ছবিসূত্র: শন কারি
একজন বালক আর তার শিক্ষক বন্ধু হলে সেই বন্ধুত্বটা কেমন হবে?
শহর জুড়ে রাত্রি আসে নিয়নে
চাঁদের চিঠি ভুল ঘরে দেয় পিয়নে
অনেক দূরে কমলাপুরে ট্রেনের বাঁশি
বাস ডিপোতে বৃদ্ধ বাসের হঠাৎ কাশি
নিঝুম শহর কারফিউ দেয় পাহারা
শহরটা কি মরুভূমি সাহারা?
ছোট্ট খোকা স্বপ্ন বোনে কোন খেয়ালে
কি যেন কি হচ্ছে লেখা দেয়ালে
ঘুমায় তারা প্রাণের সাড়া বিহনে
মরণ কাঠি শরীর ছোঁয়াও জিয়নে।
এখন প্রশ্ন হলো, আমাদের কি করবার আছে? কার কাছে যাওয়া যায়? কার কাছে বিচার চাওয়া যায়? কার সাথে রাস্তায় নামা যায়? কে প্রতিবাদের ইভেন্ট খুললে গোয়িং বলা যায়? কয়জনের কুৎসিত প্রতিক্রিয়ার উত্তর দেয়া যায়? আমতা আমতা করে বলা অব্যয় বহর কতো সহ্য করা যায়? হঠাত মনে হতে পারে উত্তর সহজ, আবার পরক্ষণে দুর্বিষহ কঠিনও লাগতে পারে।
[ পেট্রল বোমাতপ্ত মাঘ, কক্টেলপোড়া ঝাঁঝালো ফাল্গুনী হাওয়া, পুনরায় রেলভ্রমণ, পূর্বনির্ধারিত দেউলেপনা, নানান রঙের মানুষ, দেড়েল কবিবুড়ো, সৈয়দ মুজতবা আলী, কিঞ্চিৎ ক্রিকেট, একমুঠো নতুন বই আর ধূলিধূসরিত অনেকখানি বইমেলা নিয়ে একটি অগোছালো ব্লগর ব্লগর। নিজ দায়িত্বে পড়বেন। যারা এখনও বইমেলায় যেতে পারেননি তারা দূরে থাকুন। পরে উত্তেজিত হৃদয়ের অন্তস্থল থেকে উৎসরিত উত্তপ্ত-ক্ষিপ্ত-বাক্যবর্ষণ কাম্য নয়। ]
[ কোবি ও কোবিতা, সর্বাধিক প্রচারিত আলুভাজা, পথিমধ্যে সস্তা বেগুনপোড়া, দেশীমুর্গীর ঝালফ্রাই, জিন্সের পাতলুন, কাছা দেয়া লুঙ্গি, বুকপকেটওয়ালা পাঞ্জাবি, ইলাস্টিক দেয়া পাজামা, চিনি ছাড়া দুধ চা, স-টিকেট রেলভ্রমণ, চলচ্চিত্র, বই, নাটক, রঙের মানুষ আর বইমেলা নিয়ে একটি অগোছালো ব্লগর ব্লগর। নিজ দায়িত্বে পড়বেন। যারা এখনও বইমেলায় যেতে পারেননি তারা দূরে থাকুন। পরে উত্তেজিত হৃদয়ের অন্তস্থল থেকে উৎসরিত উত্তপ্ত-ক্ষিপ্ত-বাক্যবর্ষণ কাম্য নয়। ]
সচলায়তনের সাথে আমার পরিচয় সচল নিলয় নন্দীর মাধ্যমে। ব্লগ কি, অল্প অল্প বুঝতে শিখেছি তখন। সচলয়াতনকে খুব খুব ভালো লেগে গেল। বিশেষ করে এতগুলো সমমনা মানুষ যেখানে লিখছেন, তার প্রতি অন্যরকম একটা ভালোবাসা তৈরি হওয়াই স্বাভাবিক। এর ভেতর থেকেও কিছু মানুষকে একেবারে আলাদা করে নিল মন। চরম উদাস, নজরুল ভাই, হিমুদা আরও কয়েকজন। কিন্তু হিংসে হলো একজনের ওপর। লোকটা এতকিছু পারে কী করে! আক্ষরিক অর্থেই পৃথিবীর পথে পথে ঘুরছেন আর লিখছেন। ঠিক পথে বসেই লেখা যাকে বলে। শুধু ভ্রমণ হলেও কথা ছিল। পাখি, জীব জগৎ, বই নিয়ে একের পর এক হৃদয়গ্রাহী লেখা বেরিয়ে আসছে তাঁর হাত থেকে। এমন মানুষকে হিংসে না করে পারা যায়। একেবারে ভালোবাসার হিংসে যাকে বলে। আক্ষরিক অর্থেই লোকটার প্রেমে পড়ে গেলাম। আর ভাবতাম, কবে তাঁর দেখা পাবো। সচলায়তনের প্রতিও প্রেমটা আরও গাঢ় হলো।
দিনে আমরা কতটুকু সময় বই পড়ার পেছনে দিই?
অথবা, সপ্তাহে একটা বইয়ের কতটুকু পড়ি? কিংবা, মাসে ক'টা বই পড়ি? বছরে?
বাইরের দুনিয়াটাকে দরজার বাইরেই আটকে রাখা খুব কঠিন একটা কাজ। বিশেষ করে আজকালকার এই ইন্টারনেট, অনলাইন মিডিয়া, সামাজিক নেটওয়ার্কিং এর যুগে। আপনি না চাইলেও নাছোড়বান্দা দুনিয়াটা ঠিকই আপনার দরজায় ধাক্কাধাক্কি শুরু করবে। এড়িয়ে যেতে চাইলেও পারবেন না। দরজাটা একটু ফাঁক করামাত্রই প্রথমে মাথা, তারপরে গলা, তারপরে কাঁধ গলিয়ে আপনাকে বলতে গেলে ধাক্কা দিয়েই ঘরে ঢুকে পড়বে। তারপরে কোনকিছুর তোয়াক্কা না করেই আপনার প