[justify]
ব আর ম এর মাঝে প্রেম, অসুখী-প্রেম, বলাই বাহুল্য। মানুষ প্রেমে পড়লে যা হয়, তাই, তেমন একটা সময় ব ও পার করেছে, ম এর জন্য ব তখন সব করতে পারে। কিন্তু, ম সম্পর্কটা ভেঙে দিল, ফোনে। প্রথম প্রথম খুব ভুগেছে ব, তারপর ধীরে ধীরে সয়ে গেছে, সাধারণত যা হয়। জীবন থেমে থাকে না, ওই সব সিরিয়াল-টিরিয়ালে যেমন দেখায় আর কি। বছর আসে, বছর যায়, একের পর অন্য।
তোমাদেরকে একটা মজার ঘটনার কথা বলবো আজকে। কালকে সন্ধ্যায় আমার আর মায়ের সাথে কী হয়েছিল সেই গল্প। আমার বয়স বারো, আর আমি মেয়ে। আমার মায়ের বয়স চৌত্রিশ হলেও আমি কিন্তু এখনই প্রায় মায়ের সমান লম্বা।
কালকে বিকেলে মা আমাকে লন্ডনে নিয়ে গিয়েছিল ডেন্টিস্টের কাছে। ডেন্টিস্ট আমার পেছনের দাঁতে ফুটো খুঁজে বের করলো, বেশি ব্যথা না দিয়ে ফুটো ফিল-আপও করে দিলো। তারপর আমি আর মা গেলাম একটা ক্যাফেতে, আমি নিলাম একটা বানানা-স্প্লিট, আর মা নিলো কফি। আমরা যখন যাবার জন্যে উঠলাম তখন প্রায় ছ’টা বাজে, এদিকে ক্যাফে থেকে বেরুতেই শুরু হলো বৃষ্টি।
ড্যান্স কার্ড
[justify]
১. মা কিলপে, ককেনেস্ ও লস এঞ্জেলস্ শহরে আমাদেরকে নেরুদা পড়ে পড়ে শোনাতেন।
২. একটা বই: টোয়েন্টি লাভ পয়েমস্ অ্যান্ড আ সং অব ডিস্পেয়ার; সম্পাদকীয়- ইসোদা; বুয়েনস্ আয়ারস্, ১৯৬১। প্রচ্ছদে নেরুদার একটা ড্রয়িং আর নোট আকারে লেখা- এই সংস্করণে বইটির মিলিয়ন কপি ছাপা হচ্ছে। ১৯৬১ সালে নেরুদার বইয়ের কাটতি মিলিয়নের কোটায় ছিল কি? নাকি ঐ সময় পর্যন্ত নেরুদার লেখা সব বই মিলিয়ে মিলিয়নতম কপি? আমি একটু ভয় পেয়ে ভাবি দুটো সম্ভাবনাই বিরক্তিকর।
(আমার সচলায়তন পাতা ঘাঁটলে এটা বুঝতে বেশি সময় লাগবে না যে ব্রাজিলের লেখক পাউলো কোয়েলো আমার খুবই প্রিয় লেখক। তার ব্লগেও প্রায়ই পাতা উল্টাই। গত বছরের শেষ দিনে এই লেখাটা সেখানে দেখে মনে ধরলো, নিজের ২০১০ এর অনেক কিছুর সাথেই মিল খুঁজে পেলাম লেখাটির মূল ভাবের সাথে। তাই অনুবাদ করে সবার সাথে শেয়ার করতে ইচ্ছে করলো। ভাষাগত ত্রুটিবিচ্যুতি ধরিয়ে দেবার জন্যে সুরঞ্জনা হক ও অতন্দ্র প্রহরীকে ...
এটি une saison en enfar এর শেষ বা সপ্তম অধ্যায়। এই অধ্যায়ের শিরোনাম adeu। ধারাবাহিকভাবে দেয়া গেল না বলে দুঃখিত।
_________________________
বিদায়
শরত্ চলে এল। তবে কেন আক্ষেপ অনন্ত গ্রীষ্মের , যদি আমরা মগ্ন থাকি সেই মহিমান্বিত আলোর উদ্ভাবনে -নশ্বর লোকালয়গুলো থেকে যা দূরবর্তী।
শরত্! স্থির কুয়াশা ভেদ করে ছুটে চলেছে আমাদের জাহাজ, গন্তব্য দারিদ্র্যের বন্দর-সেই বিকট শহর যার আকাশ রাঙানো থাকে আগুন আর কাঁদায়। আহ ...
নরকের ঋতু (une saison en enfer) প্রথম লিখিত ও প্রকাশিত হয় ১৮৭৩ সালে। আর্তুর রেবুর তখন ১৯ বছর বয়স। ভার্লিনের সঙ্গে দুই বছরের উদ্দাম প্রেম ভয়াবহ বাজে অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে শেষ হয়েছে মাত্র আর নতুন ভাবে প্রেমে পড়েছেন আফিমের। ভার্লিনের সাথে কাটানো সময় আর আফিম দু'টি ঘটনাই মারাত্বকভাবে প্রভাবিত করেছে এই বইটিকে । ছোট বড় নানা আকৃতির মোট নয়টি অধ্যায়ে সম্পূর্ণ করেছেন একটি কবিতা। তার পরের শিল্পী বিশেষ ...
০৩
জ্যানসবোর্গ স্কুলের বয়স প্রায় তিনশ বছর। সুদীর্ঘ এই সময়ের জন্য স্কুলটির বেশ গর্ব আছে। স্কুলের প্রথমাবস্থায় শুধু একটা চার্চ আর ছেলেদের থাকার জন্যে একটা বিল্ডিং ছিলো। ছেলেরা যেখানে থাকতো, সেখানেই পড়াশোনা হতো, খাওয়া দাওয়া হতো। এখন অবস্থা বদলেছে। নতুন লাল ইটের একটা কমপ্লেক্স তৈরী হয়েছে। এই কমপ্ল ...
০২
হার্মিয়া মাউন্ট মন খারাপ করে টেবিলের দিকে তাকিয়ে আছে। টেবিলের উপর খাবারের প্লেট দেয়া হয়েছে। তাতে যে খাবার দেয়া হয়েছে তা দেখেই তার মন খারাপ। সসেজ, আলুর দম আর পুড়ে যাওয়া বাঁধাকপি। এই তাকে এখন খেতে হবে। খেতে একদম ইচ্ছে করছেনা, বাঁচতে হলে খেতে হয়, তাই খাওয়া। কোপেনহেগেনের খাবারের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। কি সব খাবার একসময় পেটে য ...
০১
ঘটনাস্থল ডেনমার্কের পশ্চিম উপকূলবর্তী একটি শহর মোরল্যুন্ডে। ১৯৪১ সালের মে মাস চলছে। মাসের একেবারে শেষের দিন শহরের রাস্তায় বিচিত্র একটি যান দেখা গেলো।
যানটি হচ্ছে ডেনিস মেইড নিম্বাস মোটরসাইকেল। সাথে একটা সাইডকার। রাস্তায় মোটরসাইকেল থাকতেই পারে কিন্তু সময়টার কারনে মোটরসাইকেল রাস্তায় চলার দৃশ্যটি বিচিত্র হয়ে গেছে। কারন ...
পূর্ব কথা
হাসপাতালের দীর্ঘ করিডর, শুনশান নীরবতা। শুধু একজন মানুষের হাঁটার শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। ভদ্রলোকের এক পা কাঠের। তিনি মাথা নিচু করে হেঁটে চলেছেন। হাঁটা দূর থেকে দেখলে ভদ্রলোকের এক পা যে কাঠের তা বোঝা যায়না। স্বাস্থ্য অ্যাথলেটদের মতো, ছোটখাটো গড়ন, বয়স ত্রিশের কোঠায়। পড়নে চারকোল গ্রে স্যুট। হাঁটার সময় ট্যাক ট্যাক ধরনের শব্দ হচ্ছে। তাঁর চোখমুখ শক্ত। হাঁটার সাথে চলছে আবেগ ...