[justify]আমার প্রথম স্কুলের স্মৃতি তেমন মনে নেই, অল্প কিছু ছাড়া। আমার যে ঘিলু, তাতে না থাকাই স্বাভাবিক। এইনিয়ে আমার আক্ষেপ নেই, শুধু মাঝে মাঝে একটু দুঃখ পাই। আমার পরিচিত বন্ধুরা কী সুন্দর করে তাদের প্রথম স্কুলের নানা স্মরণীয় ঘটনা আওড়ে নিজেদের শৈশবের অমৃত আস্বাদন করে। আর আমি তা শুনে শুনে দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাই। ব্যাপারটা বড়ই বেদনাদায়ক। এবং নিজের কাছে চরম অস্বস্তিকর। মানুষের জীবনের অন্যতম চমৎকার একটা সময়ের স্মৃতি তেমন কিছুই মনে নেই! সব হজম করে ফেলেছি! এ কীভাবে সম্ভব? মাথায় মাঝে মাঝে একান্তে ঝাঁকি দিয়ে বোঝার চেষ্টা করি কোন মডেলের হাঁদারাম এটা। টকটক শব্দ হয় শুধু, আর কিছু মেলেনা। ইদানিং পরিচিত কয়েকজনের স্কুলের প্রথম অভিজ্ঞতার কিছু অসাধারণ রোমন্থন পড়লাম। তারপর থেকে বেশি বেশি মনে করার চেষ্টা করছি নিজের স্মৃতি। কিন্তু ঘুরেফিরে মনে থাকা ঘটনাই আবার চলে আসছে স্মরণে। নতুন কিছু মিলছেনা। কিন্তু সবচেয়ে অবাক করা ব্যাপার হলো, সাথে একটা সেই সময়ের শোনা
মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলের প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদের রিইউনিয়ন হয়ে গেলো ডিসেম্বরের ২৫ তারিখে। সে উপলক্ষে ছাপা সাময়িকীতে একটা লেখা পাঠিয়েছিলাম। স্কুল নিয়ে অনেক আনন্দের আর কৃতজ্ঞতার স্মৃতি যেমন ছিলো, তেমনি অনেক ক্ষোভও জমা ছিলো। স্কুল ছাড়ার পরের কয়েকবছর তক্কে তক্কে ছিলাম কোন একদিন সুযোগ পেলে স্কুল কর্তৃপক্ষ মানে স্যারদেরকে সেইসব ক্ষোভের কথা শুনিয়ে দেবো। সুযোগ হয়নি। পুরোনো ইচ্ছেটা এবার তাই মাথাচাড়া দিয়ে উঠলো। পাঠিয়ে দিলাম গর্ব, আনন্দ, বেদনা আর ক্ষোভের কথাগুলো। লেখার শুরুতে স্কুলের স্যারদের প্রতি কৃতজ্ঞতার কিছু কথা লিখেছিলাম। তারপর স্কুল নিয়ে এবং স্যারদের নিয়ে খোলামেলা কিছু সমালোচনা ছিলো। লেখার একটা বড় উদ
জহিরুল ইসলাম নাদিম
স্মৃতি যে এক ধরণের শক্তি তা ছোটবেলায় প্রথম টের পাই।
যাই পড়তাম দিব্যি মনে থাকত।
অবন ঠাকুরের বই থেকে শুরু করে সুকুমার রায়
সব লেখাই এক নিঃশ্বাসে উগড়ে দিতে পারতাম
উল্লেখ করার মতো কোনো বিচ্যুতি না ঘটিয়েই।
হন্তদন্ত হয়ে বাসায় ঢুকেই রুমে চলে এলেন মিজান ভাই। সাথে এক অপরিচিত লোক, প্রায় মিজান ভাই এর সমবয়সী। আমি তখন তিন ছিদ্রের চৌবাচ্চা পানি ভর্তি করতে ব্যস্ত অংকের খাতায়। আম্মু রান্নাঘরে। আব্বু অফিসে গেছে আগেই। এখন বাজে প্রায় এগারটা। ছুটে এসেই ফিসফিস করে মিজান ভাই আমাকে বললেন তোমার ইংরেজি গ্রামার বই কোথায়? তাড়াতাড়ি দাও। আমি কিছু না বুঝে ছিদ্র বন্ধ না করেই ছুটলাম বই এর তাক এর দিকে। এদিক ...
লাল জামদানী, মিথিলার অসম্ভব প্রিয় একটা শাড়ি।ওর দেয়া এটাই ছিল শেষ শাড়ি।কত শাড়িইতো আলমিরাতে এলো গেলো কিন্তু ওর দেয়া শাড়িগুলো যেমন এসেছিল তেমনই রাখা আছে।আলমারিতে রাখা শাড়িগুলোর মাঝে অর্ধেকই বোধকরি ওর দেয়া।যেবার মিথিলার বয়স বিশ হলো একটা সবুজ শাড়ি আর বিশটা সাদা দোলনচাঁপা নিয়ে ও এসে বাসায় উপস্হিত।সে কী সুঘ্রাণ সেই দোলনচাঁপার, সারা বাড়ি যেন মৌ মৌ করছিল।সেই থেকে দোলনচাঁপা মিথিলার ...
দিন যে কাটে তোরই মতো
ক্লান্ত আমার স্মৃতি যত,
বসে থেকে নীরব একা
পাইনা যে তোর চিঠির দেখা ।
সাঁতরে নদীর পারে পড়ে
কষ্ট নদীর ঢেউ
ধেয়ে তরী তার উজান বেয়ে
আর আসেনা কেউ।
যেথায় থাকিস, কাছে ডাকিস
বন্ধু ভেবে পাশে,
জলভরা চোখ শক্ত মুঠো
শেষ কথারি শেষে।
ব্যাপারটা ভুলে গুলে খেয়েছিলাম বহুবছর আগেই। স্মৃতির পাতায় বাহুল্য জিনিষ জমা থাকলেও তার পাতা উল্টায় অনেক দ্রুত। পড়াশোনা আর তারপর জীবিকার তাড়নায় এসব ছোটখাট জিনিষ মনে রাখার সময় কই। নতুন নতুন ব্যাপার স্যাপারের বিচিত্রকথন মনের খাতায় লিখতে লিখতেই তখন সময় চলে যাচ্ছিল। আর সাধারণত যা হয়, যার সাথে যোগাযোগ থাকে না তার কথা মনে পড়েও কম। তারপরও মনে ছিল, হালকা অস্পষ্ট কিছু কথা, এক পলকের একটু ...
ঈদের তিনচার দিন আগ থেকেই চ্যানেলগুলোতে দিনরাত যে সংবাদটি প্রচার হতে থাকে তা হল বাস-ট্রেন-লঞ্চে উপচে পড়া মানুষের ভীড়। সবাই ঢাকা ছাড়ছে। যে যেভাবে পারছে। উদ্দেশ্য বাড়িতে প্রিয়জনের সাথে ঈদ উদযাপন। চ্যানেলগুলোতে সংবাদ পরিবেশনের অপরিপক্কতা আর দৈন্য ছাপিয়ে যে সত্য প্রতিফলিত হয় তা হল- সবাই চায় বাড়িতে ঈদ করতে। আমি এই সীমাহীন দুর্ভোগের পৌনপুনিক পরিবেশনে বিপন্ন বোধ করি। এভাবে ঘরে ফের ...
মে মাসের এক সন্ধ্যায় ডির্পাটমেন্ট থেকে বের হবো। হঠাৎ সুপারভাইজারের ডাক।বেশ একটু উচ্চস্বরে। ভাবলাম আবার কোন কাজ করতে হবে। পরে দেখি বেশ চমৎকার এক হাসি খুশি ভাব । রুমে যেতেই বলা শুরু করলেন আগামী সামারে তোমার তো কাজ নেই। দেশে তো যাচ্ছো না। তার চেয়ে বরং জার্মানিতে একটি ট্রেনিং আছে ঘুরে এসো, একটু ইতস্তত করতেই বললেন ওরা তোমার সব খরচ দেবে আর ইরাসমুস প্রোগ্রাম তো তাই টাকা পয়সা যে একেবা ...
জীবনে কোন না কোন সময় সব মানুষই নাকি একবার হলেও কবি হয়। আমিও হয়েছিলাম। কাঁচাহাতে লেখা কৈশরের দুর্বল কবিতা, কিন্তু তাতেই আমার জীবন ঝালাপালা। নব্বুই-একানব্বুইয়ের দিককার ঘটনা। আমি সবে মাত্র মাধ্যমিকের পাট চুকিয়েছি। মফস্বল শহরে বন্ধুত্বের বৃত্তে চলছে জীবন। বন্ধুদের কেউ নব্য বিপ্লবী --- বামপন্থায় দীক্ষা নিচ্ছে। কেউ বা নব্য কবি --- কাব্য সাধনায় ব্যস্ত। এদের মাঝে বেমানান আমি ক্রীড়াম ...