না। রাতের নিশ্ছিদ্র ঘুমের জন্য বর্ষা সঙ্গীতের চেয়ে ভালো কিছু নেই। বর্ষার গানে কিছু একটা আছে, কী যেন এক অপার্থিব সুর বাজতে বাজতে প্রবল ঘুম ডেকে আনে, চোখ মুদে আসে বালিশে মাথা রাখামাত্রই। ঘুমের অতলে ডুবে যেতে যেতেও সেই সুরের রেশ কাটে না।
বর্ষা নামলেই
অভব্যের মতো কাব্য করতে বসে যায়
ওরা-
কেন ! বৃষ্টি তো নিজেই কাব্য !
নীল নেই, ধূসর মেঘে আকাশ ছেয়ে
আছে বরোষার আগমনী পাখায়
চেপে ভাসিয়ে দিচ্ছে স্মৃতি-
স্মৃতিতে বর্ষণমুখর সন্ধ্যা অপেক্ষায়
চুনার সম্বন্ধে যা লিখেছি শিরোনামে অনেক ভেবেও তার থেকে উপযুক্ত আর কিছু পাওয়া গেলো না । নেহাতই সাদামাটা জায়গা । তবু আমি তো ওখানে থাকি না তাই ওটাকে বেড়াতে যাওয়ার জায়গা তো বলতেই হবে । তা গিয়েছিলাম ওখানে বছরখানেক আগে । বেনারস থেকে গাড়িতে দেড়-দুই ঘন্টা লাগে । দিব্যি রাস্তা । আমরা যেমন কলকাতা থেকে ডায়মন্ডহারবার বা সোনারপুর যাই পিকনিক করতে বেনারস থেকেও তেমনি লোক আসে ওখানে । সে যাই হোক , ...
লিখেছেনঃ পলাশ দত্ত
পরাস্ত হইছি আমি বর্ষার কাছে
সবুজের ওপর এমন বৃষ্টি
কখনো আর
পড়ে নাই এইভাবে
কে কবে ভাবছিলো
জীবনে এমন বিষন্নতা
বৃষ্টিও দিতে পারে
পাখি, এ-পৃথিবীতে র্বষা, জেনো
আমাদের পায়ে-পায়ে একাগ্র
মন খুলে বেমালুম শত্রুত...
চিত্রশিল্পীরা কেন ঘুরে ঘুরে সেলফ পোর্ট্রেট করেন? দিনের শেষে, সব সৃষ্টিই কি আত্মপ্রতিকৃতি? কবির চেতনার রঙেই কি পান্না সবুজ হয়ে ওঠে? তাহলে, গভীর নিশীথে, এক তাড়াহীন মানুষ আর ঘরহীন একপাল ভেড়াকে ঘিরে এমন ঘনঘোর বর্ষা কেন নামে? কার প্ররো...
হুলো আর দোয়েলা, তাহারা আলাদা আলাদা কতই না সুখে ছিল, অতঃপর একত্রে অসুখী হইল
: ঘিঞ্জি ফ্ল্যাটবাড়িগুলো, এর বারান্দা থেকে ওর টয়লেট, ওদের রান্নাঘর থেকে এদের শোবার ঘর, মাঝখানে একটামাত্র ভেজামলিন পর্দা। ...