ফরমালিন বা বরফ দেয়া ছাড়া মাছ যেমন দিনে দিনে পঁচে যায় তেমন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে প্রতিদিন নানা বিষয় উত্তপ্ত আলোচনা-সমালোচনা হয়ে হারিয়ে যায়। শ্রেণী বা গোষ্ঠী স্বার্থকে স্পর্শ করে যায় এমন বিষয়গুলো ব্যপ্তি ও গভীরতা বিচারে সপ্তাহ থেকে মাস পর্যন্ত সব ধরনের মিডিয়াতে টিকে থাকে। এরপর নতুন ইস্যু এসে পুরনোগুলোকে চাপা দিয়ে যায়।
০১।
তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীর স্মরণে আয়োজিত ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে 'রানওয়ে' মুভিটি দেখার পর আমার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া ছিল এরকমঃ
[i]"বাস্তব ঘটনার উপর ভিত্তি করে ফিল্ম বানানো আম্রিকানদের ব্যাপার-সেপার। আমরা অতো কষ্ট করতে যাবো কেনো? আমরা বানাবো ফর্মুলা ফিল্ম।
০১।
তারেক মাসুদ আর মিশুক মুনীরের মর্মান্তিক মৃত্যুতে এই দেশ কী হারালো তা প্রতিটি সচেতন মানুষ এক তীব্র আর দুঃসহ যন্ত্রণা নিয়ে আজ উপলব্ধি করছেন। কিন্তু প্রচন্ড দুঃখবোধের মধ্যে আমার বার বার মনে পড়ছে মাত্র ৭ দিন আগে একটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রথম সংবাদটি যেখানে জানানো হয়েছে দক্ষতার পরীক্ষা ছাড়াই প্রায় সাড়ে ২৪ হাজার লোকক
“The world suffers a lot. Not because of the violence of bad people, but because of the silence of good people!”
- Napoleon
বলতে পারেন, পৃথিবীর কোন দেশে মানুষের জীবনের মূল্য সবচেয়ে কম?
বলতে পারেন, যুদ্ধকালীন বা সংকটগ্রস্থ অবস্থায় না থাকা সত্ত্বেও কোন দেশটিতে বসবাস করা একটি মাইনফিল্ডে বসবাসের চেয়েও ভয়ংকর?
অনেকক্ষণ বসে থেকেও, লেখার মতো উপযুক্ত শব্দ খুঁজে পেলাম না।
মনে হচ্ছে, প্রিয় কিছু হারিয়ে ফেলেছি।
হয়তো আসলেই হারিয়েছি।
আমাদের যেন আর কখনো যুদ্ধে যেতে না হয়, যুদ্ধ শেষে 'মুক্তির গান' বানাবার লোকটি যে আর নেই।
মুক্তমনের মানুষ তারেক মাসুদ, মিশুক মুনীরের স্মৃতির প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা।