রোদটা একেবারে ঝলসে দিচ্ছে। এতবড় আকাশ। কিন্তু একফোঁটা ছেঁড়া খোড়া মেঘও নেই। কোথাও।
[justify]ঊনি ছিলেন অথবা ছিলেন না। কোন এক শৈশবে অথবা নির্জন কৈশোরে হাহাকার বিষণ্ণ পথটায় উনার প্রহচ্ছন্ন ছায়া পড়েছিল, সেই থেকে উনাকে চিনি। এ চেনা দীর্ঘ, পর্যায়যুক্ত, শূন্যতা কখনো মুগ্ধতার। উনি হয়তো আমাকে গভীর জীবনবোধের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে ভিতর ভেঙে চুড়ে দেন নি মাহমুদুল হকের মতো, হয়তো দীর্ঘ অথচ দৃঢ় গাঁথুনির মায়াজালে আচ্ছন্ন করেন নি ইলিয়াসের মতো এমনকি হয়তো ভাষার কারুকার্যে মোহিত করেন নি শওকত ওসমানের ম
অটোগ্রাফ জোগাড়ের নেশা আমাদের অনেকেরই আছে- সে আলাদা করে রাখা অটোগ্রাফ খাতায় হোক, হাতের কাছে পাওয়া চিরকুটে হোক, চিঠিতে হোক বা বইতে। মনের মধ্যে ‘আকাশের তারা’ হয়ে থাকা একটা মানুষের ‘চিহ্ন’ যে কত মূল্যবান সেটা সে-ই জানে ভিড় ঠেলে উত্তেজনায় টগবগ করতে করতে ঐ ‘চিহ্ন’ যে কখনো না কখনো জোগাড় করে এনেছে!
[justify][১]
সপ্তসপ্ততিতমে বর্ষে সপ্তমে মাসে সপ্তমী/ রাত্রিভীমরথী নাম নরাণাংদুরতিক্রমা ... সপ্তসপ্ততিতম বৎসরের সপ্তম মাসের সপ্তম দিবসের রাত্রি ভীষণ, কারণ, ইহা দুরতিক্রম, অর্থাৎ সাধারণে এরূপ দীর্ঘজীবী হয় না। ভীমরথী থেকে ভীমরতি।
বৃদ্ধ পুরুষের চিত্তবৈকল্যের একটা কারণ এই বাংলা বাগধারায় আছে - তিনি সাতাত্তর বছর সাত মাস সাত দিনের তক্তা ডিঙিয়েছেন। বাগধারা যদি ঢালাওভাবে নির্দিষ্ট বয়সের লোকের প্রতি নিষ্ঠুর হয়ে থাকে সে দায় বর্তমান লেখকের না। কিন্তু আনন্দেই হোক, বা বার্ধক্যের দানে, এরূপ লোক আচরণ ও ভাষার উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। লোকমানসে এই নিয়ন্ত্রণহীনতা পরিহাস্যকর যৌন ব্যর্থতা দ্বারা সংজ্ঞায়িত।
আমাদের জাতীয় সাহিত্যের লোকপ্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদ ভীমরতিপ্রাপ্ত হয়েছেন।
হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে কিছু বলতে যাওয়া বিপদ। একদল আছেন যারা তাকে দু’চোখে দেখতে পারেন না। যেন তিনি নিষিদ্ধ কোনো গন্দম। আরেকদল কিছু কিছু ক্ষেত্রে তাকে ছাড় দিলেও জনপ্রিয়তার স্রোতে গা ভাসানো মেনে নিতে পারেন না। তাদের বক্তব্য, তিনি তার ক্ষমতার সদ্ব্যবহার করছেন না। আর তা না করে বাংলা সাহিত্যকে বঞ্চিত করছেন। হুমায়ূন আহমেদ অবশ্য কারো কথা কানে তুলেন না। নিজের খেয়ালে আছেন তিনি। লিখছেন ...
এক
‘শুনুন মশাই! ...শুনচেন?’
মিসির আলি ভ্রু কুঁচকে প্রশ্নকর্তাকে দেখার চেষ্টা করেন। এই অদ্ভুত রুমটিতে ভোজবাজীর মতো উদয় হবার পর থেকে থেকে তাঁর ভীষণ মাথা ধরেছে। বেশ কিছুদিন থেকেই এমন হচ্ছে। ক’দিন পর পর শরীর কাঁপিয়ে জ্বর আসে। সেই সাথে অসহ্য মাথা ব্যাথা। বয়সের সাথে সাথে শরীর দুর্বল হবে। নানান রোগ বাসা বাঁধবে। এটিই স্বাভাবিক।
মাথা-ব্যাথা কমানোর সব চেয়ে ...
এই লেখাটি অনেকদিন আগেই লিখা হয়েছিল। ঘটনাচক্রে অন্য এক সচলও প্রায় একই সময়ে হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে তাঁর লেখা আমার আগেই সচলায়তনে পোস্ট করে দেন। ফলে আমি সেসময় লেখাটি পোস্ট করা থেকে বিরত থাকি। আজ বেশ কদিন পরে কৌতূহলী সেই সচলের আগ্রহ দ...