লেখক মাহবুব আজাদের সাথে আমার ব্যক্তিগত পরিচয় নেই। তাঁকে চিনি হিমুদা হিসেবে। সচলের মাধ্যমে। তাঁর প্রায় সব লেখাই আমার পড়া। আসলে পড়তে বাধ্য হই। লেখার যেমন ধার-ভার, তেমনি ঠোঁটকাটা স্বভাবের মানুষ, তাঁর ব্যক্তিত্বের কাছে মনে মনে সবসময় আমি কুঁকড়ে থাকি। তবে তাঁর লেখা পড়ে নাড়া খাই, গোয়েন্দা ঝাকানাকা হাসিয়ে কাঁদিয়ে মারে। তাঁর গল্পের কথাও জানি। আমি যখন সেবাতে ছিলাম সেসময় তাঁর এক অতিপ্রকৃতিক উপন্যাসিকা ছাপা হয়েছিল। কী বলব, সবগুলোই মুগ্ধ করার মতো। কিন্তু তাঁর ছোটদের গল্পের কথা একেবারে অজানা ছিল আমার। অণুদার মুখে প্রথম শুনলাম “হাবুলের জলদস্যু জাহাজ” এর কথা।
সেটা ছিল আমার পঞ্চম জন্মদিন, বড় চাচা আমার জন্য চারটা ছবি সহ রূপকথার বই কিনে আনলেন। ছুটির দুপুরে বারান্দায় বসে খুব কস্টে বানান করে করে বইগুলি পড়তাম। আমি ছিলাম বাবাদের ছয় ভাইদের যৌথ পরিবারের প্রথম সন্তান। দুপুরবেলা খাবার পর ছানাপোনাসহ আর সবাই যখন ঘুমাত, আমার কাজ ছিল আস্তে করে দরজা খুলে বাইরে চলে যাওয়া, না হলে রান্নাঘরের ভাতের হাঁড়ি থেকে ভাত নিয়ে কাঁক আর বিড়ালের মধ্যাহ্ন ভোজনের ব্যবস্থা করা