[justify]ফেসবুকে আজ এক নেটাতো বন্ধু ( যার লেখার আমি একজন বড় ভক্তও) দেখি অন্যতম প্রিয় সায়েন্স ফিকশন লেখক রে ব্র্যাডবেরীর একটা কথা উদ্ধৃতি দিয়েছে। কথাটা হলো –
You don’t have to burn books to destroy a culture. Just get people to stop reading them
১.
পুলিশ ষ্টেশনের ঘন্টা যেন কেমন! একঘেয়ে, বিষন্ন আর মাঝে মাঝে ভূতুড়ে! রাত ১২ টার ঘন্টা আরও বেশি কেমন কেমন! একে তো মাঝরাত তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি বার ঘন্টা এই সময় টাতেই বাঁজে।
ঢং ঢং ঢং...
গুনে গুনে ১২ বার। রাতের নিরবতা আর গাঢ় অন্ধকার ভেদ করে প্রতিটি ঘন্টার বাড়ি যেন বুকে এসে আঘাতকরে। আর যদি সেই ঘন্টা শুনে ঘুম ভেঙ্গে যায়, তাহলে তো কথাই নেই।
মৈথুনরতা বীচটার অভিব্যক্তিহীন মুখটা ভুলতে পারছে না শিরিন।
ব্যলকনিতে ইজি চেয়ারে দুলতে দুলতে স্ট্রীট লাইটের হলদে আলোয় অপার্থিব লাগছিল দৃশ্যটা।একটুও অশ্লীল নয়, বরং সৃষ্টি-তত্ত্বের একটা অঙ্কের নির্ভুল মঞ্চায়ন- মনোযোগ দিয়ে দেখল কতক্ষণ।
আবার বাড়ী বদলাতে হচ্ছে । দু’দিন আগেও ঘরের যেখানে যেটা থাকার কথা, তাই ছিল...এখন সব অগোছালো । বইয়ের শেলফগুলো হা হা শুন্যতা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে । কিচেনের কাউন্টারে স্তূপ করে রাখা জিনিস বাক্সবন্দী হওয়ার অপেক্ষায় । লিভিংরুমের মেঝেতে এখানে ওখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে নির্ঝরের পাজলের টুকরো...ছোট্ট রাবারের শার্ক...কবেকার কোন জন্মদিনের পার্টিতে পাওয়া না-খোলা লুটব্যাগ (সেখান থেকে উকি দিচ্ছে মোড়কসহ ললিপপ)...হলুদ
ঝাঁ ঝাঁ দুপুরে ভোকাট্টা ঘুড়ির পিছনে দৌড়াতে দৌড়াতে মাঠ ঘাট পেরিয়ে অজানা এলাকায় হাজির হওয়া বা একদল ছেলে মিলে সময় পেলেই পদ্মার বুকে ঝাঁপিয়ে পড়া বা উজানে যাওয়া বালিবাহী নৌকা ধরে কিছুদুর গিয়ে আবার স্রোতে গা ভাসিয়ে দিয়ে ফিরে আসা কিংবা শীতের সকালে গাছ থেকে সদ্য পাড়া খেজুরের রস খাওয়ার জন্য গ্লাস হাতে ভাইবোনদের সাথে লাইন দেয়া অথবা ঝড়ের মধ্যে মায়ের বারণ না শুনে আম কুড়োতে দৌড় - যাওয়া বা
আমাদের হাইস্কুলের নামটা একটু অদ্ভুত। আ,ধ,বে,মে হাইস্কুল। পুরো নাম আলহাজ্ব ধনাই বেপারী মেমোরিয়াল হাইস্কুল। সবাই ছোট করে বলত ধনাই বেপারীর ছাত্র। আমি ছোট বেলায় অনেকগুলো ব্যাপারে হীনমন্যতায় ভুগেছি তার মধ্যে এই স্কুলের নাম একটা। ধনাই বেপারীর ছাত্র হওয়াটা আমার জন্য মোটেও খুব সুখের কিছু ছিলো না কারণ স্কুলের আসিস্ট্যান্ট হেডমাস্টার ছিলেন আমার চাচা। আমার আব্বা ছিলেন চরম প্রথাগত মানুষ, রবীন্দ্রনাথ নজরুল ছাড়
বারান্দার এককোনার জবা ফুলের গাছটির সামনে কিছুক্ষণ দাঁড়ানোর পর অতনুর চোখ দিয়ে আপনা আপনিই কফোঁটা জল বেরিয়ে পড়ল। ফুলগাছটায় এখনও একটা ফুল বিকেলের সবটুকু আলোকে ম্লান করে দিয়ে হেসে হেসে এদিক ওদিক দুলছে। পরম মমতায় গাছটার গায়ে, পাতায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে মনে মনে অনেক কথা বলে যায় সে। সেই কবে এক শীতের ছুটিতে ডিসি হিল পার্কের বাহাদুর নার্সারি থেকে ছোট্ট একটা চারা কিনে এনেছিল, সেদিনের রোগা গাছটা আজ
[justify]জড়োতা বলে যে জটবাঁধানো জবড়জং ব্যাপারস্যাপার আছে বস্তুর ক্ষেত্রে তা আমরা কম বেশি সবাই জানি। পদার্থের জন্মদোষে দুষ্ট এই গুণটা হলো, বস্তু অত্যন্ত বস্তুনিষ্ঠ হয়ে যে অবস্থায় আছে, নিতান্ত বাধ্য বা বাধাপ্রাপ্ত না হলে সেই সুব্যবস্থার কোনো দুরবস্থা করতে চায় না নিজে থেকে। অর্থাৎ যা স্থির আছে সে খামাখা কখনো অস্থির হবে না। যে ঘোরার উপরে আছে, বলপ্রয়োগ সাপেক্ষে ঘোর না কাটানো পর্যন্ত সে বেঘোরেই ঘুরতে থাকবে। এরকম সুলিখিত সংবিধান পড়েছিলাম বিজ্ঞান বিষয়ে স্কুল-কলেজ-এমনকি ভার্সিটিতেও। কিন্তু এই জড়োতার উল্টোপিঠেও আর এক জড়োতা আছে, যাকে বলে কোনো কিছু না করার বা আলসেমির জড়োতা। আর এইটা এখন আমার দৈনন্দিন জীবনজুড়ে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গেছে। পরম শূন্য উষ্ণতার মতো যদি পরম শূন্য জড়োতা বলে কিছু থেকে থাকে তবে আমি নিশ্চিত, তা এখন আমকে জাপটিয়ে জড়িয়ে রেখেছে। আমার এই লেখাতেও অবধারিতভাবে সবাই বৈচিত্র্যহীন জড়োতার বিচিত্র সব উপকরণ রয়েছে যা বিষম বিরক্তির উদ্রেক কোনোরূপ জড়োতা ছাড়াই করতে পারে।
বিষাদ তুমি মায়ের চোখের অপেক্ষা জল,
তোমার দেয়া শুভ্র রুমাল -
হলদে হওয়া,
বিষাদ তুমি সকাল বিকাল -
শ্রাবণ সাঁঝের ইলশেগুঁড়ির খুব কোলাহল,
বিষাদ তুমি কর্মমুখর আটপৌরে -
দিনের শুরুর - স্মৃতির সকাল,
বিষাদ তুমি - তোমার সাথে মেলায় কেনা হারমোনিকা -
হারমোনিকায় সুরের আকাল।
বিষাদ আমার - তোমায় নিয়ে কাব্য লেখা,
মুঠোফোনের পুরোনো মেসেজ হাতড়ে দেখা।
বিষাদ তুমি খুব নিশ্চুপ পড়ার টেবিল,
মুখোমুখি একজোড়া মানব-মানবী,
সামনে ধূমায়িত কফির কাপ।
বাইরে অঝোর বৃষ্টি, ভেতরে
বিস্মৃতপ্রায় স্মৃতির বাতাস,
দু’জনের মনে, স্কুল
জীবনের ঝড়ো হাওয়া।