ঘোর লাগা মন্থর দুপুর
পল্লবহীন একটা পথের শাখা
সাঁই করে সটকে পড়েছে খাগড়ার বনে
আনসার থেকে এফবিআই সকলেই
মুখ তুলে তাকালো অরণ্যে
কানখাড়াকরা সব ঘুঘুপাখি, না-মূক না-বধির তারা;
করতলে টলমল বিষাদ
ধবধবে কাশবনে টহলরত শরত
বাতাসের ম্যাজিক কার্পেটে পেতেছি শয্যা
ঝিমুনির প্রবল প্রতাপ সমগ্রজাতিময়
শরতের বারান্দায় টুল পেতে বসেছিলো গুরু হোরহে এ্যনড্রেডে
লাতিনের গল্পগুলো জমেছিলো বেশ
চারপাশের মানুষগুলো কষ্টের ভার বইতে না পেরে যখন নুয়ে পড়ে হতাশায়, একের পর এক মুখগুলো যখন ঢাকা পড়ে বিষাদের আচ্ছাদনে, খুব অসহায় লাগে নিজেকে।
আর তখন-
প্রায়শই মনে হয়, চলমান এই দুঃসময়ে, ঘোর অন্ধকারে নিমজ্জিত এই পৃথিবীর একাকীতম বোধ করা প্রতিটি মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়াই। তার হাতটা স্পর্শ করে, শক্ত আলিঙ্গনে, ফিসফিসিয়ে বলি, "পাশে আছি..."
বিষাদ তুমি মায়ের চোখের অপেক্ষা জল,
তোমার দেয়া শুভ্র রুমাল -
হলদে হওয়া,
বিষাদ তুমি সকাল বিকাল -
শ্রাবণ সাঁঝের ইলশেগুঁড়ির খুব কোলাহল,
বিষাদ তুমি কর্মমুখর আটপৌরে -
দিনের শুরুর - স্মৃতির সকাল,
বিষাদ তুমি - তোমার সাথে মেলায় কেনা হারমোনিকা -
হারমোনিকায় সুরের আকাল।
বিষাদ আমার - তোমায় নিয়ে কাব্য লেখা,
মুঠোফোনের পুরোনো মেসেজ হাতড়ে দেখা।
বিষাদ তুমি খুব নিশ্চুপ পড়ার টেবিল,
জহিরুল ইসলাম নাদিম
১.
ধরা যাক নাম তার
সমুদ্র নিষাদ।
এক চোখে তার দেখি
আলোকের ঝিকিমিকি
আর চোখে ঝুলে থাকে
গভীর বিষাদ!
২.
সমুদ্র নিষাদের মন ভালো নেই
বিবর্ণ দিনটাতে তাই আলো নেই!
৩.
তুমি কোথায় আর আমি কোথায়?
মাঝখানে তের নদী পড়ে থাকে হায়!
৪.
অর্ধেক পৃথিবী উজিয়ে এসে
মনের বনে দোলা দিয়ে যায় সে!
০১.
শেষবার যখন বাড়ি থেকে আসি, বাবা আমার হাতটি ধরে বলেছিলেন- দেখ্ বাবা, তুই বাড়ির বড়, আমার বয়েস হয়ে গেছে, অসুস্থ, কখন কী হয়ে যায়, তুই সবাইকে দেখে রাখিস। ভারী চশমার পুরু আতশ কাচের মধ্যে দিয়ে পঁচাশি-উর্ধ্ব বাবার ভেসে থাকা ঘোলা চোখ দুটোর আকুতি বুকের ভেতর খুব করে বাজলেও তখনও কি বুঝেছিলাম বাবার সাথে এটাই আমার শেষ দেখা ? ডেবে যাওয়া চোঁয়াল আর ক্রমশ ক্ষীণ হতে থাকা তাঁর শরীর দেখে কে বলবে যে জীবন-...
হাত থেকে পড়ে ভেঙে যাচ্ছিল স্বাচ্ছন্দ্যখানি কাচের পাত্রের মতো, তার একখণ্ড তুলে এনে তোমার করতলে রাখি, কয়েকখণ্ড পকেটে পুরি ও পায়ে পায়ে রক্ত ঝরিয়ে অবশিষ্টের গায়ের উপর দিয়ে হেঁটে যাই বিষণ্ন বদনে
জেনে রাখ, বিষাদের বোঝা বয়ে যেতে বড়ো শ...