প্রথম চাকমা ভাষার চলচ্চিত্র 'মর ঠ্যাংগারি' সেন্সর বোর্ডে আটকে যাওয়ার খবর শুনে আমার মনে কৌতুহল জেগেছে সেন্সর বোর্ডে সাধারণত কি কি কারণে কাটাকুটি করা হয় সেটি জানার জন্য। তারপর তাদের ওয়েবসাইটে গিয়ে এ বছরের কাটাকুটির তালিকা পেয়ে ভাবলাম সবাইকে দেখাই। বেশ ইন্টারেসটিং!
কিছুক্ষণ আগে একটি জরিপের লিংক আমার হাতে আসে। এটি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের একজন মাস্টার্স শিক্ষার্থী তৈরি করেছেন (আমি ওনার পরিচয় জানার চেষ্টা করিনি তবে ওনার বন্ধুর মাধ্যমে আমার মতামত জানিয়েছি)। তার পরিকল্পনা প্রাথমিক ভাবে নিউএজ পত্রিকায় এটির উপর প্রতিবেদন প্রকাশ করা আর পরে সম্ভব হলে কোন জার্নালে প্রকাশ করা।
লিস্ট থেকে আরেকটি নাম খসে গেছে এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেল – নীলয় নীল (নীলাদ্রি চট্টোপাধ্যায়)। এ খবরের রেশ এর মধ্যে কেটে গেছে এবং আমরা আমাদের সাদামাটা দৈনন্দিন কাজে মনোনিবেশ করেছি। সেলফি কিংবা নামী রেস্টুরেন্টে দ্বিপ্রহরের কিংবা সান্ধ্য ভোজের ছবি আপ্লোড দিচ্ছি। প্রত্যেক এক্টিভিস্ট ব্লগারের হত্যাকাণ্ডের পর এরিমধ্যে অনেক লিখালিখি হয়েছে। দুঃখজনকভাবে এ ধরণের অপরাধ দমন প্রক্রিয়া কিংবা সামাজিক এ দূর্যোগ পরিস্থ
আগাম সতর্কতা: আমার আইনের উপর কোন আনুষ্ঠানিক বা অনানুষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ বা পেশাগত অভিজ্ঞতা নেই।
কিছুদিন আগে অপেশাদার কৌতুহল থেকে আমি আমাদের তিনটি আইনের কথাগুলো পড়ছিলাম। আইনগুলো হল:
১. পেনাল কোড, ১৮৬০ এর ২১ নম্বর অধ্যায়ের বর্ণিত - মানহানির প্রতিকার আইন
২. পেনাল কোড, ১৮৬০ এর ১৫ নম্বর অধ্যায়ের বর্ণিত - ধর্মপালনে বাধার প্রতিকার সংক্রান্ত আইন
বাংলাদেশে মাতাল হয়ে অন্যের সম্পত্তিতে অনুপ্রবেশ করে কাউকে উত্যাক্ত করা কিংবা অন্যকোন ভাবে কারো মানহানি করা কিংবা মরণাস্ত্র হাতে সহিংস দাঙ্গায় যোগ দেয়ার অপরাধের চেয়ে এখন অনলাইনে লেখালেখি করা বহুগুন বেশি শাস্তিযোগ্য অপরাধে পরিণত হতে যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, অনলাইনে লেখালেখি সংক্রান্ত অভিযোগসমূহকে ‘আমলযোগ্য’ ও ‘অ-জামিনযোগ্য’ করায় এ অপরাধে কাউকে গ্রেফতারের জন্য আদালতের কোন ওয়ারেন্টের প্রয়োজন হবেনা, নিরাপরাধ প্রমাণিত হওয়ার আগ পর্যন্ত কোন জামিনও মিলবে না, এবং লেখালেখি সংক্রান্ত অভিযোগ যত ক্ষুদ্রই হোক, প্রমাণিত হলে এর সর্বোনিম্ন শাস্তি হবে ৭ বছরের জেল এবং অনধিক এক কোটি টাকা জরিমানা!
আপনি যদি ওয়েব সাইটে বা অন্য কোন ইলেক্ট্রনিক বিন্যাসে’, অর্থাৎ ব্লগ, ফেসবুক বা ইউটিউবে কখোনও কিছু প্রকাশ বা সম্প্রচার করে থাকেন, তাহলে আপনিও পড়তে পারেন এই ‘একুশে আইনের’ ফাঁদে।