[justify]
প্রগতিশীলদের মধ্যে আমরা যারা সক্রিয়ভাবে রাজনীতির সাথে যুক্ত নই, বা কখনও মাঠ পর্যায়ের রাজনীতি করিনি তাদেরও কিন্তু একটা রাজনৈতিক চেতনা আছে। এই চেতনা কখনও আওয়ামী লীগের অনেক উদ্যোগকে সমর্থন করে, কখনও বাম উদ্যোগকে সমর্থন করে। আবার এই দুই পক্ষেরই নানা কাজের সমালোচনাও করে। কিন্তু একটা ব্যাপারে আমাদের সবার মিল এখানে যে, আমরা ধর্মান্ধতা, অন্ধকারের বিরুদ্ধে কথা বলি, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারও চাই। পার্টিজান অবস্
এয়ার ভাইস মার্শাল আব্দুল করিম খন্দকারের মিথ্যা কথা বলার পর সবাই কিছুটা বিরক্ত। কিন্তু এ নিয়ে দুশ্চিন্তা করার কিছু নেই। এটা তো আর ১৯৭৫ না, এটা ২০১৪। দুনিয়া চাপাবাজদের জন্য এখন আরো কঠিন। ভাবলাম সে সময়ের কিছু নিউজ কাটিং দিয়ে এনাদের জীবন আরেকটু কঠিন করে দেই।
৭ই মার্চ, ১৯৭২
দৈনিক বাংলার শেষের পাতা
৭ই মার্চ, ১৯৭৩
সাম্প্রতিক সময়ে যুদ্ধাপরাধের বিচারের বিরুদ্ধাচরণ করে একটি গোষ্ঠী দেশে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে । সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক জীবনকে ব্যাহত করার যাবতীয় চেষ্টা করছে । যা জাতির জন্য অমঙ্গল বয়ে আনবে বলে আমার আশঙ্কা হয় । যুদ্ধাপরাধীদের উপযুক্ত বিচার ও স্বাধীনতা বিরোধীদের এ ষড়যন্ত্র থেকে জাতিকে রক্ষা করার প্রয়াস অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার পথকে সুগম করবে । উপর্যুক্ত প্রসঙ্গে আ
বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের জন্মের সাথে বেদনাদায়ক ইতিহাস আছে । আমরা বাঙালি, বাংলা আমাদের মাতৃভাষা । বাংলার ইতিহাস সুপ্রাচীন । বাঙালির অতীতগাথা অত্যন্ত সমৃদ্ধ । আমাদের ভাষারীতি উঁচুমানের । বাঙালির আরও আছে শিল্পকলা আর সংস্কৃতির নিজস্ব ধারা । তবুও আমাদের একটি বড় অপ্রাপ্তি ছিল, স্বাধীনতা নামক এক মুকুটমণির অভাব ছিল । প্রায় দু’শ বছরের ঔপনিবেশিক শাসনের নাগপাশ ছিন্ন করে বাঙলা তথা ভারতমাতা বৃটিশদের হাত থেকে মু
গত ২৬শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে আমরা, মানে আমি আর মণি'দি, সচলায়তনের জন্যে একটা গান তৈরীর কথা ভাবছিলাম। মণি'দি আমার যাবতীয় সাঙ্গীতিক দুষ্কর্মের প্রধান সহযোগীদের একজন। আমি ছাঁইপাশ যাইই তৈরী করি না কেন, মণি'দি সেইটা মনোযোগ দিয়ে শোনেন। গম্ভীর মুখে মাথা নাড়তে নাড়তে বলেন, "দাদা, সুন্দর হইসে, ভাল হইসে,তবে--"......এই ভীষন ভালমানুষ দিদিটাকে আমি পছন্দ করি তার এই 'তবে'-টুকুর জন্যে। তিনি ভীষন ঠান্ডা মা
আমার মনে পড়ে, যখন অনেক ছোট ছিলাম তখন বিজয় দিবস আর স্বাধীনতা দিবসগুলো একেবারেই অন্যরকম ছিলো। অনেক বেশী আবেগ আর কষ্টের ছোঁয়া ছিলো যেন তখন। আমি নিজে স্বাধীনতা যুদ্ধ দেখিনি। ছোটবেলায় গল্প শুনেছি, গল্প পড়েছি, স্বাধীনতার গানগুলো শুনতাম রেডিও টিভিতে। এমন একটা অনুভূতি হতো বুকের ভিতর তখনি, ওই ছোট বয়সেই। জানিনা কতটুকু বুঝতাম স্বাধীনতা যুদ্ধের, জানিনা কতটুকু বুঝতাম যারা প্রাণ বাজি রেখে দেশের জন্য দেশের মানুষ
দেশ সবেমাত্র স্বাধীন হয়েছে, চারদিকে দাঙ্গা তখনও থামেনি। এইতো সেদিন একটা ট্রেন কলকাতা যাবার পথে পুড়িয়ে দেয়া হলো কুষ্টিয়াতে। সবাই বললো এটা মুসলিম লীগের ছেলেপেলেদের কাজ, কিন্তু এটাতো মানুষেরই কাজ। এরই মাঝে একদিন ঘটা করে পাকিস্তানকে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ঘোষণা করা হলো। পুরো ভারতবর্ষে তখন স্বাধীনতা উল্লাসে মত্ত, দাঙ্গার দিকে ফিরে তাকানোর সময় সরকারের কোথায়?
-তোমাকে তো আজকাল পাওয়াই যায় না। ফোন ত করোই না আমি করলেও ধরনা। মোবাইল বাজতেই থাকে। কি করছ আজকাল?
-ক্লাস থাকে। সামনে পরীক্ষা...তার মধ্যে চলছে শাহবাগ...এই জন্যেই আরকি।
-শাহবাগে যাও তুমি?
-যাই তো। না গেলে কি ভাবে হবে? যুদ্ধপোরাধীদের পার পেয়ে যেতে দেয়া যাবে না।
এই হল আমার মেডিকেলে পড়ুয়া ছোট ভাইয়ের অবস্থা। সে রাজাকারের বিচারের দাবীতে শাহবাগ যায়। স্লোগান দেয়।
ওর আরেকটা পরিচয় ছোট্ট করে বলে রাখি.....ও একজন কোরআন এ হাফেয। সমস্ত কোরআন শরীফ বুকে ধারণ করেই সে শাহবাগে যায় এবং "ফাঁসি চাই" বলে স্লোগান দেয়।
-শাহবাগে নাকি অনেক আজেবাজে কিছু হয় আর মানুষ নাকি শব ফটোশপে বসানো?
-কে বলল উল্টাপাল্টা?
-ফেসবুকে দেখি আর আমার দেশের মাহমুদুর রহমানের টেলিফোনের লিক হওয়া কথায় জানলাম।
-আমি তো অতসব জানিনা। যতটুকই সময় পাই শাহবাগে যেয়ে স্লোগান দিয়ে আসি। আমি তো ওখানে লাখ লাখ মানুষ দেখি মহাসমাবেশে। ফেসবুক দেখার সময় ও পাইনা।
প্রিয় বন্ধু রতিকান্ত, যে নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পথ পাড়ি দিয়ে দেশটি স্বাধীন হয়েছে, পৃথিবীর ইতিহাসে এর নজির আর নেই। এটি আমার নয়, আমার শিক্ষকের মতিন মওলার কথা। ষাটের উপরে বয়েস তার। বুদ্ধিদীপ্ত, শানিত চেহারাটি কঠিন জীবনযাত্রা ও নির্দয় সময়ের কশাঘাতে ম্রিয়মাণ হলেও চোখদুটো উজ্জ্বল। মতিন মওলা এখানকার একটি স্কুলে শিক্ষকতা করতেন। হঠাৎই কোনো কারণ না দেখিয়ে ছাটাই করা হয়ে তাকে। এখন আশে পাশের ছ